এসএম সুলতান এর বাড়ি ভ্রমণ

আশা করি ভালো আছি আমরা সকলে। আমরা অবসর সময়ে অনেকে ঘোরাঘুরি করতে চায় কিন্তু সময়ের ব্যস্ততায় আমরা পারি না।

আমি কিছুদিন আগেই ভ্রমণ করলাম নড়াইলের এস এম সুলতান এর স্মৃতি বিজাড়িত বাড়িটি। খুবই ভালো লাগলো ঐখানে কিছু মূহুর্ত কাটিয়ে।

আমরা অনেকেই বইয়ে এসএম সুলতান এর চিত্রকলা ও তার জীবন সম্পর্কে জেনেছি।

তিনি ছিলেন একজন অনবদ্য চিত্রশিল্পী।চিত্রশিল্পে তার অবদান অধিক।তিনি ছিলেন একজন মেধাবী ব্যক্তি।তার আকাঁর হাত ছিলো খুবই সুন্দর।

আমরা এক সকালে বাঘারপাড়া থেকে একটি গাড়ি ভাড়া করে গিয়েছিলাম স্মৃতি বিজাড়িত এই বাড়ি ভ্রমণ করতে।যাত্রা কালে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পেরে মনটাকে খুবই আনন্দময়ী হয়ে উঠেছে।বলার মত ভাষা হারিয়ে ফেলেছি এই সুন্দর ভ্রমণ এর ব্যাখা করতে যেয়ে।

এই জায়গাটিতে রয়েছে তাঁর একটি লাইব্রেরি, তার বসবাসের জন্য সুসজ্জিত ঘর।আমরা পরিদর্শন করতে পেরেছিলাম এসএম সুলতান যে নৌকায় বসে ছবি আঁকতেন সেই কাঠের নৌকাটি। তার বাড়িতে রয়েছে তার একটি পাথুরে মূর্তি। তার বাড়িত রয়েছে নানা প্রকারে উদ্ভিদ।

এই বাড়িতে বিরাজ করা প্রকৃতি যেন আপন লীলায় মত্ত থাকে তাদের সৌন্দর্য  মানুষকে উপহার দিবে বলে।এই স্মৃতি বিজাড়িত বাড়িটির প্রতিটি তলায় আছে চিত্র শিল্পীর শিল্পকলা।

এই বাড়িতে ঢোকার জন্য প্রথমে টিকিট কাটতে হয়।এই বাড়ির জাদুঘর এ জায়গা পেয়েছে এস এম সুলতানের দুর্ভিক্ষ, মুক্তিযুদ্ধ সহ আরও অনেক ঐতিহাসিক দিনের চিত্র কর্ম।

আমরা এখানে অনেক সময় অতিবাহিত করার পর গিয়েছিলাম একটি হোটলে দুপুরের ভোজন সমাপ্ত করার জন্য।

ঐ হোটেলে ভোজন শেষ করার পর যে নদীটি বয়ে যায় এস এম সুলতান এর বাড়ি পাশ দিয়ে সেখানে কিছুটা সময় অতিবাহিত করি।

তারপর আবারও ফিরে আসি এস এম সুলতান এর বাড়িতে। এই বাড়িতে অবস্থান কালে তার  জাদুঘরে থাকা একটি মতামতের খাতায় কিছু লেখার কথা বলা হয় আমাদের সকলকে।

আমরা সকলেই কিছু না কিছু লিখি। আমরা লেখার সময় খেয়াল করি চায়না ভাষায় একটি মতামত লেখা যেটা আমরা দেখতে পেয়ে অনেকটা নিজেদের দেশকে নিয়ে গর্ব বোধ করতে লাগলাম।

বিকাল হলেই আমরা আবারও আমাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আমরা আবারও ফেরার পথে তুলরামপুর এর যে ব্রিজ এর কাজ চলছে ঐখানে আমাদের গাড়ি থামালাম।

ঐখানে কর্মরত ব্যক্তিদের কাছ থেকে ব্রিজ এর সকল কিছু সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম।ট্রেন রাস্তার যে কাজ হচ্ছে সেটা একটু দেখলাম।

সত্যি কথা বলতে এত সুন্দর সময় অতিবাহিত করতে পেরে আমি খুবই আনন্দ পেয়েছি।এরকম ভ্রমণ আমাদেরকে মাঝে মধ্যে অনেক শিক্ষা দিতে সক্ষম।

আমাদের সকলকে এরকম ভ্রমণ এ আগ্রহ প্রকাশ করতে হবে। আমরা গর্বিত যে আমরা বাংলাদেশ এ থাকতে পারছি আমরা বাংলাদেশ এর অপরূপ প্রকৃতি উপলব্ধি করতে পারছি।

আজ আর নয়।আবারও সকলে আসবো নতুন গল্প নিয়ে।সকলে ভালো থাকবেন।সুস্থ থাকবেন।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles