কক্সবাজার ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনলেই মনটা আর কোন কাজেই বসতে চায় না। কক্সবাজার যাওয়ার জন্য পরিবার থেকে অনুমতি নিতে সত্যি অনেক কষ্টের ব্যাপার, যায় হোক অনেক বুঝিয়ে অনুমতি নিয়ে কক্সবাজার যাওয়া জন্য সব ঠিক করলাম।
কক্সবাজার যাওয়ার দিন: সকাল সাড়ে ৬টার সময় ঘর থেকে বের হলাম। সিএনজি যোগে পটিয়া ইন্দ্রপুল বাইপাসের সামনে এস আলম সার্ভিস থেকে ২৫০ টাকা দিয়ে একটা টিকিট করলাম তারপর ঠিক সাড়ে সাতটায় বাস চলতে শুরু করলো আহারে কি আনন্দ লাগছে।। আর সেদিন প্রকৃতিটা যেন এক অপপরূপ সৌন্দর্যে মুখরিত হয়ে আছে।
এত সুন্দর আবহাওয়া সত্যি খুব ভালো লাগছে। প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা পরেই আমি কক্সবাজার বাস কাউন্টারে গিয়ে পৌঁছালাম৷ ভগবানের কৃপায় কোন অসুবিধা হয় নি৷ বাস থেকে নেমে দেখি আমার বড় দিদি আমার জন্য অপেক্ষায় আছেন তারপর দিদির সাথে বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম তারপরে দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করলাম সবার সাথে।
বিকেল ৪টার দিকে আমি আমার দিদি আর দিদির একটা ফ্রেন্ড একসাথে একটা টমটম গাড়ী করে কলাতলী গিয়ে পৌঁছালাম। গাড়ী থেকে নেমেই প্রথমেই চোখ যায় বিশাল সমুদ্রের দিকে এই পার ওইপার কোন দিকেই কিনারা খুঁজে পাওয়া যায় না। শুধু দুই চোখ যতটুকু যায় ততই পানি আর পানি। সাগরের বিশালতা দেখে নিজেকে অনেক আনন্দিত মনে হচ্ছে তারপর ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছেছি সুগন্ধা পয়েন্ট এরপর লাবনী পয়েন্ট এরপরে ডাইবেটিস পয়েন্ট।
প্রচুর ছবিও তুলছি অনেক মজা করছি। তারপর গাড়ী করে বাসায় চলে আসছি। বাসা থেকে আবার সন্ধ্যায় বের হয়েছি ইনানি বীচের উদ্দেশ্য ঘুরে ঘুরে অনেক আচর ও বিভিন্ন জিনিস পত্র ক্রয় করলাম এবং পরিশেষে আবার ব্যাগটা নিয়ে বাড়ীর উদ্দেশ্য রওনা হলাম। আসলে দিনটা ছিল সত্যিই আনন্দের।। সেখান থেকে ভালোভাবে বাড়ী পৌঁছলাম কোন অসুবিধা হয় নি৷ সবাইকে অনেক মিস করতেছি৷ ।
এটায় হলো আমার কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে একটু অনুভূতি। ভালোলাগলে শেয়ার দিবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
You must be logged in to post a comment.