মানুষের সৃষ্টির মূল পৃথিবী, বসবাসের স্থান পৃথিবী, মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব কাজ চিন্তা ধারণা সবকিছুই পৃথিবী জুড়ে। এসব কিছুই যদি পৃথিবীটাকে নিয়ে হয়,
তাহলে আমরা পৃথিবী সম্পর্কে কতটুকু জানি?
মহাবিশ্ব বা মহাকাশ আমি বাদেই দিলাম,যদি এ বিষয়ে আপনাদের একটু আগ্রহ থাকে তাহলে এই পোস্টটি মনযোগ দিয়ে পড়বেন। আর না পড়লে আপনি মহাবিজ্ঞানী হয়ে যাবেন, আমি কোনো রসিকতা করছি না কারণ আমি কোনো বিজ্ঞানী নই তাই বলছি। এবার একটু মূল পর্যায়ে আসি। তার আগে চলুন জেনে নেই পৃথিবী বা মহাকাশ সম্পর্কে।
পৃথিবী কি?
পৃথিবী হচ্ছে একটি গ্রহ, যে গ্রহে প্রাণীর অস্তিত্ব আছে, মহাকাশের সাতটি গ্রহের মধ্যে পৃথিবী সেই গ্রহ।
তাহলে মহাকাশ কি?
মহাকাশ হচ্ছে বিশাল আকাশ যার কোনো সীমা নাই, যা শূন্য বা গ্যাসীয় অবস্থায় রয়েছে। এতে রয়েছে চন্দ্র,সূর্য, নক্ষত্র, উপগ্রহ,ছায়াপথ, গ্যালাক্সি, দূলি কনা থেকে শুরু করে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির সবকিছুই, যার কোনো অন্ত নেই সীমা নেই আর ভবিষ্যতে ও পাবলে বলে আমি মনে করি না। যাইহোক এ বিষয়ে যদি আমি বলে তাহলে আমি বলে শেষ করতে পরব না।
মহাকাশ বুঝলাম তাহলে সৌরজগত কি?
সৌর =অর্থ আমরা জানি যে সূর্য
জগত=অর্থ পৃথিবী, অর্থাৎ সূর্যের পৃথিবী বা সৌরজগত, পৃথিবীতে যেমন অনেকটা দেশ নিয়ে ঘটিত তেমনি সৌরজগত ঘটিত সাতটি গ্রহ নিয়ে, আর সেগুলো হচ্ছে, বুধ,শুক্র,পৃথিবী, মঙ্গল, শনি, উরেনাস,ও নেপচুন। বর্তমানে আর দুইটি গ্রহ আবিষ্কার হয়ে সেটি হল স্যাটারন, প্লেটো।
পৃথিবী মহাকাশে শূন্যে আকারে ভেসে আছে, আর এটি সম্ভব হচ্ছে মধ্যাকর্ষন শক্তির প্রভাবে এবং বিভিন্ন প্রকারের গ্যাস এর কারনে । সৌরজগতের প্রত্যেক গ্রহকে আকর্ষণ করছে সূর্য, যার কারনে প্রত্যেক গ্রহ সূর্যের চার দিকে ঘুরছে ।
পৃথিবীর অনুপাত প্রায় ৩,৯৫৯ মাইল। এটি সৌরজগতের পঞ্চম বড় গ্রহ। এর নামকরণ হয়েছিল হাজার বছর আগে, গ্রিক ও রোমানদের দ্বারা, তবে কেও কেও বলছে এর নাম হচ্ছে জার্মানেটিক আর্থ(Earth) ইংরেজিতে। আর বাংলাতে পৃথিবীর যা সবাই জানে।
পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ৩৬৫.২৫দিন,তবে ক্যালেন্ডার এর হিসেবে ৩৬৫দিন-ই ধরা হয়। আর এর লিপ য়িয়ার তো আছেই। পৃথিবীই একমাত্র গ্রহ যেখানে প্রাণ বা প্রাণীর অস্তিত্ব এবং লিকোয়ট পদার্থ অর্থাৎ পানি আছে। আর বিভিন্ন প্রকারের গ্যাসতো আছেই।
আমরা জানি যে পৃথিবীর উপরিভাগে রয়েছে মাটিসহ বিভিন্ন খনিজ পদার্থ যার স্তর উপর থেকে প্রায় হাজার মাইল নিছে, তাছাড়াও পৃথিবীর অভ্যন্তরে রয়েছে গলিত লোহা লিকেল সহ আর অনেক পদার্থ, যেখানে এর উদ্দীপ্ত আর্থাৎ গরম প্রায় ৭,৯৫৯ ফারেনহাইট।
যার জন্য দেখবেন বিভিন্ন দেশে ভোলকানো হয়ে এসব গলিত পদার্থগুলো বের হয়ে আসে অতিথির চাপের ফলে।
পৃথিবীর যদি দুদিকেই ঘর্ণীয়মান হয় অর্থাৎ তার নিজের দিকে এবং সূর্যের চার দিকে, তাহলে আমরা বা পৃথিবীর যাবতীয় বস্তু চিটকে যায় না কেন?
আগে চলুন জানি কয়েকটি সূত্র এবং পরে ব্যাখ্যা।
১.প্রথম হচ্ছে পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তি।
২পৃথিবীর তুলনায় চলমান বস্তু বা প্রাণী অনেকে ছোট।
৩.পৃথিবীর সাথে পৃথিবীর যাবতীয় সবকিছুই একইসাথে চলমান।
নিউটনের মধ্যাকর্ষন বল সম্পর্কে হয়তো আমরা সবাই জানি। এটি নতুন করে বলতে হলে অনেক সময়ের দরকার তাই এ বিষয়ে আর যাব না। মহাকাশের চেয়ে পৃথিবী সম্পর্কে অনেকেই অনেক কিছুই জানে, তাই বেশিরভাগ মহাকাশ নিয়েই আলোচনা করতে চাই।
যদি আপনি মহাকাশ নিয়ে ভাবেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতা কতটুকু। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে মানুষ অনেকটাই এ সম্পর্কে জানতে পেরেছে। মহাকাশে অনেক মহাকাশযান থেকে পৃথিবীর দিকে তাকালে পৃথিবীটাকে একটা ফুটবল এর সমান দেখা যায়, তাহলে ভেবে দেখ মহাকাশটা কত বড় ৷
শুধু এই কেন বিজ্ঞানীরাতো এখন পর্যন্ত মহাকাশ সম্পর্কে ১% ও জানতে পারেনি আর কখনো এ সম্পর্কে জানতে ও পারবে না। বাকিটা শুধু সৃষ্টিকর্তাই জানেন। হয়তো আপনারা আমার এই কথাগুলো বিশ্বাস করবে না।
শুধু পৃথিবী কেন মহাকাশে যত গ্রহ, নক্ষত্র রয়েছে তা মহাকাশের তুলনায় মারবেল এর সমান ও না। তাহলে ভেবে দেখুন সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির পেছনে কতইনা রহস্য রয়েছে। যাইহোক আসা করি সবাই একটো হলেও বুঝতে পেরেছেন।
You must be logged in to post a comment.