আসসালামু আলাইকুম। কে না স্বপ্ন দেখতে ভালবাসে? আর কে না জীবনে সাফল্য অর্জন করতে চায়। জীবনের লক্ষ্য এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা সবার ই আছে। অনেকে খুব সহজেই সাফল্য অর্জন করে থাকে। আর অনেকেই খুব কষ্টে সাফল্য অর্জণ করে থাকে।
সাফল্য কিঃ সাফল্য হচ্ছে কোন আগের নির্ধারিত কোনও লক্ষ্য এবং উদ্দ্যেশ্য অর্জনকেই বলা হয়। যে কোন লক্ষ্য বা উদ্দ্যেশ্য আগে থেকে পরিকল্পনা করে এবং কিভাবে বাস্তবে সাফল্য পাওয়া যায় তার জন্য মানুষ প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে থাকে। এই ছোট্র জীবনে একেক জনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে একেক রকমের।
কেউ স্বপ্ন দেখে একটি বাড়ি হবে, কেউবা স্বপ্ন দেখে একটি গাড়ি হবে, কারো বা একটি মাছের পুকুর হবে, কারো বা একটি ব্যবসা থাকবে, কেউবা ভালেঅ ক্যায়িরার গড়বে,কেউবা একটি কুটির শিল্প গড়বে, কেউবা সঞ্চয় করে আর্থিক দিক থেকে স্বাবলম্বী হবে, কেউবা সামাজিক মর্যাদায় নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করবে, কেউবা অনেক বড় স্বনামধন্য ব্যাক্ত হবে ইত্যাদি প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা স্বপ্ন বুনে নিজ মনে।
ধীরে ধীরে যখন এই প্রত্যাশা মনের মাঝে বিরাজ করে এবং তা বাস্তবে রুপ নেয় তখনই সাফল্য মানুষের সাফল্য আসে।
সাফল্য অর্জণ হ্ওয়ার কিছু উপায়ঃ যুগে যুগে ইতিহাসের পাতা ঘাটলে আমরা দেখতে পাই অনেক সাফল্য অর্জনের কথা। অনেক ত্যাগ, লড়াই করেও বহুজন সাফল্য অর্জন করেছে জীবনে। প্রত্যেকের সাফল্য অর্জনের পিছনে রয়েছে অনেক রহস্য। সাফল্য অর্জনের জন্য আমরা বেশ কিছু উপায় অনুসরণ করতে পারি।যেমনঃ
1) সময়ের মূল্যঃ ছোটবেলা থেকেই এককথা বহুবার শুনে আসছি। সময় কারোও জন্য অপেক্ষা করেনা। সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে। প্রতিটা সেকেন্ড এর মূল্য আছে। সঠিক সময়ে যদি কাউন্টারে পৌছতে না পারি অনেক গাড়িটিও মিস করতে পারি। তাই আমাদের উচিত সময়ের মূল্য দেওয়া। প্রতিটা সাফল্যের পিছনে রয়েছে সময়ের মূল্য। সময়ের কাজ সময়ে করা উচিত। তা না হলে সাফল্যে অর্জনের সহজে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়না।অনেক বাধার সম্মূখীণ হকে হয়।
2) ব্যাক্ত্বিবানঃ সাফল্য অর্জনের জন্য নিজের ব্যাক্তিত্ব ওক সুন্দরভাবে সকলের সামনে ফুটিয়ে তোলঅ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ভালো কিছু পেতে হলে আগে নিজেকে ভালোতে রুপান্দরিত করতে হবে। নিজেকে ব্যক্তিত্ববান হতে হবে। ভালো ব্যবহার এর মাধ্যমেই সকলের মন জয় করতে হবে। সকলের সাথে হাসিখুশি থাকতে হবে।
3) সাহসী হতে হবেঃ সাফল্য অর্জনের জন্য প্রতিটা বিষয়ে সাহসী হতে হবে। মনে বল নিয়ে প্রতিটা সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। সাহসিকতার সহিত তা অর্জন করতে হবে।প্রতিটা সমস্যার মোকাবিলা সাহস নিয়ে লড়তে হবে। মানুষের মনের সাহস হল অনেক গুরুত্বপূর্ন। যখন বিপদ আসে যদি সাহসিকতার সহিত তা মোকাবিলা করা সম্ভব হয় , তাহলে সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়।
4) পরাজয়ে ভেঙ্গে না পড়া : কোন কাজে পরাজিত হলে ভেঙ্গে পরা যাবেনা। সামনের দিকে মনটাকে শান্ত রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।পরাজয় হওয়া মানে জয়ের জন্য আর একটা নতুনপথ খুজে পাওয়া্ তাই ব্যর্থতার তিক্ব স্বাদ ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখবেন একবার ব্যার্থ হলে আরেকবার সুযোগ করে নিতে হয়। আলাদা পথ তৈরী হয়।
5) বাস্তবতা মানা: সাফল্য অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ন হল বাস্তবতা মানা। কোন কিছু ঘটলেই তা মানতে হবে এটিই হওয়ার ছিল। তাই ঘটেছে। আর মন্দ কিছু ঘটলে সতর্ক থাকতে হবে । যাতে পরবর্তীতে আর তার পূনরাবৃত্তি না হয়।
6) ইচ্ছাশক্তি এবং পরিশ্রম: সাফল্য অর্জনের জন্য নিজের ইচ্ছাশক্তি এবং পরিশ্রম দুটির খুব প্রয়োজন। প্রতিটা কাজে ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে। পরিশ্রম করতে হবে। অল্পতেই হতাশ হওয়অ যাবেনা। ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে মানুষ অনেক কিছু করতে পারে। সেই সাথে কঠেঅর পরিশ্রম এক পর্যায়ে মানুষকে সাফল্য এনে দেয়। কথাই আছে, পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। পরিশ্রম এর মাধ্যমে মানুষের সফলতা আসে।তাই অন
7) ধৈর্য ধারন: কোন কাজ করতে গেলে যদি বিপদে পড়েন , তাহলে ধৈর্য ধারন করতে হবে। অনেকে আপনাকে নিয়ে ঠাট্টাবিদ্রুপ, হাসাহাসি, গল্প করতে পারে। তা আপনাকে ধৈর্য ধড়ে শুনতে হবে। বিপদে ঘাবড়ানো যাবেনা। নিজেকে সামলিয়ে ধৈর্য্য ধারন করতে হবে।
8) জ্ঞান অর্জন: সফলতা অর্জনের জন্য জ্ঞান অর্জন করার বিকল্প নেই । ছোট কিংবা বড় মানুষ ধীরে ধীরে কোনও একটা বিষয় সম্পর্কে যখন জানতে চায় এবং অবশেষে জানতে পারে, সেই বিষয়টা যেন জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয়। প্রতিটা সাফল্য অর্জনের পিছনেই রয়েছে বিপুল পরিমান জ্ঞান অর্জণ করা। মানুষের জানার কোনও শেষ নাই। তেমনি জ্ঞান অর্জনের ও শেষ নেই । যে ভাবে সাফল্য অর্জণ করা যায় , সে বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। প্রয়োজনে বই ও পড়তে পারেন।
9) তর্কে লিপ্ত না হওয়া: প্রতিটা ভালোমন্দ বিষয় নিয়েই তর্ক বিতর্ক সংঘটিত হয়। তা আমাদের অজানা নয়। তাই কারনে অকারনে কারও সাথে তর্কে লিপ্ত হবেন না। আপনাকে বাধ্য করলেও আপনি তর্ক লিপ্ত হওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারেন।
10) মিষ্টভাষী হওয়া: কথাই আছে , একটি ভালো কথা দিয়ে , একটি সুন্দর মুখের ভাষঅ দিয়ে অনেকের মন জয় করা যায়। তাই সবসময় ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন ।সকেলের সাথে হাসিমুখে কথা বলেন।সবসময় ইচিবাচক মনোভাব মনের মধ্যে ধারণ করুন। দেখবেন নিজেকে আলাদা ব্যাক্তি হিসাবে মনে করবেন।
প্রেতিটা মানুষ তার মনে কিছু স্বপ্ন বুনে থাকে এবং তার সফলতা অর্জনের অনেক চেষ।টা করে থাকে। প্রতিসনয়ত লড়াই করে থাকে। প্রতিটা ব্যাক্তির মনেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আছে। একেক জনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একেক ধরনের। আবার কেউ কেউ প্রথমে ছোট ছোট স্বপ্ন দেখতে থাকে । ছোট স্বপ্ন গুলো পূরণ হলে বড় স্বপ্নের দিকে ঝুকে থাকে।
ধীরে ধীরে তা রুপান্তরিত হয়ে ব্যাপক আকারে ধারন করে। আর প্রতিটা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাফল্য অর্জণ করতে অনেক পরিশ্রম করে থাকে। অনেক সংগ্রাম করে থাকে। অনেক বাধার সম্মূখীন হন।সকল বাধা বিপত্তির মোকাবিলা করে মানুষ যখন তার মানসিক তৃপ্তি পায় তখনই তার সাফল্য অর্জন হয়ে যায়। আশারাখি , সবার স্বপ্ন পূরণ হোক আর সবাই সবার নির্ধারিত লক্ষে সাফল্য অর্জণ করে থাকুক। সবার সুস্থতা কামনা করি।
ধন্যবাদ সবাইকে
মোছা: শারমিন আক্তার সোনিয়া
You must be logged in to post a comment.