ডমেস্টিক ভায়লেন্স আপনার আমার চারপাশে অহরহ হচ্ছে।এ থেকে আমরা সঠিক পদক্ষেপ নিলে সহজে মুক্তি পেতে পারি।
আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন
বিভিন্ন আর্টিক্যাল,বই পত্র ঘেটে আমরা ডমেস্টিক ভায়লেন্স সম্পর্কে কিছুটা জেনেছি।সহজভাবে হয়তো অনেকেই জানিনা নিরবে মনের অজান্তেই আমরা অনেকেই ডমেস্টিক ভায়লেন্স কিংবা পারিবারিক সহিংসতার শিকার।
আসুন জেনে নেই ডমেস্টিক ভায়লেন্স(পারিবারিক সহিংসতা কি?কিভাবে এর শিকার হইঃ
ডমেস্টিক ভায়োলেন্স কি? কারা এটা করে ?
পরিবারের যে কোন বড় কিংবা ছোট সদস্য(বাবা,মা,ভাই,বোন,শ্বশুড়,শ্বাশুড়ি,চাচা,চাচী) বা অন্য কোন সদস্য দ্বারা অপর কোন সদস্যের শারিরীক,মানসিক,আর্থিক,প্রত্যক্ষ,পরোক্ষ্য নির্যাতনকে ডমেস্টিক ভায়োলেন্স বলা হয়।
পরিবারের কাউকে অন্যায়ভাবে কোন সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা,চাপ দেওয়া,হুমকী দিয়ে কাজ আদায় করা,ব্লাকমেইল করে কোন কিছু করানো,যৌন নিপীড়ন এমনকী চাপ দিয়ে কোন কিছুর সেবা থেকে বঞ্চিত করাও ডমেস্টিক ভায়োলেন্স এর অন্তর্গত।
ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের শিকার ভিকটিমদের উপর শারিরীক এবং মানসিক যে প্রভাব পড়েঃ
ডমেস্টিক ভায়োলেন্সের শিকার ভিকটিমরা সবসময় মানসিক চাপে থাকেন।কোন কাজে মন বসাতে পারেন না।
- স্বাভাবিক কাজে ভুল হয়। কাজের ক্ষয়ক্ষতি ঘটতে থাকে।
- শারিরীক জখম গোপন করার কারনে শরীরে অন্যান্য অসুখ দানা বাধে।
- নিজের আত্মসম্মানের কথা ভেবে অনেক সময় যৌনহয়রানীর শিকার হলেও মুখ বন্ধ রাখে।
আমাদের সমাজে কারা এর শিকার হয়?
পারিবারিক নির্যাতনের শিকার অনেকেই মুখ বুজে সহ্য করে জীবনযাপন করেন।
- সন্তান কর্তৃক বাবা মা
- স্বামী কর্তৃক স্ত্রী
- গৃহকর্তা কর্তৃক গৃহকর্মী
- মালিক কর্তৃক কর্মচারী
- বাবা মা কর্তৃক সন্তান(বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সৎ সন্তান)
- চাচা চাচী বা ফুফা ফুফু কর্তৃক ছেলে মেয়ে।
আমাদের আশেপাশেই এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে।নির্যাতনের শিকার ভিকটিম রা লোকলজ্জার ভয় এবং ঝামেলার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনী কিংবা কোন সংস্থার নিকট অভিযোগ জানান না।
সবস্ময় একটা আতংকে ভুগেন।তারা মানসিক ভাবে দূর্বল হতে থাকেন।অনেকেই নিরবে নির্যাতন সহ্য করে সারা জীবন পার করে দেন।
ডমেস্টিক ভায়লেন্স এর শিকার ভিকটিম দের জন্য আমাদের দেশের আইনঃ
- পারিবারিক সহিংসতা (সুরক্ষা ও প্রতিরোধ) আইন ২০১০
- শিশু আইন ২০১৩
- নারী নির্যাতন আইন ২০০০ সংশোধনী
ভিকটিমরা কিভাবে এবং কোথায় গিয়ে অভিযোগ জানাবে?
ডমেস্টিক ভায়োলেন্স কিংবা পারিবারিক সহিংসতার শিকার ভিকটিমরা প্রথমেই থানাতে যেতে পারেন।বাংলাদেশের সকল থানায় বর্তমানে নারী ও শিশু,প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি হেল্প ডেক্স আছে।
আলাদা ভাবে একটি কক্ষ আছে।একজন নারী এস আই আলাদাভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত আছেন। বড় থানাগুলুতে ইন্সপেক্টর অপারেশন্স আর দেখভাল করেন।
সেখানে অভিযোগ জানাতে হয়।অভিযোগ অনুযায়ী সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হয় ।ক্ষেত্র বিশেষে পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ আলোচনা করে বিষোয়গুলু সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়।
নির্যাতনের শিকার ভিকটিম এর চিকিতসা দরকার হলে সাথে সাথে সরকারী হাসপাতালের (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার)ও সি সি তে প্রেরন করা হয়। ঘটনা মামলার যোগ্য হলে মামলা নেওয়া হয় ।
ভিকটিম যদি থানায় না যেতে পারেন তাহলে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ কিংবা ১০৯ নাম্বারে কল দিতে হবে।এই নাম্বারগুলুতে কল দিতে কোন টাকা লাগবেনা টোল ফ্রী।
কোন ভিক্টিম অনলাইন বা সাইবার ক্রাইমের শিকার হলে email:[email protected] তে অভিযোগ করতে পারেন।হেল্পলাইন নাম্বার ০১৩২০০০০৮৮ এ কল দিতে পারেন।ফেসবুক লিংক m.facebool.com/pcsw/phq
You must be logged in to post a comment.