কেন বাংলা ভাষা সিয়েরা লিওনের ২য় রাষ্টীয় ভাষা ?

‘আমি গর্বিত আমি বাঙ্গালী।’ এই কথা আমরা কয়জন বলি ভাই? ‘আমার ভাষা বাংলা, আমি বাংলায় কথা বলি’ যদি এই বাক্য কাউকে গলা ছেরে বলতে বলি!!! গলা ছেরে থাক সঙ্কোচ বোধ করবে -আমার ভাষা বাংলা, আমি বাংলায় কতা বলি’ বাক্যটি বলতেই।তো আমরা কেমন বাঙ্গালী ভাই?

অশা করি ভালো আছেন ? আলহাম্দুলিল্লাহ্ আমিও অনেক ভালো আছি। অনেক তো জানলাম জ্ঞান, বিজ্ঞান, আয় - ব্যয়। চলুন না আজএকটু গর্ববোধ করি।

আজ আপনাদের সামনে যে প্রসঙ্গ নিয়ে আসছি তা হলো ‘সিয়েরা লিওন।’

যদি সিয়েরার একজন নাগরিককে জিঙ্গেস করা হয় -কেন বাংলার মানুয়কে বা সেনাদের কে ভালোবাসে, শদ্ধা করে এবং বিশ্বাস করে? বলবে- আপনাদের সাথে এগারো বছর কিংবা তারও বেশি সময় ধবে আছি, তো বাংলাদেশের সেনাবাহিনিদের কোনো খারাপ দেখি নাই।

যদি আবার বলেন,-যাইতে মন চায় বাংলাদেশে? বলবে কি জানেন??? না বোধ হয়।যদি জানতে চান ‘যাইতে মন চায় বাংলাদেশে?’ বলবে,- মন তো চায় কিন্তু টাকা-পয়সা কম।

একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালী জাতির একটি অবিস্বরণীয় দিন, এটি শুধু বাংলাদেশের নয় এখন এটি সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

মা, মাতৃভায়া এবং মাতৃভুমি একজন মানুষের প্রিয় তিনটি বিষয়। তিনটি যেন একই সূত্রে গাথা।সময়ের পরিক্রমায় আজ বাংলা ভাষা ছড়িয়ে পরেছে বিশ্বের সর্বত্র।

আজকে আমরা জানবো পৃথিবীর বুকে অন্য একটি দেশের কথা যেটির রাষ্ট্র ভাষা বাংলা। দেশটির নাম সিয়েরা লিওন। আমাদের প্রিয় বাংলা ভাসা সে দেশের রাষ্ট্র ভাষা হওয়ার পেছনে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক অভুতপূর্ব অবদান। কথা দিচ্ছি আর্টিকেল পরে  আপনিও গর্ববোধ করবেন বাঙ্গালী হিসেবে। বাংলাদেশ তেকে ১৫,০০০ কিলো মিটার দূরের দেশ সিয়েরা লিওন।বাংলা ব্যবহৃত হচ্ছে তাদের অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে। 

সিয়েরা লিওনকে বলা হয় চিরার খনির গরিব দেশ।অসংখ খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ প্রাকৃতিক সৈন্দর্য এ ভরপুরহলেও এ দেশের মানুষ খুবই দরিদ্র এবং অসুখি। সিয়েরা লিওনের সাংবিধানিক নাম সিয়েরা লিওন প্রজাতন্ত্র। দেশটি পশ্চিম আফ্রিকার আটলান্টিক মহাস্গরের উপকূলে অবস্খিত।

যার অয়তন ৭১৭৪০ বর্গ মিটার। আর জনসংখা প্রায় ৬০ লাখ। বিশ্বের সবচেয়ে ধর্মিয় দেশ হিসেবে প্রচুর সুনাম রয়েছে। সিয়েরা লিওনের মোট জনসংখার ৬০ শতাংশ মুসলিম, ৩০ শতাংশ আদিবাসি বিশ্বাসি, এবং ১০ শতাংম খ্রিষ্ঠান ধর্মাবলি। 

সিয়েরা লিওনের রাষ্ট্র ভাষা বাংলা হওয়ার পেছনে রয়েচে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক গর্বিত গল্প। বাংলাদেশ সহ ১৩ টি দেশ থেকে সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য পাঠায়। বাংলাদেশ থেকে সর্বো মোট প্রায় ১২, ০০০ সেনা পাঠায়। যারা সিয়েরা লিওনের শান্তি রক্ষার দায়িক্ত পালন করেন। সিয়েরা লিওনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবদান উল্যেখ করে শেষ করা যাবে না।

এক দশকেরও বেশি গৃহ যোদ্ধে যে দেশ প্রায় ধ্বংশের দ্বার প্রান্তে চলে এসেছিলো কেউ ভাবতে পারেনি সে দেমে শান্তি ফিরে আসবে এবং সে দেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। সেই অসাধ্য কাজটি করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মিশন চলা কালে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইংরেজির পাশা পাশি নিজেদের মধ্যে বাংলা ভাষাও কথা বলে আর এভাবেই বাংলাদেশের সংস্পর্সে থেকে থেকেে ইংরেজির পাশা পাশি বাংলা নামের নতুন এক ভাষায় পারদর্শি হযে উঠে সিয়েরা লিওনের মানুষ।

বাংলাদেশের মানুষেরা যেন শান্তির দূত হয়ে এসে ছিল সিয়েরা লিওনের কাছে। সেনা সদস্যদের মুখের ভাষাকেও সিয়েরা লিওনের মানুষ গ্রহণ করে খুব আগ্রহের সঙ্গে। বাংলাদেশি সৈন্য সদস্যরা ধোয্যের সহিত শেখাতে থাকে বাংলা ভাষা। 

ভাষার পাশাপাশি সিয়েরা লিওনের মানুষ পরিচিত হয়ে উঠে বাঙ্গালীর সংকৃতির সাথে। লক্ষ করা যায় যে যেসব অঞ্চলে বাংলাদেশি সেনা সদস্যরা ছিল সেখানকার স্থানীয় তরুন তরুণীরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে শুরু করে। সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রমে বাংলাদেশি শান্তি রক্ষি বাহিণী যুক্ত হওয়ায় বিভিন্ন সামাজিক সভা এবং সংকৃতিতেও বাংলা ভাষা এবং বাংলা সংকৃতি প্রবেশ করতে থাকে। স্থানীয় অনেক অনুষ্ঠানে বাঙ্গালি নাচ ও বাঙ্গালি গানপরিবেশন করতেও দেখা যায়। 

বাংলাদেশ সেনা দলের কল্যানে সেয়েরা লিওনে বাংলা ভাষা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। স্থানিয়রা কাজ চ্লানোর মত ভাষা শিখে নেওয়ার ফলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও দেশ পুণর্গঠনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অন্য দেশের শান্তি রক্ষি বাহিনীর চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকে। বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সামাজিক ও সেবা মূলক কার্যক্রমের ফলে বাংলাদেশের সেনা সদস্যদের ভালো বসিতে শুরু করে সিয়েরা রিওনের মানুষেরা।

২০০২ সাল থেকে শান্তি ফিরে আসে সিয়েরা লিওনে।বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সিয়েরা লিওনের শান্তিরক্ষায় যে ভুমিকা রেখেছে তার জন্য দেশটির সরকার এবং সাধারন নাগারকরাও কৃতগ্য।

দেশে শান্তি ফিরে আশার পর পরই দেশটির ততকালিন প্রেসিডেন্ট আহাম্মেদ ফিজান কাত্তা কৃতগ্যতা জানাতে একটুও দেরি করেন নি । তিনি বাংলাদেশি সেনা সদস্যকে চির স্বরণীয় করে রাখতে ২০০২ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর নির্মিত ৫৪ কিলো মিটার রাস্তা উদ্ভদােন কালে বাংল ভাষাকে  সিয়েলা লিওনের অন্যতম ভাষা হিসেবে ঘোষণা দেন।

পরবর্তিতে ততকালিন প্রেসিডেন্ট কাব্বা ২০০৩ সালে২১ অক্টোবর তিনদিনের জন্য বাংলাদেশ সফরে আসেন।

আমি বলতে চাই আমি গর্বিত আমি বাঙ্গালী।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments
Azad - Aug 12, 2021, 4:03 PM - Add Reply

আমি গর্বিত আমি বাঙ্গালী।

You must be logged in to post a comment.

You must be logged in to post a comment.

Related Articles