ইলুমিনাটি কি?

ইলুমিনাটি  কি: ইলুমিনাটি সৃষ্টির উদ্দেশ্য ইলুমিনাটি  একটি গুপ্ত সংগঠন। আজ থেকে প্রায় আড়াইশো বছর পূর্বে ১৭৭৬ সালে একটি গুপ্ত সংগঠনের প্রতিষ্ঠা হয়। এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আডাম ভাইসহাউপ্ট।

ইলুমিনাটি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতার মূল উদ্দেশ্য ছিলো তৎকালীন সমাজ থেকে বিভিন্ন ধর্মীয় কুসংষ্কার, ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা, বিভিন্ন সামাজিক নীতির বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার

অপব্যবহারের বিরোধীতা করা। তাদের স্লোগান ছিলো "অন্যায়ের প্রবর্তকদের ষড়যন্ত্রের অবসান ঘটানো, তাদের উপর কর্তৃত্ব না করে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা"। কিন্তু রোমান

শাষকেরা এসব গুপ্ত সংগঠনগুলো নিজেদের রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরুপ মনে করে সকল গুপ্ত সংগঠনগুলোর উপোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তবে ইলুমিনাতি ইলুমিনাতি ব্যাভারিয়াতে

না টিকলেও ধীরে ধীরে ইউরোপ জুড়ে ইলুমিনাতির শাখা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তবে বর্তমানে ইলুমিনাতি আত্মহত্যা কে বৈধতা প্রদান, অতিরিক্ত মাত্রায় সুদ , সমকামিতা, অবাদ

যৌনচার, আত্মহত্যা কে বৈধতা প্রদান ইত্যাদি বিষয়কে মানুষের মাঝে সাধারণ বিষয় হিসেবে প্রকাশ করছে, যা ইসলাম সহ প্রায় সকল ধর্মের নীতি বিরুদ্ধ।

ইলুমিনাটি সৃষ্টির সূচনা

তৎকালীন আরেকটিও গুপ্ত সংগঠন ছিলো যার নাম ছিলো ফ্রিমেসন ফ্রিমেসনরা ছিলো  যাদু চর্চাকারী । এরা যাদু চর্চাকারী সবচেয়ে প্রাচীন গুপ্তসংস্থা। এরা সেই ইব্রাহিম আ.

এর সময়ের আগে থেকেই যাদু চর্চার সাথে যুক্ত এবং বিভিন্ন সময় এরা বিভিন্ন নামে ছিলো। আডাম ভাইসহাউপ্ট শুরুর দিকে ফ্রিমেসনদের সাথে যোগ দিতে চেয়েছিলেন , কিন্তু

ফ্রিমেসনদের সাথে যোগ দেয়াটা ছিলো অনেক খরচের ব্যাপার এবং তাছাড়া  ফ্রিমেসনদের নীতির সাথে  আডাম ভাইসহাউপ্ট এর চিন্তাধারার মিল ছিলো না । তাই তিনি নিজের

মত করে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করার সিধান্ত নেন। তিনি তার চার ছাত্রকে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন তার গুপ্ত সংগঠন। তিনি তাঁর সংঘের নাম রাখলেন Bund der Perfektibilisten।

এবং তাদের সংঘের প্রতীক ছিলো একধরনের পেচা( তবে বর্তমানে  পিড়ামিড, একচোখ, রক সাইন ইত্যাদি বিভিন্ন সাইন ব্যাবহার করা হয় )। পরবর্তীতে তার গুপ্ত সংঘের নাম

পরিবর্তন করে রাখা হয় ইলুমিনাতি। ইলুমিনাতি একটি ল্যাটিন শব্দ যার অর্থ যারা কোনো বিষয়ে বিশেষভাবে আলোকিত বা জ্ঞানার্জনের দাবি করে। ১৭৮৪ সালের শেষে, প্রতিষ্ঠার

মাত্র আট বছরে মোট সদস্য ৬৫০ জন হয়ে যায় ( তবে কারো মতে সংখ্যাটি আড়াই হাজারের মত, যেহেতু সংগঠনটির সকল কার্যক্রম গুপ্ত তাই প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে )।

ইলুমিনাতিতে তিনটি শ্রেনী রয়েছে । যারা সংগঠনটিতে একদম নতুন যোগ দেয় তারা প্রথম শ্রেণী , প্রথম শ্রেণী থেকে একটু পদমর্যাদায় উপরে যারা ছিলো তার হলো দ্বিতীয় শ্রেণী এবং যারা সবচেয়ে গোপনীয় জ্ঞানের অধীকারী ছিলো তারা হলো তৃতীয় শ্রেণির। এই গুপ্ত সংগঠনের সকল কার্যক্রম গুপ্ত ভাবে চালানো হত, এমনকি তাদের সদস্যদেরকেও ছন্দ নাম

দেয়া হত। আডামের ছন্দ নাম ছিলো স্পার্টাকাস। অবশ্য তার এই সংগঠন গুপ্ত রাখার পিছনে আরো একটা কারণ ছিলো  রসিক্রুসিয়ানরা। রসিক্রুসিয়ান ছিলো আরেকটি সংগঠন।

ইলোমিনাতি ধর্ম নিরপেক্ষ ছিলো তবে রসিক্রুসিয়ানরা ছিলো জাদুবিদ্যায় বিশ্বাসী। কিন্তু এত গোপন রাখা সত্ত্বেও রসিক্রুসিয়ানরা জেনে যায় ইলুমিনাতির সম্পর্কে ফলে সমগ্র

 ইউরোপ জুড়ে ছড়িয়ে যায়  ইলুমিনাতি একটি নাস্তিক এবং ধর্ম ও প্রচলিত সমাজব্যবস্থা-বিদ্বেষী সংগঠন।

ইলুমিনাটির কার্যক্রম

বর্তমানে ইলুমিনাটি বিশ্বের সকল দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।এরা সকল দেশের ধর্মীয় সংগঠন , দেশের রাজনীতিতে , মিডিয়াতে প্রবেশ করে

এসব প্রতিষ্ঠান সমূহের কর্তৃত্ত্ব গ্রহন করে তারা সে দেশের মানুষের মধ্যে বিভিন্ন অপসঙ্কৃতি ঢুকিয়ে দিচ্ছে। অতিতে  ফরাসি বিপ্লবের সূচনা, নেপোলিয়নের ওয়াটারলু

যুদ্ধের ফলাফল নির্ধারণ, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ৯/১১ এর ঘটনা , বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক মন্দা এবং অনেক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পেছনে এই

ইলুমিনাটির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হাত ছিলো। তারা গোপন বার্তার মাধ্যমে মানুষের মাঝে তাদের ইলুমিনাতির কার্যকলাপ ছড়িয়ে দেয় এবং এর জন্য তার ব্যবহার করে বিভিন্ন

বিশ্ব জনপ্রিয় তারকাদের। এসব তারকাদের অনেক ভক্ত রয়েছে যারা তাদের প্রিয় তারকাদেরকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে। ফলে সে সকল তারকাদের মাধ্যমে খুব সহজেই তারা

ইলুমিনাটিকে প্রোমোট করছে। এছাড়া বর্তমানে এরা শিশুদেরকেও একদম শুরু থেকে তাদের অবচেতন মনে ইলুমিনাটি ঢুকিয়ে দিচ্ছে, ডিজনি চ্যানেল হলো এর সবচেয়ে বড়ো

উদাহরণ। আবার আমেরিকার এক ডলার নোটে এক চোখওয়ালা পিরামিড এর মাধ্যমেও এরা ইলুমিনাতিকে প্রোমোট করছে। ইলুমিনাতির এক চোখা প্রতীক এক চোখা দাজ্জালের

আগমনের পথ সহজ করে দিয়েছে আর যদি এই আর্টিকেল এ কোন ভুল  থাকে বা কোনো মতামত  দিতে চান  তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে আপনার মতামত জানাবেন

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles