ইসলামের ইতিহাস।

মুসলিমদের রোম বিজয়ের কাহিনী। জানলে আপনিও অবাক হবেন।

ইসলামের ইতিহাসে যুদ্ধে মুসলমানদের অনেক বিজয়ের নজির রয়েছে। সন‍্য কিংবা লঘুবল কম থাকলেও ইমানের জোড়ে অনেক যুদ্ধে মুসলিমরা জয়ী হয়েছে।

শুধু তাই নয় আল্লাহ্ তায়ালার পক্ষ থেকে আসমানি ফেরেশ্তা দিয়ে মুসলিমদের সাহায্য করা হয়েছে।

মুসলিমদের একটি বড় বিজয় হচ্ছে রোম বিজয়।

কিভাবে মুসলিমরা রোম বিজয় করলো এর পেছনের ইতিহাস কী তা জানাব আজকের আর্টিকেলে। তাই পুরো আর্টিকেল পড়র অনুরোধ রইল।

রাসুল (স.) মদিনাতে হিজরতের পরে সেখানে ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। এই রাষ্ট্রের পরিচালনা হতো আল্লাহর নিকট মনোনিত একমাত্র জীবন ব‍্যাবস্থা অনুযায়ী। রাসুল (স.) সময় থেকেই সে জীবন ব‍্যাবস্থা ও আদর্শের ধারক বাহকগন  দাওয়াত ও যুদ্ধের মাধ‍্যমে সেই আদর্শকে তাবদ মানবতার কাছে পৌঁছে দেওয়া শুরু করেন।

মদিনার বাইরে নতুন নতুন অঞ্চলে যেসব অঞ্চলের শাসকরা নিজেদের খোদা হোয়ে বোসে ছিল সাধারণ মানুষের উপর।নির্যাতন ও শোষন করে অতিষ্ঠ করে তুলে ছিল মানুষদের।

কেউ কেউ রাসুল (স.) ও খলিফা গনের দাওয়াতে ইসলাম গ্রহন করতো। আবার কেউ কেউ জিজিয়া দিয়ে রাষ্ট্রে বসবাস করতো। এই ভাবে মুসলিমরা একের পর এক শক্তিশালী রাষ্ট বিজয় করে ইসলামকে নিয়ে যায় দূর থেকে দূরে।

ততকালীন বিশ্বের পরাশক্তি ইসলামি রাষ্ট্রের গোড়াপত্তনের আগে পৃথিবীর পরাশক্তি হিসেবে রোম সাম্রাজ্য বাইজেনটাইন ও পারস‍্য সম্রাট আত্ন প্রকাশ করে। রোমের সিমানা ছিল সিরিয়া থেকে পশ্চিমে স্পেন পযর্ন্ত। আর পারস‍্যের সিমানা ছিল ইরাক থেকে  খোড়াছান পযর্ন্ত।

রোম এবং পারস‍্য যুগের পর যুগ ধরে একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতো। ৬০৩  খ্রি দিকে রোমান দের সঙ্গে পারসিয়ানদের যুদ্ধ শুরু হয়। পারসিয়ানরা একের পর এক রোমান সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল দখল করে নিচ্ছিল রোমানরা ছিল খ্রিষ্টান।

অন‍্যদিকে পারসিয়ানরা ছিল অগ্নি পূজক। এক পর্যায়ে যুদ্ধ টা ধর্মীয় যুদ্ধে রুপ নেয়। ৬১৫ খ্রি পারসিয়ানরা দামেস্ক এমন কি বায়তুল্লাহ  মাকদিস জয় করে। সেসময় 

মক্কায় রাসুল (স.) এর সঙ্গে  মুশরীকদের নুন এক ধরনের যুদ্ধ চোলছিল রোমাদের পরাজয়ের খবর শুনে  মক্কার মুশরিকরা খুশি হয় কারন পারসিয়ানরাও তাদের মতো পর্তুলিগ।অন‍্য দিকে মুসলিমদের সঙ্গে  রোমানদের অনেক মিল ছিল উভয়ের নবী আসমানি কিতাব ও আখেরাতর ইত‍্যাদিতে বিশ্বাসী তাই রোমানদের এই পরাজয়ে মুসলিরা দূঃখিত হয়েছিল।

মোশরেখরা তখন মুসলমানদের সাথে এই নিয়ে ঠাট্টা করতে শুরু করে তখন আল্লাহ্ কোরআন নাযিল করলেন। রোমানরা পরাজিত হোয়েছে সুরা রোম আয়াত ২। পরবর্তী আয়াতে রোমানদের বিজয়ের ভবিষ্যত বাণী  করা করা হয়েছে।

আল্লাহ্ তায়ালা বলেন নিকটবর্তী এলাকায় এবং তারা তাদের পরাজয়ের পর এতি শিঘ্রই বিজয়ী হবে। কয়ক বছরের মধ‍্যে অগ্রগতি কাজ আল্লাহ্ তায়ালার হাতেই সে দিন মুমিরা আনন্দিত হবে সুরা রোম আয়াত ৩-৪। 

কোরআনের এই বাণী সত‍্য হোয়েছিল। রোমানরা জেরুজালেম ও পার্শবর্তী  এলাকা মুক্ত করে। এবং তারা ইরানের সবচাইতে বড় অগ্নিকুন্ড ভেঙ্গে ফেলে।  অর্থাৎ  মাত্র নয় বছরেরের মধ্যেই রোমানরা পারসিয়ানদের উপর চুরান্ত বিজয় অর্জন করে।

ঠিক একই সময় মুসলিমরা মক্কায় মোশরেকদের বিরুদ্ধে 

বদরের যুদ্ধে জয় লাভ করে। 

রোমানদের সাথে মুসলিমদের যুদ্ধ।

রাসুল (স.) এর সময় থেকেই রোমের সাথে সদ‍্য প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্টে যুদ্ধ শুরু হয়। একবার রাসুল (স.) হারেস ইবনে উমায়ের রা. কে এক চিঠি দিয়ে বর্ষার গর্ভনরের কাছে দূত হিসাবে পাঠান তখন রোমের কাই নিযুক্ত বালাকাই অঞ্চলের গর্ভনর দূত কে হত‍্যা করে।

দুতকে হত‍্যা করা ততকালীন সময়ে যুদ্ধ ঘোষনার সামিল ছিল। তাই মোসলমানদের তিন হাজার সৈন‍্য বাহিনী নিয়ে  রোমানদের দুই লক্ষ সেনাবাহিনীর উপর আক্রমণ করে।

এটি ইসলামের ইতিহাসে মোতার যুদ্ধ হিসাবে প্রসিদ্ধ।

খালিদ বিন ওয়ালিদ রা. এর মুদ্ধিমত্তায়  সেই যুদ্ধে মুসলিমরা জয়লাভ করেন। পরে মোতার যুদ্ধ ও তাবুকের অভিযানের পরে রাসুল (স.) সর্ব শেষে ওছামা রা. কে সেনাপতি নিযুক্ত কোরে রোমানদের বিরুদ্ধে সর্ব শেষ  বাহিনী পাঠান।

ইসলামের প্রথম খলিফার সময় তিনি সেই বাহিনীর নেতৃত্ব  অপরিবর্তিত রেখে সামনে অগ্রসর হতেবলেন। রাসুল (স.) এর ওফাতের পরে যখন ইরাকের বিভিন্ন গোত্র বিদ্রোহ করে বসে। তখন খলিফা মুসানা রা.

কে দিয়ে সুকৌশলে বিদ্রোহ দূর করে ইরাকের মুসলমানদের নিয়ে এক বিশাল বাহিনী গোড়ে তোলেন। 

তারা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন‍্য ইরানের দিকে এগিয়ে যান। অন‍্য দিকে খালিদ রা.কে মদিনা থেকে  ইরাকের দিকে অভিযানে পাঠানো পর পরই খলিফা আবু বকর রা. সৈন্যদের পতাকা দিয়ে একেক দিকে পাঠিয়ে দেন। এবং ইয়াজিদ এবনে আবু সুফিয়ান কে দামেস্কের দিকে পাঠান।

আবু উবাইদা ইবনে জাররাকে ফিলিস্তিনের দিকে দায়িত্ব  দিয়ে পাঠান।

পথে আবু উবাইদা রা সেই বলাকা অঞ্চলের জনগনের সাথে সন্ধির মাধ্যমে বলাকা জয় করেন। সিরিয়াই এটিই প্রথম সন্ধি চুক্তি।

মুসলিমদের সিরিয়া জয়।

মুসলিমরা যখন সিরিয়ার দিকে আগোমন করেন। তখন রোমান সম্রাট ভয় পেয়ে যায়। কারন সে জানতো রাসুল (স.) শেষ নবী  আর তাদের খ্রিষ্টান ধর্মের সময় শেষ হয়ে গেছে। আল্লাহ্ তায়ালার মনোনীত শেষ ধর্ম ইসলামের আবির্ভাব ধোটেছে।

আবুবকর রা এর মোট সৈন‍্য ছিল ২১০০০। এবং তাদের সাহায্য করার জন‍্য ইকরিমা ইবনে আবুজাহেলের ৬০০০সৈন‍্য। রোমানের ২ লক্ষ সৈন্যের বীপরিতে মুসলিম বাহিনী কম হওয়াই তারা খলিফার নিকট সাহায্য চান।

তখন খলিফা খালিদ বিন ওয়ালিদ রা কে ইরাক থেকে সিরিয়া যেতে নির্দেশ দেন।

খালিদ রা পাঁচ দিন পর তার নয় হাজার সৈন‍্য নিয়ে এসে তিনি ইয়ামুকের যুদ্ধের মূল সেনাপতি নিযুক্ত হন।খালিদ রা সেখানে গিয়ে দেখেন মুজাহিদগন তখন জিহাদ করছে।

অন‍্য দিকে তার আগমনের সংবাদ পেয়ে রোমানরা মুসলিমদের সাথে সন্ধি করার আগ্রহ প্রকাশ করে।

আর সিরিয়াই ছিল রোমান সাম্রাজ্যের মুসলিমদের  প্রথম জয়কৃত এলাকা। 

ততকালীন মারওয়াএর আরবা অঞ্চলে আমর ইবনে আস রা নেতৃত্বে  মুসলমানদের সাথে রোমানরা যুদ্ধে রত ছিল। সেখানে মুসলিমদের সাহায্যে খালিদ রা আবু উবাইদা রা সুরাহবিল রা ও মুসাদ রা মুসলিম সৈন্যদের নিয়ে হাজির হলে।

আযমাতাইনের যুদ্ধ শুরু হয়।এই যুদ্ধে রোমানরা ছিল ২ লক্ষ ৪০ হাজার।আর মুসলিম  মুজাহিদরা ছিলেন মাত্র ৪০ হাজার। অবশেষে মুসলিমরাই কাফেরদের পরাজিত করেন। কাফেরদের সেনাপতি কাইকালান নিহত হন। 

সর্বপরি বলা যায় শুধু সংখ্যা দিয়েই যুদ্ধে বিজয় লাভ করা সম্ভব নয়। যুদ্ধে বিজয় লাভ করতে হলে আল্লাহ্ তায়ালার রহমতের প্রয়োজন আছে। যেটা মুসলিমদের সাথে রয়েছে। আর যুগে যুগ ইসলামের জয় হয়েছে। 

ইসলাম শান্তির ধর্ম।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ওসমানীয় সাম্রাজ্যের সেনাবাহিনী আল আকসায় (ফিলিস্তিনে)মোতায়েন ছিল।

এতে ভেঙ্গে পরার কিছু নেই।খেলাফত পতনের পর সবাই বলেছিল ইসলাম শেষ। ভাই ইসলাম পরাজিত হওয়ার জন‍্য আসেনি । আল্লাহ নিজে এর হেফাজত কারী। খিলাফত পতনের দুইশত বছর পর খ্রিষ্টানদের থেকে জেরুজালেম মুক্ত করলেন সালাউদ্দিন আয়ুবী। ইরাকের নাম না জানা একজন বস্তির ছেলে সালাউদ্দিন আয়ুবী।

তারপর আবার খিলাফত পতন হলো মুসলিমরা ভেঙ্গে পড়ল এই বুঝি ইসলাম শেষ। তার পরেই আসলো উসমানীয় সাম্রাজ্য।তারা প্রায় ছয়শত বছরেরও বেশি সময় মুসলিম ইতিহাস সমৃদ্ধ ও মুসলমানদের নেতৃত্ব দিয়েছে। এখনো ১০০ বছর অতিক্রম করেনি ইসলামি সাম্রাজ্য শেষ হবার। তাই এত হতাশার কিছু নেই।

আপনি  কল্পনাও করতে পারবেনা।আল্লাহ কিভাবে পূনরায় পৃথিবীতে ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠিত করাবেন।

রাসুল স. এর একটি ভয়ংকর স্বপ্ন সম্পর্কে।

সহিহুল বুখারী ৭০৪৭ নং হাদীস।

স‍াইয়‍্যিদুনা সামুরা বিন জনুদুব  রা থেকে বর্ণিত।

রাসুল স. প্রায়ই  তার  সাহাবাদের কাছে জিজ্ঞাসা করতেন। তোমাদের কেউ কি কোন স্বপ্ন দেখেছ।

সাহাবীদের কেউ কোনস্বপ্ন দেখলে তাকে তা বোলতেন।

রাসুল স.একদিন সকালে সাহাবাদের কে লক্ষ করে বল্লেন। গত রাতে দুই জন আগোন্তুক এসে আমাকে ঘুম থেকে উঠায় তারা আমাকে বলে চলুন।

আমি তাদের সাথে হাটতে শুরু করলাম। চলতে চলতে এক জায়গাই গিয়ে আমরা দেখি।

এক লোক শুয়ে আছে এর এক লোক তার পাশে পাথর নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

পাথরটি সে শুয়ে থাকা লোকটির মাথায় সযোরে ছুড়ে মারছে।প্রচন্ড আঘাতে তার মাথা টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে।

আর পাথরটিও ছিটকে দূরে যাচ্ছে। লোকটি পাথরটি তুলে নিয়ে আসছে।সে পাথর নিয়ে আসতে না আসতেই তার টুকরো হওয়া মাথাটি আবার ঠিক হয়ে যাচ্ছে।

সে ফিরে এসে পুনরায় লোকটির মাথায় আঘাত করছে।

এভাবেই চলছে। আমি আমার সাথী দয়ের কাছে যানতে চাই কে উরা। 

ওরা বলে সামনে চলুন।আমরা  চলতে থাকলাম।

হাটতে হাটতে আরেক জায়গাই এসে দেখি। এক লোক চিত হোয়ে শুয়ে আছে। আরেক লোক তার পাশে লোহার আকরা নিয়ে দাড়িয়ে আছে। সে শুয়ে থাকা লোকটির এক দিকে এসে এক কোপে তার চোয়াল থেক ঘাড় পর্যন্ত চলে যাচ্ছে। এবং অনুরুপ ভাবে নাক ও চোখ চিড়ে 

মাথার পেছনে চলে যাচ্ছে।

তার পর লোকটি চেহারার অপর পাশে যাচ্ছে এবং একই কাজ করছে। এবং সামনে আসতে না আসতেই চেহারা আবার ঠিক হয়ে যাচ্ছে।ইভাবেই চোলছিল।

আমি আমার সাথিদের কছে জিজ্ঞেস করলাম  কে উরা।

তারা বলল চলুন সামনে চলুন।

আমরা সামনে চলতে লাগলাম। চলতে চলতে এক জায়গাই এসে দেখি চুলার মতো শরু প্রকন্ড এক গর্ত। ভেতর থেকে চিৎকার চেচামেচির শব্দ শোনা যাচ্ছিল।

আমারা কাছে গিয়ে উকি মেরে দেখি ভেতরে কিছু উলঙ্গ নারী পুরুষ আগুনে পুড়ছে। এবং তারা চিৎকার করছে।

আমি জিজ্ঞাসা করলাম কে ওরা। তারা বলল সামনে চলুন।

আমরা চলতে লাগলাম। হাটতে হাটতে আমরা একটি নদীর পাশে এসে পৌছায়। পানি রক্তের মতো টকটকে লাল এই পানিতে একটি লোক শাতার কাটছে। আরএক লোক দাঁড়িয়ে আছে এবং অনেক পাথর জড়করে রেখেছে। সাতার কাটা লোকটি বেশ কিছুখন সাতার কেটে তীরের লোকটির কাছে যাচ্ছে আর তার মুখ হা করছে।

তীরে থাকা লোকটি তার মুখে একটি পাথর ঢুকিয়ে দিচ্ছে। লোকটি মুখে পাথর নিয়ে সাতার কেটে দূরে চলেযাচ্ছে কিছু দূর গিয়ে সে আবার ফিরে আসছে তীরে এবং পাথর নিয়ে  আবার সাতার কাটছে। এভাবেই চলছিল  আমি  আমার  সাথীদের বললাম কে ওরা।তারা বলল সামনে চলুন। আমরা চলতে থাকলাম।

হাটতে হাটতে আমরা ভয়ংকর কদাকার কুতসিত এক লোকের সামনে আসি। তুমি যত কুতসিত লোক দেখেছ সে তার চেয়েও বেশি কুতসিত।

সে আগুন জালাচ্ছে এবং তার চার পাশে দৌড়াচ্ছে। আমি তাদের কে জিজ্ঞাসা করলাম কে ওরা তারা বলল সামনে চলুন। আমরা চলতে থাকলাম।

হাটতে হাটতে আমরা বিশাল এক সবুজ শেমল বাগানে এসে পৌছায়। বসন্তে রঙ বে রঙের ফুলে বাগান টি ভরে আছে। বাগানের মাঝখানে একটি লোক দাঁড়িয়ে আছে।

লোকটি এতই লম্বা যে তার মাথা দেখতে আমাকে রিতিমত বেগপেতে হচ্ছে। তার চার পাশে কোচি কাচা শিশুদের এক বিশাল জটলা এত অধিক পরিমান শিশু সমাবেশ আমি আগে কখনো দেখিনি। আমি তাদের জিজ্ঞেস করি ঐ লোকটি কে আর ঐ শিশুরাইবা কারা।

তারা বলে চলুন সামনে চলুন। আমরা চলতে থাকলাম 

চলতে চলতে আমরা সুবিশাল এক উদ‍্যানে এসে পৌছায়

এত বিশাল এত সুন্দর উদ‍্যান আমি ইতি পূর্বে কখনো দেখিনি। তারা আমাকে বলে উদ‍্যানে আরোহন করুন।

উদ‍্যানে আরোহন করলে আমাদের চোখে পরে অত‍্যাচার্য একটি শহর যার এক একটি ইট ছিল সোনা ও রুপার।

চলতে চলতে আমরা শহরের ফটকে এসে পৌছায়। এবং দরজা খুলতে বলি দরজা খোলা হলে আমি শহরটিতে প্রবেশ করি সেখানে এমন কিছু লোকের সাথে আমাদের দেখা হয়  যাদের শরীরের অর্ধেক টি তো খুবি সুন্দর ও দৃষ্টি নন্দন কিন্তু বাকি অর্ধেক কতটাই কতসিত ও কস্রী।

আমার সাথের দুইজন তাদের বলে যাও ঐ নদীতে নেমে পরো। সামনে একটি নদী বইছিল যার পানি ছিল খুবই সচ্ছ ও নির্মল।এরা গিয়ে  সেই পানিতে নেমে পড়ে। গোছল শেষে তারা যখন আমাদের কাছে ফিরে আসে। তখন আমরা দেখি তাদের পূর্বের সেই সমস‍্যা নেই। তাদের পুরো শরীর সুন্দরহয়ে গেছে।

আমার সাথীরা আমাকে জানায় এটি হলো আপনার ঘর।

আমি উপরের দিকে তাকিয়ে দেখি ধবধবে সাদা মেঘমালার মতো একটি প্রাসাদ। তারা আমাকে বলে এটি আপনার বাস ভবন। আমি তখন বলি আল্লাহ্ তোমাদের বরকত দিন এখন আমাকে ছাড় আমি প্রাসাধে প্রবেশ করি। তারা বলে আপনি অবশ‍্যই এতে প্রবেশ করবেন তবে এখন নয়। আমি তাদের কে বলি আজ রাতে আমি  অনেক আশচার্য জিনিস দেখেছি এগুলোর তাতপর্য কি।

তারা বলে আচ্চা আমরা আপনাকে সব কিছু খুলে বলছি।

ঐযে প্রথম আপনি যে লোকের মাথা আপনি চুর্নবিচুর্ন হতে দেখেছেন সে কুরআনের জ্ঞান জানতো কিন্তু আমল করতো না। সে ফরজ নামাজ না পড় ঘুমিয়ে থাকতো।

দ্বিতীয় লোকটি জার চোখ নাখ ওকান চেরা হচ্ছিল সে ছিল  মিথ‍্যুক সকালে বের হয়ে সে গুজব ছড়াতো। আর তা চারিদিকে ছড়য়ে পড়তো। 

চুলারমতো একটি গর্তে যেসব উল্ঙ্গ নারী পুরুষ দেখেছিলেন তারা বেভিচার করতো। 

আর যাকে রক্তের নদীতে সাতার কাটতে দেখেছেন।যার মুখে পাথর ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছিল সে ছিল ( সুদ খোর)

আর যে কুতসিত বেক্তি আগুন জ্বালাচ্ছিল এবং তার চার পাশে ঘুরছিল তিনি হলেন জাহান্নামের তত্বাবধায়ক

তার নাম মালেক।

পুস্প সোভিত বাগানের মাঝখানে যে লম্বা বেক্তিকে দেখেছিলেন  তিন হলেন ইব্রাহিম আ. তার পাশের বাচ্চাগুলো হলো তারা যারা দুনিয়াতে ছোট বেলায় ইসলামের উপর মৃত‍্যুবরন করেছিল।

আর যেসব লোকদের শরীরে অর্ধেক সুন্দর ও অর্ধেক কুতসিত ছিল তারা নেক আমল ও বদ আমল দুটোই করতো। আল্লাহ্ তায়ালা তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। 

প্রিয় ভাই ও বোনেরা  আপনারা যে ঘটনাটি পড়লেন সেটি রাসুল স.সাথে স্বপ্নে ঘটেছিলো। আর আপনারা জানেন নবীদের স্বপ্ন ওহী হয়ে থাকে তাই এই ঘটনায় যা কিছু আমরা দেখেছি সব কিছুই সত‍্য।

আমরা এই ঘটনা থেকে শিখি যারা কুরআন শেখে কিন্তু আমল করেনা কুরআন অন‍্যকে শেখাইনা তাদের কবরে আজাব হবে তাদের মাথা ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করা হবে। এই আযাব কিয়মত পযর্ন্ত চলবে। 

যারা মিথ‍্যা কথা বলে তাদের নাক কান গলা পর্যন্ত চেরা হবে।

আর যারা সুদ খায় তারা রক্তের নদীতে সাতার কাটতে থাকবে। যারা ব‍্যাভিচার করে তাদেরকে আগুনে পোড়ানো হবে। এবং তারা কষ্টে চিৎকার করতে থাকবে।

আল্লাহ্ আমাদের কে এই সকল বদ আমল থেকে হেফাজত করুন।

ইহকাল ও পরকালে আমাদের কে সফলকাম করুন আমিন।

সবাই আমার জন‍্য দোয়া করবেন।

এখন আমরা জানবো যে চার বেক্তির কবরে আযাব হয়না।

কবরের ফিতনা বরই কঠিন।

তবে আল্লাহর এমন কিছু সৌভাগ্যবান বান্দা আছে  যাদের কে আল্লাহ আযাব থেকে রক্ষা করবেন।

এখন আমরা সহিহ মুসলিম এর হাদিস অনুযায়ী আলোচনা করবো।

আল্লাহ্ আমাদের কবরের আযাব ও ফিতনা থেকে হেফাজত করুন।

এই সেই চার সৌভাগ্যবান বেক্তি।

১। শহীদ। 

২। মুরাবিত বা আল্লাহর রাস্তার পাহারাদার।

৩। জুমাবারে মৃত‍্যু বরণকারী।

৪। পেটের অসুখে মৃত‍্যুবরণকারী।

আল্লাহ্ আমাদের কবরের আযাব ও ফিতনা থেকে হেফাজত করুন আমিন।

এত সময় আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন‍্যবাদ

সকলকে।আমনার মতামত কমেন্টে জানাতে পারেন।

লেখক,৩৩৪

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

আমি বিশ্বাস করি সকলে ওঠা সূর্যের মতো ইসলাম ও মুসলিমদের সোনালি সূর্য উদিত হবে। বিশ্বের নেতৃত্বের আসনে ফিরে আসবে ইসলাম।