শিক্ষা সফর | স্থান গজনী অবকাশ কেন্দ্র, শেরপুর।

গজনী অবকাশ কেন্দ্র, শেরপুর। জায়গাটি কক্সবাজার বা জাফলং এর মতো বিশেষ কোনো জায়গা না হলেও এটি আমার কাছে বিশেষ একটি জায়গা।কারণ এটিই ছিলো।

আমার জীবনের প্রথম শিক্ষা সফর।আমি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম  বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের একজন শিক্ষার্থী।

দিনটি ছিল ১৯ মার্চ, ২০২২। সকাল ৬ ঘটিকায় বিভাগের নিচে সকলে একত্রিত হই। একত্রিত হওয়ার পর সকলকে বিভাগের পক্ষ থেকে একটি করে টিশার্ট দেয়া হয়।

শিক্ষক শিক্ষিকা ও উনাদের পরিবার আমাদের সাথে অংশগ্রহণ করেছিলেন।একসাথে গ্রুপ ফটো তোলা হয়।

সকালের খাবার দেয়া হয়(মুরগি দিয়ে খিচুরি+পানির বোতল)।

খাবার নিয়ে সবাই বাসে ওঠে যাই।খাবার শেষে ক্যাম্পাস থেকে বাস ছাড়ে গজনী অবকাশ কেন্দ্র শেরপুরের উদ্দেশ্যে।

বাসে যাওয়ার সময় চারপাশের দৃশ্য উপভোগ করার মতো ছিলো। বাসে নাচ গানে বন্ধুবান্ধবের পারফরম্যান্স ছিল দেখার মতো। প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা পর পৌঁছায় গজনী অবকাশ কেন্দ্রে।

সকলে ফ্রেশ হওয়ার জন্য আগে থেকেই রুম বুক করা ছিলো।সবাই ফ্রেশ হয়ে একত্রে দর্শনীয় স্থানগুলো দেখতে বের হই। পায়ে হেটে সব স্থান গুলো ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকি সকলে মিলে।

ফাঁকে ফাঁকে গ্রুপ ফটো তোলা হয়।বিভাগের ই কয়েকজন ফটোগ্রাফার বন্ধু ছিলো তারাই ছিলো ফটোগ্রাফির দায়িত্বে।

আমরা ভ্রমণে বের হয় আর এদিকে বাবুর্চিরা দুপুরে রান্নার কাজে ব্যাস্ত থাকে।

রান্নার জন্য আগের দিনেই প্রয়োজনীয় মাংস,সবজি,চাল,ডাল,লাকরী বাজার থেকে ক্রয় করা হয় এবং সাথে করে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভ্রমণের সময় বিভাগের একজন শিক্ষক তেঁতুল কিনে খাইয়ে ছিলেন। খুবই মিষ্টি তেঁতুল ছিল।

ঝুলন্ত সেতু,ডাইনোসর ও মটো পাতলোর ভাস্কর্য প্রভৃতি দেখার মতো ছিল।ঘুরাঘুরি শেষে দুপুরে খাওয়ার জন্য সবাই ছায়াযুক্ত একটি স্থানে একত্রিত হই।

খাবার হতে লেট হওয়ায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।

গান,নাচ আবৃতি পরিবেশনা করে সহপাঠী ও জুনিয়ররা। একটু বিরতি দিয়ে 

একসাথে দুপুরে খাবার খাই। পোলাও,সালাদ, মুরগির মাংস,গরুর মাংস ও ডাল ছিল খাবারের মেনু তে। হিন্দু ধর্মাবলম্বী দের জন্য গরুর মাংসের পরিবর্তে খাসির মাংসের ব্যবস্থা করা হয়।

খাবারের পর আবারো শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। 

এরপর ছেলেদের জন্য বেলুন খেলা আর মেয়েদের জন্য পিলো পাসিং এর ব্যবস্থা করা হয়।

খেলা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলায় বিজয়ীদের মধ্য পুরুস্কার বিতরন করা হয়।

সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আবার ক্যাম্পাস এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই।

রাস্তায় রাতের নাস্তা দেয়া হয় (কোল ড্রিংস আর পাইন এপেল বিস্কুট)।আসার সময় বন্ধুবান্ধব রা আবার গান নাচ পরিবেশন করে।

রাতে ১০ টায় এসে ক্যাম্পাসে পৌঁছায়।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles