তখন আমি একবারে ছোট। কিন্তু বাবার কাছে হয়তো আমি অনেক বেশি বড়ো হয়ে গেছি। আমার বয়স পনেরো বছর। বাবা আমার বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজছেন। তখন মেয়েদের বয়স পনেরো মানে অনেক বেশি।আমি নবম শ্রেণীর ছাত্রী। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এখানে থেকেই।
আমার বিয়ের জন্য পাত্র হিসেবে যাকে বাবা বাছাই করেছেন তাকে দেখিনি আমি। আমাকে যেদিন দেখতে আসে সেদিন আমি তাকিয়ে দেখি নি তাকে। মেয়েদের দেখার সুযোগ নেই। বাবার ওপরে কেও কথা বলে না।বাবা যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই টায় ফাইনাল। আজকে আমার বিয়ে।
বিয়ের জন্য পাত্র পখ্য বাবাকে পনেরো দিন সময় দেন। পিসির মুখে শুনেছি ছেলেটা ঢাকায় বেশ ভালো বেতনের চাকরি করেন।আর দেখতে ও বেশ সুন্দর। কিন্তু আমি জানি না সে কতটুকু সুন্দর। আজকে আমার বাসরঘর।আমি বাসরঘরে বসে আছি।
আর ভাবছি যাকে চিনি না জানি না সে আমার জীবনের সাথী।আর ভয় পাচ্ছিলাম। এগুলো ভাবতেই ঘরে আসলো সে। এসে দরজা লাগিয়ে দিল। আমার ভয়ে বুকে নিশ্বাস আটকে আছে। সে এসে আমার পাশে বসলো। তার পর আমাকে দেখছে।
কিছু সময় পর বললো ভয় পাচ্ছো নাকি?আমি চুপ করে বসে আছি। জবাব নেই কোন। সে বললো: ভয় পেয়ো না।আমি তোমাকে কিছু করবো না। তোমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছু করবো না।আমি এতো খারাপ নয়।
বলে আমাকে দেখে মুচকি হেসে আবার একটু নড়ে চড়ে উঠলো আর বলল: আচ্ছা তুমি কি সত্যি কবুল বলেছিলা?আমি আস্তে আস্তে করে বললাম:হিম। সে বললো: আমার তো মনে হয় না।আমি আবার ভয়ে ভয়ে বললাম:কেন? সে বললো: কারণ তুমি কথা বলছো না।
হয়তো ভাবছো পর পুরুষ। বলে আমাকে দেখে আবার বলল: অবশ্য কিছু টা এমনটায় কারণ তোমার সাথে আমার কথা হয়নি। আমার তোমাকে ভালো লেগে যায় সে জন্য আর দেরি করিনি। আচ্ছা একটা কথা বলতো?
আমি বললাম:কি? সে বললো: আমাকে তোমার পছন্দ হয়েছে? তখন আমি তার দিকে তাকিয়ে বললাম: হিম।সে আবার হেসে বললো: বাসরঘরে কি করে জানো? আমি আস্তে আস্তে মাথা নাড়িয়ে বললাম:হিম।সে মুচকি মুচকি হাসছে। কিছুক্ষণ পর বললো: আমি তোমার কোলে একটু মাথা রাখবো?
আমি অনুমতি না দিতেই সে আমার কোলে এসে মাথা রাখলো। সে আমার বয়সে প্রায় পনেরো বছরের বড়ো।আমাকে দেখছে আর বলছে: আমি চেয়ে ছিলাম তোমার মত একটা লাল টূক টুকে বউ হবে আমার। বলে বললো: আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালো রাখবো আর ভালো বাসবো। কথা গুলো শুনে আমার খুব ভালো লাগলো।
হয়তো আমি আগে কখনো শুনিনি সে জন্য আরো ভালো লাগছিল।সে আমার কোলে থেকে উঠে আবার বসলো আর বললো: আমি তোমার কপালে চুমু দিতে পারি? আমি খুব লজ্জায় পড়ে মাথা নাড়িয়ে বললাম।
হিম।সে আমার কপালে চুমু খেয়ে বললো আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি আর বাসবো। যেদিন প্রথম দেখেছিলাম সেদিন থেকেই তোমার সবকিছু আমাকে পাগল করেছে। তার পর সে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো।আর বললো:চলো ঘুমায়।আমি জানি তুমি অনেক ক্লান্ত।
তার পর সে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়লো। এইভাবে আমাদের রাত কেটে গেল। পরদিন সকালে বিছানায় থেকে উঠে আমি খুব তাড়াতাড়ি উঠে গোসল করে এসে দেখি সে শুয়ে আছে।এমন সময় বাইরে থেকে আমার ডাক পরে। আমি দরজা খুলে দেখি আমার ননদ।
ননদ বললো:ভাবি বাইরে আসো। সবাই থাকছে।আর গোসল করা শেষ সে আমাকে দেখে বুঝলো আর হাসতে হাসতে বললো ভাইয়া কে ডেকে উঠিয়ে নিয়ে গোসল করতে বলো। তার পর আমি আস্তে করে বললাম আর ডাকলাম।
কয়েক বার ডাকার পর সে উঠে বসল আর বললো আমাকে বললো: দেখো আমি তোমার বয়সে বড় কিন্তু আমাকে তুমি করে বলবা । আমি খুশি হবো। শুনে কেমন আজব লাগলো। কারণ তখনের সময় সবাই নিজের সামিকে অনেক সম্মান করতেন আর আপনি বলতেন।
কিন্তু সে পুরো আলাদা। সে আমাকে নিজের বন্ধুর মত ভাবছে।শুনে খুব অবাক হলাম কিন্তু ভালো লাগলো। আমি তারাতাড়ি করে সবার সাথে দেখা করে তাদের সাথে বসলাম। আমার শশুর বেচে নেই তাই শাশূড়ি আমাকে সব বললো কিভাবে মারা গেছেন।
তার পর আমার বাসার মানুষ আসলো আমাকে দেখলো আর তারপর সে আসলো।সভায় খাওয়া দাওয়া করে চলে গেল। আমি রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবকিছু গুছিয়ে ঘরে গেলাম। আমার শাশুড়ি মানুষ টা অনেকে ভালো।
সে বুঝেছিল বিয়ের এতো ঝামেলার জন্য ঘুমাতে পারি নি ভালোমত।আমি আমার রুমে গিয়ে আবার তার সাথে কথা বলছি।সে আমার জন্য অপেক্ষা করছে আগেই। তবে আজকে আমার ভয়টা অনেক কেটে গেছে।
আজকে আমার কালকের মতন ভয় লাগছেনা। আজকে আমি তার চোখের দিকে তাকালাম। দেখলাম আমার জন্য তার চোখে অনেক ভালোবাসা।সে হয়তো আজকে কিছু চায় আমার থেকে। আমি বুঝলাম। তার পর সে আস্তে আস্তে আমার কাছে আসলো আর জরিয়ে ধরলো।
তার পর একটা বর আর বৌও য়ের মধ্যে যেইটা হয় সেটি হলো আমাদের। পরদিন থেকে তাকে যেনো জীবনের সবচেয়ে কাছের মানুষ মনে হলো। আসলেও তো। একজন বৌওয়ের কাছে তার বর জীবনের সবচেয়ে কাছের।আর সবকিছু।
আমি আমার বরকে অনেক ভালোবাসতে লাগলাম।এরপর আমাদের জীবনের এক বসল কেটে গেল একে অপরকে দেখে দেখে। আমাদের মাঝে ভালোবাসা ছিল অফুরন্ত। তার কিছু দিন পরে আমি মা হয়েছি। আমাদের কোলে তুলে আসে ফুট ফুটে একটা বাচ্চা। আমার ছেলে।
এযেনো আমার জীবনের নতুন এক খুশি। অনেক ভালো যাচ্ছিল আমাদের সংসার। হঠাৎ করে একদিন আমার শাশুড়ি মারা গেলেন। স্টোক করে মারা যায়। আমার বাচ্চার বয়স তখন মাত্র দুই বছর। আমি আমার সামি আর বাচ্চা নিয়ে সবকিছু কিছুদিন পর ভুলে সংসার করতে থাকি। আমাদের জীবনের ছয় বসর কেটে গিয়েছিল।
তখনো যেনো ভালো বাসা বিন্দু মাত্র কমেনি। আস্তে আস্তে আমার ছেলে বড়ো হলো।তাকে স্কুলে পাঠানো সবকিছু মিলিয়ে অনেক দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য ছিলাম। তবু আমার পাশে সব সময় আমার বন্ধুর মত বরটা পাশে ছিল। আমার জীবনের পুরো গল্প টি প্রকাশ করার জন্য আরো কিছু সময় চায়।বাকি অংশ পরের গল্পে ও পরের সপ্তাহে পাবেন।
He is madarchod
He is madarchod
Please published in Bangladesh Official Price BDT 10 Pro Max Bangladesh Official Price BDT 10 Pro Max Bangladesh Official Price BDT 10 Pro Max Bangladesh Official Unofficial on my any of that was the heads on my team is very helpful thanks
You must be logged in to post a comment.