পরিক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়?
আপনি কি পরিক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারছেন না? অনেক চিন্তায় আছেন?
আজ থেকেই সব চিন্তা মাথা থেকে মুছে ফেলুন। মনে করেন আপনার কোনো চিন্তা নেই।
আজকে আমি তোমাদের মাঝে শেয়ার করব, কিভাবে পড়লে পরিক্ষায় ভালো ফলাফল করা যাবে!
লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার জন্য নিম্নোক্ত দোয়াটি ভালোভাবে পড়ে নিবেন তাহলে দেখবেন আপনি সবসময় লেখাপড়ায় আগ্রহী হতে পারবেন। আল্লাহ ভরসা
নিম্নের দোয়াটি মুখস্থ করে মাঝে মাঝে পড়বে–
অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।”
তুমি একজন ছাত্র। তোমার চিন্তা থাকবে সবার থেকে ভালো রেজাল্ট করার।
তুমি কেন অন্য কারো থেকে পিছিয়ে থাকবে। তুৃমি কেন ভালো রেজাল্ট করতে পারবে না? Why?
তোমাকে পারতেই হবে! যদি তুমি নবম শ্রেণিত একজন ছাত্র/ছাত্রী হয়ে থাকো তাহলে তোমার টার্গেট থাকবে SSC তে Gpa-5 তুলতে হবে। তোমার ইচ্ছা শক্তিকে জাগ্রত করতে হবে। কেন আমি পারবো না?
আমাকে যে পারতেই হবে। তোমার অভ্যাসকে Change করতে হবে। তোমার দিনের রুটিন তৈরি করতে হবে। রুটিন অনুযায়ী কাজ করলে অবশ্যই ভালো কিছু আশা করা যায়। তুমি একবার হলেও চিন্তা করে দেখবে, কেন তোমার বাবা -মা তোমাকে স্কুলে পাঠিয়েছে।
কেনই বা তারা তোমার পেছনে এত টাকা ব্যয় করছে
তোমাকে বুঝতে হবে।
তুমি এখন ছোট নেই। তুমি অনেক বড় হয়ে গেছো। ভালো কলেজে চান্স পেতে হবে। ভবিষ্যতে তোমাকে ভালো কিছু করতে হবে সে কথা ভেবে তোমাকে এগিয়ে যেতে হবে!
তুমি যদি এস.এস.সি তে ভালো রেজাল্ট করতে না পারো তাহলে অবশ্যই তোমার বাবা -মার মনটা অনেক খারাপ হয়ে যাবে। তারা মনে অনেক কষ্ট পাবে। মনে রাখবে তুমি একজন ছেলে। ভবিষ্যতে তোমাকে অনেক কিছু করতে হবে।
একটা কথা মনে রাখবে বাবা - মার মনে আঘাত দিয়ে পৃথিবীতে কোনো সন্তানই কখনো সুখী হতে পারে নি। বাবা -মা অবশ্যই তোমার কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করে। তাই বাবা - মাকে খুশি করার জন্য হলেও তুমি ভালোভাবে পড়াশোনা করো।
মনে রাখবে শিক্ষকরাও কিন্তু পিতা - মাতার সমতুল্য। সুতরাং, শিক্ষকদের সাথেও কখনো খারাপ আচরন করা যাবে না। সবসময় তাদের সঙ্গে ভালো আচরন করতে হবে, যেকোনো জায়গায় দেখা হলে সালাম দিতে হবে।
আমার কথা শুনে হয়তো এখনি গিয়ে পড়তে বসতে পারো। কিন্তু পরবর্তীতে পড়তে নাও ইচ্ছে করতে পারে। তোমার প্রত্যেকেরই হয়তো একটা করে স্মার্টফোন রয়েছে। পড়াশোনায় মন না বসার একটা বড় সমস্যা হলো এই স্মার্টফোন।
মোবাইলের নেশা আমাদের পড়াশোনা থেকে দুরে রাখে। তোমরা মোবাইল ফোন চালাও তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু একা বাড়িতে কখনো মোবাইল চালাবে না।
বর্তমানে আইসিটির দুটি দিক রয়েছে।
একটা হলো ভালো দিক, অপরটি হলো খারাপ দিক। আমার ধারণা অনুযায়ী পৃথিবীর ৯০% মানুষই খারাপ দিকটিকেই বেশি ব্যবহার করে।
কথায় আছে, মানুষ হাঁসতে হাঁসতে পাপ করবে, আর কাঁদতে কাঁদতে জাহান্নামে যাবে।
তোমরা আইসিটির ভালো দিকটিকেই ব্যবহার করার চেষ্টা করবে। সেটা তোমাদের জন্যই কল্যাণকর হবে। বর্তমানে আইসিটি যুগে মোবাইলের মাধ্যমেই পড়াশোনা করা যায়। কিন্তু আমরা তা করি না।
যেটা আমাদের জন্য কল্যাণকর সেটা থেকেই আমরা বিরত থাকি।
তাহলে কি চলবে ভাই। তোমরা মোবাইলের খারাপ ভিডিও দেখা থেকে বিরত থাকবে তাহলেই তোমার পড়ায় মনোযোগ আসবে। রাত জাগা থেকে বিরত থাকবে।
তোমাদের সুবিধার্তে আমি তোমাদের জন্য দৈনন্দিন কাজের রুটিন দিচ্ছিঃ
সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্তঃ-
(১) সকাল ৮টায় ঘুম থেকে ওঠবে।
(২)পাঁচ মিনিট ব্রাশ করবে ৮টা ২০ এর মধ্যে নাস্তা শেষ করবে।
(৩)৮ঃ২০ থেকে ৯ঃ২০ পর্যন্ত ইংরেজি পড়বে।
(৪) তারপর খাওয়া - দাওয়া শেষ করে ৯ঃ৩০ এ বিদ্যালয়ে যাবে।
(৫)দুপুরে টিফিন পর স্কুলে যাবে এবং ব্যাকরন বোর্ড বই পড়বে।
(৬)স্কুল ছুটির পর ৪ঃ২০ এর মধ্যে বাড়িতে আসবে।
(৭)তারপর আসরের নামাজ আদায় করবে
(৮)৬ঃ০০ টায় ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা পড়তে বসবে। স্কুলের অন্যান্য পড়া Compleated করবে ৮ঃ৩০ মিনিট এর মধ্যে।
(৯)রাত নয়টার মধ্যে খাওয়া - দাওয়া শেষ করে ঘুমাতে যাবে।
(১০)স্কুল থেকে আসার পর সময়ের মধ্যে কিছু সময় মোবাইলে কাটাবে।
এই দশটি নিয়ম মানতে পারলেই তুমি সার্থক। তোমার চিন্তার কোনো কারণ থাকবে না।এছাড়া উপরোক্ত দেওয়া দোয়াটি পাঠ করলে তোমার জীবন সফল হতে পারে।
নামাজ বাদ দিয়েন না ভাই। নামাজ পড়েন ভাই, এপারের থেকে ওপারের জীবন অনেক সুন্দর♥️।
সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এ কামনায় করি। আল্লাহ হাফেজ
You must be logged in to post a comment.