বর্তমান সমাজ ও নারী। নারীদের ভূমিকা

আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। বর্তমানের সারাদেশে আতঙ্ক কভিড-19 থেকে আল্লাহ তায়ালা সবািইকে হেফাজতে রাখুক কামনা করি। আমাদের দেশে প্রত্যেকটি অথ©নৈতিক কাজে পুরুষদের সাথে তাল মিলিয়ে মহিলারা গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছে।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

ঘরে এবং বাহিরে সর্বক্ষত্রে  িনজেকে জরিয়ে রেখেছে একজন গৃহিনী নারী অপরদিকে শ্রমজীবি নারী। নারীর ভূমিকা , নারীর অবিদান, নারীর সফলতা, নারীর উদারতা ,নারীর দায়িত্ববোধ, নারীর অধিকার আমরা অনেক আ্নে বিভিন্ন ভাবে দেখেছি এবং পড়েছি। নারীরা সবসময় একধাপ এগিয়ে আছে বিশ্বের সকল সমাজ , পরিবার , কর্মক্ষেতে তথা প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে ।

নারীর অধিকারঃ নারীদের অধিকার নিয়ে প্রতিটা আ্নে সুস্পষ্ট বিধান আছে। তারপরও সমাজে নারীকে অধিকার আদায়ে লড়াই করতে হয়। অধিকার আদায়ে অনেক বাধার সম্মূখীন হতে হয়।পারিবারিক , সামাজিক এবং কর্মক্ষেতে ।

নারীর  শিক্ষাঃ একজন নারী তার যোগ্যতায় উচ্চশিক্ষা অর্জন করে থাকে । পুরুষের পাশাপাশি আইনে এ ও বলা আছে , নারীকেও শিক্ষা অজূন করতে হবে। আমরা জানি যে, নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছেন, “ আমাকে একজন শিক্ষিত মা দেন , তাহলে আমি একটা শিক্ষিত জাতি উপহার দিব” । নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে , নিজের পরিবার কে আধুনিক করতে ,নিজের সন্তান দের মেধা বিকাশে একজন নারীর শিক্ষার বিকল্প নেই।

নারীর  দায়িত্ববোধঃ আমরা যুগে যুগে অনেক ইতিহাস দেখেছি, অনেক মহিয়সী নারীর গল্প ও শুনেছি তাদের দায়িত্ববোধ এর কথাও শুনেছি।একজন নারীর অবদান অতুলনীয়। পরিবার এ তাকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে পরিবার এর যত্ন নিতে হয়। একজন নারী মা হয়ে তার সন্তানের দায়িত্ব পালনে বিরাট দায়িত্ব পালন করে ।

একজন নারী একজন স্ত্রী হয়ে স্বামীর সেবায় বিরাট অবদান রাখে।একজন নারী একজন মেয়ে হয়ে বাবা-মা পাশে থাকে। একজন নারী ঘরের বউ হয়ে শ্বশুড় বাড়ির তথা সবার দায়ত্ব পালনে বিরাট অবদান রাখে। বিবাহ বন্ধন , অংশিদার এর ক্ষেত্রে ও আইনের নারীদের কথা বলা হয়েছে।

 নারীর  অবদানঃ একজন নারী যেমন অবদান রাখছে তার পরিবার এ , তেমনি ভাবে অবদান রাখছে কর্মক্ষেত্রে । পরিবার এর সমস্ত কাজ সেরে আবার কর্মক্ষেত্রে অর্থ উপার্জন করে রাখছে বিরাট অবদান। নারীরা পরিবার তথা রাস্ট্রের মূল্যবান সম্পদ। নারীরা চাকুরী করে অথ© উপার্জন করছে। সারাটা দিন পরিশ্রম করছে। চাকুরীর পাশাপাশি প্রতিটা ব্যবসা বানিজ্য তেও নারীরা অংশগ্রহণ করছে।ব্যবসা ও সফল হচ্ছে।

কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য আইনঃ  একজন নারী কর্মক্ষেত্রে অনেক পরিশ্রম করে থাকে। নারীদের জন্য ও কর্মক্ষেত্রে আমরা দেখছি আইন আছে। একজন নারীকে তার নির্ধারিত কাজের সময়সীমার বাহিরে জোরপূর্রক কোন কাজ করাতে পারবেনা। একজন নারী যকন গর্ভবতী হয়, তাকে প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা প্রদান করতে হবে। তার জন্য শ্রমআইন আছে।প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা হিসেবে সে পাবে 112 দিন ছুটি , সন্তান জন্মের আট সপ্তাহ আগে এবং সন্তান জন্মের আট সপ্তাহ পরবর্তী সময় সে ছুটি ভোগ করবে। ছুটি তে থাকাকালীন সময়ে এ আইন অনুযায়ী সকল পাওনাদি ও সে পাবে। কোনভাবেই আর্থিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ হবেনা। গর্ভবতী অবস্থায় কর্মক্ষেত্রে অনেক সুবিধাও পেয়ে থাকে। হালকা পাতলা কাজ, মেডিকেল চেকআপ ,লিফট ব্যবহার, আগে যাওয়ার সূবিধা, অসুস্থ ছুটি সহ অন্যান্য সুবিধাগুলো নারীকে দিতে হয় শ্রমআইন কে অনুসরণ করে করে।

একধাপ এগিয়ে নারীঃ  নারীরা সর্বক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে আছে। নারীরা দিন দিন নিদেকে বিকশিত করছে। প্রতিটা ভালো এবং উন্নয়নমূরক কাজে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। ভিন্ন ভিন্ন রুপে নারীদের বিকাশ। কখনও ভালো রাধুনী, কখনও বো ভালো রাধুনী,  কখনো বা ভালো উদ্দোগ্তা এবং কখনও বা ভালো চাকুরীজীবি ।

নারীরা বরাবরই সকল ক্ষেত্রেই অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে। নারীরা সকল আইনেরও অন্তর্ভূক্ত । তাই সকল কাজেও তাকে সকল আ্ইন অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে হয়। আর সকল নিয়ম কানুন এবং আইন শৃঙ্খলা বজায় রেখে সকল কাজে এগিয়ে গিয়ে সফলতা অজ©ন করাই  নারীর সত্যিকারের সফলতা।

 

ধন্যবাদ সবোইকে

মোছাঃ শারমিন আক্তার সোনিয়া

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

I am always positive