বর্তমানে পড়ালেখার গন্ডি শুধুমাত্র কলেজ এই থেমে থাকছে নাহ।সবাই এখন আকাশ ছোয়ার স্বপ্ন দেখছে।কলেজ এর গন্ডি পেরিয়ে সবাই নতুন স্বপ্ন বুনতে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে।
বিশ্ববিদ্যালয় - নাম টা ছোট হলেও এ জায়গা থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে বেরিয়ে আসতে শিক্ষার্থীদের অনেক কিছুরই সম্মুখীন হতে হয়।যেমন:পরীক্ষা,ভাইবা,প্রেজেন্টেশন।
প্রেজেন্টেশন - নামটি শুনলেই কিছু শিক্ষার্থীর মাঝে ভয় কাজ করে।এই ভয় কিসের?তারা মূলত সবার সামনে কথা বলতে ভয় পাই।আর এই প্রেজেন্টেশনে চাইলেই অনেক শিক্ষার্থী ভালো করতে পারে।
এজন্য তাদের কিছু দক্ষতা থাকতে হয় শুধু।দক্ষতাগুলো হলো:
১.নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো:
এই আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য নিজেকেই নিজের বলতে হবে আমি পারবো।আর এটাও মনে রাখতে হবে তারা যাদের সামনে প্রেজেন্টেশন দিতে যাচ্ছে তারা ওদের সহপাঠী।
যাদের সামনে কিনা প্রতিনিয়তই আমরা মজার ছলে অনেক কিছুই বলি।এখন শুধু কিছু পড়ার টপিক নয়ে আলোচনা করব।এটা মনে রাখলে ভয়-ভীতি কিছুটা হলেও কমবে।
২.সবার সামনে কথা বলা প্রেকটিস করা:
এই যে কারো সামনে কিছু বলতে বলা হলেই আমরা ভয়ে কাবু হয়ে পড়ি।এত ভয় কিজন্য?কারণ আমরা কারো সামনে দাড়িয়ে কথা বলতে পারি নাহ।তাই সবার সাথে কথা বলার মন - মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
৩.বিভিন্ন বিতর্কে অংশগ্রহণ:
বিশ্ববিদ্যালয় এমন এক আঙিনা যেখানে পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন কার্যক্রম চলে।এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য হলো বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
তাই যখনই সুযোগ পাবে,তখনই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে।এতে করে মনের ভয় কিছুটা হলেও কমবে।আবার আত্মবিশ্বাসও বাড়ানো যাবে।
৪.বার বার টপিকটি পড়া:
যে টপিক নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চায়,সে টপিক আমাদের বারবার পড়তে হবে।যাতে আমরা ভুলে না যাই।নিজে নিজে সেটা বারবার বলতে হবে।
৫.আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলা:
যে টপিক নিয়ে আমরা আলোচনা করব সে টপিকটি আমাদের বারবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে হবে।এতে করে আমি কেমনে সবার সামনে বিষয়টি উপস্থাপন করছি তার একটি ধারণা তৈরি হবে।
৬.পরিবারের সামনে বলা:
এছাড়াও আমাদের পরিবারের সবাইকে একত্রিত করে আমরা যে টপিক নিয়ে আলোচনা করব সে টপিক টি তার আগের দিন সবার সামনে বলতে পারি।এত করে মনে সবার সামনে কথা বলার সাহস তৈরি হবে,যা খুব প্রয়োজন।
৭.টপিকটি বার বার লিখা:
অনেকের এমন সমস্যা ফেইস করতে হয় যে তারা কোনো কিছু বলতে গেলেই ভুলে যাই।এক্ষেত্রে একমাত্র সমাধান হলো,তাদের বার বার সেটি লিখতে হবে।
যাতে বলার সময় ভুলে না যায়।কারণ যদি ভুলে যায় অনেক শিক্ষকই নাম্বার কেটে ফেলেন।তাই সবার উচিত বার বার টপিক টি লিখা।
৮.শিক্ষক বা শিক্ষিকা আসার আগে সহপাঠীদের সামনে এটি বলার চেষ্টা করা:
শিক্ষক বা শিক্ষিকা আসার আগে যদি আমরা এটা সহপাঠীদের সামনে বলি,তাইলে মনে ভয় অনেকাংশেই কমে যাবে।
এত করে এই মানসিকতা তৈরি হবে যে আমি তো সবার সামনে এটি নিয়ে একবার আলোচনা করছিই,তাইলে আমার ভয়ের এখন আর কোনো কারণ নেই।
৯।নিজেকে নিজে সাহস দেওয়া:
শিক্ষক শিক্ষিকা যখন ক্লাসে থাকেন তখন নিজেকে বার বার মনে করিয়ে দিতে হবে আমি এ জিনিসটি অনেকবার পড়েছি,আমি অবশ্যই পারবো।
আমার পারতেই হবে।অনেকে ভয়ের কারণেই প্রেজেন্টেশন দিতে চান না,তাদের মনে করতে হবে - আমি পারবো।
১০.ড্রেসআপ সুন্দর করা:
প্রেজেন্টেশন এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো নিজের পোশাক।অবশ্যই নিজেকে পরিপাঠি করে যেতে হবে।পোশাক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।এতে করে শিক্ষক বা শিক্ষিকা বেশি নাম্বার দেওয়ার দিকে আগ্রহী হয়ে উঠেন।
১১.শিক্ষক-শিক্ষিকার সামনে যা করতে হবে:
সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাস এর সাথে বলা শুরু করা। মাঝখানে ভুলে গেলে কিছুটা স্থির হয়ে মনে করার চেষ্টা করা।সর্বোপরি,নার্ভাস না হওয়া।সুন্দর করে গুছিয়ে বলার মাধ্যমে তা শেষ করা।
এভাবে আমরা ভয়গুলো কাটিয়ে উঠে ১০ এ ১০ পেতে পারি।যা আমাদের সিজিপিএ বাড়ানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
You must be logged in to post a comment.