কিভাবে বিনা খরচে বিদেশে পড়ালেখা করবেন

আপনি কি বৃত্তি নিয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহনে আগ্রহী? বিদেশে নামকরা বিশব্বিদ্যালয়ে যারা ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে পড়ালেখা করছেন তারা কীভাবে আবেদন করেছে? তা জানতে চান। তাহলে এই গাইড লাইনটি আপনার জন্য।

১/ কিভাবে আবেদন করবেন? 

উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রথম পাচটি পছন্দের দেশ হলো যুক্তরাস্ট্র, কানাডা, মালেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং জার্মানি। এচাড়া পৃথিবীর অনেক দেশ রাস্টিয়ভাবে বৃত্তি প্রদান করে থাকে। আরও অনেক রাস্টিয় বৃত্তি বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রালয় থেকে আবেদন করা যায়। স্কলারশিপ নিয়ে বাইরে পড়াশোনা করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাংলাদেশে দিন দিন বাড়লেও তা দক্ষিণ এশিয়ার থেকে খুবই কম। এর একটি বড় কারণ হলো  আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচ্চ ধারনার অভাব। এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচ্চ ধারণা থাকলে আপনি কোনো এএজেন্সির সাহায্য ছাড়াই নিজের চেষ্টায় একটি ভালো বৃত্তি পেতে পারেন। 

২/ বৃত্তির খোজ পাবো কোথায়?  

একেক দেশে বৃত্তির জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতার ধরন একেক রকম। তাই প্রথমেই জেনে নিতে হবে কোন দেশে কোন বিশবিদ্যালয়ে আপনি আবেদন করতে চান। আর এক্ষেত্রে আপনার একটি বড় তথ্য কেন্দ্র হলো বিভিন্ন দেশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট। বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোর ওয়েবসাইটেও প্রতিবছর নানা দেশের বৃত্তির তথ্য দেওয়া থাকে। আপনি চাইলে সরাসরি এইসব দূতাবাসে যোগাযোগ করেও তাদের বৃত্তি সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। আরেকটি বড় তথ্যভান্ডার হলো শিক্ষামন্ত্রালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগের ওয়েবসাইট। 

৩/ কোন কাগজপত্র লাগবে? 

প্রতেকটি বৃত্তির জন্যই আবেদন করার একটি নির্দিস্ট সময়সীমা থাকে। তাই আগে থেকেই প্র‍য়োজনিয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে রাখলে ওই সময়সীমার মধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সহজ হয়।

১/ মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট। 

২/ পরীখার ট্রান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেট। 

৩/ ভাষাগত দখতার সার্টিফিকেট। 

অনেক দেশেই এসব ডকুমেন্টের নোটারী করা কাগজপত্র চায়।আবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাস্টের ক্ষেত্রে নোটারি করার দরকার নেই। 

৩/ কোন বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ? 

পাচটি বিষয়। যে দেশে যাবেন। সে দেশের ভাষা জানা থাকলে সেটি আপনার বৃত্তি পাওয়ার সম্বাভনা বাড়িয়ে দেয়।আইলেটস বা টপেলের মতো পরিখাগুলোয় মোটামুটি ভালো নাম্বার পাওয়াটাও একটা প্লাস পয়েন্ট।ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যেমন জার্মানি বা ফ্রান্সের মতো দেশে ঐ দেশের ভাষা দক্ষতা সংশ্লিষ্ট পরিখায় ভালো নাম্বার থাকতে হবে। আগের পরিখায় ভালো জিপিএ এমন নয় যে বাইরের দেশের বিশব্বিদ্যালয়ের বৃত্তিগুলো শুধু রোল নং ১ রাই পায়।সর্বোচ্চ নম্বরধারি না হলেও সব পরিখায় মোটামুটি ভালো নাম্বার পেলে বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

৩/ প্রকাশনা ও একট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিস ঃ

যারা বৃত্তি পেয়েছেন তারা কিন্তু এই বিষয়টির উপর বেশ জোর দিচ্চেন।ভালো কোনো জার্নালে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিজের লেখা চাপানো কিংবা গঠনমূলক কাজ  করার অভিজ্ঞতা। এগুলোকে বিদেশি বিশবিদ্যালয়গুলো খুব গুরুতের সাথে দেখে। 

৪/ স্টেটমেন্ট অব পারপাস ঃ

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিশব্বিদ্যালয়ে বৃত্তি পাওয়ার জন্য স্টেটমেন্ট অব পারপাস বা কেন আমি এই বিশব্বিদ্যালয়ে পড়তে চাই তা ব্যাখ্যা করে একটি চিঠি লিখতে হয়। এটি  খুবই গুরুতপুর্ন।

৫/ রিকমেন্ডেশন লেটার ঃ

অনেক ক্ষেত্রেই বিশব্বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আগের বিশব্বিদ্যালয়ের শিক্ষকের রিকমেন্ডেশন লেটারের দরকার হয়। 

বিনা খরচে বিদেশে পড়ালেখা করতে চাইলেখরচ ছাড়াই বিদেশে উচ্চ শিক্ষা

 

৬/ পরিকল্পনা ও গবেষণা করুন ঃ

আপনার মতো হাজার শিক্ষার্থী একই সময় একই বৃত্তির জন্য আবেদন করচে। তাই আবেদনের প্রতিটি ধাপে নিজের সৃজনশিলতাকে কাজে লাগান। আর যারা আগে কাংখিত বৃত্তির জন্য আবেদন করেছেন বা সফল হয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতা জেনে নিন।

বৃত্তির আবেদন থেকে শুরু করে ভর্তি প্রক্রিয়া এটি বেশ ক্লান্তিকর প্রক্রিয়া। তবে ধৈর্য নিয়ে  ঠিক সময়ের মধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে আপনিও পেতে পারেন আপনার কাংখিত বিশব্বিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে পড়ার সুযোগ 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles