যা হারিয়ে গেলে আর ফিরে পাবেন না।

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সবসময়।

চরিত্র মানব জীবনে অমূল্য সম্পদ। এটা বিদ্যা বুদ্ধি মান-মর্যাদা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। মানুষ অন্য কোনো গুণের অধিকারী না হলেও চারিত্রিক উৎকর্ষের জন্য সমাজে শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে গৃহীত হতে পারে।

চরিত্র কি?

মানুষ জ্ঞানের কর্মে প্রাণীর থেকে শ্রেষ্ঠ। মানুষেরে শ্রেষ্ঠত্বের প্রধান সোপান তার চরিত্র। চরিত্র বলতে একজন মানুষের কথাবার্তা আচার ব্যবহার রীতিনীতি ধর্মবোধ প্রবৃত্তির সমন্বিত রূপ কে বোঝায়। চরিত্রের বলেই মানুষ চিরদিন মানুষের মনে গভীর দাগ কেটে বেঁচে থাকে।

একজন মানুষ কখন চরিত্রবান হয়ে ওঠে??

একজন মানুষ তার ছাত্রজীবনে চরিত্রবান হয়ে ওঠে। ছাত্রজীবনে চরিত্র গঠনের উৎকৃষ্ট সময়। প্রবাদ আছে সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের শিক্ষিত চরিত্রবান হতে হবে। মাতাপিতা শিক্ষক পারিপার্শ্বিকতা শিশুদের শৈশব কাল হতেই চরিত্র গঠনে উৎসাহিত অনুপ্রাণিত করে থাকে। এসময় শিশুরা তাদের পরিবার পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতা থেকে যা শেখে তাই পরবর্তীতে তার চরিত্রে প্রতিফলিত  হয়।

চরিত্রবান ব্যক্তির স্বভাব অভিযোগ ও প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে থেকেও আত্মশক্তির বলে বলিয়ান হয়ে অশান্তি কে জয় করতে পারে। ভয় সংশয় ও সন্দেহ তাকে কিছুতেই দুর্বল করতে পারে না। কারণ সততা ও ভীতি কখনো একসাথে বসবাস করে না। তাই চরিত্রবান ব্যক্তিকে ভয়েস প্রশ্ন করতে পারে না। তার আত্মপ্রত্যয় এর কাছে দীনতা হার মানে। একজন ছাত্র পাঁচ বছর লেখাপড়া করে যেমন একটা সার্টিফিকেট অর্জন করে তেমনি ছোট থেকে কৈশোর কাল পর্যন্ত তার ভালোবাসার জন্য ভবিষ্যতের সে চরিত্রের সার্টিফিকেট অর্জন করে।

নিজেই নিজেকে শুধরাতে হয় অন্যজন বলে কখনো একজনকে ভালো করতে পারে না তাই নিজে নিজের চরিত্রকে ব্যবহারকে ভালো করতে হবে একজন মাননীয় শিক্ষক পিতা মাতা হুজুর গন এর ব্যবহার এর দিকে তাকিয়ে।চরিত্রবান মানুষ কারো সাথে ঝগড়া বিবাদ খারাপ ব্যবহার করতে পারে না তার বিবেকে বাঁধা দেয়।

তিনি সব সময় চান যে পরিবার সমাজ দেশে শান্তি বিরাজমান থাক। তিনি সুদ-ঘুষ সবকিছু থেকে বিরত থাকেন। যা একজন চরিত্রহীন মানুষের মাঝে নেই।

একজন চরিত্রহীন মানুষ কেমন?

চরিত্রহীন ব্যক্তি পশুর সমতুল্য এবং সকলের ঘৃণার পাত্র। তার দ্বারা সমাজ ও দেশের কোনো অগ্রগতি সাধন সম্ভব নয়। সে যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের অপরাধ করতে পারে । তাই চরিত্রহীন ব্যক্তি বিদ্বান হলেও তার সঙ্গ ত্যাগ করা উচিত। তারা কখনো নিজের কাজকে ছোট করে দেখেনা তারা সবসময় নিজেকে বড় মনে করে এটা হল তার মূর্খতার বড় পরিচয় এই জন্যই সে চরিত্রহীন।

সব কথায় নিজেকে জ্ঞানী মনে করে অন্যের কথা আগে মূল্য দিতে চায় না এইজন্য সে চরিত্রহীন। জ্ঞানী ও নম্র ভদ্র মানুষের কোথায় মুখরোচক কথা বলেন এই হলো চরিত্রহীন কথার মূল্য দিতে জানে না যে কথার মূল্য দিতে জানে না আল্লাহ তাকে পছন্দ করেন না তাই আমরা চরিত্রহীন হবো না।

চরিত্রবান ব্যক্তির উদাহরণ:

পৃথিবীতে যে সকল মানুষ তাদের কাজে স্মরণীয় হয়ে আছেন তাদের সকলেই সচ্চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাঃ, হযরত ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজী মুহাম্মদ মহসিন অমুক ব্যক্তি ইতিহাসে আজও অমর।

তাদের সাফল্য ও সম্মান তাদের খেতি ও অমরত্ব সমস্ত কিছুর পেছনে ছিল চরিত্র শক্তি। আর এ শক্তি যাদের ছিল না তারা প্রতারক হিসেবে নিন্দিত হয়েছেন।

তাই বলবো চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ। মানুষ জ্ঞানী ও ধনী হলেই পূর্ণ মনুষ্যত্ব লাভ করতে পারে না। চরিত্র বলে বলিয়ান মানুষই পূর্ণ মনুষ্যত্বের অধিকারী হয়। তাই আমাদের সকলের উচিত নয় সত্য পথে চলা এবং সত্যিকার চরিত্রবান হওয়া।

এই ছিল আমার চরিত্র নিয়ে কিছু বলা কথা আপনারা সবাই হয়তো বুঝতে পারছেন হ্যাঁ সবশেষে এটাই বলব এই করোনা কালীন সময়ে আপনারা ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন মাক্স ব্যবহার করুন এক ঘন্টা পর পর সাবান অথবা স্যানিটাইজার অথবা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে 20 সেকেন্ড ধরে হাত পরিষ্কার করুন।

আজ আমরা ঘরে আছি আমাদের সুরক্ষার জন্য যাতে ভবিষ্যতে আমরা আবার একসাথে হয়ে কাজ করতে পারি এই মন্তব্য ব্যক্ত করছি।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles