মানসিক চাপ কেন সৃষ্টি হয়? আমরা এটি থেকে কিভাবে নিজেকে মুক্ত রাখবো- বিস্তারিত

আজ আমরা জানবো মানসিক চাপ কী । কেনো তৈরি হয়। উৎসগূলো কি কি । যখন মানসিক চাপ তৈরি হয় তখন আমাদের শরীরে কি লক্ষন হয়। মনে কি লক্ষন হয় এবং আমাদের আচরনে কি কি বিষয়গুলো হয়। মানসিক চাপ থেকে কিভাবে নিজেকে মুক্ত করবো।

আমাদের শরীর বা মন, যখন কোনো কাজ, জীব-জন্তু, মানুষ অথবা কোনো ঘটনাকে হুমকিস্বরূপ মনে করে তখন, অথবা কোনো প্রতিকূল পরিবেশে যেভাবে সাড়া দেয় সেটিই স্ট্রেস রেসপন্স বা মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়া।

আমাদের শরীর এবং মনের জন্য যা হুমকিস্বরূপ তাই স্ট্রেস বা মনের ওপর চাপ। স্বাভাবিক ভাবেই বলতে গেলে মানসিক চাপ আমাদের জীবনের একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দৈনন্দিন জীবনে চলতে গেলে আমাদের নানা রকম মানসিক চাপের মুখে পড়তে হয়। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠার পর থেকেই একদম ঘুমোতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিটা মূহুর্তেই আমরা মানসিক চাপের মুখামুখি হই।আমরা প্রতিটা মূহুর্তে বিভিন্ন কারণে মানসিক চাপের সম্মুখীন হই। মানসিক চাপ যেনো আমাদের পিছুই ছাড়ছে না।

কিছু চিন্তা হচ্ছে ছোট্ট কিছু চিন্তা হচ্ছে বড়। কিছু চিন্তা আছে যেগুলো আমরা গায়েই নেই না। অভ্যস্ত হয়ে গেছি। কিছু কিছু চিন্তা আমাদের হঠাৎ করে তমকে দেয়। কিছু সময়ের জন্য আমাদের অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। তারপর আমরা এই চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত করত পারি।

কিছু চিন্তা আছে লম্বা সময় ধরে চলে।আচমকা কিছু মানসিক চাপ আমাদের জীবনে আসে যেগূলো আমাদের ভয়ংকরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের যদি বের হওয়ার সময় সকাল বেলা ৮টায় তাকে আর ঘুম থেকে উঠে যদি দেখি ৮ টা হয়ে যায় তাহলে আমাদের চিন্তার সম্মুখীন হতে হয়।

তারপর যদি রাস্তায় গাড়ি সময়মতো না মেলে তাহলে মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে হয়। যদি গুরুত্বপূর্ণ কোনো মিটিং থাকে আর আপনি যদি দেরিতে উঠেন আর যদি রাস্তায় জ্যাম থাকে তাহলে ও মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে হয়। বাড়িতে মেহমান আসবে অথচ আপনার ঘরে কাজের লোক নেই তাহলে আপনাকে মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে হয়।

মাসের এর মধ্যকানে আপনার মোবাইলটা নষ্ট হয়ে গেছে এখন আপনার মোবাইল হয় নতুন কিনতে হবে বা সাড়াতে হবে এখন হাতে টাকা নেই তা নিয়ে মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে হয়। কেউ হসপিটালে একটা চাপ।কারো মৃত্যু হয়েছে এটাও একটা মানসিক চাপ। এরকম করে আমরা প্রতিদিন মানসিক চাপের সম্মুখীন হই।

ছোট ছোট চাপ নিয়ে আমাদের চলতে হয়। যদি জীবনে কোনো চাপ থাকতো না দুঃখ কষ্ট থাকতো না তাহলে পাওয়ায় পর যে আনন্দ তা হতো না। এই যে মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে তা আমরা কখন অনুভব করি। যখন আমাদের সামনে কোনো একটা পরিস্থিতি উপস্থিত হচ্ছে ঐ পরিস্থিতিতে যখন আমি অনুভব করছি ওই পরিস্থিতি সামলানোর মতো শক্তি আমার নেই।তখনি মানসিক চাপ তৈরি হয় আর এরকম অনুভব তৈরি না হলে মানসিক চাপ তৈরি হবে না।

যেমন রাস্তায় জ্যাম , জ্যাম আমাদের আওতায় নেই।কখন জ্যাম হবে সেটা আমরা জানি না। সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারব কি না তাই নিয়ে মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়। এরকম মানসিক চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হলে বিকল্প পদ্ধতি ভাবতে হবে।

কখনো কখনো মানসিক চাপ প্রতিকার করতে পারি আবার কখনো কখনো পারি না আওতার বাইরে চলে যায়। যখন আওতার বাইরে চলে যায় তখন আমাদের মধ্যে ভয়ংকর আতংক তৈরি হয়।

কিছু কিছু চিন্তা মানুষকে ভিতর থেকে দূর্বল করে দেয়। তখন মানুষ কিছু ভালো কিছু ভাবার শক্তি হারিয়ে ফেলে। জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জীবনের প্রত্যেকটা মূহুর্তে আমরা মানসিক চাপের সম্মুখীন হই। মানসিক চাপ আমাদের পিছু ছাড়ে না। যেগুলো আমাদের আওতায় থাকে সেগুলো থেকে আমরা বের হয়ে আসতে পারি।

সব চিন্তা কি খারাপ না সব চিন্তা খারাপ না। কিছু চিন্তা ভালো আবার কিছু চিন্তা খারাপ।দুই ধরনের চিন্তার সম্মুখীন আমাদের হতে হয়। এখন প্রশ্ন হলো চিন্তা খারাপ কোনগুলো যেমন ধরুন আপনার কেউ মারা গেছে কারোও দূর্ঘটনা ঘটেছে বা আপনার চাকরি হারালো বা আপনার অনেকগুলো টাকা হারালো বা বাড়িতে বাচ্চাটা অসুস্থ বা আপনার প্রমোশন হলো না বা অফিস করতে হবে বাড়িতে কাজের লোক নেই  বাচ্চাটাকে কে রাখবে। এগুলো হলো খারাপ চিন্তা।

ভালো চিন্তাগুলো হলো: বিয়ে হওয়া।বিয়ে চিন্তার বিষয় হলেও প্রত্যেকে কিন্তু বিয়ে করছে নতুন একটা মানুষের সাথে সংসার শুরু করছে নতুন একটা মানুষের সাথে মানিয়ে চলা যাবে কি না দায়িত্বগুলো পালন করতে পারব কি না এগুলো অনেক ধরনের চিন্তা জেনেই মানুষ বিয়ে করে।

পরীক্ষা বা জব করা এগুলো প্রত্যেকটাই চিন্তার তারপর এগুলোর মধ্যে আমরা যাচ্ছি। এগুলো আমাদের ভালো কিছু পেতে সাহায্য করে জীবনে এগুলো চলতে সাহায্য করে।সেই কারনে আমরা এগুলো জীবনে গ্ৰহন করছি। চিন্তা আসলে সময়ের সাথে সাথে জন্মের পর থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সের সময়ের সাথে সাথে চিন্তার ধরন পরিবর্তন হয়।

কিছু কিছু চিন্তা বয়সের সাথে সাথে তৈরি হয় আবার কিছু কিছু চিন্তা বয়সের সাথে সাথে বেড়ে যায়। আমরা বলি যেগুলো ছোট ছোট চাপ সেগুলো আমাদের কিছুই দেয় না। মাঝারি আকারের চাপ আমাদের চাপ মোকাবিলা করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।

যেগুলো উচ্চ পর্যায়ের চাপ সেগুলো আমাদের অনেক বেশি দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়।কখন আমাদের মধ্যে চাপটা তৈরি হয়।চাপ তৈরির নানা রকম উৎস আছে। যেমন যেকোনো ধরনের দূর্ঘটনা সেটা হতে পারে যানবাহনের কোনো দূর্ঘটনা বা পানিতে পিছলে কোনো দূর্ঘটনা। বাচ্চা খেলতে খেলতে দোলনা থেকে পড়ে গেলো।

যেকোনো দূর্ঘটনা আমাদের মনের মধ্যে চাপ সৃষ্টি করে। পাশাপাশি হলো পড়ালেখার চাপ বা ঝগড়া ঝাটি সেটা বন্ধুদের সাথে হোক বা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে হোক,বা কলিগদের মধ্যে হোক, সাধারণ চিন্তা এগুলো । মানুষ সৃষ্ট দূর্যোগ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সেগুলো ও কিন্তু আমাদের চাপ সৃষ্টি করছে যেমন ধরেন আমাদের রানাপ্লাজা যে ধসে পড়লো এরকম যদি দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়।

আবার ধরেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভূমিকম্প বন্যা ঝড় দুর্ভিক্ষ এগুলো চাপ তৈরি করে বা দলের বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ বিগ্রহ তা থেকে চাপের তৈরি হয়। আমাদের থেকে যারা পাওয়ারফুল তাদের জন্য আমরা চাপের সম্মুখীন হই। যেমন ধরেন অফিসের বস অফিসে বসের জন্য আমরা অনেক সময় চাপের সম্মুখীন হই

 আবার বাড়িতে যদি কেউ তাকে যার কথা আমাদের শুনতে হয় তার জন্য আমরা চাপের সম্মুখীন হই। সেটা বাড়ির মা হতে পারে বাবা হতে পারে ভাই হতে পারে বোন হতে পারে।যে সব সময় নিয়ন্ত্রণ করে আমাদেরকে যে এটা করবে না ওটা করবে না তার জন্য আমাদের মানসিক চাপের মধ্যে পড়তে হয়।

আবার অনেক সময় অনেকগুলো কাজ একসাথে জমা হয়ে যায়  আমরা বুঝতে পারি না কোনটা ছেড়ে কোনটা করবো যার জন্য আমাদের মানসিক চাপ তৈরি হয়। যারা অনেক বেশী দুশ্চিন্তাগ্রস্ত তারাও চাপের সম্মুখীন হন স্বাভাবিক বিষয়টাতে ও অন্যদের তুলনায় তাদের বেশি চাপে পড়তে হয়। চিন্তা কিভাবে

চাপ তৈরি করে। যেমন আমরা সাধারণত বলি পরিস্থিতিটাকে যেভাবে ভাবছি সেই অনুযায়ী শরীরের মধ্যে কিছু শারীরিক লক্ষণ হয় সেই অনুযায়ী আমাদের অনুভূতি হয় সেই অনুযায়ী আমাদের আচরণটা হয়। ধরেন আমরা রাস্তায় একটা গাড়িতে বসে আছি হঠাৎ একটা আওয়াজ হলো ওই পরিস্থিতিতে আমি যদি ভাবি বোমা ফেটেছে কোথাও বা কোনো বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে কোথাও স্বাভাবিকভাবে ভাবার সাথে সাথেই অনুভূতির মধ্যে একটা পরিবর্তন আসবে ।

আমি অনুভব করবো আমার মধ্যে একটা ভয় কাজ করছে বা আতংক কাজ করছে তখন আমার শরীরের মধ্যে পরিবর্তন চলে আসবে। অনেক ক্ষেত্রে যেটা হয় এই ভয়ের মাত্রাভেদে সিনট্রমের পার্থক্য হয়। ভয়টা যদি বেশি হয় তাহলে আমি অনুভব করব যে আমার সারা শরীর কাঁপছে শরীর ঘামছে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। এই ধরনের লক্ষণগুলো আমরা দেখতে পেতে পারি তারপরে আমাদের আচরণটা  কি হবে। সেই পরিস্থিতিতে আমি হয়তো ঘুরে দেখব আওয়াজটা কোথা থেকে হলো আমি বুঝার চেষ্টা করবো আমি নিরাপদে আছি কিনা যদি দেখি আমি নিরাপদে নেই।

তাহলে নিজেকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব আচরণটা সেরকম হবে কিন্তু আমি যদি রাস্তায় গাড়িতে বসে আছি। ওই বিকট আওয়াজটা হলো আমি যদি ভাবি হয়তো কোনো গাড়ির টায়ার ফেটেছে তাহলে আগের মতো করে এবার আর সেরকম ভয় হবে না।

পাশাপাশি আগে যেরকম শরীরে লক্ষন হয়েছিল এখন আর হবে না। আর আমাদের আচরণটা হবে আমরা যেরকম চুপচাপ বসে ছিলাম সেইরকম চুপচাপ বসে থাকবো থাকবো। আমার ভাবনাটাই আমার মধ্যে চিন্তা তৈরি করে দিচ্ছে। যারা অনেক বেশি নেগেটিভ ভাবে যেকোন বিষয় আগে থেকে খারাপভাবে ।

যেমন: পরীক্ষার আগে ভেবে নিচ্ছে সে ফেল করবে তাদের স্ট্রেস হয়। যারা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে যাচ্ছে আর ভাবছে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারব কি পারব না তাদের স্ট্রেস হয়। কারো পরিবারের কেউ অসুস্থ সুস্থ হবে কিনা এগুলো স্ট্রোস তৈরি করে। আমাদের ভাবনাগুলো আমাদের মধ্যে চিন্তা তৈরি করতে সাহায্য করে।

পাশাপাশি আমরা অনেক সময় দ্বন্দে ভোগী এই দ্বন্দ্বগুলো আমাদের মধ্যে স্ট্রেস তৈরি করতে সাহায্য করে। অনেক সময় দেখা যায় দুটি বিষয়ের মধ্যে একটি আমাদের কে বেছে নিতে হবে দুটি আমাদের পছন্দের যেমন ধরেন একজন লোকের দুটি জব হয়েছে একটিতে অনেক মান সম্মান আছে আবার অপরটিতে অনেক বেতন আছে এখন ব্যক্তির দুটোতেই আগ্রহ একটি অনেক বেতন তার শখ পূরণ করতে পারবে আবার অন্যটি সরকারি চাকরি সিকিউরিটি আছে।

এখন ব্যক্তি কি করবে বুঝতে পারছে না তা নিয়ে তার মনে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। আবার ধরেন দুটি অপছন্দের জিনিসের মধ্যে কোনটি বাছাই করবে তা দিয়ে ব্যক্তির মনের ভিতর চাপ তৈরি হতে পারে কোন ব্যক্তি বিড়বাড় পছন্দ করে না আবার একা থাকতে পছন্দ করে না এখন তার পরিবারের লোকজন বিয়ে বাড়িতে যাবে এখন ব্যক্তি কি করবে বিয়ে বাড়িতে যাবে  না একা থাকবে তা নিয়ে ব্যক্তির মনের মধ্যে চাপ তৈরি হয়।

আবার কোনো একটা বিষয় ব্যক্তির মধ্যে ভালোলাগা খারাপ লাগা তৈরি করছে এখন ব্যক্তি কি করবে তা নিয়ে ব্যক্তির মনের মধ্যে চাপ তৈরি হয়। যেমন ধরেন একজন লোক বিয়ে করতে যাবে কিন্তু বিয়ের পরবর্তী স্ট্রেস নিতে ভয় পাচ্ছে এখন ব্যক্তি কি করবে তা নিয়ে ব্যক্তির মনের মধ্যে চাপ তৈরি হয়।

কিছু কিছু মানুষ আছে যারা তারাতাড়ি কাজ করে ফেলতে চায় ‌যেমন‌ কোথাও যাবার কথা ৯ টায় কিন্তু ব্যক্তি ৮ টায় জায়গায় গিয়ে বসে থাকে । যেখানে যাবার কথা ৯টায় সেখানে কেউ ৮ টায় জায়গায় গিয়ে বসে থাকতে চাইবে না। কিন্তু এরকম ব্যক্তির সাথে যদি কেউ কোথাও যেতে চায় তবে তাকে বারবার কল দিবে তৈরি হয়েছিস কি না জানতে চাইবে ।

আমরা কি সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারব কি না এ ভাবনাটাই তার মধ্যে স্ট্রেস তৈরি করে। কিছু কিছু ব্যাক্তি অলস হয় তারা সঠিক সময়ে কাজ করে না লাস্ট মুহূর্তে যখন কোন সমস্যা হয় তারা ভাবে সঠিকভাবে কাজ করতে পারব কিনা এই নিয়ে তাদের মধ্যে স্ট্রেস তৈরি হয়। অতীত অভিজ্ঞতার কারণে স্ট্রৈস তৈরি হয়।

জীবন ধরেন কোন ব্যক্তি মোটরবাইকের এক্সিডেন্ট হয়েছিল পরবর্তীতে যখন তাকে আবার মোটরবাইকে উঠতে হবে তখন তার মধ্যে স্ট্রেস তৈরি হবে যদি আগের মতো আবার তার এক্সিডেন্ট হয় এই ভয়টা থেকে। সোস্যাল নেটওয়ার্কে অন্যকে দেখে নিজের সাথে তুলনা করেছি যার ফলে চাপ তৈরি হয়।

যেমন ধরেন কেউ ফেইসবুকে পোস্ট করলো আজ আমি বাবার কাছ থেকে গিফট পেলাম এই গিফটা দেখে আমি ভাবলাম ইশ এই গিফটা যদি আমি পেতাম এই ভাবনার ফলে আমার মনের মধ্যে চাপ তৈরি । অনেক সময় ফেইসবুকের মাধ্যমে কারো সাথে রিলেশন তৈরি হলো পরে যখন জানতে পারি মানুষটা ধোঁকাবাজ তখন তার মধ্যে চাপ তৈরি হয়।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles