প্রবেশন কাকে বলে? প্রবেশন শব্দের অর্থ কি?

সহজ কথায় বলতে গেলে, যখন কোন একটি কারবন্দী আসামী কে তার প্রাপ্য শাস্তি কে স্থগিত রাখা হয়। এবং তারা যে নির্ধারিত শাস্তি ছিলো সেটি প্রদান করা আগেই তাকে কারাগার থেকে মুক্তি প্রদান করা হয়।

তখন তাকে বলা হবে প্রবেশন। আর এই ধরনের প্রবেশন আইন অধিক সময় শিশু-কিশোরদের অধিক অগ্রাধিকার দেওয়া হয়ে থাকে। 

প্রবেশন কি?

সাধারন ভাষায়, প্রবেশন হলো এমন এক ধরনের আইন। যেখানে কোন একজন কারবন্দী আসামীর জন্য যে পরিমান শাস্তি নির্ধারন করা হয়। সেই আসামী কে তার প্রাপ্য শাস্তি না দিয়ে যখন তাকে কারাগার থেকে মুক্তি প্রদান করা হয়।

এবং সেই আসামী যখন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তার পরিবার কিংবা আত্মীয় স্বজনের সাথে মুক্তভাবে চলাচল করতে পারবে। তখন তাকে বলা হবে, প্রবেশন। 

প্রবেশন কাকে বলে?

প্রবেশন আইন এর মাধ্যমে একজন আসামী কে কারাগার থেকে মুক্তি প্রদান করে শুধরানোর সুযোগ প্রদান করা হয়।

অর্থ্যাৎ, একজন ব্যক্তি যখন কোন অপরাধ কর্মের সাথে যুক্ত থাকার কারণে কারাবন্দী হবেন। তখন আদালত কর্তৃক সেই আসামীর জন্য নির্ধারিত শাস্তি প্রদান করা হয়। 

কিন্তুু পরবর্তী সময়ে যখন আদালত থেকে সেই আসামীর নির্ধারিত শাস্তি প্রদান করার পূর্বেই তাকে মুক্তি প্রদান করা হয়।

এবং সমাজরে অন্যান্য মানুষের সাথে বসবাসের মাধ্যমে শুধরিয়ে নেওয়া চেস্টা করা হয়। তখন তাকে বলা হবে প্রবেশন আইন। যার সবকিছু আদালত এর নির্দেশে করা হয়ে থাকে। 

প্রবেশন শব্দের অর্থ কি?

উপরের আলোচনা থেকে আমরা প্রবেশন কি তা সঠিকভাবে জানতে পারলাম। তবে এবার আমাদের আরো একটি বিষয় জানতে হবে। সেটি হলো, প্রবেশন শব্দের অর্থ কি।

তো এই প্রবেশন শব্দের সঠিক অর্থ হলো, পরীক্ষাকাল। যেখানে একটি আসামী তার প্রাপ্য শাস্তি ভোগ করার পূর্বেই তাকে মুক্ত পরিবেশে বাস করে শুধরানোর সুযোগ প্রদান করা হয়। তখন তাকে আমরা প্রবেশন হিসেবে আখ্যায়িত করবো। 

কখন প্রবেশন অফ অফেন্ডার্স এ্যাক্ট প্রনীত হয়?

আপনি কি জানেন, কখন প্রবেশন অফ অফেন্ডার্স এ্যাক্টি প্রণীত হয়েছিলো? -যদি আপনি সে বিষয়টি না জেনে থাকেন।

তাহলে শুনুন, সর্বপ্রথম ১৯৬০ সাল এর মধ্যে এই প্রবেশন অফ অফেন্ডার্স এ্যাক্ট প্রণয়ন করা হয়েছিলো।

তবে তার পরবর্তী সময়ে ১৯৬২ সালের মধ্যে এই আইনের মধ্যে সংশোধন নিয়ে আসা হয়েছিলো। এবং সেইসাথে উক্ত আইনের মধ্যে আরো দুইটি উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছিলো। 

প্রবেশনের শর্ত গুলো কি কি?

আমরা উপরের আলোচনা থেকে প্রবেশন কি ও প্রবেশন শব্দের অর্থ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তো এবার আমাদের প্রবেশনের শর্ত গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।

আর আমরা জানি যে, প্রবেশন আইন প্রণয়ন করা হয়েছিলো ১৯৬০ সালে। এবং সেই প্রবেশনের শর্ত গুলো হলো, 

  1. আদালত প্রথম ও লঘু অপরাধের সাথে জাড়িত এমন ব্যক্তি বা শিশু কিশোরদের জন্য নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে ১ বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩ বছর পর্যন্ত প্রবেশন সুবিধা প্রদান করতে পারবে। 
  2. তবে এই ধরনের প্রবেশন আইন কম বয়সী শিশু কিশোরদের জন্য অগ্রাধিকার থাকবে। 
  3. ২০১৩ এর শিশু কিশোর আইন এর ধারায় শিশু কিশোররা আদালত থেকে প্রবেশন ব্যবস্থার সুযোগ নিতে পারবে। 
  4. সেই সাথে প্রবেশনে মুক্তি পাওয়া আসামীরা আদালতের সকল আদেশ মান্য করছে কিনা। তা পর্যবেক্ষন করার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তর এর প্রবেশন অফিসারদের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। 

তো উপরে আপনি যেসকল পয়েন্ট দেখতে পাচ্ছেন। সেগুলো মূলত প্রবেশ এর শর্ত হিসেবে নির্ধারিত করা হয়েছে। যেগুলো অবশ্যই মান্য করতে হবে। 

প্রবেশন ও প্যারোল এর মধ্যে পার্থক্য

যেহুতু আজকে আমরা প্রবেশন কি তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। সেহুতু আমাদের আরো একটি বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। আর সেই বিষয়টি হলো, প্যারোল।

আর সে কারনে এবার আমি প্রবেশন ও প্যারোল এর মধ্যে পার্থক্য গুলো নিয়ে স্বল্প আকারে আলোচনা করবো। 

প্যারোল কিঃ যখন একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী কে নির্দিষ্ট কারণে, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আইনের নজরদারিতে সাময়িক সময় এর জন্য ‍মুক্তি প্রদান করা হয়।

তখন তাকে বলা হয়, প্যারোল। এবং এই প্যারোল এর মুক্তির সময়সীমা থাকে ১২ ঘন্টা পর্যন্ত। 

প্রবেশন কিঃ যখন কোন একজন আসামীর আদালত থেকে যে শাস্তি নির্ধারন করা হয়। তখন সেই শাস্তি পূর্ণ হওয়ার আগেই যদি সেই আসামীকে আদালতের নির্দেশে কারগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

এবং নিজেকে শুধরে নেওয়ার জন্য সুযোগ প্রদান করা হয়। তখন তাকে বলা হয়, প্রবেশন। 

তো আশা করি, এবার আপনি প্রবেশ ও প্যারোল এর পার্থক্য গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন। চলুন এবার তাহলে প্রবেশন সম্পর্কে আরো অনান্য বিষয় গুলো জেনে নেওয়া যাক। 

প্রবেশন নিয়ে আমাদের শেষকথা

আপনারা যারা প্রবেশন কি সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেল টি অনেক বেশি প্রয়োজনীয়।

এর মূল কারণ হলো, আজকে আমি প্রবেশন কি তা নিয়ে বিষদভাবে আলোচনা করেছি। তো এরপরও যদি আপনার কোন অজানা কিছু জানার প্রয়োজন হয়। তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। 

আর আপনি যদি এই ধরনের অজানা তথ্য গুলো সবার আগে জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকার চেস্টা করবেন। ধন্যবাদ। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

জীবনে ঝুঁকি নাও।জিতলে নেতৃত্ব দিবে।আর হারলে,পরবর্তী কাউকে পথ দেখিয়ে দিবে।