সেইদিন রবিবার ছিল। সকাল ৬ টাতে ঘুম থেকে উঠে ব্যাগ গুছিয়ে হালকা কিছু খেলাম। তখন ছোট একটা ইচ্ছা ছিল বিআরটিসি বাসে উঠে এবার ঢাকা যাবো।
বাস যাবে ৭ টার দিকে আমি আমার মায়ের সাথে ৭ টা ১০ এ বাসে গিয়ে বসলাম বাস আরো ১০ মিনিট পারে যাত্রা শুরু করেছে।
৩ ঘন্টায় চলে গেলাম গুলিস্তান। সেখানে গিয়ে বাস থেকে নামলাম। আমি আর আমার মা নেমে একটা হোটেলে গিয়ে বিরিয়ানির খেলাম।
খাওয়া শেষে আমরা গারি খুজতে লাগলাম। আমরা গুলিস্তান থেকে মাওতাল যাব আম্মু অনেক ভয় পাচ্ছে কারন এর আগে একা কখনো আমাকে নিয়ে আসে নাই। সবাই বলে গুলিস্তান যায়গাটা অনেক খারাব সেখানে মারামারি, ছনতাই বেশি হয়।
তাই সেখান থেকে একটা সিএনজি নিলাম লোকটা ৩৫০ টাকা ভারা চাইলো কিন্তু গুলিস্তান থেকে মাওতাল ২৫০ টাকাতেই যাওয়া যায়।
আম্মু ভয়ে ছিল তাই আমাকে নিয়ে তারাতারি করে বেশি টাকা দিয়ে হলেও চলে আসি মাওতাল। সেখান থেকে এক আত্মীয়ের বাসায় যায় আমি আর আম্মু।
গিয়ে আম্মু একটু সস্তি পায়। পরদিন আম্মু কে বলালাম কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাও।
আম্মু বলল কোথায় যাবি। আমি বললাম আসে পাসে কোথাও পরে আম্মু আমাকে সেদিন বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ে যায়।
দোয়েল চত্বর এর সামনে রিকশা থামালো। আমি আর আমার আম্মু কার্জন হলের ভিতরে গেলাম অনেক ভালো লাগলো। হাটলাম অনেকক্ষন আম্মু আমাকে কয়েকটি ছবি তুলে দিল অনেক ভালো লাগছিলো।
তখন অদ্ভুত এক আবেগ কাজ করছিল। মনে হচ্ছিলো আমার সপ্নের অনেকটা কাছে আছি। সে তখন থেকে আমি সপ্ন দেখতে শুরু করি যে আমি একদিন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বো।
অনেক আবেগ কাজ করছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে।
এই ভ্রমন তুচ্ছ হলেও আমার কছে সেরা এক ভ্রমন। যে দিন চান্স পাবো আমার সপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই দিন আমি দুনিয়ায় সবচে সুখি মানুষ মনে করবো।
আমার কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি প্রতিষ্টান আমার কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বুক ভরা আবেক অনুভূতির ঢেও।
You must be logged in to post a comment.