অতিরিক্ত মোটা হওয়া যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না, তেমনি আবার শরীরের গঠন অনুযায়ী কম ওজন হওয়াটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। তাই অনেকেই জানতে চাচ্ছেন কিভাবে স্বাভাবিকভাবে সাধারণ খাবার খেয়ে কিভাবে মোটা হওয়া যায়, সেজন্য আজকের এই টিপস,
তাহলে চলুন এসব খাবারগুলো সম্পর্কে আগে জেনে নেওয়া যায়।
1. দুধ
দুধ প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো একটা উৎস। দুধ যে শুধু আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করবে তা নয়। তাছাড়া এতে আরো হাজার হাজার উপকারীতা রয়েছে, মানুষের শরীরের গঠন, হাড়ের গঠন, মেধা শক্তি সহ, আরো বিভিন্ন উপকারে আসে যা বলে শেষ করা যাবে না।
দুধ ওজন বৃদ্ধি এবং পেশী গঠনে খুবই কার্যকরী।
দুধ প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ফ্যাট, এবং ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি অন্যান্য ভিটামিন এবং খনিজগুলির একটি ভাল উৎস ।
প্রতিদিন সকালে এক বা দুই গ্লাস দুধ পান করার চেষ্টা করুন, খাবারের সাথে, অথবা ব্যায়ামের আগে এবং পরেও আপনি চাইলে পান করতে পরেন।
2. ভাত
ভাত সম্পর্কে আপনাদের নতুন করে বলার কিছুই নেই, কারণ ভাত বাংলাদেশি মানুষের প্রধান খাবার।
ভাত একটি সুবিধাজনক, কম খরচের কার্ব বা কার্বোহাইড্রেট এর প্রধান উৎস যা আপনাকে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। এবং খুব কমই চর্বির পরিমাণ থাকে। আপনি সহজেই একক পরিবেশন থেকে উচ্চ পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরি পেতে পারেন। ভাত খুব সহজেই হজম যোগ্য। তাছাড়া ভাত খেলে আপনার খুধা ও ঠিক থাকে, তাই প্রতিদিন দুই থেকে তিন বার ভাত খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৩. বাদাম
আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তবে বাদাম বা বাদাম এর বিভিন্ন মাখন গুলো খুবই উপকারে আসবে।
শুধু এক মুটো কাঁচা বাদামে রয়েছে রয়েছে 170 ক্যালরি, 6 গ্রাম প্রোটিন, 4 গ্রাম ফাইবার এবং 15 গ্রাম স্বাস্থ্যকর চর্বি । শুধু যে কাঁচা বাদামে বা একইজাত বাদামে রয়েছে তা নয়, অন্যান্য বাদাম বা শুকনো বাদামেও প্রটিন রয়েছে, তবে তার একটু তারতম্য হতে পারে।
তাই আপনি চাইলে বিভিন্ন খাবারে বাদাম বা বাদামের মাখন ও যোগ করতে পারেন যেমন, দই, খিচুড়ি, নুডলস ইত্যাদিতে যাতে সেগুলি অল্প সময়ের মধ্যে উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত নাস্তায় পরিণত হয়।
বাদাম এবং বাদামেত মাখনগুলি সুস্বাদু, এবং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার। এগুলি আপনার জন্য দুর্দান্ত উপায় তাছাড়া বিভিন্ন নাস্তা বা রেসিপিগুলিতে যোগ করা সহজ।
4. মাংস
মাংস খেলে যে শরীরের ওজন বাড়ে তা আমরা সবাই জানি, কিন্ত তা মানি না। মাংস পেশী তৈরির খাবারগুলির মধ্যে একটি। প্রায় 170 গ্রাম মাংসের মধ্যে প্রায় 5 গ্রাম লিউসিন থাকে। লিউসিন হল মূল অ্যামিনো অ্যাসিড যা মানুষের শরীরের নতুন পেশী বা টিস্যু যোগ করতে প্রয়োজন । এতে 456 ক্যালোরি এবং প্রায় 49 গ্রাম প্রোটিন রয়েছে।
চর্বি এবং চর্বিযুক্ত মাংস উভয়ই প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উত্স, চর্বিযুক্ত মাংস বেশি ক্যালোরি সরবরাহ করে, যা আপনাকে ওজন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
5. ডিম
ডিম অন্যতম স্বাস্থ্যকর পেশী তৈরি ককরার মত খাবার। ডিমে উচ্চ মানের প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। প্রতিটি বড় কাঁচা ডিমের ওজন থাকে প্রায় 50 গ্রাম। এবং এতে প্রায় 74 ক্যালোরি রয়েছে। তাছাড়া
পুরো ডিম খাওয়াও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আসলে, ডিমের প্রায় সব উপকারী পুষ্টিই কুসুমে পাওয়া যায় ।
যতক্ষণ না আপনার ডিমের প্রতি বিরক্তি না থাকে, ততক্ষণ আপনার ডিমের ব্যবহার সীমাবদ্ধ করার দরকার নেই - আপনি চাইলে সহজেই প্রতিদিন তিনটি ডিম খেতে পারেন।
দেখবেন অনেক ক্রীড়াবিদ বা বডি বিল্ডাররা প্রতিদিন ছয় বা তার বেশি ডিম খেয়ে থাকেন। ডিম গুলি আপনি বিভিন্ন উপায়েই খেতে পারেন, তবে এর জন্য সেদ্ধ করে খাওটাই ভালো।
6. কিসমিস
কিসমিস শুকনো ফল কিন্তু অনেক পুষ্টিকর।
দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করতে কিসমিস ও কিন্তু সহায়ক একটি খাবার। তাই আপনি চাইলে প্রতিদিন সকালে কিসমিস ভিজিয়ে খেতে পারেন। আপনার এই খাবারটি আরো মজাদার এবং আরো পুষ্টিকর করতে আপনি দুধের মধ্যে ভিজিয়ে এর মধ্যে বাদাম কিংবা ছাবু মিক্স করতে পারেন।
7. দই
এটিতে প্রোটিন, কার্বস এবং ফ্যাটের সুষম মিশ্রণ সহ একটি দুর্দান্ত পুষ্টির উৎস রয়েছে।
পুরো দুধের দই আপনাকে 165 ক্যালোরি এবং 15 গ্রাম প্রোটিন দেবে। তাই আপনি চাইলে বা পারলে মাঝেমধ্যে অথবা প্রতিদিন দই খেতে পারেন।
এটি আরো মজাদার এবং পুষ্টিকর করতে আপনি বাদাম, , মধু, গ্রানোলা, ডার্ক চকোলেট বা নারকেলের খুচি ও যোগ করতে পারেন।
8. কাঁচা ছোলা
কাঁচা ছোলা যেটাকে অনেকেই ছানা বলে থাকে এটিও কিন্তু খুবই পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাবার। তাই আপনি চাইলে প্রতিদিন কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে খেতে পারেন, না পারলে অভ্যাস করে নিতে পারেন, এটা কিন্তু একটি ওজন বৃদ্ধি করার সহজ মাধ্যম।
কাঁচা ছোলায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি এবং মাছ-মাংসের চেয়েও বেশি প্রোটিন এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে।
তাছাড়া আরো অনেক ধরনের খাবার রয়েছে যেগুলো শরীর বৃদ্ধির জন্য খুবই সহায়ক, মানুষের খাবারের তো শেষ নেই, স্বাস্থ্যের জন্য ভালো মন্দ অনেক খাবার রয়েছে, শুধু আমাদেরকে সঠিক খাবার বেঁচে নিতে হবে।
☑️অন্যান্য খাবারের মধ্যে রয়েছে ⤵️
☑ ফলমূলঃ
শরীরে স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য আপনি আংগুর, আপেল, কলা, কমলা, লেবু, জাম্বুরা, ইত্যাদি ফল খেতে পারেন।
☑ শুকনো ফলমূল
শুকনো ফলমূল যেমনঃ খেজুর, কিসমিস, ইত্যাদি।
☑ সবুজ শাকসবজি
ফুল কপি, বাধা কপি, পুই শাক এর মত ইত্যাদি
You must be logged in to post a comment.