অনলাইনে ব্যবসা করে আজকের দিনে অনেকেই সফল হচ্ছে।অনলাইনে ব্যবসা করার অনেক উপায় আছে। ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাকে শুধু একটু বুদ্ধি খাটাতে হবে।আর কিভাবে আপনি আপনার ব্যবসাটিকে সকল ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিবেন সে সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
আপনি অনেক ব্যবসা করতে পারবেন।আপনি চাইলে আপনার অফলাইন ব্যবসাটিকে অনলাইন ব্যবসায় নিয়ে আসতে পারেন।অনলাইন ব্যবসা বাড়ানো জন্য আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটু ধরণা থাকতে হবে আর ফেসবুক অ্যাড এর ধারণা থাকতে হবে।
অনলাইন ব্যবসা আজকের দিনের বড় একটি ব্যবসা।অনলাইন ব্যবসায় তরুণ প্রজন্মের ছেলে মেয়ারাই বেশি লিপ্ত।অনলাইন ব্যবসা করা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
অনলাইন ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন?
এমন কোন পন্য নির্বাচন করতে হবে যেটা অনলাইন বাজারে আজকাল ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।এখন বেশিরভাগ মানুষই অনলাইনে জামাকাপড় বিক্রি করে থাকে।বেশিরভাগ লোক যেহেতু এই কাজগুলো করছে তো আপনি একটু ইউনিক মডেলের কিছু জিনিস বিক্রি করতে পারেন। নিত্যপ্রয়োজনী পন্য,পারফিউম,হাত ঘড়ি,কসমেটিক্স, ইয়ারফোন এগুলো কিন্তু সচরাচর কেউ বিক্রি করে না।
আপনি চাইলে কিন্তু এগুলো বিক্রি করতেই পারেন। আবার বিভিন্ন মৌসুমর বিভিন্ন ধরনের পন্য রেইনকোট, বর্ষার ছাতা ইত্যাদির হাইকোয়ালিটির পন্য রিসনাবল প্রাইসের মধ্য কাস্টমারকে দেওয়া লক্ষয রাখতে হবে।তবেই আপনার পন্যটি মানুষ কিনবে।
কোন ব্যবসা শুরু করলে ভালো হবে এটা সম্পুর্ন নির্ভর করে আপনার ওপর। যেকোন ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে।অনলাইন ব্যবসা করাটা আশ্চর্যজনক হলেও আজকের দিনে অনলাই ব্যবসা করা কোন ব্যাপার নয়। অনলাইন ব্যবসা যে কেউ করতে পারে। কিন্তু তার জন্য সেই ব্যবসার প্রতি একটা ভালোবাসা থাকতে হবে, একটা টান থাকতে হবে।যারা মোবাইলে অনলাইনে কাজ করেন, মোবাইল ঘাটতে পছন্দ করেন, যাদের মনে হয় তারা অনলাইনে কাজ করতে পারবেন তারাই হয়ত অনলাইনে ব্যবসা করতে পারবেন।
যাদের অনলাই ব্যবসা বিষয়ে স্কিল, যোগ্যতা ও দক্ষতা কম তাদের জন্য অনলাইন ব্যবসা নয়।তবে এগুলো যদি আপনি শিখে নেন তাহলে আপনিও অনলাইনে ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন।
ব্যবসা শুরু করার আগে অনেকেই স্বপ্ন দেখেন ফেসবুকে একটা পোস্ট দিব, ছবি দিব,মানুষ পছন্দ করবে আর অর্ডার দিবে।সেটা কুরিয়ার করে দিব।এই হলো অনলাইনের ইতিবৃত্ত। আসলেই কি তাই। আপনি অনেক চিন্তা করেন কিন্তু ব্যবসার নাম নিয়ে কি কখনো গবেষনা করেছেন।কখনো ব্রান্ড নিয়ে চিন্তা করেছেন কি। এটাই সবচেয়ে বড় ভুল।ব্যবসা শুরু করার আগে নিজেকে যথেষ্ট সময় দেওয়ার দরকার।
সেই ব্যবসা নিয়ে বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বের পরিস্থিতি নিয়ে।সেই ব্যবসা যার করছে, তাদের মতামত বা ট্রেনিং এর সুযোগ নেওয়া, সেই ব্যবসা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মিশন,ভিশন,টার্গেট, ফিজিবিলিটি স্টাডি, ট্রেন্ড,পণ্য বা সার্ভিস স্টাডি এবং আরো কিছু স্টাডি করার পর যদি মনে করেন, তবে এটি আপনি করতে পারবেন। তখন করবেন তার আগে নয়। খুব ভালো হয় এই রিলেটেড ব্যর্থ কিছু উদ্যেগতার পরামর্শ যদি নিতে পারেন।তাহলে আপনি কিছুটা ধারণা পাবেন।নিজে আগে ব্যবসা সম্পর্কে বুঝুন তারপরা এই ব্যবসায় নামুন।
ডোমেইন বা নাম নির্বাচন।
আপনার ব্যবসায়ের একটি সুন্দর নাম নির্বাচন করতে হবে।নাম নির্বাচনের জন্য কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করুন।
নাম হতে হবা ছোট। ডোমেইন নাম নিতে হবে। ডোমাইন না কিনে কেউ ব্যবসা করবেন না। তাতে আপনারই ক্ষতি হবে।
ট্রেডলাইসেন্স
ব্যবসা শুরু করার আগেই ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া উচিত।এটা একজন আদর্শ ব্যবসায়ীদের জন্য অবশ্যই পালনীয়।একটি বৈধ ব্যবসা আপনার বৈধ আয়ের সুযোগ।
বিনিয়োগ
বিনিয়োগ কত টাকা করবেন, কিভাবে করবেন এটা বুঝতে পারছেন না।এটা বুঝতে গেলে আপনকে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। টাকা থাকলেই যে সব একসাথে বিনিয়োগ করবেন তা কিন্তু না। শুরুতেই আপনাকে অল টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।ব্যবসার ধরণ অনুযায়ী বিনিয়োগের ধরণও নির্বাচন করুন।কিছু কিছু ব্যবসায় বিনিয়োগ এর টাকার পরিমাণ অনেক বেশি হয়।
কিন্তু অনলাইন ব্যবসায় শুরু করা যায় খুবই অল্প টাকায়। সেটা হতে পারে ১০-৫০ হাজার টাকা।। অনলাইন শপগুলোতে অনেক মানুষ ধরা খায় পণ্য স্টক,পণ্য নির্বাচনে অথবা পণ্য ডেলিভারি চ্যানেল স্ট্রং না থাকার কারণে।
সতরাং মনোযোগ দিয়ে বিনিয়োগের বিষয়টি মাথায় রাখবেন।অনেকেই আপনাকে এই স্তরে এসে কিছু বিচ্যুতি ঘটাতে পারে।তাই বিনিয়োগের বিষয়টি নিজে অনুধাবন করেই সিদ্ধান্ত নিবেন।
কিভাবে অনলাইন ব্যবসা শুরু করবেন?
১) অনলাইন ব্যবসায়ীরা যেহেতু ছবি দেখিয়ে লাইভ দেখিয়ে অর্ডার নেয় এবং কাস্টমার সরাসরি পণ্য দেখতে পায় না সএক্ষেত্রে অবশ্যই পণ্যের বিবরণের সাথে পণ্যের মিল রাখতে হবে।তা না হলে ধীরে ধীরে কাস্টমার কমে যাবে।
২) একজন ব্যবসায়ীর কাছে বিভিন্ন মানের এবং বিভিন্ন ধরনের পণ্য থাকে।যে পণ্যের অর্ডার হয় সেই পণ্য থাকে না সেক্ষেত্রে অনেকে কাছাকাছি অন্য কোন পণ্য দিয়ে দেয়। যেটা অনেক বড় একটা ভুল।এর ফলে বিশ্বস্ততা নষ্ট হয়ে যায় ।
৩) মনে রাখা উচিত আমার সব পণ্য আমার কাছে ভালোবাসার হলেও, ক্রেতা কিন্তু অনেক বাছাই করে একটা পণ্য পছন্দ করে।তার কাছে পণ্য্র সামান্য অমিলও অনেক বড় ভুল মনে হতে পারে।
৪) সব ক্রেতার ধারণা যে, টাকা দিয়ে কিনব ভালোটাই কিনব।কোন ক্রেতার যদি মনে হয় আপনার পণ্য গুণগত মানে সেরা তখন সেই ক্রেতা দুই টাকা বেশি হলেও সবসময় আপনার পণ্যই নিবে।
৫) অনলাইন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত হওয়া যেমন কঠিন তেমনই সহজ।হাজারো প্রতারকের ভিড়ে কেউ তার সততা ধরে রেখে এগিয়ে গেলে খুব তারাতারি তার সুনাম ছড়িয়ে পরবে।
৬) ক্রেতাকে সহযোগিতার মনোভাব রাখতে হবে।প্রয়োজনে পণ্য পরিবর্তন করে দেওয়া বা অথবা মানি রিটার্ন অপশন রাখা।
৭) প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন মানসিকতার ক্রেতার সাথে কাজ করতে হবে।অনেক সময় বিক্রেতাও বলেন বিরক্ত হয়ে যায় ক্রেতার আচরণে সেক্ষেত্রে কোন তর্কে না যেয়ে আপনি বলতে পারেন যে 'সরি, দিতে পারছি না' এই কথা বলে চুপ থাকাই ভালো।
৮) কিছু প্রোডাক্ট আছে যেগুলো হয়ত আজকে একটু কম চলতেছে কিন্তু ভবিষ্যতে বাজার ছেয়ে যাবে এমন কি কি প্রোডাক্ট আছে সে ব্যাপারে ধারণা রাখা।কারণ আপনি অবশ্যই চাইবেন যে আপনার বিজনেসটা লং টার্ম সাক্সেস পায়।
৯) আপনার প্রোডাক্ট প্রাইস এমন হতে হবে যাতে মানুষ অল্প খরচে সবচেয়ে ভালো প্রোডাক্ট পায়। তা না হলে আপনার প্রোডাক্ট কেউ কিনবে না।
১০) সময়জ্ঞান থাকা বেশ জরুরী।ধরেন আপনি যদি গ্রীষ্মকেলে হুডির বিজনেসে নামেন তাহলে হবে না।যেকোন ব্যবসায় সমজ্ঞান থাকাটা জরুরি।
এগুলো যদি আপনি করতে পারেন তাহলে আপনি অনলাইনে একজন সফল ব্যাক্তি হতে পারবেন।
আপনি যদি অনলাইনে ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি ফেসবুক পেজ থাকা লাগবে।কারণ আপনি আপনার এই ফেসবুক পেজ এর মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার ও সেল বাড়াতে পারে খুব সহজেই।এখনকার সময় এই ফেসবুক পেইজ এর মাধ্যমে ব্যবসা করে অনেকেই সফল হচ্ছেন।
তাই আপনি অনেকে অনলাইনে ব্যবসা করতে চাইলে একটি ফেসবুক পেইজ তৈরি করে নিন দেখবেন আপনার ব্যবসা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
You must be logged in to post a comment.