চক্ষু লেন্স কি?

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশা করি ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে চোখের লেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। চোখে লেন্স পড়লে কি কি ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে বলব।

চোখের লেন্স প্রধানত তিন প্রকার।

১. চশমার লেন্স

২. কনটাক্ট লেন্স

৩. কৃত্রিম লেন্স

চশমার লেন্স আমরা সাধারণত কোন চোখের সমস্যার কারণে পড়ে থাকি। চোখের সাধারণ যেকোনো সমস্যার কারণে আমরা চশমা ব্যবহার করি এবং চশমায় যে লেন্স থাকে তাকেই চশমার লেন্স বলা হয়।

তাই চশমার লেন্স ব্যবহার করা সাধারণ বিষয়।

কন্টাক্ট লেন্স সাধারণত আমরা দুই কারণে ব্যবহার করে থাকি। কসমেটিক্স পারপাস এবং দৃষ্টিশক্তির বৃদ্ধির জন্য।

সাধারণত যারা মিডিয়া পারসন এবং যারা সিনেমাতে অ্যাক্টিং করে থাকে তারা তাদের সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন কালারের কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করে থাকে।

এই কন্টাক্ট লেন্স যে কোন কালার বা যেকোনো ধরনের হতে পারে। এটি ব্যবহারের নিয়ম হচ্ছে সকালবেলা যদি আমরা একই চোখে লাগাই তাহলে অবশ্যই রাতে ঘুমানোর পূর্বে এটি খুলে অত্যন্ত যত্ন সহকারে রেখে তারপরে ঘুমাতে হবে।

আর যারা চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করে তাদের লেন্সের বিভিন্ন ধরনের পাওয়ার থাকে। এই পাওয়ার মাইনাস পাওয়ার বা প্লাস পাওয়ার হতে পারে।

কালার লেন্স বা সৌন্দর্যের জন্য মানুষ যে লেন্সগুলো ব্যবহার করে থাকে সে লেন্সগুলোতে সাধারণত কোন পাওয়ার থাকে না।

এখন আমরা জেনে নেই এই লেন্সের ক্ষতিকর দিক গুলো কি কি:

সাধারণত এগুলোর ক্ষতি খুবই কম তবে কিছু কিছু মানুষের এগুলোতে চোখে রিয়াকশন হতে পারে। রিঅ্যাকশন বলতে কিছু কিছু মানুষের চোখের মধ্যে লেন্স ব্যবহার করলে এলার্জি দেখা দেয়।

যেসব মানুষের চোখে এলার্জি আছে সেসব মানুষের লেন্স না ব্যবহার করাই ভালো। সেক্ষেত্রে চোখ লাল হতে পারে এবং চোখের মধ্যে চুলকানি অনুভব হতে পারে। এছাড়াও চোখ থেকে পানি পড়তে পারে।

সাধারণত এই ধরনের সমস্যায় হতে পারে।

এখানে আরও একটি পরামর্শ দিতে পারি। যে ব্রান্ডের লেন্স ব্যবহারের ফলে আমাদের চোখের সমস্যা হয় সেই ব্র্যান্ডের লেন্স ব্যবহার থেকে ব্যতীত থাকতে পারে।

এছাড়াও কোন লেন্সের ডেট যদি এক্সপায়ার্ড হয়ে যায় তাহলে সে লেন্সটি আর ব্যবহার করা যাবে না। সাধারণত ডেট এক্সপায়ার লেস ব্যবহারের ফলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিতেই পারে।

সাধারণত সিনেমায় এক্টিং করা কিছু নায়িকাদের চোখে লেন্স পড়া দেখে আমাদের পরিবারের কিছু মেয়েরা লেন্স পড়তে চাই।

এক্ষেত্রে আমি পরামর্শ দিব যে, যে ব্যক্তি খুব সহজেই লেন্স খুলতে বা লেন্স পড়তে পারে সে নিয়মিত লেন্স ব্যবহার করলেও তার খুব বেশি সমস্যা হবে না।

তবে যে ব্যক্তি লেন্স পড়লে আর খুলতে পারে না কিংবা খুললে আর পড়তে পারে না এসব ব্যাক্তিদের লেন্স না পড়ায় শ্রেয়।

যারা লেন্স পড়তে বা খুলতে পারেনা তারা লেন্স ব্যবহারের সময় চোখ জনিত দুর্ঘটনা শিকার হতে পারে। এজন্য যারা লেন্স ব্যবহারে অক্ষম তাদের উচিত এই ধরনের কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার না করা। 

সবশেষে বলা যায় যে আমাদের কারো এ ধরনের কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করা উচিত না। তবে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য যারা এ ধরনের লেন্স ব্যবহার করে তাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের পরিবারের কারো এই ধরনের লেন্স ব্যবহার করা যাবে না।

আমরা পূর্বে আর একটি লেন্সের নাম বলেছিলাম সেটি হচ্ছে কৃত্রিম লেন্স। সাধারণত ৫০ বছরের উপরের মানুষের যদি চোখে ছানি পড়ে যায় তাহলে ছানি অপারেশনের জন্য এ ধরনের লেন্স ব্যবহার করা হয়।

এই লেন্সটি কোন সাধারণ কন্টাক লেন্সের মতো ব্যবহার করা যাবে না। কোন প্রফেশনাল ডাক্তার দ্বারা এই লেন্সটি চোখে পড়ানো যেতে পারে।

আমার আজকের আর্টিকেলটি এই পর্যন্তই ছিল। আমি আশা করছি যে আমার আজকের আর্টিকেলটি থেকে আপনারা অবশ্যই উপকৃত হবেন এবং চোখে এই ধরনের কন্টাক লেন্স ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন। ভালো থাকবেন। খোদা হাফেজ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles