স্বাস্থ্য সচেতনতায় আদা চা পানের গুরুত্ব: বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে কম বেশি সবাই আমরা আদা চা পানে সর্দিকাশি দূর করার গুরুত্ব সম্পর্কে জানি।
পৃথিবীর সব দেশে জিনজার টি’ নামে খ্যাত এ পানীয়টি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। আসুন জেনে নেই দৈনন্দিন জীবনে এ আদা চা পানের আর কিছু গুরুত্বপূণ উপকারিতা :
১। গতি অসুস্থতাঃ
আমাদের মাঝে অনেক মানুষের নড়াচড়ার কারণে বিশেষ করে যানবাহনে ভ্রমণের সময়ে বমি বমি লাগে, আদা চা পানে সেটা দূর হয়।
২। প্রাতঃকালিন অসুস্থতাঃ
গর্ভাবস্থার শুরুতে নারীদের অনেক সময় বমি বমি ভাব অনুভূত হয় । গবেষণায়ে দেখা গেছে আদা চা পানে তা অনেকাংশে কমে যায়।
এছাড়াও কিছু গবেষণায়ে দেখা গেছে কেমোথেরাপি ও সার্জারিতে আনেস্থেসিয়া ব্যবহারে যে বমি বমি ভাব হয় সেটা জিঞ্জার টি পানে কমে যায়। যদিও এটার জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
৩। রক্ত চাপ ও হ্রদরোগ উপশমে সহায়কঃ
কিছু গবেষণায়ে দেখা গেছে ২-৬ গ্রাম আদা প্রতিদিন গ্রহণে হ্রদরোগ হওয়া থেকে বিরত থাকতে সহায়তা করে । এছাড়া আদা চা রক্তচাপ নিম্ন করতে সাহায্য করে।
৪। ওজন নিয়ন্ত্রন ও রক্তে গ্লকোজের মাত্রা ঠিক রাখতে উপকারিঃ
অনেক গবেষণায়ে দেখা গেছে চর্বি কমাতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে আদা চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া ডায়াবেটিকস্ এ রক্তে গ্লকোজের মাত্রা ঠিক রাখতে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫। ব্যথা উপশম ও এলারজিজনিত ফোলা ভাব দূর করেঃ
জিঞ্জেরল ও সোগাওল নামক দুইটি উপাদান আদা তে আছে যা ফোলাভাব দূর করে। এছাড়া এটি অস্টিওআথ্রাইটিস এবং মাসিকের ব্যথা উপসমে সহায়তা করে।
৬। অন্যান্যঃ
অনেক গবেষণায়ে দেখা গেছে আদা ক্য।নসার এর বিরুদ্ধে কাজ করে। এছাড়াও বুকে জ্বালাপোরা ভাব, অ্য।লজেইমার রোগ ইত্য।দি প্রতিরোধ করে।
জিনজার টি’ পানের যদিও অনেক উপকারিতা রয়েছে কিন্তু কারও ক্ষেত্রে এটি পানে গ্যাসটি্কের সমস্যা , পেট ফাপ দেয়া ইত্য।দি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে আদা চা পান থেকে বিরত থাকা উচিত হবে।
You must be logged in to post a comment.