বরিশাল বিভাগের ছোট্র একটি জেলা দ্বীপ জেলা ভোলার অন্তর্গত মনপুরা উপজেলায় বসবাস করতেন মোঃ রুস্তম আলী,পেশায় তিনি ছিলেন একজন কৃষক,তার স্ত্রী নাম রহিমা খাতুন,পেশা গৃহিণী। তার ছেলে মোঃ সৌরভ। রুস্তম আলী কৃষি কাজ করে ভালো চলছিল তার সংসার তার ছেলে সুমন মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করে মনপুরা সরকারি (ডিগ্রী) কলেজে ভর্তি হয়।
সুমন কলেজে ভর্তি হওয়ার ৪-৫ মাসের মাথায় পরিচয় হয় সুমনা নামের সুন্দরী এক রমনীর সাথে চোঁখ দুটি টানা টানা মাথা চুল গুলো যেন মাটিতে পড়বে,রূপে গুণে প্রশংসনীয়,এভাবে পরিচয়ের এক পর্যায়ে তাঁদের দুজনের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তাঁদের প্রেম বেশ ভালোই চলে। একজন আরেকজনকে মানিয়ে চলে রাগ হাঁসি অভিমান হয় করে একজন আরে জনের সাথে।
এভাবে রিলেশন চলতে থাকে হঠাৎ একদিন সকাল ৯টায় সুমনা ফোন দিল সুমনের কাছে তুমি কোথায় আছ? সুমন বলল আমি তো বাসায় আছি। সুমনা বলল আমি তোমার জন্য বট তলায় অপেক্ষা করতেছি জলদি আস?
আধা ঘন্টা পর সুমন এসে বলল কি খবর তোমার? কেমন আছ? সুমনা জবাব দেয় আমি ভালো নেই,সুমন আমি আর আমাদের রিলেশনশিপ রাখতে পারছিনা। সুমন বলল কি বলছ এসব? সুমনা বলল হ্যাঁ যা বলেছি ঠিকই বলছি।
সুমন বলল কেন কি সমস্যা? আমি কি দেখতে খারাপ? আমি কি দেখতে ৮-১০ ছেলের চাইতে কম স্মার্ট??
জবাবে সুমনা বলে না। তুমি দেখতে খুবই হ্যান্ডসাম,কিন্তু এখন এগুলা দিয়ে জীবন চলেনা। প্রেম করতে হলে এখন লাগে টাকা। টাকা ছাড়া কোন কিছুই ভালো চলেনা।
তখনি সুমন বলল আরে!!! তোমাকে তো বলতেই ভুলে গেছি আমি যে চাকরির ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম আজকে সেটার কনফার্মেশন লেটার হাঁতে পেলাম, আর মাসে ৮০ হাজার টাকা স্যালারি।
সুমনা বলল তবুও আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবনা।
সুমন বলল কিন্তু কেন? সুমনা জবাব দেয় বিয়ের পর তোমার বাবা মায়ের সাথে থাকতে হবে। আমার জাস্ট এগুলা সহয্য হবেনা।
তখনি সুমন বলল আরে আমার অফিস থেকে তো একটা ফ্ল্যাট বাসাও দিবে থাকার জন্য।
সুমন বলল এবার তো আমাকে বিয়ে করা যায় নাকি প্রিয় তম? নাকি আমি চলে যাব?
তখনি সুমনা বলর কোথায় যাবে তুমি? আমি তোমাকে যেতে দিলেই তো তুমি যাবে। অনেক কথা হবার পর হঠাৎ সুমন বলল আচ্ছা প্রিয়তম তুমি আমাকে কতটুকু ভালোবাস? জবাবে সুমনা বলে আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। সুমনা সুমন বলে আচ্ছা তুমি আমাকে কতটুকু ভালোবাস?? সুমন হাঁসি দিয়ে বলল আমি তোমাকে একটুও ভালোবাসিনা।
সুমনা চমকে বলে কি বল এসব? সুমন বলল তুমি যেমন আমাকে একটুও ভালোবাসনা আমিও তোমাকে একটুও ভালোবাসিনা। সুমনা বলল তাহলে আমাদের এতদিনের ভালোবাসার কি হবে? তখনি সুমন উত্তর দিল তুমি তো আমাকে ভালোবাসা তুমি ভালোবাস আমার জব কে আমার ক্যারিয়ারকে,আর হ্যাঁ যে মেয়ে বিয়ের পর আমার বাবা মায়ের সাথে থাকতে পারবেনা সে মেয়েকে আমি বিয়ে করবনা।
আর হ্যাঁ আমার স্যালারিটা ৮০ হাজার না ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এই কথা বলেই সুমন চলে যায়,,,সুমন ডাকলেও আর পিছনে ফিরে তাঁকায়নি,,,,টাকার লোভের কারণেই ভালোবাসা নষ্ট হয়। অতএব কেউ টাকার মায়ায় পড়ে ভালোবাসাটা বিক্রি করে দিবেন না।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
You must be logged in to post a comment.