প্রিয় বন্ধুরা, আসসালামুআলাইকুম। কেমন আছেন সবাই?
আবার ও আমি হাজির হয়ে গেলাম আপনাদের সামনে নতুন আর একটি পোষ্ট নি।আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব, ডিজিটাল মার্কেটিং কি? এবং ৫ টি ডিজিটাল মার্কেটিং করার মাধ্যম নিয়ে ও আলোচনা করব।
সূচনা:-
বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ।এখন আমরা ঘরে বসেই মূহুর্তের মধ্যেই পৃথিবী এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের সমস্ত খবরা খবর পেয়ে যাই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে।
তাই এখন আর বলার বাকি থাকে না পৃথিবী এখন আমাদের হাতের মুঠোয়।আমরা পৃথিবীতে বাস করছি ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে আপনি কম সময়ে ব্যবসায় সফলতা লাভ করতে পারবেন।তবে,ব্যবসায় সফলতা লাভ করতে হলে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ইলেক্টনিক মিডিয়াকে ব্যবহার করে, ইন্টারনেট দুনিয়ায় পণ্য, প্রতিষ্টানের প্রচারনা বা বিজ্ঞাপন দেয়া।
বর্তমানে বেশি হারে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন দেওয়া।কারন বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় ৭৫% মানুষ নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন।
তাই আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব ৫টি মাধ্যম নিয়ে। যা ব্যবসার ক্ষেত্রে এনেছে বৈপ্লবিক পরির্বত
টপিক সূচি :-
১/ ইমেল মার্কেটিং।
২/ মোবাইল মার্কেটিং।
৩/ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
৪/ সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং।
৫/ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।
১/ ইমেল মার্কেটিং।
যখন আমি আমার কোন বার্তা গ্রাহকদের কাছে ইমেলের মাধ্যমে পৌছে দেব তখন তাকে আমরা ইমেল মার্কেটিং বলব।এটির ক্ষেত্রর বিশাল।
ইমেল মার্কেটিং হলো ইমেলের মাধ্যমে পণ্যের গুনাগুন ক্রেতার কাছে তুলে ধরা এবং ক্রেতার পণ্য ক্রয় করার আগ্রহ বৃদ্ধি করা।
এই মাধ্যম ব্যবহার করে সহজেই অল্প সময়ে পণ্যের গুনাগুন ক্রেতার কাছে তুলে ধরা যায়।
ইমেল মার্কেটিং করে আপনি সহজে ব্যবসায় লাভবান হতে পারবেন।
ইমেল মার্কেটিং সাধারনত ৩ ভাগে করা যায়।
১/ ইমেল টেম্পলেট।
২/ ইমেল কালেকশন।
৩/ ইমেল ডেলিভারি।
১/ ইমেল টেম্পলেট:-
ইমেল মার্কেটিং শুরু করার জন্য প্রথমেই ইমেল টেম্পলেট বানাতে হবে।এর জন্য আপনার মনে রাখতে হবে আপনি ইমেলে যে পণ্য সম্পকে লেখবেন সেটা দেখতে কেমন।
এবার তার উপর ভিত্তি করে সুন্দর ও আর্কষনীয় শব্দ ব্যবহার করে লিখতে হবে,যাতে আপনার লেখা ইমেল দেখে ক্রেতারা সহজে পণ্যটি ক্রয় করতে আগ্রহ দেখায়।
২/ ইমেল কালেকশন:-
ইমেল মার্কেটিং এর আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ইমেল কালেক্ট করা।
বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কেটাগরির মানুষের ইমেল এড্র্স জোগাড় করোন । এখন যে পণ্য সম্পকে ইমেল তৈরি করতে চান সেই পণ্য নিয়ে প্রথমে ভালো করে গবেষণা করোন।অন্য কোন কোম্পানি একি পণ্য নিয়ে কিভাবে মার্কেটে উপস্থাপন করেছে তা গবেষণা করোন।
এবং সব থেকে সহজ ভাষায় আপনার পণ্যি সম্পকে লিখুন এবং ক্রেতাদের পণ্য ক্রয়ের উৎসাহ দিন।
যত বেশি ইমেল সংগ্রহ করবেন তত বেশি বিক্রির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।
৩/ ইমেল ডেলিভারি:-
ইমেল মার্কেটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো ইমেল ডেলিভারি করা।আর ইমেল ডেলিভারি করার জন্য প্রয়োজন এস এম টি পি সার্ভার।
তবে, আমরা সাধারনত ইমেল পাটানোর জন্য যে মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে থাকি এগুলো হয়তো আপনাকে প্রতিদিন বেশি পরিমানে ইমেল পাঠাতে দিবে না।
কিন্তু এই কাজ করার জন্য প্রতিদিন আপনাকে হাজার হাজার বা লক্ষ লক্ষ ইমেল পাঠাতে হবে।
তাই নিজে একটি এস এম টি পি সার্ভার কিনে সেটআপ করে যত খুশি ইমেল পাঠাতে পারবেন।
২/ মোবাইল মার্কেটিং।
বর্তমানে পৃথিবীতে মুঠোফনের সংখ্যা ৪৯২ কোটি।তার মধ্য ২৪৬ কোটি সংযোগ ব্যবহৃত হচ্ছে মুঠো ফনের মাধ্যমে।
মোবাইল মার্কেটিং সাধারনত করা হয় এস এম এস মার্কেটিং, এম এম এস মার্কেটিং, ব্লুটুথ মার্কেটিং, ইনফ্রারেড মার্কেটিং এর মাধ্যমে মোবাইল মার্কেটিং করা হয়।
আপনার ফেসবুক, টুইটারে অনেক ফলোয়ার থাকতে পারে। তাদেরকে আপনি মেসেজ করতে পারেন আপনার কেউওয়ার্ড গুলো। এতে করে তারাও এস এম এস মাধ্যমে আপনার প্রডাক্ট সাবসক্রাব করতে পারবে।
তবে ক্রেতাদের কাছে এমন ভাবে মেসেজ করোন যাতে তাদের মনে না হয় আপনি আপনার কোম্পানির প্রচারের জন্য তাদের প্ররোচিত করছেন।
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিশাল অংশ স্মার্ট ফোনকে কেন্দ্র করেই হচ্ছে।
৩/ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
পৃথিবীর মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দের মধ্য প্রায় ৭৫% লোক কোন না কোন সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে যুক্ত।এই বিশাল অংশের ব্যবহারকারী লোকেদের কাছে পৌছানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং একটি কার্যকর প্রদ্ধতি।
আপনার ব্যবসায়িক পণ্যের প্রচারনার জন্য এর থেকে ভালো জায়গা আর নেই।সাধারনত সোশ্যাল মার্কেটিং বলতে আমরা ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মার্কেটিং করাকে বুঝায়।
সারা পৃথিবীতে অনেক সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে। তার মধ্য নির্দিষ্ট কিছু দেশে নির্দিষ্ট কিছু সোশ্যাল মিডিয়া বেশ জনপ্রিয়।
আপনি আপনা পণ্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে পারবেন।
তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এ সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে আপনি লাভবান হতে পারবেন।
৪/ সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং হলো একটি ব্যাপক মার্কেটিং কৌশল। যার প্রাথমিক প্রচেষ্টায় আপনার ব্যবসা ট্রাফিক ড্রাইভ করবে।যাকে আমরা পেইড সার্চ মার্কেটিং বলে থাকি।
আপনার ব্যবসার ঘঠনের উপর নির্ভর করে সাধারনত এধরনের মার্কেটিং করা হয়।এ ক্ষেত্রে আপনাকে পি পি সি অথবা সি পি সি ইত্যাদি মডেল নির্বাচন করতে পারবেন।
সাধারনত এস ই এম বিভিন্ন প্ল্যাটফ্রমের হয়ে থাকে।সার্চ ইঞ্জিন বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে সাশ্রয়ী অনলাইন মার্কেটিং, যা কিনা আপনার রির্টান অন ইনভেষ্টমেন্ট বারাতে সাহায্য করে।
৫/ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এটি মূলত একটি ওয়েবসাইট।এটি মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইটের কিউওয়ার্ডকে সার্চ ইঞ্জিনে রেংক করা হয়।
একটি উদাহরন দিলে আপনাদের বুঝতে সুবিধন হবে।গুগোলে যখন আমরা কোন কিছু লিখে সার্চ করি তখন গুগোল আমাদের কিছু সার্চ রেজাল্ট দেখায়।
বর্তমান এই প্রতিযোগিতার বাজারে পণ্য মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এই সি ই ও ব্যবহার করেই আপনি আপনার পণ্য গুগোল সার্চের সবচেয়ে উপরে নিয়ে আসতে পারবেন, যার ফলে আপনার পণ্য বিক্রি বৃদ্ধি পাবে।
শেষ কথা :-
ত প্রিয় বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের আলোচনা ডিজিটাল মার্কেটিং কি? এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর ৫ টি মাধ্যম নিয়েও আমি আজ বিস্তারিত আলোচনা করলাম।
আসা করছি আপনারা যদি শেষ পর্যন্ত এই পোষ্টটি ভালো ভাবে পড়েন তবে, ইনশাআল্লাহ আপনারা সবাই অনেক উপকৃত হবেন।
আর আপনাদের যদি আমার আজকের পোষ্ট সম্পকে কোন কিছু জানার থাকে বা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পকে আর ও কোন তথ্য জানা থাকে তবে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে আমাকে জানাবেন। আমি ইনশাআল্লাহ আপনাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
আর যদি আপনাদের আমার আজকের পোষ্টটি ভালো লেগে থাকে তবে, অবশ্যই বেশি বেশি করে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদের ও জানার সুযোগ করে দিন।
আর এতক্ষন ধৈর্যসহকারে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্যা ধন্যবাদ।
ত আজ এই পর্যন্তই সবাই অনেক ভালো থাকবে, সুস্থ থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন, আর আমার জন্য বেশি বেশি দোয়া করবেন।
আবার ও নতুন কোন পোষ্টে নতুন কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে হাজির হয়ে যাব।
আল্লাহ হাফেজ।
You must be logged in to post a comment.