মিনা! মিনা! তুমি তোমার ইচ্চাগুলান পূরণ করতাছো? মনে পড়ে চিরাচরিত এই সংলাপ গুলো? কি আবেগ, কি মায়া জড়িয়ে আছে! ৯০ দশকের এই সংলাপ যেন সেই পুরনো স্মৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
তবে আপনি যদি বিংশ শতাব্দীর পাঠক হয়ে থাকেন তবে এই শব্দগুলো আপনার কাছে অপরিচিত-ই মনে হবে।
যুগের অগ্রগতির স্পর্শ কার্টুনে ও বিদ্যমান। কার্টুন হচ্ছে শিশুদের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। বর্তমানে শিশুদের মৌলিক চাহিদার মধ্যে একটি হচ্ছে কার্টুন দেখা।
কার্টুন শিশুদের মস্তিষ্কে অনেক প্রভাব ফেলে। যা তাদের চলন-বলনে ও প্রকাশ পায়। চলতি দিন গুলো তে তাই দেখা যাচ্ছে।
হাস্যকর হলে ও সত্যি যে বাড়িতে শিশু রয়েছে সেখানে একটি কার্টুন চরিত্র ও রয়েছে। কোন শিশু স্পাইডার ম্যান, কেউ বা ব্যাটম্যান আবার কেউ বা নোবিতা!
কেউ স্পাইডার ম্যান, ব্যাটম্যান হয়ে পরিবারের সদস্যদের মারধোর করা নিয়ে ব্যস্ত কেউ বা নোবিতা হয়ে মায়ের সাথে মিথ্যা বলা নিয়ে ব্যস্ত। আমরা কি দেখাচ্ছি! আর শিশুরা কি দেখছে!
কি শিখছে! ৯০-দশকের কার্টুন আর বর্তমানের কার্টুনের নানা আলোচনা - সমালোচনা জানতে চান? তবে সাথেই থাকুন।
কার্টুন কি?
কার্টুন এর বাংলা আভিধানিক অর্থ হচ্ছে ব্যঙ্গ চিত্র। কাগজে একেঁ যে দ্বিমাত্রিক চিত্রকলা দর্শন করনো হয় তাই হচ্ছে কার্টুন।
কার্টুনের সূচনালগ্নঃ
ফ্লিপবুকের মাধ্যমে কার্টুনের সুচনা হয়েছে। পরপর রাখা ছবিগুলো ফ্লিপবুকের পৃষ্ঠাগুলোতে এমনভাবে রাখা হয় যেন তাড়াতাড়ি পৃষ্ঠাগুলো পরিবর্তন করলে মনে হবে একটা ছবি-ই নড়াচড়া করছে।
১৯৮২ সালে চার্লস এমিলে রেনড এর পরিচালনায় ফ্রান্সের প্যারিসে পৃথিবীর প্রথম অ্যানিমেটেড কার্টুন ‘পভরে প্রদর্শিত হয়।
৯০ দশকের কার্টুনঃ
এক সময় ছিল যখন শিশুদের বিনোদনের মাধ্যম কার্টুন ই ছিল। তখন ছিল না কোন ইউটিউব, ছিল না কোন কার্টুন চ্যানেল।
কার্টুন শুরু হওয়ার আগে সবাই পড়া শেষ করে অধীর আগ্রহে বসে থাকত। সবার ঘরে তখন টেলিভিশন ও ছিল না।
কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় ছিল কার্টুন দেখার। টেলিভিশন না থাকলে ও প্রতিবেশীর বাসায় কার্টুন দেখার জন্য শিশুরা ভিড় করত। এই ছিল নব্বই দশকের কার্টুনের অবস্থা।
মিনাঃ
‘আমি বাবা-মায়ের শত আদরের মেয়ে”....। গানের কথা গুলো পড়তেই যেন কানে সেই সুর বেজে ওঠে। নব্বই দশকের মিনা কার্টুনের এই গান টি তখন সব শিশুদের অত্যন্ত প্রিয় ছিল। এমন একটা গান যা শুনতেই মনের মধ্যে প্রানের সঞ্চার হতো।
১৯৯২ সালে বাংলায় ডাবিং করা প্রথম পর্বটি বিটিভিতে প্রচারিত হয়। মূলত দক্ষিন এশিয়ার মেয়েদের সামাজিক সমস্যা, সচেতনতা সৃষ্টি এবং প্রতিকারের প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত হয় মিনা কার্টুন।
তন্মেধ্যে যৌতুক বন্ধ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, শিশুদের স্কুলে যাওয়া, সাস্থ্যসম্মত পায়খানা, ছেলে মেয়েদের সমঅধিকার ইত্যাদি তুলে ধরা হয়।
শিক্ষণীয় বিষয়ঃ ‘মিনা’ আসলে একটা কার্টুন ছিল না, হাজারো মেয়ের অনুপ্রেরণার নাম ছিল। ‘মিনা’ কার্টুন প্রচার হওয়ার পর বাল্য বিবাহ, সমঅধিকার ইত্যাদি বিষয় সবার নজরে আসে।
‘মিনা’ হচ্ছে একটা আদর্শ চরিত্র।
এখান থেকে ভালোবাসা, মেয়েদের জীবনে পড়ালেখার গুরুত্ব, সামাজিক সচেতনতা, দায়িত্বশীলতা ইত্যাদি অনেক কিছুই শিখতে পারে।
ক্যাপ্টেন প্লানেটঃ
নব্বই দশকে “Earth, Fire, Wind, Water, and Heart. Let our power’s combine - এই কথাটা সব শিশুদের মুখ থেকেই শোনা যেত। অপশক্তির হাত থেকে পৃথিবীকে পাঁচ জন রক্ষা করে।
তাদের সব শক্তি কে একত্রিত করার মাধ্যমে Captain Planet কে ডেকে আনা হয় এবং সবার ধ্বনিতে বেজে উঠে -GO PLANET!
Captain Planet তখন অপশক্তির হাত থেকে রক্ষা করে। মাটি, পানি, আগুন, বাতাস, পানি এবং ভালোবাসা এই পাঁচটি উপাদান পৃথিবীতে বেঁচে থাকার
জন্য প্রয়োজন। আর এই পাঁচটি উপাদানের সমন্বয়ে ক্যাপ্টেন প্লানেট তৈরি।
শিক্ষণীয় বিষয়ঃ মানব সমাজ পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য ৫ টি উপাদানের অবশ্যই প্রয়োজন। একে অপরকে সাহায্য করা, ভালোবাসা-সহমর্মিতার শিক্ষা শিশুরা এই কার্টুন দেখে নিতে পারে।
Blue’s Clues:
Blue হচ্ছে নীল রঙের একটা কুকুর এবং তার বন্ধুর নাম হচ্ছে Steve।
তারা দুইজনে মিলে বিভিন্ন clue খুঁজে ফিরে। সেই clue নিয়ে তারা নানা রকম জিনিস তৈরি করে। তাদের অনেক বন্ধু ও রয়েছে।
তারা একসাথে গাড়ি, বাগান তৈরি করে, বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যায় আরো অনেক মজার কাজ করে।
শিক্ষণীয় বিষয়ঃ এর মাধ্যমে তাদের উদ্ভাবনী শক্তি বৃদ্ধি পাবে। সৃজনশীল কাজে এগিয়ে আসবে এবং পারস্পরিক সহোযোগিতার মনোভাব তৈরি হবে।
গডজিলাঃ
থ্রিলারধর্মী, অ্যাকশন, সায়েন্স ফিকশন এর যুগোপযোগী ধারনা নিয়ে নির্মিত ডেবিড হার্টম্যানের গডজিলা ১৯৯৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর পর্দায় আসে।
এখানে ৪০ টি এপিসোডের মাধ্যমে একদল গবেষক কিভাবে মানব পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থানের সুরক্ষা বজায় রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে বিশেষভাবে তা চিত্রায়িত করা হয়েছে।
শিক্ষণীয় বিষয়ঃ মানবজীবনে পরিবেশকে রক্ষা করা এবং বাস্তুসংস্থান কি সে সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়।
বর্তমান যুগের কার্টুনঃ
বর্তমানে শিশুরা অধিক পরিমানে কার্টুনের দিকে বেশি ঝুঁকে পরেছে। যুগ যখন আধুনিক কার্টুন ও তার ব্যাতিক্রম নয়।
নব্বই দশকের মত এখন আর কার্টুন দেখতে অপেক্ষা করতে হয় না। টেলিভিশনে ও এখন কার্টুনের নির্দিষ্ট চ্যানেল রয়েছে এবং ইউটিউবে ও কার্টুন দেখার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
ডোরেমনঃ
জাপানি ভাষায় নির্মিত ডোরেমন যা অল্প সময়ে অনেক খ্যাতি অর্জন করেছে। ভবিষ্যত থেকে আসা একটা রোবট বিড়াল এবং জাপানের একটা বালক নোবিতা কে নিয়ে। ডোরিমন ২২ -এর শতাব্দী থেকে বর্তমানে আসে নোবিতাকে সাহায্য করতে।
এ নিয়ে গল্পের যত যল্পনা-কল্পনা। কল্পলোক থেকে আসা বিড়াল ডোরেমন যে কোন সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা রাখে।
ডোরেমন এর কাছে থাকা সাড়ে চার হাজার গ্যাজেটের মাধ্যমে সে ভবিষ্যৎ কিংবা বর্তমানে যে কোন সময় যেতে পারবে।
বম্বে কপ্টার, টাইম মেশিন, হেয়ার ডোর তার মধ্যে অন্যতম। হেয়ার ডোর এর মাধ্যমে নোবিতা তার ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোন জায়গায় যেতে পারে।
এবং বোম্বে কপ্টার হচ্ছে ছোট আকারের হেলিকাপ্টার যা মাথায় দিয়ে ডোরিমন ও নোবিতা যে কোন স্থানে উড়ে যেতে পারবে। আর টাইম মেশিনের মাধ্যমে অতীত অথবা ভবিষ্যতে যেতে পারে?
শিক্ষণীয় বিষয়ঃ ডোরেমন বাচ্চাদের মনে অনেক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তারা ভাবতে শুরু করে নোবিতার মত গেজেট এর মাধ্যমে তারা ও উড়তে পারবে।
একটা কার্টুন যে বাচ্চাদের উপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা ডোরিমন প্রচারিত হওয়ার পর বোধগম্য হয়েছে। বাচ্চাদের চলন, বলন সব কিছুই নোবিতার মত হয়ে গিয়েছিল।
এবং নোবিতা তার মার সাথে প্রতিনিয়ত যে মিথ্যা বলত তার ও একটা প্রভাব দেখা গিয়েছে। এই ব্যাপারটি প্রসাশন এর নজরে আসলে বাংলাদেশে ডোরেমন নিষিদ্ধ করা হয়।
ফিনিয়াস অ্যান্ড ফার্বঃ
অনেকেই ধারণা করেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় কার্টুন ডেক্সটার্স ল্যাবরেটরি থেকে এই কার্টুনটি অনুপ্রানিত। ২০০৭ সালে কার্টুনটি ‘টুন ডিজনিতে’ নিয়ে শুরু হয়।
এই কার্টুনের কাহিনী দুই সৎ ভাই ফিনিয়াস ও ফার্ব কে নিয়ে। তাদের স্কুলের বন্ধুদের সাথে নিয়ে প্রতিদিন বাড়ির পিছনে নতুন নতুন জিনিস বানায় এবং পরীক্ষা চালায় তাদের বানানো জিনিস দিয়ে।
ফিনিসের বড় ক্যান্ডিস দুই ভাইয়ের কার্যক্রম মাকে দেখাতে নিয়ে আসতেই জিনিসগুলো আর দেখা যায় না।
এখানে আরও দুজন পাগলাটে চরিত্র রয়েছে -বিজ্ঞানী ড. হেইঞ্জডুফেন্সবার্গ, এবং সিক্রেট এজেন্ট পেরি দ্য প্লাটিপাস। ফিনিয়াস, ফার্ব ও তার বোন মানসিকভাবে সুস্থ নয়।
তারা যেখানে অবস্থান করছে এটা তাদের বাড়ি নয় বরং একটা মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্র। তাদের বানানো খেলনা আসলে গায়েব হয় না,
আসলে একটা নির্দিষ্ট সময় পর মানসিক কেন্দ্রের কর্মীরা খেলনাগুলো নিয়ে যায়। মানসিক কেন্দ্রে থাকাকালীন সময় তাদের তিন ভাই-বোনের কাল্পনিক মিশ্র অনুভূতি এখানে দেখানো হয়েছে।
শিক্ষনীয় বিষয়ঃ এখানে ঘটনা কোন কিছুই সুস্পষ্ট নয়। যা শিশুদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে।
সামুরাই জ্যাকঃ
কার্টুন নেটওয়ার্কে ২০০১ সালে প্রথম প্রচারিত হয় সামুরাই জ্যাকের।এখানে জ্যাক কে যাদু দিয়ে বর্তমান থেকে ভবিষ্যতে পাঠিয়ে দেয় শয়তান ‘আকু’।
জ্যাক একজন নির্ভীক, সা্হসী সামুরাই যে কি না তলোয়ার নিয়ে একাই শয়তান ডিমন ‘আকু’র বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকে। সে চেষ্টা চালিয়ে যায় অতীতে ফিরে যেতে।
শিক্ষনীয় বিষয়ঃ কাহিনীর অবাস্তবতার কারনে এখান থেকে শিশুদের মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কারন ভবিষ্যত মানুষ কখনো বলতে পারে না আর অতীত এ কখনো ফিরে যেতে পারে না।
বেন ১০:
বর্তমানে শিশুদের অন্যতম পছন্দের কার্টুন হচ্ছে বেন ১০। বেন টেনিস, ২০০৫ সালে কার্টুন নেটওয়ার্ক এ শুরু হওয়া বেন ১০ (Ben 10) এর মূল চরিত্র। ঘটনার পরিক্রমায় সে অমনিট্রিক্সটা পেয়ে যায় যা দ্বারা সে বিভিন্ন রূপ ধারন করতে পারে।
এবং পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলার সুত্রপাত ঘটায় এমন অসাধু ব্যাক্তিদের সাথে বেন লড়াই করে তাদের ধ্বংস করতে।
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারাত্মকভাবে আহত বেন কোমায় চলে যায়। এবং লাইফ সাপোর্ট এ থাকা অবস্থায় স্বপ্নের মধ্যে সে লড়াইয়ে সকলকে পরাজিত করে।
শিক্ষনীয় বিষয়ঃ মানুষ কখনো ভিন্ন রূপ ধারন করতে পারে না। তাই অসম্ভব কোন কিছু শিশুদের মনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
স্পাইডার ম্যানঃ
ইউটিউব খুলতেই যে কার্টুনটি চোখে পড়ে তা হচ্ছে স্পাইডার ম্যান। স্পাইডার ম্যানের প্রথম সিরিজের সাফল্যের পর একের পর সিরিজ অনলাইন দুনিয়ায় ঝড় তুলেছে এবং সফলতার সাথে টিকে আছে।
স্পাইডার ম্যান তার মাকড়সার সাহায্যে এক বিল্ডিং থেকে অন্য বিল্ডিংয়ে যাতায়াত করে অনায়েসে। আর ও অনেক অ্যাকশন দৃশ্যে দেখা যায় এই কার্টুন এ।
শিক্ষনীয় বিষয়ঃ স্পাইডার ম্যান এর অবিশ্বাস্য সব অ্যাকশন দৃশ্য শিশুদের কাছে বাস্তব বলে মনে হয় এবং শিশুরা স্পাইডার ম্যান এর মত অনুকরন করতে চায়, যা সম্ভবযোগ্য নয়।
কোন যুগের কার্টুন সর্বমহলে গ্রহনযোগ্যঃ
কার্টুন আসলে যে যুগের ই হোক না কেন, বস্তুনিষ্ঠ, বাস্তবিক চিন্তাধারার কার্টুন -ই সর্বমহলে গ্রহনযোগ্য।
শিশুদের মানসিক বিকাশ ও কার্টুন দেখার মাধ্যমে হয়ে থাকে। যা তারা প্রতিনিয়ত দেখছে তাদের মস্তিষ্ক তাই গ্রহন করছে। সেটা ভালো ও হতে পারে, খারাপ ও হতে পারে।
যেখানে মিনা কার্টুন দেখে বাল্যবিবাহ, সামাজিক সচেতনতা সম্ভব হয়েছে আবার ডোরিমন এর মত কার্টুন দেখে শিশুরা বিদেশি ভাষা এবং মিথ্যা কথা বলতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
শিশুদের কোমল মন যা দেখছে বাস্তব মনে করছে।
তবে নব্বই দশকের কার্টুনে শিক্ষনীয় অনেক কিছুই ছিল যা বর্তমান যুগের কার্টুনে নেই বললেই চলে ।
শিশুরা তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করছে কার্টুন দেখার পিছনে। বিদেশি চ্যানেল বাড়ার সাথে সাথে শিশুদের কার্টুন দেখার প্রবণতা ও বেড়েছে।
শিশুরা টেলিভিশন খুলতেই কার্টুন দেখার জন্য বায়না ধরে। নব্বই দশকে এত চ্যানেল ও ছিল না, এত কার্টুন ও ছিল না।
একটাই মাত্র চ্যানেল ছিল কিন্ত বাচ্চাদের দেখার মত উপযোগী কার্টুন ছিল। তবে অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন এ ক্ষেত্রে।
কার্টুনের মাধ্যমে শিশুদের মানসিক বিকাশ সম্ভব। তবে মানসিক বিকাশের পরিবর্তে যেন মানসিক অস্থিরতা তৈরি না হয়ে যায়।
You must be logged in to post a comment.