দশম শ্রেণীর ছেলের সাথে অষ্টম শ্রেণীর মেয়ে যখন রিলেশনে প্রেগন্যান্ট হয়।

এই গল্পে আমি একটা মেয়ে বলছি,আমার বয়স ১৫ আমি তখন অষ্টম শ্রেণীর পড়ি,, আমি তখন একটা নতুন স্কুলে ভর্তি হই আমার নতুন নতুন বন্ধু হয় বান্ধবী হয়।

সবাই সহ মজা করে স্কুলে যাওয়া আসা করতাম। স্কুলে অধ্যায়নরত অবস্থায় সেই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র আকাশ  নামে একটি ছেলের সাথে আমার পরিচিত হয়।

ছেলেটি দেখতে অনেক সুন্দর ছিল। স্কুলে অধানরত অবস্থায় ছেলেটির সাথে দেখা হল কথা হল পরিচিত হল। অবশেষে কয়েকদিন যাওয়ার পর ছেলেটি আমাকে প্রপোজ করলো ।

আমিও ভাবলাম যে ছেলেটি হয়তো অনেক ভালো তাই তার প্রপোজে  আমি রাজি হয়ে গেলাম,,আবার  ছেলেটা দেখতে অনেক সুন্দর ছিল তাই আমি রাজি হয়ে গেলাম।

যাইহোক তারপর এভাবে আমাদের প্রেম হয়ে যায়, দুজনের মধ্যে ফোন নাম্বার বিনি বিনিময় হয় ফোনে কথা হয়। ও সব সময় আমার খোঁজ খবর নিত কেমন আছি কি খাইছি,, অনেক খেয়াল রাখত আমার। আমি ভাবতাম যে ছেলেটা আমাকে সত্যি খুব অনেক ভালোবাসে।

এভাবে আমাদের প্রেম চলতে থাকে বেশ কয়েক মাস, আমি ছেলেটিকে খুব বিশ্বাস করতাম। আকাশকে আমি মন থেকে ভালবাসতাম আমি।

একদিন যদি আকাশ ইস্কুলে না আসতো ভালো লাগতো না আমার। এভাবে তিন থেকে চার মাস কেটে গেল। প্রতিদিন ফোনে কথা হতো ফোনে কথা বলতে বলতে আমাকে আকাশ বলতো,

এভাবে আর কত কথা বলবো ফোনে চলনা দেখা করি।আকাশ আর আমার বাড়ি ছিল এক গ্রাম পর।

তাই আমরা মাঝে মাঝে দেখা করতাম। কথা বলতাম।এভাবে চলতে থাকতে থাকতে আকাশ একদিন বলে চলো রাতে দেখা করি।

আমি প্রথমত না জানিয়েছিলাম।তারপর সে আমাকে অনেক ধরনের কথা বলতে থাকে আমাকে রাতে দেখা করার জন্য রাজি করিয়ে ফেলে। তারপরও একদিন রাতে আসে আমাদের বাড়ির পাশে।

তারপর আমিও বাড়ি থেকে বের হয়ে এসে রাতে দেখা করি ওর সাথে। প্রথমত ভয় লাগছিল আমার দূর থেকে কথা বলছিলাম ওর সাথে।তারপর ও বলে দূরে কেন একটু কাছে এসে কথা বল। 

আমি একটু ভয় ভয় ওর কাছে গিয়ে কথা বলতেছিলাম তারপর ও আমাকে জড়িয়ে ধরল। আমি তখন ভয় পেয়ে গেলাম ও বলল এত ভয়ের কিছু নেই এখানে কেউ নেই। 

তারপর আমি ওকে জড়িয়ে ধরলাম।তারপর স্বামী স্ত্রীর মাঝে যে সম্পর্ক  একটা তৈরি হয় ও আমাকে সেই সম্পর্কের কথা বলল।  আমি তাকে বললাম দেখো না এই সময়ে তো তাড়াতাড়ি এটা হতে পারে না।

ও বলল তাতে কি হয়েছে আমি তো তোমাকে অনেক ভালোবাসি আমি তোমাকে কখনো ছেড়ে যাবো না।  তারপর আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না আমাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেল। 

এরকম করে প্রথম রাত কেটে গেল।  তারপরে আবার স্কুলে যাওয়া আসা করতাম আমরা। আকাশ আমাকে এসব করার জন্য আবার।

আমি ভাবলাম আকাশ আমাকে খুব ভালবাসে। এরকম করলে কোন সমস্যা নেই। তারপরে এভাবে ৭-৮  দিন আমরা রাতে দেখা করি.. আমাদের মধ্যে অনেক কিছু হয়ে যায়,,

তখন বর্তমান আমার প্রায় প্রায় শরীরটা খারাপ যেত,, তারপর এক থেকে দেড় মাস পর আমি কিছু একটা বুঝতে পারি, যে আমি প্রেগন্যান্ট,

আমার মাথায় তখন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। আমি কিছুতেই এটা মানতে পারছি না। বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমি প্রেগন্যান্। এভাবে দুই মাস কেটে গেল ধীরে ধীরে আমার পেট বেড়ে যাচ্ছে ।

আমি এই অবস্থায় অনেক টেনশনে ছিলাম বাড়িতেও কিছু বলতে পারছি না। এই কথা কাউকে বলতে পারছিনা যে আমি প্রেগন্যান্ট।

আস্তে আস্তে পেট বেড়ে যাওয়াতে বাড়ি থেকে বুঝতে পারল যে আমি প্রেগনেন্ট আমার মা-বাবা। আরেকটা বড় কথা হল আমি আমার মা-বাবার দত্তক নেওয়া সন্তান।

আমাকে আমার মা-বাবা বকাঝকা করল। তারপর এই কথা আমি আকাশকে জানাই। সে অনেক চিন্তায় পড়ে গেল যে কি করবে এই বাচ্চা। এখনো তো আমাদের বিয়ের বয়সী হয়নি তার মধ্যে বাচ্চা।

আমার বাড়ির লোককে সবকিছু খুলে বলি আমার বাড়ির লোক তারপর আকাশের সঙ্গে কথা বলে। আকাশ এটা শুনে অনেক কান্নাকাটি করে যে কিভাবে তার ফ্যামিলিতে এসব জানাবে।

তারপর আকাশ আমার মাকে রিকুয়েস্ট করল তার বাড়িতে এসব না জানানোর জন্য। আমার মা বাবা এই কথা আমাদের বাড়িতে জানালো না,

এই ঘটনা সমাজের কাছে লুকানোর জন্য আমাকে গ্রামের বাইরে ঢাকায় পাঠালো আমার মামার বাসায়। তারপর আমার মামা আকাশকে নানা কথা বলে ঢাকাতে নিয়ে আসলো আমাদের বিয়ে দেওয়ার জন্য।

কিন্তু এসব ঘটনা আমাদের ফ্যামিলি জানতে পারলো। আকাশের বড় ভাই ছিল ঢাকায় চাকরি করত,। আকাশে বড় ভাই আমার মামার বাসা থেকে আকাশকে পালিয়ে নিয়ে গেল, তারপর ওদের ফ্যামিলির সাথে আমার ফ্যামিলি অনেক কথা কাটাকাটি হলো।

তারপর আমাদেরকে আবার গ্রামে নিয়ে আসা হল ঢাকা থেকে। তখন আমার প্রেগনেন্সির ছয় মাস চলে। যাইহোক এভাবে দুই ফ্যামিলি মিলেমিশে আমাদেরকে বিয়ে দিল।

আমি ভাবলাম আমার জীবন সার্থক কারণ জীবনে যা কিছু চেয়েছি তাকে পেয়েছি ভালোবেসে।

এভাবে বেশ কয়েক মাস কেটে গেল আমাদের সংসার জীবন। তারপর আমার বাচ্চা হল, ছেলে বাচ্চা হওয়ায়াতে পরিবারের সবাই খুব খুশি।আমার স্বামী দরিদ্র  ঘরে ছেলে হওয়াতে আমার স্বামীকে বাইরে যেতে হল কাজ করতে ঢাকাতে, তারপর আমার স্বামী ঢাকায় যায়।

এদিকে দিন যায় আমার বাড়ির লোক আমার সাথে তেমন ভালো ব্যবহার করে না।  কারণ হলো আমার বিয়ের সময় আমার বাবা আমাকে ১৫ কাঠা জমি লিখে দেয় আমার নামে,আর বিয়ের যৌতুক দেয় ১ লাখ 20 হাজার টাকা,  এক লক্ষ টাকা নগদ আর বিশ হাজার টাকা বাকি,

আমার শশুর শাশুড়ি আমাকে বলে, তোমার নামে যে ১৫ কাঠা জমি আছে সেই জমিগুলো বিক্রি করে দিয়ে টাকা এনে দাও আমাদের কাছে।

আমি বললাম যে না আমার বাবা-মা এখনো বেঁচে আছে আর আমি আমার বাবা আমার একমাত্র সন্তান আমার বাবা-মা যখন মারা যাবে তখন তো আমারই হবে সেই সম্পত্তিগুলো।

তাহলে এখন আমি কেন চাইতে যাব। আমি আনতে পারব না টাকা। আমার স্বামীর একজন বড় ভাই ছিল সে এখনো বিয়ে করেনি,

আমার স্বামীর  বড় ভাই বিদেশ যাবে এ জন্য আমার বাবা-মা কাজ থেকে টাকা আনতে বলে, আমি বলি যে না আনতে পারব না আমার স্বামী তো বিদেশ যাবে না এজন্য আমি আমার বাবা মার কাছ থেকে টাকা আনে দেবো।

এদিকে বিয়ের সময় যে ২০ হাজার টাকা বাকি ছিল বিশ হাজার টাকা আনার জন্য আমাকে চাপ দেওয়া হল। এ বিষয়গুলো নিয়ে বাড়ির সবাই আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে লাগলো।

এদিকে আমার স্বামী ঢাকায় আমার স্বামীকে এই বিষয়গুলো সব খুলে বলি।  কিন্তু আমার স্বামী  আমার কোন কথা শোনে না আমার বাড়ির লোকের কথা শুনে।

আমাকে বলে যে আমার বাবা-মা যায় বলবে তাই করবি। আমার স্বামী আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে লাগলো।  ঢাকাতে যাওয়ার পথে তেমন  ভাবে কথা বলে না।

ফোন দিল দুই মিনিটের বেশি কথা বলে না। তার যে একটা ছেলে আছে সেই ছেলেটার খোঁজ খবর নেয় না। তারপর একদিন আমার স্বামী  বাড়ি আসলো।

বাড়ি আসার পর এসব টাকা-পয়সার বিষয় নিয়ে আমার উপর অনেক খারাপ ব্যবহার করত মারধর করত। আমার স্বামী ও বলতো ওখান থেকে জমি জমা সব নিয়ে আসতে।

এসব নিয়ে বাড়ির সবাই আমাকে অনেক কথা শোনাতো। আমি যখন এসব বিষয়ে আমার বাবার বাড়িতে বলি। তখন আমার বাবা-মা আমার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে বলে। কিন্তু আমি বলি যে না আমার একটা ছেলে আছে আমি সংসার করে খাব।

তাছাড়া আমি আমার স্বামীকে খুব ভালোবাসি ভালবেসে বিয়ে করছি, ছেড়ে যাবো না কখনো।, কিন্তু আমার স্বামী তো আমাকে কখনো ভালোবাসে না, সে ভালোবাসে আমার টাকা পয়সা কে, তারপর আমার বাড়ির লোক বলল দেখ তোর যেটা ভালো মনে হয় সেটা কর,

কিন্তু আমি কি করবো এদিকে আমার বাড়ির লোক সবাই আমার ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু আমি তো জমি বিক্রি করে টাকা এনে দিতে পারব না কারণ আমার স্বামী তো আমাকে তেমনভাবে ভালোবাসে না।

টাকা দেওয়ার পর যদি আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তখন আমি কি করবো। 

না থাকতে পারবো স্বামীর ঘরে না থাকতে পারবো বাবা-মায়ের ঘরে।  এদিকে আমার স্বামী ও বলে দেখ তুই যদি টাকা আর জমি  না আনিস তাহলে আমি তোকে রাখতে পারব না।

এখন আমি কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা।।  আমি অনেক টেনসনে আছি যে কার কথা শুনব কার কথা না শুনবো। জীবনে না বুঝে অনেক বড় একটা ভুল করছি।

আমার সব ছোট বোনদের উদ্দেশ্যে একটা কথা বলছি, জীবনসঙ্গী বেছে নিতে কেউ কখনো ভুল করো না যেন আমার মত সারা জীবন পস্তাতে হয় ।

আর বিয়ের আগেও আমার মত এমন সম্পর্কে জড়াবে না যেন, আমার মত সারা জীবন এই ভুলের মাশুল দিতে হয়।, so consultant on your life not disguise,

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles