বিভিন্ন সময় আমরা আসামীদের প্যারোলে মুক্তির কথা শুনি। তবে আপনি কি জানেন, এই প্যারোল কাকে বলে? তাহলে দেখে নিন, কিভাবে একজন আসামীর প্যারোলে মুক্তি হয়। এবং প্যারোল আইন কাকে বলে।
প্যারোল শব্দের অর্থ হলো, শর্তের অধীনে মুক্তি প্রদান করা। বাংলাদেশে ২০১৬ সালের ০১ জুন প্যারোলে মুক্তির আইন প্রনয়ন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়।
আর এই “প্যারোল” শব্দটি মূলত এক ধরনের আইনগত পরিভাষা। যার অর্থ দ্বাড়ায়, নির্দিষ্ট কোন শর্তসাপেক্ষে একজন আসামী কে মুক্ত স্থানে চলাচল করার সুযোগ দেয়া।
প্যারোল কি? | প্যারোল কাকে বলে?
”প্যারোল” - এই শব্দটি মূলত এক ধরনের আইনি পরিভাষা। যেখানে একজন আসামী পালাতে পারবে না। এবং নির্দিষ্ট কিছু শর্ত মানার বিনিময়ে উক্ত আসামীকে সাময়িক মুক্তি প্রদান কে বলা হয় প্যারোল।
এবং উক্ত আইনটি আমাদের বাংলাদেশে ২০১৬ সালে কার্যকর করা হয়েছিলো। এবং এই বিশেষ আইনটি সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্যারোল অর্থ কি?
যদিওবা আইনের দিক থেকে প্যারোল একটি পরিভাষা মাত্র। তবে এই প্যারোল শব্দটির একটি অর্থ রয়েছে। সেটি হলো, শর্তের অধীনে মুক্তি প্রদান করা।
প্যারোলে মুক্তি কি | প্যারোলে মুক্তি বলতে কি বুঝায়?
একটি কারাগার এর মধ্যে যে সকল আসামী কে পুলিশ কর্তৃক বিভিন্ন ধরনের শর্ত প্রদান করা হয়।
এবং একজন আসামী উক্ত শর্ত গুলো মানবে এবং কখনই সেই আসামী পালানোর চেষ্টা করবে না। এই মর্মে একজন আসামী কে মুক্ত ভাবে লোকালয়ে চলাচল করার অনুমতি দেওয়া হয়।
প্যারোলে মুক্তি সংক্রান্ত নীতিমালা
উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পেরেছি, প্যারোল কি। এবং এই প্যারোল আইন প্রনয়ন করেছে বাংলাদেশ এর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়।
তো এমন অনেক প্যারোলে মুক্তি সংক্রান্ত নীতিমালা রয়েছে। যা ২০১৬ সালের ১ জুন এই নীতিমালা প্রনয়ন করা হয়েছে।
- যদি কোন ভিআইপি কিংবা সাধারন শ্রেনীর কয়েদি বা হাজতি এর খুব নিকট আত্মীয়, বাবা মা ইত্যাদি মারা যায়। তাহলে সেই আসামী কে নির্দিষ্ট সময় এর জন্য মুক্তি প্রদান করা হবে।
- তবে মৃত্যুর কারন ছাড়াও যদি আদালত এর আদেশে কিংবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এর নির্দেশে প্যারোলে আসামীদের মুক্তি প্রদান করা হবে। আর সেই মুক্তির জন্য নির্ধারিত সময় প্রদান করা হবে।
- প্যারোলে মুক্তি প্রদান করা আসামীদের সার্বক্ষনিক পুলিশের নজরদারিতে থাকবে।
- একজন প্যারোলে মুক্তি আসামীদের মুক্তির সময় কখনোই ১২ ঘন্টার বেশি হবে না।
- তবে কোন কারনে যদি একজন আসামী তার নিজ জেলা থেকে অন্য জেলার কয়েদি হিসেবে থাকেন। তাহলে তার প্যারোলে মুক্তির সময় বিবেচনা করা হবে।
- কারাগার এর মূল ফটকে প্যারোলে মুক্তি পাওয়া আসামী কে পুনরায় নির্দিষ্ট সময় এর মধ্যে পুলিশ সেই আসামী কে পুনরায় কারাগারে প্রেরন করবে।
- অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক একজন আসামী কে প্যারোলে মুক্তি প্রদানে বিবেচিত হবেন।
তো উপরের আলোচনা তে প্যারোলে মুক্তির বিধান উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করি, আপনি এই প্যারোল মুক্তির নীতিমালা গুলো পরিস্কার ভাবে বুঝতে পেরেছেন।
প্রবেশন ও প্যারোল এর মধ্যে পার্থক্য
অনেক সময় আমরা প্রবেশন ও প্যারোল এই দুটো বিষয় কে এক করে ফেলি। কিন্তুু আদতে এই দুটো বিষয় এক নয়।
বরং আপনি যদি প্রবেশন ও প্যারোল এর সংজ্ঞা দেখেন। তাহলে বিষয়টা পরিস্কার ভাবে বুঝতে পারবেন।
প্রবেশন কাকে বলেঃ যখন কোন একজন আসামী বা কয়েদির নির্দিষ্ট সাজা পূর্ণ হওয়ার আগে। সেই আসামীর ভালো ব্যবহার এর কারণে মুক্তি প্রদান করা হয়। তখন তাকে আইনের ভাষায় বলা হবে, প্রবেশন।
প্যারোল এর সংজ্ঞাঃ যখন কোন একটি আসামী বা কয়েদি কে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শর্ত সাপেক্ষে পুলিশ এর নজরদারী তে মুক্তি প্রদান করা হয়। তখন আইনের ভাষায় তাকে বলা হয়, প্রবেশন।
You must be logged in to post a comment.