জীবনে ঘটে যাওয়া বাস্তব গল্প।

অনেক বছর আগে। কোন এক ছোট শহরে জন্ম হয়। অনেক বছর আগে। কোন এক ছোট শহরে জন্ম হয় একটি শিশুর।  জন্মের সময় তার মা মারা যায়। ছেলেটির বাবার ধারনা ছেলেটির কারনে তার ভালোবাসার মানুষটিকে হারাতে হয়।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

কারন ছেলেটির বাবা ছেলেটির মাকে অনেক ভালোবাসতো। তাই হসপিটাল থেকেই ছেলেটিকে তুলে দেয় তার ফুপির কাছে মানুষ করতে। ছেলেটির জন্ম হয় খ্রিষ্টান পরিবারে।

তাই ছোটবেলা থেকেই অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। ছেলেটির বন্ধু বলতে ছিলো তার চাচাতো বোন মায়া। মায়া ছিলো ছেলেটির বেস্ট ফ্রেন্ড। ছোট বেলা থেকেই ছেলেটি তার ফুপিকে বলতো। 

মার ছবি দিতে।  দেখবে মা কেমন দেখতে ছিলো আর জানতে চেতো বাবা কেনো আসে না। ফুপি তাকে বিভিন্ন সান্তনা দিয়ে রাখতো।

বড় দিনের আগের রাতে যখন খ্রিসমাসট্রির সামনে সব ছেলে মেয়েরা তার বাবা মা ভাই বোন পরিবারের সাথে নানা ধরনের উপহার নিয়ে মজা করতো।

তখন ছেলেটি চুপচাপ করে বসে থাকতো বাবা কখন উপহার নিয়ে আসবে। মজার ব্যাপার হলো উপহার আসতো কিন্তু বাবা আসতো। অনেক মন খারাপ হতো।

সময় চলতে থাকে আর সেও বড় হতে থাকে। যখন সে একটু বুঝতে শিখে সে এটাও বুঝতে পারে তার বাবা কোন দিন তার সাথে দেখা করবে না।

ছেলেটি মনে মনে ভাবে।সে যখন বড় হবে নিজের পায়ে দঁাড়াবে। সে বাবার সামনে গিয়ে কিছু কথা বলবে। সে বাবাকে বলতে চায় কেন তুমি বাবার আদর থেকে আমাকে বঞ্চিত করেছো।

আমার কি দোষ ছিলো। তোমাদের শুখের ফল আমি তাহলে কেনো মার মৃত্যুর জন্য আমাকে দায়ী করেছো?. কিন্তু নীয়তি ছেলেটির জন্য রেখেছে আরো অন্যরকম এক গল্প।

১১ বছর বয়স যখন ছেলেটি তার বাবাকে দেখতে পায়। কিন্তু কোন প্রশ্ন করতে পারে না। কারন কাকে করবে? যাকে প্রশ্ন করার কথা ছিলো যে তো কোন প্রশ্নেরই আর উত্তর দিতে পাড়বে না।

কারন সে এখন একজন মৃত মানুষ। ১১ বছর বয়সে সে তার বাবাকে হারায়। এখনো মনে আছে ছেলেটির বাবাকে কবর দিয়ে বাসায় এসে বারান্দায় বসে অনেক চেষ্টা করেছিলো চিৎকার করে কান্না করতে।

কিন্তু চোখ দিয়ে কোন পানি বের হয় নি। তার পর থেকেই ছেলেটি নিজেকে গুটিয়ে নেয়। বই গিটার আর মায়া এই তার জীবনের অংশ। মায়া সব সময় ছেরেটিকে আঁকলে রাখতো।

স্কুল শেষ করে কলেজ তার পড় বিশ্ব্যবিদ্যালয় দিন গুলো ভালোই কাটলো। মায়া যেনো ওর জীবনের একটা নতুন অধ্যায়। কিন্তু ছেলেটি তার গল্পটাকে একটু পরিবতন করলো।

কিন্তু সে ভাবতেও পারেনি এ পরিবতন তার জীবনে কত বড় পরিবতন নিয়ে আসবে। কারন ছেলে কাউকে কিছু না বলে এমনকি মায়াকেও কিছু না বলে খ্রিষ্টান ধম ত্যাগ করে মুসলিম ধম গ্রহন করে।

যে ক দিন পাড়লো পরিবার থেকে কথাটা লুকিয়ে রাখলো। কিন্তু বেশি দিন লুকিয়ে রাখতে পাড়লো না। একটা সময় সবাই যেনে গেলো। আর যা হবার তাই হলো।

পরিবারের সবাই তাকে মানসীক ভাবে চাপ দিতে লাগলো যাতে সে আবার খ্রীষ্টান হয়ে যায়। এই প্রথম সে মুখ খুললো। সে তার পরিবারকে বললো আমা মুক্তি চাই। আমি আমার মত করে বাচতে চাই।

চোট বেলা থেকে যে খাচায় তোমরা আমাকে আটকে রেখেছো আমি সেখান থেকে মুক্ত হতে চাই।  আর এখন আমি বড় হয়েছি। আমার সিদ্ধান্ত নেবার অধীকার আছে। অনেক ঘটনা তারা ঘটালো কিন্তু ছেলেটি তার রাস্তা থেকে একচুলও নড়লো না।

তাই যে পরিনতী হলো তা হলো তাকে বের করে দেওয়া হলো বাড়ী থেকে। আর বলে দেওয়া হলো কোন দিন যেনো সে তাদের পরিচয় না দেয়। ছেলেটি হাসি মুখে বের হয়ে এলো।

সে মায়ার সাথে দেখা করতে গেলো। কারন সে যানে সবাই তাকে বের করে দিলেও মায়া তাকে কাছে টেনে নিবে। কিন্তু অবাক হলো এটা দেখে মায়া পাড়লোনা তাকে আটকে রাখতে।

কিভাবে পারবে? ও তো একটা মেয়ে। তাই সেদিন সব বাধন মুক্ত করে  ছেলেটি চলে গেলে তার নতুন জগৎ এ। নিজেকে অনেক মুক্ত মনে হলো।

কিন্তু মায়ার জন্য কষ্ট হতে লাগলো। সময় তো আর থেমে থাকে না। তাই ছেলেটিও থেমে থাকেনি। কিন্তু?

যানিনা এ গল্পের শেষ কোথায়? যানিনা কেনো সব গল্প পূনতা পায় না?কিন্তু বেচে থাকতে হয় এই অসমাপ্ত গল্প নিয়ে।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments
Aidetuo Roy - Aug 24, 2022, 8:47 AM - Add Reply

Very Nics

You must be logged in to post a comment.
Tonika Akter - Aug 25, 2022, 2:36 PM - Add Reply

Thanks.

You must be logged in to post a comment.
Aidetuo Roy - Aug 24, 2022, 8:54 AM - Add Reply

Nics

You must be logged in to post a comment.

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ