ছোট থেকেই শিশুকে তাড়াতাড়ি খাওয়ানোর জন্য এবং কাজের সময় বিরক্ত না করার জন্য দিয়ে দেয়া হচ্ছে মোবাইল, ট্যাব, টিভি ইত্যাদির মত ডিভাইস। যা শিশুর জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হচ্ছে পরবর্তী পর্যায়ে বিকাশে তাল মেলাতে গিয়ে।
যখন শিশুর কথা শেখার সময় এটা কি, সেটা কি বলে বা যখন সামনে যা পাবে তাই নিয়ে খেলার সময় তখন সে ডুবে যাচ্ছে রঙিন এক জগতে যা তার একধরনের নেশায় পরিণত হচ্ছে ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে আবার ঘুমানো পর্যন্ত।
এতে করে হটাৎ করে কোনো খেলনা দেখলে কিভাবে তা দিয়ে খেলতে হয় সেটাও জানেনা সে। আবার খাবারের ক্ষেত্রে হয়ে যাচ্ছে মহা বিপদ, শুধু মুখে দেয়া হচ্ছে আর গিলে যাচ্ছে বুঝতেই পারছে না কি খাচ্ছে।
এতে করে খাবারের প্রতি স্বাদ অনুযায়ী যেই আগ্রহ শিশুর তৈরি হওয়ার কথা তা তৈরি হতে পারছে না।
খেলার ক্ষেত্রেও তাই। ডিভাইসে সে রঙের নাম দেখে আর শুনে বলতে পারলেও বাস্তবে সে সেগুলোর সাথে পরিচিত না হওয়ায় সামনা সামনি রং দেখে চিনতে পারছে না বা সব একই বলে দিচ্ছে। তাহলে এখানেও বিকাশে ব্যঘাত।
আবার অনেক সময় তো ডিভাইস দেখে দেখে ডিভাইসের কথা ই বলে যায়। আমরা ভাবতে থাকি, বাহ্ এই ছোট বয়সে কত ভালো ইংরেজি বা হিন্দি বলছে।
কিন্তু আসলে সে যতটুকু দেখেছে তার বাইরে বুদ্ধি খাটিয়ে কিছুই বলতে পারছে না। তাহলে এখানেও থেকে যাচ্ছে ভাষার এবং বুদ্ধির বিকাশে অনেক বাধা।
ডিভাইস যে শিশুদের কতটা পিছিয়ে দিচ্ছে বিকাশে তা হয়তো বিস্তারিত না জানলে আমরা কল্পনাও করতে পারবো না। আশা করছি শিশুদের নিত্যদিন এর এমন প্রয়োজনীয় আরো ব্লগ এবং লেখা পেতে সাথে থাকবেন।
You must be logged in to post a comment.