গভির রাতের ভ্রমন ?

ছোটো থেকেই অচেনা জায়গা চেনার সখ আমার।  এইরকমই এক দিনের কথা, সেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই শরীরটা কেমন জানি করছে, ভাবলাম তাহলে একটু বাইরে থেকে ঘেরে আসা যাক। 

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

যেমন ভাবনা তেমন কাজ, ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে চললাম। আমাদের এখান থেকে অনেক দূরে আমার একজন বন্ধু আছে ভাবলাম ওদের বাসায় যাবো বেড়াতে।

এর পর স্টেশনে গিয়ে ট্রেনের টিকেট কেটে উঠে পড়লাম ট্রেনে। এর পর অনেকটা পথ যাওয়ার পর অবশেষে পৌঁছলাম তাদের গ্রামে।

কিন্তু সমস্যা হল আমি বন্ধু বাসা চিনিনা, আর না চিনি সেই গ্রাম। তখন ফোনের ব্যাবহার শুরু হয়নি,  তাই যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল চিঠি। 

কিন্তু সেখানে গিয়েছিলাম আমি বন্ধুকে চিঠি না লেখেই। তাই সে জানতওনা যে আমি ওদের বাড়িতে যাচ্ছি,  ভেবেছিলাম হঠাৎ গিয়ে তাকে চমকে দেবো, কিন্তু এখন তো আমি মহা বিপদে পড়ে গেলাম। 

এসব ভাবতে ভাবতে সন্ধ্যা নেমে এলো, চারিদিকে নিকুষ কালো অন্ধকার জনমানবহীন এলাকায় যেনো মনুষ্যি বলতে আমি ছাড়া আর করো চরনের চিহ্ন পর্যন্তু নেই।

আমি রাস্তা ধরে সামনে এগিয়ে চললাম। কিন্তু কোথায় যাচ্ছি তা নিজেরও অজান।

মেঠোপথে চলতে চলতে দেখলাম সেই পঠ গিয়ে ঢুকেছে এক বিশেল জঙ্গলের মধ্যে। আর উপার না দেখে সেই জঙ্গলের পঠেই হাঁটা লাগামলাম।

একটু গহীনে প্রবেশ করতেই দেখলাম চারিদিকে অগণিত রাস্তা,  কোন দিকে যাবো সে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে কিঞ্চিত পরিমান সময় নষ্ট করলামনা।

একটা পথ বেছে নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে লাগলাম। আর একটু সামনে জেতেই একটা বড়ো বটগাছ চোখে পড়লো।

সারাদিনের ক্লান্তি দূর করার উদ্দেশ্যে গাছের নিছে একটু বিশ্রাম নিবার কথা ভাবলাম, অতপর সেখানে বসে একটু চোখ দুটি বন্ধ করতেই কেমন জানি একটা অদ্ভু অনুভূতি হল।  আমি সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে সেখানেই বসে থাকলাম। 

কিন্তু আমি না মনোযোগ দিলে কি হবে সেই একই ভয়ংকর অনুভূতি আবার অনুভব করতে পারলাম আমি একটুও সময় নষ্ট না করে উঠে দাঁড়িয়ে পড়লাম তাকিয়ে যা দেখলাম তা দেখার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলামান আমি।

দেখলাম আমার মাথার ঠিক উপরেই একটা লাশ ঝুলছে গাছের ডালে যার গলায় একটা দড়ি লাগানো সেই দড়ির অপর প্রান্ত গাছের একদম উপরে ডালের সঙ্গে বাধানো।

আমি ভয় পেয়ে সেখান থেকে ছুট লাগালাম।  কিন্তু কোন পথে এসেছি সে পথের সন্ধান আর পাচ্ছি না।  কারন সে জঙ্গলটা ছিল গোলাকৃতির পথ গুলোও তাই।

সেই অন্ধকারে আকাশের মাঝে একটুকরা চাঁদ দেখে কিছুটা হলেও সাহস হল বুকে।

কিন্তু সেখানে আরেক কান্ড। ঝলমলে চাঁদের হাসির মাঝে দেখতে পেলাম একটা সাদা কাপড় রাস্তার মাঝখানে পড়ে আছে একটু হালকা বাতাসে কাপড়টা উড়ে গিয়ে পড়লো একটা উঁচু গাছের ডালে আমি ভয়ে সেখানেই অচেতন অবস্থায় পড়ে গেলাম। 

তার পড় কি হয়েছিল তা আমার জানার কথা নয়। এর পর জখন চোখ খুললাম তখন দেখলাম একটা ভাঙা বাড়িতে একটা নড়বড়ে খাটে শুয়ে আছি,

ভয়ে আবারো চিৎকার করে উঠতেই একজন বন বিভাগের অফিসার এসে বললো  আমি নাকি অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলাম,

তখন ওরা এখানক নিয়ে এসেছে, কিন্তু ওই লাশগুলোর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতেই তারা বললেন এরকম কোনো ঘটনা এখানল ঘটেনি।

আমি আজও সেই ধাঁধার উত্তর খুজে পাইনি ?

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ