ডিপ্রেশন একটি রোগ: প্রচণ্ড ঝড়-সাইক্লোনের পূর্বাভাস দেবার সময় রেডিও টিভিতে ঘন ঘন ঘোষণা করা হয় বঙ্গোপসাগরে প্রচণ্ড নিম্নচাপ বা ডিপ্রেশনের সৃষ্টি হয়েছে, ওমুক জায়গার জন্য ৭, ৮ বা ১০ নম্বর মহা বিপদ সঙ্কেত ঘোষণা করা হয়।
ডিপ্রেশন মানে কি চাপ। বঙ্গোপসাগরে যেমন মাঝে মাঝেই বাতাসের প্রচণ্ড নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় তেমনি আমাদের মনের মাঝেও তেমনি নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে। আকাশ যেমন ঘন ঘন রং বদলায়।
আমাদের মনের আকাশেও তেমনি ঘন ঘন রং বদলায়। কখনো আনন্দ, কখনো হতাশা, কখনো বিরক্তি, কখনো বিদ্বেষে মন ভরে থাকে।
মানব- চিত্তে এ ধরনের অল্প-স্বল্প মুড (Mood) বা অনুভূতির হেরফের হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে তীব্রভাবেও সে পরিবর্তন আসতে পারে।
কোন বিয়োগান্ত ঘটনার পর বা ব্যক্তিগত জীবনে চরম বিফলতার পর সাময়িকভাবে কারো মন চরম বিষাদে ও হতাশায় ভরে থাকতে পারে। জীবনের অভিজ্ঞতাই সে রকম।
জীবন কখনো কখনো খুবই রূঢ় তিক্ত ও বিষাদময় হয়ে উঠতে পারেই। মনের আকাশের এই সাধারণভাবে রঙ পাল্টানোকে আমরা রোগ হিসেবে দেখবো না।
কিন্তু বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির মনের অনুভূতির জগতে মুড (Mood) দীর্ঘস্থায়ী ও তীব্রভাবে বিষণ্নতা, বিষাদের আবির্ভাব ঘটতে পারে।
নিরানন্দ ও ভালো না লাগার অনুভূতিতে ছেয়ে থাকে। যেন একটি ঘন কালো মেঘ তার মনের আকাশের প্রায় সবটুকু অংশ ঢেকে রেখেছে।
মন ভীষণ ভার ভার হয়ে থাকে। মনের কোথাও ছিটে ফোটা আনন্দ, উৎসাহ, আগ্রহের লেশ মাত্র থাকে না। এক অন্তহীন, আলোহীন, আশাহীন জীবনের প্রচণ্ডভার ও বোঝা তাকে বহন করতে হচ্ছে।
যার থেকে নিষ্কৃতির, মুক্তির স্বাভাবিক কোন পথ বা দরজা তার সামনে খোলা নেই । পাঠক, ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা রোগ মূলতঃ এ ধরনেরই।
একটি রোগ মানে একটি লক্ষণ নয়, অনেকগুলো লক্ষণের সমষ্টি। বিষণ্নতা একটি লক্ষণ হিসেবে জীবনে আসতে পারে বা অন্য বহুবিধ মানসিক রোগ, শারিরীক রোগ বা ঔষধ সেবনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসেবে তা দেখা দিতে পারে।
যেমন: সামান্য ইনফ্লুরেঞ্জা, জন্ডিস, ইনফেকশান, মনো-নিউক্লিয়াস, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ব্রেইন স্ট্রোক, ক্যানসার, পারকিনসনিজম, ব্রেইনে আঘাত, মেয়েদের হিস্টেরেকটমী, মাসটেকটমী এমনকি সাধারণ লাইগেশন বা অ্যাবরশানের পরও বিষণ্নতা দেখা দিতে পারে।
ব্লাড প্রেসারের জন্য যে ঔষধ দেওয়া হয় তাদের কয়েকটি স্টেরয়েড, ওরাল পিল, এলকোহল, কিছু মানসিক রোগের ঔষধ ক্যানসারের ঔষধ ইত্যাদি বহুবিধ ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও বিষণ্নতা হতে পারে।
তবে, আমরা আলোচনা করবো, এসবের বাইরেও বিষণ্নতা রোগ নামে যে মানসিক রোগটিতে অনেক মানুষই অবর্ণনীয় কষ্ট ভোগ করছেন তার কথা।
সব রোগেই মানুষ কষ্ট ভোগ করে থাকে। তা যে রোগই হোক না কেন। কিন্তু কষ্ট নিজেই যখন একটি রোগ, সেটাই বিষণ্নতা রোগ।
এখানে মনের অশান্তি, কষ্ট, ভালো না লাগা, আনন্দহীনতা, কোন কিছুতেই উৎসাহ, আগ্রহ না থাকাই হচ্ছে মূল সমস্যা।
লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এ রোগের জন্য নির্দিষ্ট কোন পারিবারিক, সামাজিক বা ব্যক্তিগত কারণ না থাকলেও এটা হয়। বরং সেটাই বেশি।
তাই মনে রাখতে হবে বিষণ্নতা একটি পরিপূর্ণ Medical Condition। রোগীর ব্যক্তিত্ব দুর্বল, (Weak character), প্রচণ্ড মানসিক চাপে থাকে, গোপন কোন মানসিক সমস্যা রয়েছে, সবার সঙ্গে মানিয়ে নিতে (Adjust) পারছে না।
তাই এ রোগ হয়েছে বা কোন সামাজিক আর্থিক সংকটের জন্য এমনটি হয়েছে বা এরকম সংকট থাকবেই, তানাহলে ড্রিপ্রেশন হবে কেন- এ সব ধারণা ভুল অবৈজ্ঞানিক।
তবে ব্যক্তিগত বা পারবারিক সমস্যা অন্য যে কোন রোগকে যেভাবে বাড়িয়ে দেয় বা উসকিয়ে দেয় এক্ষেত্রেও তেমনটি করতে পারে।
মনে রাখবেন শুধু পরিস্থিতির কারণে যে মানসিক সমস্যা হয় তাকে বলে Stress disorder বা Adjustment disorder, ডিপ্রেশন নয়।
ডিপ্রেশন এর লক্ষণগুলো হলো
দু’টি প্রধান উপসর্গ হলো মন নিরানন্দ থাকা এবং প্রায় সকল কাজকর্মে আগ্রহ, উৎসাহ হারিয়ে ফেলা। রোগী বিষণ্নতা, হতাশা, অশান্তি, প্রভৃতিতে ভুগছে বলে দাবী করবে।
রোগী হতোদ্যম কিংবা জীবন চলার পথে হোচট খেয়ে গভীর গর্তে পরে গেছে এমন অনুভূতি মনে জাগবে। কাজে-কর্মে বা বিনোদনে উৎসাহ, আগ্রহ কমে যাওয়া প্রায় অবিসম্বাদিত।
রোগী দৈনন্দিন কর্তব্য কর্মে তো বটেই তার বিশেষভাবে আগ্রহের জায়গায়গুলোও যেমন বিশেষ শখের (টিভি দেখা, গল্প করা, ঘুরে বেড়ানো, খেলা ধূলা ইত্যাদি) ক্ষেত্রে তার আগের মতন উদ্যম, উৎসাহ থাকে না। সব কিছুই বিরক্তিকর, কষ্ট দায়ক ও নিরানন্দ মনে হয়।
আগে যে সব কাজে বেশ আনন্দ পেতো, তৃপ্তি পেতো এখন সেগুলো নিরস বিরক্তিকর মনে হয় । ছেলে-মেয়ে স্বামী বা অন্যদের প্রতি স্বাভাবিক কর্তব্য কর্ম, যত্ন নেওয়া সম্ভব হয় না। এই অনাগ্রহের একটি প্রধান দিক হচ্ছে যৌন ইচ্ছা ও যৌন আগ্রহ কমে যাওয়া।
এই দু'টি প্রধান লক্ষণ ছাড়া বাকিগুলো হচ্ছে সাধারণত ক্ষিধা কমে যায়। কিছুতেই মন রোচে না। মনে হয় যেন খুব কষ্ট করে, জোর করে, কোন রকমে জীবন বাচিয়ে রাখার জন্য খাচ্ছে। তবে ক্ষেত্র বিশেষ খাবার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
ক্ষিধার এই হেরফের ছাড়াও এই রোগে রোগীর ওজন কমে যেতে পারে, স্বাস্থ্যহানী ঘটতে পারে। তবে আগের মতন ক্ষেত্র বিশেষে ওজন বেড়েও যেতে পারে। সাধারণত মাসে তার ওজনের ৫% এর বেশিও হেরফের ঘটতে পারে। তার ঘুমের ব্যাঘাত একটি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেয়।
সাধারণত মধ্যরাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়। অনেক পরে কষ্ট করে একটু ঘুম আসলেও ভোর রাতেই পুরো ঘুম ভেঙ্গে
যায়, তখন আর ঘুম আসে না। কখনো কখনো ঘুম আসতে দেরি হয়। অনেকে বলে থাকেন তারা মোটেই ঘুমাতে পারেন না। প্রায় সারারাতই অনিদ্রায় কাটান।
ভোরে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পর, শোয়া অবস্থায়ই দুনিয়ার দুঃশ্চিন্তা, দুর্ভাবনা, নেতিবাচক কথা, হতাশা ও ব্যর্থতার স্মৃতিগুলো তাকে পেয়ে বসে।
তবে এক্ষেত্রেও কেউ কেউ অতিরিক্ত ঘুমিয়ে থাকে, ঘুমের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। রোগী বেশির ভাগ ক্ষেত্রে স্থবির প্রকৃতির হয়ে যায়।
সব কিছুতেই শ্লথতা। ধীরে হাটে, ধীরে চলে। অঙ্গভঙ্গি ও নড়ন-চরনের মাত্রা খুবই কমে যায়। কথা খুবই নিম্ন স্বরে, ধীরে ধীরে বলে, যেন কথা বলতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। মাথা নীচু করে নিচের দিকেই তাকিয়ে থাকে। চোখের পলক পড়ে কম, যেন নিথর, বিস্তব্ধ হয়ে পড়েছে।
তবে কোন কোন ক্ষেত্রে রোগী অস্থির, উত্তেজনার মধ্যে থাকতে পারে। অনর্গল প্যাচাল পারা, অন্যকে বদনাম করা, গালি-গালাজ করা, পায়চারী করা, ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়া প্রভৃতি অস্থির মতি লক্ষণ থাকতে পারে।
এরা অল্পতে রেগে যেতে পারে, সর্বক্ষণ বিরক্তি নিয়ে থাকে। সহজে ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটে, যার ফলে অন্যের সঙ্গে কলহ লেগে যায়, স্বল্প বা বিনা, কারণে ছেলে মেয়েদের মারধর করা, স্বামী বা অন্যদের সঙ্গে তর্কাতর্কি করা, অস্থিরতা প্রভৃতি থাকতে পারে ।
একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হচ্ছে তারা ভীষণ দুর্বলতা অনুভব করে। কোন কারণ ছাড়াই ক্লান্ত থাকে, অল্পতেই হাপিয়ে উঠে। কেউ কেউ এত দুর্বল হয়ে পড়ে যে বিছানা থেকে উঠতে পারে না।
এরা প্রায়ই ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে সেলাইন ভিটামিন জাতীয় ঔষধ খেয়ে কিছুটা উপকার পায়। এবং বার বার কয়েক দিন পর পরই ‘স্যালাইন’ দেওয়ার জন্য ডাক্তারকে অনুরোধ করে থাকে। গৃহবধূরা এমনকি ধোয়া মোছার সাধারণ কাজেও অপারগ হয়। সব কাজে তারা তখন অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।
কিছু শারীরিক লক্ষণও তাদের দেখা দেয়। যেমন: তাদের পায়খানা কষা হয়ে থাকে, ক্ষুধামন্দ, ওজন কমে যাওয়া ও ঘুমের ব্যাঘাতের কথা পূর্বেই বলা হয়েছে।
তারা যৌন অক্ষমতা ও যৌন অনাগ্রহেও ভুগে থাকে। পিঠে মেয়েদের ক্ষেত্রে অনেক দিন মাসিক বন্ধ থাকতে পারে।
তাছাড়া মাথা ব্যথা, ব্যথা থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথার কথাও তারা বলে। তারা জীবনে বেঁচে থাকার মধ্যে যা উদ্দীপনা, আনন্দ ও স্বাদ রয়েছে তা পুরো হারিয়ে ফেলে।
শত বিপত্তি, কষ্ট ও সমস্যা সত্ত্বেও আমরা বেঁচে থাকতে চাই, কেননা এক ধরনের অন্তর্নিহিত স্পৃহা ও উদ্দীপনা আমাদেরকে বেঁচে থাকতে উদ্বুদ্ধ করে থাকে।
এরা সেই স্পৃহা হারিয়ে ফেলে । নেতিবাচক চিন্তা তাদেরকে ঘিরে ফেলে। তারা অতীত সম্বন্ধে ভাবে, এ পর্যন্ত যা ঘটেছে সবই খারাপ, ব্যর্থতার।
গানের সেই কথার মতন “এই জীবনের পাতায় পাতায় যা লেখা সব ভুল, সবই ভুল”- তাদেরও মনে হয় জীবনে যা করেছে সবই ভুল করেছে, অন্যায় বা অপরাধ করেছে।
অতি ছোট ধরনের ভুল বা ত্রুটিকেও তারা বড় ধরনের অন্যায়, পাপ বলে ভাবতে থাকে। নিজেকে ছোট, পাপী ও অযোগ্য ভাবে। অতীতের স্মৃতি যা মনে পড়ে সবই নেতিবাচক ও ব্যর্থতার।
সফলতার, সুখের স্মৃতিগুলো হারিয়ে যায়, কেবল বার বার মনে হানা দেয় কখন সে ব্যর্থ হয়ে ছিল, কে তাকে প্রত্যাখ্যান বা অপমান করেছিল। কিভাবে কখন জীবনে বিপর্যয় বা দুর্যোগ নেমে এসেছিল ইত্যাদি।
বর্তমান সম্বন্ধেও তারা নেতিবাচক ও হতাশা ব্যঞ্জক মনোভাব পোষণ করে থাকে। জীবনের মন্দ দিকটি, খারাপ দিকটিই তার চোখে পড়ে। কখন, কোথায় ব্যর্থ হচ্ছে ভুল হচ্ছে ইত্যাদিকে বড় করে দেখে থাকে।
আর ভাবে আমার কিছুই ভালো হওয়ার নয় এই পোড়াকপালে কেবলদুর্ভোগ ও অপমানই লেখা রয়েছে। তাদেরকে যদি তাদের কোন সফলতা বা সৌভাগ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, তারা বলে এটা By chance হয়ে গেছে নিছক কপাল গুণেই এরকমটি হয়েছে।
এর পিছনে আমার কোন কৃতিত্ব নেই। ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে তাদের একই রকম ধারণা। তারা সব চেয়ে খারাপ কিছুটাই আশংকা করে। আশাহীন, অন্ধকারাচ্ছন্ন, ব্যর্থ এক অন্তহীন ভবিষ্যত যেন তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
এভাবে রোগী যখন দেখে তার মনে কোন আনন্দ নেই, উৎসাহ আগ্রহ নেই, দুশ্চিন্তা, দুর্ভাবনায় মন ভরে আছে। জীবনকে উপভোগ করার ন্যূনতম স্পৃহা অবশিষ্ট নেই, খেতে পারছে না, ঘুমাতে পারছে না।
মনে হয় অতীতের সবই ব্যর্থতা ও ভুলে ঠাসা, বর্তমানেও সবই খারাপ যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও কোন আশা নেই, আলো নেই।
এক সীমাহীন কষ্ট, বেদনা ও হতাশা তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। তখন তার মনে হতে পারে, জীবনের বোঝা এতভারী হয়ে গেছে, জীবন এত অসহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে যে এ জীবন না থাকলেই ভালো হতো।
এ রকম যন্ত্রণাদায়ক, ভারবহ জীবনের হাত থেকে নিস্কৃতির জন্য তিনি আত্মহত্যার চিন্তা করতে পারেন। কিভাবে কখন আত্মহত্যা করবেন তা নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারেন।
এবং সবশেষে ১৮%-২০% রোগীই আত্মহত্যা করে থাকেন। এবং সমসংখ্যক রোগী আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকেন। মনে রাখতে হবে জাতিগত ও সাংস্কৃতিক পার্থক্য অনুসারে এ সব লক্ষণের মধ্যে বেশ পার্থক্য দেখা দিতে পারে।
আমাদের দেশে উপরোক্ত মানসিক লক্ষণগুলোর চেয়ে বহুবিধ শারিরীক লক্ষণ নিয়ে এ সব রোগী ডাক্তারের কাছে হাজির হন।
যেমন সমস্ত শরীরে জ্বালাপোড়া, বিশেষ করে মাথা দিয়ে গরম ধোয়া বের হওয়ার অনুভূতি, মাথা ব্যথা, শারীরিক ও যৌন দুর্বলতা, ক্লান্তি বোধ, মাথা বা শরীরে ঝাঁকি অনুভব (imbalance) বিরক্তিভাব, বুক ধরফর, বুকে ব্যথা, বুকে চাপ অনুভব ইত্যাদি ।
রোগটি নিজেই যেহেতু একটি কষ্টের রোগ এবং সঙ্গে অনেক গুরুতর লক্ষণসমূহ বর্তমান থাকে, তাই ব্যক্তির নিজের ভোগান্তি, পরিবার ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতির পরিমাণ হয় অপরিমেয়।
এক কথায় নির্দ্বিধায় বলা যায় যে হৃদরোগের ভয়াবহতা ও ক্ষতির পর পরই এ রোগের অবস্থান। তাই একে অবহেলা করার বা কম গুরুত্ব দিয়ে দেখার কোনই অবকাশ নেই।
You must be logged in to post a comment.