সোনা কাকে বলে? স্বর্ণের ওজন কিভাবে মাপা হয়?

বর্তমান সময়ে অন্যতম মূল্যবান ধাতুর নাম হলো, স্বর্ণ বা সোনা।কিন্তুু আপনি কি জানেন, স্বর্ণ কিভাবে পরিমাপ করা হয়?

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

তাই আজকে আমরা জানবো, বর্তমানে কিভাবে সোনার পরিমাপ করা হয়। জানতে হলে, এখানে ক্লিক করুন।

সোনার পরিমাপের উপায় গুলো দেখুন

Methods of measuring gold: আপনারা যারা স্বর্ণ পরিমাপের একক জানতে চান। তাদের জন্য আজকের এই লেখাটি অনেক হেল্পফুল হবে।

কারন, আজকে আপনি সোনা পরিমাপ করার একক গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

সোনা বা স্বর্ণ কাকে বলে?

হলুদ বর্ণ যুক্ত বিশেষ ধাতব পদার্থ কে বলা হয়, সোনা বা স্বর্ণ (Gold). আর সোনা বা স্বর্ণের সাথে অনেক প্রাচীনকালের মানুষেরাও পরিচিত ছিলো। এর প্রধান কারন হলো, সোনার মধ্যে কিছু অপরিবর্তনশীল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমনঃ

  1. স্বর্ণের বর্ণ সর্বদাই চকচকে হয়,
  2. সোনার স্থায়ীন্ত অনেক দীর্ঘ,

আর সে কারনে, অন্যান্য ধাতুর তুলনায় সোনা কে সবচেয়ে মূল্যবান হিসেবে ধরা হয়। আমাদের বাংলাদেশে অলংঙ্কার তৈরিতে সোনা বা স্বর্ণ কে অধিক প্রাধান্য দেওয়া হয়। 

স্বর্ণের ওজন কিভাবে মাপা হয়?

স্বর্ণ পরিমাপ করার একক আছে। যেমন, সোনা পরিমাপ করার ক্ষুদ্রতম একক হলো, রতি। আর এমন অনেক স্বর্ণের ওজন পরিমাপ করার একক আছে। সেই স্বর্ণ পরিমাপ করার একক গুলো হলো, 

  1. রতি.
  2. আনা,
  3. ভরি, 
  4. গ্রাম, 
  5. কেজি ইত্যাদি। 

আর আপনি যখন সোনা কিনবেন। তখন আপনাকেও এই সোনার ওজন পরিমাপের একক হিসেবে কিনতে হবে। 

তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা উচিত। সেটি হলো, আপনি যখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সোনা কিনবেন।

তখন আপনি ভরি হিসেবে সোনা কিনতে পারবেন না। কেননা, বিদেশ এর মধ্যে স্বর্ণের এককে ভরি ব্যবহার করেনা।

সোনা কত কেরেট হয়?

আপনি ভিন্ন ভিন্ন কেরেট এর সোনা দেখতে পারবেন। যেমন, ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট এবং ১৮ ক্যারেট।

তো আপনি যদি কেরেট হিসেবে সোনা কিনতে চান। তাহলে আপনি এই তিন প্রকারের সোনর কেরেট দেখতে পারবেন। 

তবে কেরেট হিসেবে সোনার কেনার আগে। আপনাকে বেশ কিছু বিষয় জানতে হবে। যেমন,

  1. ১৮ ক্যারেট (৭৫% খাঁটি সোনার উপস্থিতি),
  2. ২১ ক্যারেট  (৮৭% খাঁটি সোনার উপস্থিতি),
  3. ২২ ক্যারেট ( ৯১.৬% খাঁটি সোনা উপস্থিতি),

মুলত সোনা ক্রয় করার পূর্বে, তার মধ্যে খাঁটি সোনার পরিমান দেখে নিবেন। যাকে অনেকেই সোনার বিশুদ্ধতা বলে থাকে। 

১০০ গ্রাম স্বর্ণ কত ভরি?

আমরা অনেকেই ১০০ গ্রাম স্বর্ণ কত ভরি সে সম্পর্কে জানতে চাই। তো ১০০ গ্রাম স্বর্ণ ৮.৫৭ ভরি হবে। কারন, আপনি যখন প্রতি গ্রাম স্বর্ণকে ১১.৬৬৪ দিয়ে ভাগ করবেন। তখন আপনি সোনার ভরির পরিমাপ বের করতে পারবেন। 

এক গ্রামে কত আনা?

অনেক সময় আমাদের সোনার গ্রাম থেকে আনা হিসেব বের করার দরকার হয়। তো .০৭২৯ গ্রাম সোনার পরিমাপ ১ আনা হয়।

২২ ক্যারেটে কত ভাগ স্বর্ণ থাকে?

যখন আপনি ২২ ক্যারেট এর স্বর্ণ কিনবেন। তখন আপনি উক্ত স্বর্ণের মধ্যে ৯১.৬% খাঁটি (বিশুদ্ধ) সোনা পাবেন।

গুলো খাদ হিসেবে যুুক্ত থাকবে।

কিন্তুু আপনি যদি ২১ ক্যারেট এর সোনা ক্রয় করেন। তাহলে আপনি ২১ টি স্বর্ণযুক্ত অংশ এর পাশাপাশি আরো ৩ টি অন্যান্য ধাতুর অংশ পাবেন। 

স্বর্ণের ভরি কত টাকা?

আগে যে টাকা খরচ করে প্রতি ভরি স্বর্ণ কেনা হতো। সেই দাম থেকে ৯৩৩ টাকা কমিয়ে আনা হয়েছে। যার ফলে এখন আপনি প্রতি ভরি স্বর্ণ ৮২,৩৪৮ টাকা প্রায়। 

ক্যারেট মানে কি?

ক্যারেট হলো, স্বর্ণের ওজন পরিমাপের একক। বর্তমান সময়ে কয়েক ধরনের ক্যারেট এর সোনা কিনতে পাওয়া যায়। যেমন, 

  1. ১৮ ক্যারেট,
  2. ২১ ক্যারেট,
  3. ২২ ক্যারেট,
  4. ২৪ ক্যারেট,

আর আপনি যদি বিশুদ্ধ বা খাঁটি সোনা পেতে চান। তাহলে অবশ্যই ২৪ ক্যারেটে এর স্বর্ণ কেনার কথা ভাববেন। কারন, ২৪ ক্যারেট স্বর্ণতে প্রায় ৯৯.৯% বিশুদ্ধ সোনা থাকে। 

১৮ ক্যারেট সোনা বলতে কি বোঝায়?

আমাদের দেশে অধিকাংশ সময় নিজের গয়না বা শৌখিন অলংকার তৈরিতে ১৮ ক্যারেট সোনা ব্যাবহার করা হয়।

আর এই সোনার মধ্যে প্রায় ৭৫% খাঁটি সোনা ও ২৫ শতাংশ বিভিন্ন ধাতুর মিশ্রন থাকে। কেননা, এই সোনার মধ্যে আপনি রুপা বা তামার মতো অন্যান্য ধাতু গুলো দেখতে পারবেন। 

আর বাজারমূল্যের দিকে থেকে ১৮ ক্যারেট এর সোনার দাম। ২২ ও ২৪ ক্যারেট এর সোনার চেয়ে অনেক কম। এবং উক্ত সোনার রংয়ের দিক থেকে একটু হালকা পরিমানে হলুদ হয়। 

১ বার স্বর্ণ কত গ্রাম?

দুঃখিত, আপনার “১ বার স্বর্ণ কত গ্রাম?” এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি।

কত পয়েন্টে এক রত্তি?

তো যে সকল মানুষ কত পয়েন্টে এক রত্তি - সেটা জানতে চায়। তারা শুনে রাখুন, প্রতি ১০ পয়েন্টে ১ রতি হিসেবে নির্ধারন করা হয়।

কত পয়েন্টে এক ভরি?

আমরা জানি, ৯৬ রতি সমান ১ ভরি স্বর্ণ হয়। আর ৯৬ রতি স্বর্ণ কে যখন আমরা ৪ দিয়ে ভাগ করবো। তখন আমরা ফলাফল পাবো, ৪. আর এখান থেকে আমরা জানতে পারলাম, ১ ক্যারেট স্বর্ণ সমান ৪ রতি স্বর্ণের সমান। 

10 গ্রাম কত ভরি?

আন্তর্জাতিক পরিমাপ অনুযায়ী, ১১.৬৬ গ্রাম স্বর্ণ সমান ১ ভরি সোনা। আর ১০ গ্রাম সোনা হলে, ভরির হিসেব পূর্ণ হবেনা। 

22 ক্যারেট সোনা চেনার উপায় কি?

এমন অনেক উপায় আছে, যেগুলো ফলো করে ২২ ক্যারেট সোনা চেনা যায়। আর সেই উপায় গুলো হলো,

  1. মনে রাখবেন, ২২ ক্যারেট সোনায় প্রায় ৯১.৬৬ শতাংশ খাঁটি সোনা থাকে।
  2. সোনা কেনার সময় চুম্বক দিয়ে যাচাই করবেন। 
  3. যার মাধ্যমে সোনাতে লোহার অংশ আছে কিনা, তা যাচাই করা যাবে।

উপরের উপায় গুলো ফলো করে, আপনি 22 ক্যারেট সোনা চিনতে পারবেন। তবে এখানে চুম্বক দিয়ে সোনা চেক করার বিষয় টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

স্বর্ণের বিস্কুট এর ওজন কত?

দেখুন, স্বর্ণের বার এর ওজন ভিন্ন ভিন্ন হয়। তবে এই সোনার বারের সর্বনিন্ম ওজন হলো, ০.৫ গ্রাম।

এবং সোনার বারের সর্বোচ্চ ওজন হলো, ৫ কেজি। এছাড়াও ৮ গ্রাম, ১০ গ্রাম এবং ১ কেজি এর সোনার বার রয়েছে। আর বর্তমান সময়ে আপনি এই পরিমাপের স্বর্ণের বিস্কুট কিনতে পারবেন।

এক ভরি স্বর্ণ সমান কত গ্রাম?

মনে রাখবেন, স্বর্ণের ওজন হিসেবে ৬ রতি সমান এক আনা স্বর্ণ হয়। ঠিক একইভাবে যখন আপনার নিকট ১৬ আনা পরিমান স্বর্ণ থাকবে।

তখন সেই স্বর্ণের ওজন হবে ১ ভরি। আর প্রায় ১১.৬৬ গ্রাম সম পরিমান সোনা ১ ভরি হয়। তাহলে, এক ভীর স্বর্ণ সমান, ১১.৬৬ গ্রাম সোনা হবে।

সনাতন গোল্ড মানে কি?

বিভিন্ন সময় আমরা সনাতন গোল্ড এর নাম শুনে থাকি। তো যে সকল সোনা অনেক দিনের পুরোনো।

এবং যে সকল সোনা দিয়ে অলংকার তৈরির পরে আবার পুরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই সকল সোন বা স্বর্ণ কে বলা হয়, সনাতন গোল্ড। আর আপনার জেনে রাখা ভালো যে, সনাতন গোল্ড এর স্থায়ীত্ব অনেক বেশি হয়।

সোনার চিহ্ন কি?

বর্তমান পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান ধাতু হলো, সোনা। আর এই মূল্যবান ধাতুর একটি রাসায়নিক নাম আছে। সেই নামটি হলো, Au.

স্বর্ণ ক্যালকুলেটর অ্যাপস কোথায় পাবো?

আপনি চাইলে মোবাইল থেকে একটি অ্যাপস দিয়ে সোনার যে কোন পরিমাপ বের করতে পারবেন।

আর সেই সোনা পরিমাপ করার অ্যাপস এর নাম হলো, Jewellery Calculator. যদি আপনি কোন ঝামেলা ছাড়াই সোনার ওজন পরিমাপ করতে চান। তাহলে এই অ্যাপসটি ব্যবহার করে দেখবেন।

সোনা উৎপাদনে কোন দেশ প্রথম?

বর্তমান সময়ে সোনা উৎপাদন এর দিক থেকে সবার প্রথমে রয়েছে, চীন। তবে চীন ছাড়াও আরো অনেক দেশ সোন উৎপাদন এর দিক থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে।

আর সেই সোনা উৎপাদকারী দেশ  গুলোর তালিকা নিচে দেওয়া হলো।

  1. দক্ষিন আফ্রিকা, (সোনা উৎপাদন এর পরিমান, ১২০ মেট্রিক টন),
  2. ব্রাজিল, (সোনা উৎপাদন এর পরিমান, ১২০ মেট্রিক টন),
  3. রাশিয়া, (সোনা উৎপাদন এর পরিমান, ২৯৫ মেট্রিক টন)
  4. অষ্ট্রেলিয়া (সোনা উৎপাদন এর পরিমান, ৩১০ মেট্রিক টন),
  5. চীন, (সোনা উৎপাদন এর পরিমান, ৪০০ মেট্রিক টন),

উপরের তালিকা তে আপনি বর্তমান সময়ের প্রথম সারির সোনা উৎপাদকারী দেশের নাম দেখতে পাচ্ছেন।

সোনা গলানোর উপায় কি?

জেনে রাখুন, হাইড্রোক্লোরিক এসিড এর সাথে যখন নাইট্রিক এসিড এর মিশ্রণ ঘটানো হবে। তখন উক্ত মিশ্রণ থেকে এক্যুয়া রিজিয়া এর উৎপত্তি হবে।

মূলত এই এক্যুয়া রিজিয়া এর ব্যবহার করে বর্তমান সময়ে সোনা গলানো হয়। 

সোনা কিভাবে তৈরি হয়?

আমরা অনেকেই জানতে চাই যে, সোনা কিভাবে তৈরি হয়। তারা জেনে রাখুন, বিভিন্ন ধরনের শিলা থেকে সোনা সংগ্রহ করা হয়।

আর শিলার মধ্যে শুধু সোনা থাকে, বিষয়টা এমন নয়। বরং একটি শিলার মধ্যে আরো অন্যান্য ধাতুর উপস্থিতি থাকে। যেমন, রুপা, তামা, লোহা ইত্যাদি।

এবং এই ধরনের শিলা থেকে ধাতু উত্তলন করার পর। সেগুলোর মধ্যে সোনা, রুপা বা লোহা কে আলাদা আলাদা করা হয়।

তবে মনে রাখবেন, সোনা তৈরি করা যায়না। তবে শিলা বা খনি থেকে উত্তলন করা হয়।

সাদা সোনা বলতে কি বুঝায়?

প্রশ্নটা বেশ অদ্ভত তাইনা? -কারন এতোদিন আমরা জেনেছি, সোনা হলুদ রঙ্গ এর হয়। কিন্তুু এখন আমরা জানতে পারছি, সাদা সোনা বলতেও কিছু আছে।

তো এই সাদা সোনা হলো, এমন এক ধরনের ধাতু। যা দেখতে অনেকটা সাদা রঙ্গের হয়। এবং উক্ত ধাতুতে প্যালাডিয়াম অথবা নিকেল ধাতুর মিশ্রন রয়েছে। 

পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনার খনির নাম কি?

যে খনি থেকে সোনা উত্তলন করা হয়। সেই খনি কে বলা হয়, সোনার খনি। আর বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে বৃহৎ সোনার খনির নাম হলো, মুরুনতাউ গোল্ড ডিপোসিট।

আর এই বৃহত্তম সোনার খনিটি এশিয়অ মহাদেশ এর  উজবেকিস্তানে অবস্থিত।

স্বর্ণের শহর কোনটি?

আপনি কি জানেন, আমাদের পৃথিবীতে স্বর্ণের শহর আছে? -হুমম, ভারতের একটি শহর কে স্বর্ণের শহর বলা হয়। আর সেই শহর এর নাম হলো, অমৃতসর। এটি ভারতের পান্জাব প্রদেশের মধ্যে অবস্থিত।

আর এই শহরের মধ্যে প্রায় ৫০০ কেজি সোনা দিয়ে মন্দির নির্মিত আছে। যার কারনে, এই শহরকে স্বর্ণের শহর বলা হয়। 

বাংলাদেশের কোথায় সোনার খনি আছে?

আমাদের বাংলাদেশে এখনও কোন বাণিজ্যিক সোনার খনির সন্ধান পাওয়া যায়নি। 

ভারতের কোথায় সোনার খনি আছে?

আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন। কারন, ভারতের কোলার নাম স্থানের মধ্যে সোনার খনি আছে। আর এই স্থানে থাকা যে সোনার খনি রয়েছে।

সেই খনি কে কেন্দ্র করে উক্ত স্থানে মানুষের জনপদ সৃষ্টি হয়েছিলো। যার ফলে কোরাল নাম স্থানটি আজ এতো জনপ্রিয় হতে পেরেছে।

সবচেয়ে ভালো স্বর্ণ কত ক্যারেট?

আমরা সবাই জানি, বর্তমানে বিভিন্ন ক্যারেট এর সোনা পাওয়া যায়। তবে তার মধ্যে আপনি যদি ২৪ ক্যারেট এর সোনা কিনে নেন। তাহলে আপনি বর্তমান সময়ে সবচেয়ে ভালো সোনা কিনতে পারবেন।

স্বর্ণের হলমার্ক কি?

হলমার্ক হলো, বিশেষ এক ধরনের সরকারী চিহ্ন। যে চিহ্নটি BIS (বিআইএস) থেকে প্রদান করা হয়। আর উক্ত চিহ্নটি তখনি প্রদান করা হয়।

যখন স্বর্ণ দিয়ে তৈরি করার অলংকার গুলোর বিশুদ্ধতার প্রমান করে। তবে স্বর্ণের হলকার্ম হিসেবে যে সরকারি চিহ্নটি ব্যবহার করা হয়। সেই চিহ্নটি বিআইএস (ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস) এর নিজস্ব লোগো।

হলমার্ক সোনার চিহ্ন কি?

যখন আপনি কোনো সোনার গয়না বা অলংকার তৈরি করবেন। তখন সেই অলংকার এর উপরে বিশেষ এক ধরনের চিহ্ন থাকে। আর সেই চিহ্ন দেখেই নিশ্চিত হওয়া যায় যে, স্বর্ণ দিয়ে তৈরি করা অলংকার এর মধ্যে কতটুকু বিশুদ্ধতা আছে। 

এর পাশাপাশি সে যকল স্বর্ণের অলংকার এর মধ্যে হলমার্ক এর চিহ্ন থাকে। সেই সকল সোনার তৈরি অলংকার এর পরীক্ষা কেন্দ্র সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করা থাকে।

মূলত একটি সোনার তৈরি গয়না বা অলংকার এর মধ্যে কতটুকু সোনা ব্যয় করা হয়েছে।

এবং উক্ত অলংকারে কতটুকু বিশুদ্ধতা আছে। তা চিহ্নের মাধ্যমে প্রকার করার প্রক্রিয়া কে বলা হয়, সোনা বা স্বর্ণের হলমার্ক চিহ্ন।

স্বর্ণের ৯১৬ মানে কি?

আমরা অনেকেই জানতে চাই যে, স্বর্ণের ৯১৬ মানে কি? আসলে আমরা যে ২২ ক্যারেট স্বর্ণ কেনাবেচা করি।

সেই ২২ ক্যারেট স্বর্ণ এর আরো একটি নাম হলো, ৯১৬. আশা করি, স্বর্ণের ৯১৬ মানে কি, সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন। 

হলমার্ক সোনা কত ক্যারেট এর হয়?

তো যারা আসলে জানতে চান যে, হলমার্ক সোনা কত ক্যারেট হয়। তারা শুনে রাখুন, হলমার্ক সোনা সাধারনত ২৪ ক্যারেট এর হয়ে থাকে। তবে আপনি যদি এর থেকে কম ক্যারেট এর সোনা কিনে নেন।

তাহলে আপনি সেই ক্যারেট এর সোনা তে অনেক কম বিশুদ্ধতা পাবেন। যেমন, ২২ ক্যারেট, ১৮ ক্যারেট, ১৪ ক্যারেট ইত্যাদি। 

সোনা কি করে চিনবো?

সোনা চেনার খুব সহজ উপায় আছে। আর আপনি যদি সোনা চিনতে চান। তাহলে আপনার নিকট একটি সাদা রঙ্গের চিনেমাটির প্লেট এর প্রয়োজন হবে।

তারপর আপনি

সবার প্রথমে আপনার কাছে সাদা চিনেমাটির প্লেট টি রেখে দিন। তারপর আপনি যে সোনা চেক করতে চান।

সেই সোনা গুলো উক্ত প্লেট এর উপর ভালোভাবে ঘষতে থাকুন। এরপর আপনি যদি লক্ষ্য করতে পারেন যে, সোনা ঘষার পর প্লেট এর মধ্যে সোনালি রং দেখা যাচ্ছে। তাহলে বুঝবেন সেই সোনা টি আসল। 

কিন্তুু প্লেট এর মধ্যে সোনা ঘষার পর যদি আপনি দেখেন যে, কালো দাগ দেখা যাচ্ছে। তাহলে আপনি নিশ্চিত হবেন যে, সেই সোনাটি নকল। আশা করি, সোনা চেনার উপায় টি ফলো করে।

আপনি যে কোনো ধরনের সোনা চিনতে পারবেন। 

দুবাই স্বর্ণ চেনার উপায় কি?

যে সকল সোনা DCLD (দুবাই সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরিস) এর মাধ্যমে হলমার্ক করা হয়েছে। সে গুলো হলো, দুবাই এর সোনা।

তবে আপনি যদি দুবাই এর খাঁটি সোনা কিনতে চান। তাহলে আপনি ২৪ ক্যারেট এর দুবাই সোনা কেনার কথা চিন্তা করবেন। এর কারণ হলো, ২৪ ক্যারেট এর সোনাতে বিশুদ্ধতার পরিমান হলো, ৯১.৬৭ শতাংশ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

জীবনে ঝুঁকি নাও।জিতলে নেতৃত্ব দিবে।আর হারলে,পরবর্তী কাউকে পথ দেখিয়ে দিবে।