এক বোকা ছেলে মনের আনন্দে ন্যাড়া ছাদের উপর ঘুড়ি উড়াচ্ছিল ছেলেটি ঘুড়ি উড়াতে উড়াতে এতই মেতে গেছিল যে, তার আর দিক বিদিক জ্ঞান ছিল না। তার সঙ্গীসাথী ছেলেরাও তাকে উৎসাহ দিচ্ছিল।
ঘুড়ি উড়াতে উড়াতে ছেলেটির একটি পা ছাদের বাইরে এসে পড়েছে, কিন্তু সে এত আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে গিয়েছিল যে পরক্ষণেই ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু ঘটবে তা বুঝতে পারছিল না।
এমনকি অন্য ছেলেরাও ঘুড়ি ওড়ানোর মজা দেখে হাততালি দিয়ে তাকে আরও মাতিয়ে দিচ্ছিল। কিন্তু তারা তাকে সাবধান করে দিল না ।
এমন সময় সেই পথ দিয়ে একজন বুদ্ধিমান লোক আসছিলেন। তিনি ছেলেটির এভাবে ঘুড়ি উড়ানোর ফলে নিচে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে মরণ ঘটবেই, তা বুঝতে পেরেই কারও কথা না শুনে ছাদের উপর গিয়ে সজোরে ছেলেটির হাত ধরে টেনে আনলেন।
লাটাই কেড়ে নিলেন এবং ঘুড়ির সুতো কেটে দিলেন। তখন ভদ্রলোকটিকে ওই ছেলেটি আর তার সাথীরা বাজে ও নোংরা ভাষায় গালি দিতে লাগল।
তাঁকে চোর, বদমাস, গুন্ডা ইত্যাদি নানাভাবে হাঁকতে থাকল এমনকি কোন কোন ছেলে তার মা বাবাকে বলে তাঁর নামে ফৌজদারী মামলা করবে- এভাবে শাষাতে লাগল।
কেউ আবার তাঁকে মারতে পর্যন্ত উঠল। এই সব সয়ে নিয়ে সেই ভদ্রলোকটি ছেলেটিকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচালেন।
হিতোপদেশ। আমরা এই জড় জগতে আমাদের মনের ভালো লাগা জিনিস নিয়ে মেতে থাকি, কিন্তু পরিণামে তা আমাদের কেবল দুঃখই দেয় । আমরা সেই দুঃখের কথা চিন্তা করি না। কেবল সুখের বিষয় পেলেই খুশি হই।
অথচ যদি কোন সাধু এসে প্রকৃত সুখী থাকার উপদেশ দেন, হয়তো সেখানে প্রাথমিক ভাবে সেটি শুনতে খারাপ হলেও পরিণামে যে ভাল হবেই তা না জেনে তার উপদেশ অবহেলা করি।
সত্যিই যদি আমরা প্রকৃত মঙ্গল চাই তবে সাধু গুরু বৈষ্ণবের নির্দেশ পালন করে আমাদের জীবন সার্থক করা উচিত।
very informative content. Nice
You must be logged in to post a comment.