বংশগতি কাকে বলে: আমরা সচারচর বংশগতি থেকে মোট ০২ (দুই) ধরনের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করতে পারি। আর সেগুলো হলো, জৈবিক ও মানসিক বংশগতি।
কেননা, বংশগতি বলতে আমরা বুঝি, যখন পিতা ও মাতার প্রজন্ম থেকে যে বিশিষ্ট্য গুলো বিদ্যমান ছিলো। সেই বৈশিষ্ট্য গুলো যখন পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও লক্ষ্য করা যায়।
আর সে কারণে একটি নির্দিষ্ট প্রজন্মের পর পরবর্তী প্রজন্মে বংশানুক্রমে যখন নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য গুলো পরিলক্ষিত হয়।
তখন তাকে বলা হবে, বংশগতি। তবে এই বংশগতি কাকে বলে, সেটিকে আরো একটু ভিন্নভাবে বলা সম্ভব। আর সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
বংশগতি বলতে কি বোঝায়?
মনে করুন, আপনি একজন সন্তানের পিতা বা মাতা। এখন আপনার মধ্যে যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আছে। সেগুলো যদি আপনি আপনার সন্তানের চরিত্রের মধ্যে লক্ষ্য করেন।
তাহলে সেই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কে বলা হবে বংশগতি। আর সে কারণে যদি বংশগতি কাকে বলে, সেটিকে সংঙ্গায়িত করা হয়। তাহলে বলতে হবে,
নির্দিষ্ট কোন একটি প্রজন্ম এর মধ্যে থাকা জিনগত বৈশিষ্ট্য গুলো যখন পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। তখন তাকে বলা হয়, বংশগতি।
বংশগতি কাকে বলে?
সত্যি বলতে আপনি যদি আমাকে প্রশ্ন করেন যে, বংশগতি কাকে বলে। তাহলে আমি এই প্রশ্নের উত্তরে বলবো, বংশগতি হলো জিনগত বৈশিষ্ট্য স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া।
কেননা, যখন একজন পিতা মাতার মধ্যে থাকা নানা ধরনের বৈশিষ্ট্য গুলো তাদের সন্তানের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। তখন তাকে বলা হবে, বংশগতি।
বংশগতি বিজ্ঞানের জনক কে?
উপরের আলোচনা তে আমরা বংশগতি বলতে কি বোঝায় তা জানতে পারলাম। তবে সেটি জানার পাশাপাশি আমাদের আরো একটি বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। সেটি হলো, বংশগতি বিজ্ঞানের জনক কে?
আমরা সকলেই জানি যে, গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেল কে জিনতত্ত্ববিদ্যার জনক বলা হয়। কেননা, তিনি ছিলেন অষ্ট্রিয়ার একজন বিখ্যাত ব্যক্তি।
যিনি একাধারে জীববিজ্ঞানী, ধর্মযাজক, আবহাওয়াবিদ এর পাশাপাশি জেনেটিক্স ও বংশগতি বিজ্ঞানের উপর যথেষ্ট ভিত্তি তৈরি করতে পেরেছিলেন। আর সে কারণে গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেল কে বংশগতি বিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
বংশগতির একক কি?
বিষয়টা অবাক করার মতো হলেও সত্য যে, বংশগতির নির্দিষ্ট একক রয়েছে। আর যেহুতু আপনি এই লেখা থেকে বংশগতি কাকে বলে সে সম্পর্কে জানলেন। সেহুতু অবশ্যই আপনার বংশগতির একক কি সেটা জেনে নেয়া উচিত।
তো এই বংশগতির একক এর নাম হলো, জিন। আর আমরা সকলেই জানি যে, এই জিন মূলত একজন ব্যক্তির দেহের মধ্যে থাকা পরিকল্পনা গুলোকে রচনা করে থাকে। তবে আপাততো আপনি এটুকুই জেনে রাখুন যে, বংশগতির একক হলো জিন।
বংশগতির ক্ষুদ্রতম উপাদান কি?
যদিওবা আমরা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পারলাম যে, বংশগতির একক এর নাম হলো, জিন। তবে এই একই প্রশ্নটি যদি একটু ভিন্নভাবে করা হয়। তাহলে কিন্তু আমরা সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে হিমশিম খেয়ে যাবো। কেননা, আপনাকে যদি এখন প্রশ্ন করা হয় যে, বংশগতির ক্ষুদ্রতম উপাদান কি, তাহলে আপনি সেই প্রশ্নের উত্তরে কি বলবেন?
দেখুন, এই প্রশ্নের উত্তরটিও হবে, জিন। কেননা, আমরা যাকে বংশহগতির একক হিসেবে চিনি। সেটাই হলো, বংশগতির ক্ষুদ্রতম উপাদান। আশা করি, আপনি উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন।
বংশগতির ভৌত ভিত্তি কি?
বিজ্ঞান সর্বদা ভিত্তি নিয়ে কাজ করে থাকে। ঠিক তেমনিভাবে কোন কারণে যদি আপনি বংশগতির ভিত্তি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমি আপনাকে বলবো, বংশগতির মূল ভিত্তি হলো, কোষ বিভাজন। কেননা, এই কোষ বিভাজনের সময় পিতা ও মাতার মধ্যে থাকা জিন সন্তানের মধ্যে বহন করে। আর পরবর্তী সময়ে সেটি বংশনুক্রমে বহন হতে থাকে। এটিই হলো, বংশগতির মূল ভৌত ভিত্তি।
জিনকে বংশগতির ধারক বলা হয় কেন?
আমরা সকলেই জানি যে, জিন হলো বংশগতির ধারক। আর জিন মূলত বিভিন্ন ধরনের ডিএনএ এর সমন্বয়ে গঠিত হয়ে থাকে। আর এই ডিএনএ এর বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন,
-
রং এর বৈশিষ্ট্য,
-
আকার এর বৈশিষ্ট্য,
-
স্বভাব এর বৈশিষ্ট্য,
আর উক্ত বৈশিষ্ট্য গুলো পিতা ও মাতার মাধ্যমে বংশানুক্রমে স্থানান্তরিত হয়ে থাকে। মূলত এই কারনটির জন্যই জিন কে বংশগতির ধারক বলা হয়ে থাকে।
বংশগতি নিয়ে আমাদের কিছুকথা
আজকের আলোচনা তে বংশগতি নিয়ে প্রশ্ন উত্তর গুলো প্রদান করা হয়েছে। তো আপনি যদি বংশগতি কি সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চান। তাহলে আজকের আলোচনাটি আপনার জন্য অনেক হেল্পফুল হবে।
সেইসাথে আপনি যদি এই ধরনের অজানা তথ্য গুলো খুব সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করার চেষ্টা করবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
Nice
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
Thanks
You must be logged in to post a comment.