কল্পনায় তুমি পর্বঃ ০১
সাল'টা ঠিক মনে নেয় কিন্তু তোমার সাথে কাটানো দিন গুলো আমার বেশ ভালো ভাবে মনে আছ_বলতে পারো তুমি আমার পথ চলার সঙ্গী ছিলে কিন্তু মাঝ পথে তোমাকে ছেড়ে চলে যেতে হবে সেটা কখনো ভাবিনি
ছেলেটার বয়স আর কত হবে নয় কি দশ আর মেয়েটার বয়স ও ওর সমবয়সী তবে স্কুল যাওয়ার পথে রোজ একে অপরের সাথে দেখা হতো আর ওদের বাড়িও বেশি দূরে কোথাও নয় সীমানার মধ্যে ছিলো_
অরণ্য আজও রাস্তার একপাশে দাড়িয়ে ওর জন্য অপেক্ষা করছে মনে হয় আজ খুব রেগে আছে ওর কপালে মনে হয় খুব দুঃখ আছে
পাখি কয়েক হাত দূরে থেকে দৌড়াতে দৌড়াতে অরণ্যর সামনে এসে দাড়ায়_হাফাতে হাফাতে অরণ্যর ব্যাগ থেকে জলের বোতলটা বের করে সমানে কয়েক ঢোক জল খেয়ে নেয়_
ওকে জল খেতে দেখে অরণ্য তখন কিছু বলেনা কারণ ও জানে ওর জল খাওয়া শেষ হলেই অরণ্যর রাগের শিকার হতে হবে নিষ্পাপ মেয়েটিয়ে
পাখি তখন থেকে জলের বোতল নিয়ে মশকরা করে যাচ্ছে যেন পাঁচ মিনিট ধরে ওর জল খাওয়ায় শেষ হচ্ছে না _অরণ্য খুব বিরক্ত হয়ে এক পর্যায়ে পাখির মুখ থেকে জলের বোতলটা কেড়ে নেয়
অরণ্যঃ অনেক হয়েছে তোমার জল খেতে কতক্ষণ লাগে? আর রোজ রোজ তোমার জন্য আর কত অপেক্ষা করবো আমি
পাখিঃ তাহলে একা একা চলে গেলেই তো পারো? কে বলেছে আমার জন্য তোমাকে অপেক্ষা করতে? তোমার তো আর বন্ধুর অভাব নেয়
অরণ্যঃ হ্যা আমার বন্ধুর অভাব নেয় কিন্তু ওদের মধ্যে আর তোমার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে_আমার ওদের সাথে একদম ভালো লাগেনা আমার তোমার সাথে স্কুলে যেতে ভালো লাগে
পাখিঃ তাহলে সহ্য করতে হবে কারণ আমি এরোপ্লেন না যে উড়ে চলে আসবো
অরণ্যঃ তুমি এরোপ্লেন এর থেকে কম কিছু?রোজ তোমার জন্য স্কুলে যেতে দেরি হয় আজও দেরি হলো এখন চলো নয়তো বাকি class বাহিরে দাড়িয়ে থাকতে হবে
পাখিঃ না বাবা আমি class এর বাহিরে দাড়িয়ে থাকতে পারবো না তখন পা ব্যাথা হয়ে যাবে আমি খেলতে পারবো না
পাখি কথাটা বলে আবার দৌড়াতে দৌড়াতে চলে যায় অরণ্য তখন আরও রাগে গিয়ে ওর হাতের বোতলটা ছুড়ে ফেলে দেয় যার জন্য ও এতক্ষন ধরে অপেক্ষা করছিলো সে ওকে ফেলে রেখে চলে গেলো? রাগ তো হবেই "কিছুক্ষণ পর স্কুলে এসে পাখি হাঁপাতে হাঁপাতে মাঝ বরাবর সিটে বসে পড়ে তখন অনিক দৌড়ে এসে হাত ভর্তি চকলেট ওর দিকে এগিয়ে দেয়
অনিকঃ এ সব চকলেট আমি তোমার জন্য এনেছি আজ আমার birthday _class এর সবাইকে দিয়েছি শুধু তুমি বাকি ছিলে
পাখিঃ ও মা তাই তোমার আজ birthday আর এই সব গুলো চকলেট আমার জন্য এনেছো? তোমাকে এতগুলো ধন্যবাদ
পাখি খুব উত্তেজিত হয়ে ওর হাত থেকে চকলেট গুলো নিতে যায়? এমন সময় অরণ্য এসে ওর হাত সব চকলেট নিয়ে নিচে ফেলে দেয় পাখি কাঁদতে কাঁদতে উঠে দাড়ায়
অনিকঃ এটা কি করলে তুমি আমার সব চকলেট ফেলে দিলে? আমি স্যারকে বলে দিবো স্যার তখন তোমাকে বকবে
অরণ্যঃ তোর স্যারকে আমি ভয় পাইনা আর তোর দেওয়া চকলেট পাখি খাবেনা আমি ওকে খেতে দিবো না
পাখিঃ আমি তোমার সাথে আর কথা বলবো না
চোখ মুছতে মুছতে পাখি দৌড়ে চলে যায়"ও হয়তো বুঝতে পারেনি ওর মনের মধ্যে কি চলছে বয়সটা এমন নয়যে ওকে সেটা বুঝিয়ে দিতে হবে অন্য কারও সাথে দেখলে ওর বড্ড হিংসে হয় অনেক পার হয়ে গেছে ওর সাথে দেখা হয়নি"সেদিনের পর থেকে মনে হয়,
ওর রাগ ভাঙেনি" রাগ বললেও ভুল হবে ওর জমে থাকা অভিমান ছিলো এই অভিমানে পাখি ওর সামনে আসেনি রোজ যে মেয়েটা খেলতে আসতো একয়েকে দিনে খেলতেও আসেনি
একদিন অরণ্য থাকতে না পেরে ওদের বাড়ির পিছনের বাগানটা পার হয়ে জানালা দিয়ে ওর ঘরে আসে আর আজকে কিন্তু প্রথম নয় এর আগেও অনেক বার জানালা দিয়ে ওর সাথে দেখা করতে এসেছে বয়ং ও যতবার মন খারাপ করে থেকেছে ততবার এ জানালা দিয়ে ওর সাথে দেখা করতে এসেছে আজও কিন্তু এর ব্যাতিক্রম হয়নি
পাখি তখন উবুড় হয়ে বিছানার শুয়ে থেকে রং দিয়ে আঁকছিলো অরণ্য ভুতের মতো এসে ওর সামনে দাড়ায় আচমকা ওর চোখে চোখ পড়ে যাওয়াতে পাখি আবার মুখ ফুলিয়ে নিয়ে ওর দৃষ্টি সরিয়ে নেয়
অরণ্যঃ তুমি এতদিন স্কুলে আসোনি কেন? আমি তোমার জন্য কত অপেক্ষা করেছি তুমি তাও আসোনি খেলতে ও আসোনি
পাখিঃ আমি তোমার সাথে কথা বলবো না তুমি চলে যাও আর এখানে কোনদিন আসবে না তোমার সাথে আমার আর কোন কথা নেয় বুঝেছো
অরণ্যঃ আমার সাথে কথা বলবে না কেন আমি কি করেছি আর আমাকে চলে যেতে বলছো কেন? একদিন কিন্তু আমি তোমাকে ছেড়ে সত্যি চলে যাবো তখন বুঝবে
পাখিঃ এক্ষুনি চলে যাও আমার কিছু বোঝার নেয় আমি তোমার সাথে কথা বলবো না মানে বলবো না আজ থেকে তোমার সাথে আমি আড়ি
অরণ্যঃ আমি কি করেছি যে তুমি আমার সাথে আড়ি নিবে
পাখিঃ "ভাজা মাছ যেন উলটে খেতে জানেনা" এমন করছে যেন কিছু হয়নি কিছু জানেনা
অরণ্যঃ সত্যি তো আমি কিছু জানিনা তুমি কেন আমার উপর এত রাগ করে আছো
পাখিঃ তুমি আমার কে হও যে আমি তোমার উপর রাগ করতে যাবো
অরণ্য কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারেনা_কি বলবে? সত্যি তো ওর কে হয় যে ওর উপর রাগ করতে যাবে অরণ্য খুব গম্ভীর হয়ে ওর পকেটে থাকা অনেক গুলো চকলেট পাখি হাতে দিয়ে অরণ্য জানালা দিয়ে বের হয়ে যায়,
পাখি চকলেট গুলো হাতে নিয়ে বেশ নিরব হয়ে যায়,
কেও ওর জন্য এতটাও ভাবতে পারে? ওকে খুশি করার জন্য এতটাও করতে পারে
তার পরের দিন সকাল বেলা অনেক আগেই পাখি সে জায়গায় চলে আসে যেখানে রোজ দু'জনে দাড়িয়ে থাকতো আজ ভিতরটা ভিশন নরম হয়ে আছে_যে মেয়েটা কখনো সময় মতো আসতো না সে মেয়েটা আজ অনেক আগেই এসে দাড়িয়ে আছে_কেন যেন ওর সাথে দেখা করার জন্য মনটা ভিশন উতলা হয়ে আছে খুব অস্থির লাগছে নিজেকে
একঘন্টা ধরে ওর জন্য অপেক্ষা করার পরেও যখন আজ অরণ্য এলোনা তখন পাখি মন খারাপ করে সেখান থেকে চলে যেতে লাগে হঠাৎ করে অরণ্যকে দূর থেকে আসতে দেখে পাখি আবার দৌড়ে অরণ্যর কাছে যায় কিন্তু অরণ্যকে খুব মনমরা দেখাচ্ছিলো খুব নিরব হয়ে পাখির দিকে তাকিয়ে ছিলো
পাখিঃ আজ আমি তোমার আগে এসেছি তুমি আমাকে আর বকতে পারবে না
অরণ্যঃ আজকের পর থেকে মনে হয় আমাদের দেখা হবেনা আমি তোমার সাথে আজ শেষ বারের মতো দেখা করতে এসেছি পাখি
পাখিঃ তোমার সাথে আমার দেখা হবেনা কেন তুমি কি আমার মতো রাগ করেছো নাকি
অরণ্যঃ রাগ করবো কেন? আমি মমকে অনেক বলেছি মম আমার কোন কথা শুনলো না মম এর সাথে আজ আমাকে লন্ডন চলে যেতে হবে কিন্তু আমি মমের সাথে যেতে চাইনা
পাখিঃ তাহলে আমাকে এখন থেকে একা স্কুলে যেতে হবে কেও আর আমার জন্য এখানে দাড়িয়ে অপেক্ষা করবে না? তুমি খুব খারাপ তাহলে আমারও তোমার সাথে আর কোনদিন দেখা হবে না
কথাটা বলেই পাখি দৌড়ে চলে যায় ওর এক পায়ের নুপুর ঘাসের আড়ালে পড়ে যায়_অরণ্য একলা আকাশ মাথায় নিয়ে দাড়িয়ে থাকে দূর থেকে পাখিকে ওর মনের খাঁচায় শূন্য হয়ে যেতে দেখে এই সঙ্গীকে ছাড়া বাকি জীবন ওর চলবে কি করে? কার সাথে ঝগড়া করবে?
অরণ্য ঘাসের আড়াল থেকে নুপুরটা ওর হাতে তুলে নেয় দূর সে পথের দিকে তাকিয়ে দুচোখের কোনা থেকে একটা ফোঁটা জল মুছে নেয় আর যায় হোক বেপরোয়া মন কখনো ছোটবেলার ভালোবাসাকে ভুলতে পারেনা,
এই বেদনা এই কষ্ট সারাটি জীবন কাঁধে করে বইয়ে বেড়াতে হয়"এই নয় দশের অনুভূতিই বা কতটুকু ছিলো যে সারাটি জীবন ওকে ভেবেই পার করে দিতে হবে? সেদিন পাখি ওর থেকে অভিমান করে চলে গেছিলো আর অরণ্য ওকে ছেড়ে হাজার মাইল দূরে নতুন একটা জীবন শুরু করেছিলো
দেখতে দেখতে পনেরোটি বছর পার হয়ে গেছে সে রাস্তা সে স্কুল সব বদলে গেছে স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে আজ হয়তো তারা অনেক বড় হয়ে গেছে? তারা বুঝতে অনুভব করতে শিখেছে ছোটবেলার সে পাগলামো শুধু পাগলামো ছিলো না অনেক কিছু ছিলো ওর জীবনে
অরণ্য চেয়ারে হেলনা দিয়ে তখন থেকে একভাবে নুপুরের দিকে তাকিয়ে আছে খুব ছোট্ট একটা নুপুর কিন্তু কি জানি খুব কষ্ট লুকিয়ে আছে তার মধ্যে আর অবিরত চোখের জলে বুক ভিজে যাচ্ছে ঘনো লাল হয়ে আছে চাহনি শুধু ছটফট করছে বুকের ভিতরে
অরণ্যঃ কোথায় আছো তুমি পাখি আমি সত্যি আর পারছি না
I need you i can't live without you যেদিন থেকে আমি তোমাকে ছেড়ে এসেছি সেদিন থেকে আমি একটুও শান্তিতে নেয়
এমন সময় কেও তার নরম হাত ওর কাঁধে রাখে অরণ্য সাথেসাথে তার দিকে তাকায় তার মুখ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না কিন্তু তার চিরচেনা স্পর্শে অরণ্য অস্থির হয়ে উঠে দাড়ায় খুব রেগে গিয়ে অরণ্য তার বাহু দুটো চেপে ধরে
অরণ্যঃ আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি তোমার জন্য আর তুমি আমার থেকে দূরে দূরে থাকছো? এত সহস আসে কোথায় থেকে তোমার? পাখি আমি তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করছি তুমি আমার কথার Answer দাও
পাখিঃ এর কোন উত্তর নেয় আমার কাছে ? তুমি অনেক আগে নিজের থেকে আমাকে আলাদা করে দিয়েছো তাহলে এখন কেন আমাকে ফিরে পেতে চাইছো
অরণ্যঃ তখন আমি ছোট ছিলাম helpless ছিলাম অন্য কারও উপর depend থাকতাম এতকিছু বুঝতাম না আমার তোমাকে প্রয়োজন কিন্তু কেন প্রয়োজন আমি জানিনা
অরণ্য খুব শান্ত গলায় কথা গুলো বলে খুব দুর্বল হয়ে পড়ে ওর কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে রেখে অনুনয়-বিনয়ে ওকে দুচোখ ভোরে মনের চোখ দিয়ে কল্পনা করে যায়? কিন্তু ওর চেহারা তো স্পর্শ নয় এমনকি অরণ্য এটায় জানেনা ও এখন নিছক খেলার মাঝে জরিয়ে গেছে
অরণ্যঃ তোমাকে কেন প্রয়োজন নিজেকে অনেক বার প্রশ্ন করেছি কিন্তু আমি এর Answer কোথাও পাইনি? শুধু মনে
হয় তোমাকে এক্ষুনি নিজের করে নিই আচ্ছা তোমারও কি তাই মনে হয়
পাখিঃ আমার এমন কিছু কখনো মনে হয়না কারণ তুমি অনেক আগে আমাকে ছেড়ে দিয়েছো তাহলে আমার কেন এমন মনে হতে যাবে? তুমি কেও না আমার জীবনে
অরণ্যঃ তুমি এত স্বার্থপর কেন পাখি? আমি দিন রাত তোমার জন্য পাগল হয়ে যাচ্ছি তোমাকে আমার চারিদিকে খুঁজে চলেছি আর তুমি আমাকে তোমার জীবনে চাওনা বলছো
পাখিঃ সেটা তো আর ভালোবাসা নয় তোমার আবেগ থেকে তুমি এ কথা গুলো বলছো
অরণ্য তখন খুব চুপ হয়ে যায় আবেগ না ভালোবাসা ও নিজের মাঝে দিবাদন্ত হয়ে পড়ে? সারাক্ষণ পাখির মুখটা ওর কাছে অস্পষ্টই থেকেছে চেষ্টা করেও স্পষ্ট করতে পারেনি ওর দৃষ্টিতে
অরণ্য তখন খুব উদগ্রীব হয়ে পাখিকে কিছু বলতে যায় হঠাৎ দেখে পাখিকে আবার ও কোথাও হারিয়ে ফেলেছে? এতক্ষণ পাখি ওর কাছাকাছি ছিলো এখন আর নেয়? অরণ্য খুব অস্থির হয়ে পড়ে পাখিকে আশেপাশে খুজতে থাকে পাখিকে না পেয়ে অরণ্য নিস্তব্ধ হয়ে নিচে বসে পড়ে
অরণ্যঃ এটাও তাহলে আমার কল্পনা ছিলো?
তীব্র মাথা যন্ত্রনা নিয়ে অরণ্য একসময় বিছানায় গা এলিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে বেশ অনেক রাত পার হয়ে যায় রাত যত গভীর হতে থাকে ওর ঘুমটাও তত গভীর হতে থাকে? রাত তিনটার সময় গিয়ে খুব জলের তৃষ্ণায় ঘুম ভেঙে যায় ঘরের আলো তখন নেভানো ছিলো অরণ্য ঘরের আলো না জ্বলিয়েই চোখ দুটো বন্ধ রেখে জলের গ্লাসটা খুজতে থাকে হঠাৎ কারও শীতল হাতের স্পর্শ পেয়ে অরণ্য ততক্ষণাৎ চোখ দুটো খুলে তাকায়,
কিন্তু সেখানে কাওকে না দেখে খালি জলের গ্লাসটা নিয়ে অরণ্য ঘর থেকে বেড়িয়ে আসে বেখেয়ালি হয়ে সিরি বেয়ে নিচে নামতে নামতে হঠাৎ দমকা হাওয়া বুকে এসে লাগে চারিদিকে ভিশন অন্ধকার হয়ে আছে অরণ্য তেমন কোন গুরুত্ব না দিয়ে করিডর পেরিয়ে ডাইনিং টেবিলে চলে আসে জগ নিয়ে গ্লাসে জল ঢাকতে থাকে,
এমন সময় সে শীতল হাতটা কেও ওর কাঁধে রাখে ততক্ষণাৎ ওর হাত থেকে কাচের গ্লাসটা নিচে পড়ে যায় "সে একই অনুভূতি বারবার ওর কাছে এসে ধরা দেয় কিন্তু মুখটা সবসময় অস্পষ্ট " যখন স্পর্শ'টা ওর শরীরে পড়ে সারা দেহে যেন অস্বস্তির শুরু হয় বুকের ভিতরটা কেপে যায়
অরণ্য ওর শীতল হাতের স্পর্শ পেয়ে যখন ওর সামনে ফিরে তাকাতে যাবে হঠাৎ ওর ঘুম ভেঙে যায়
অরণ্য অস্থির হয়ে সাথেসাথে বিছানা থেকে উঠে দাড়ায় "স্বপ্ন ছিলো ঘোরের মধ্যে ছিলো এতক্ষণ যে দুঃস্বপ্ন ওকে এত বছর ধরে তাড়া করে বেড়াচ্ছে
অরণ্যঃ আবার এক স্বপ্ন
অরণ্য খুব ক্লান্ত হয়ে ঘরের আলোটা জ্বালায় জলের গ্লাসটা হাতে নেয় কিন্তু গ্লাসে জল না থাকায় অরণ্য চিন্তিত হয়ে জলের গ্লাসটা আবার হাত থেকে রেখে দেয় "পুরো শরীর তখন ঘেমে গেছিলো খুব তৃষ্ণাও পেয়েছিলো ওর এ মুহুর্তে জল আনতে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিলোনা
অরণ্যঃ সব মিলে যাচ্ছে ?
সে সময় মাথা কাজ করা একদম বন্ধ করে দিয়েছিলো অরণ্য ঘর থেকে সোজা বের হয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসে করিডর পেরিয়ে যখন ডাইনিং টেবিলের দিকে পা বাড়ায় সে মুহুর্তে সে শীতল হাত ওর কাঁধে স্পর্শ করে?
অরণ্য খুব উদগ্রীব হয়ে ঘনোঘনো নিঃশ্বাসের টানে পিছনে ফিরে তাকায় সে অস্পষ্টতা আড়ালে আর নিজেকে বেধে রাখতে পারেনা খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরে
অরণ্যঃ আমি আমার Answer পেয়ে গেছি পাখি এটা আমার আবেগ না আমি তোমাকে সত্যি ভালোবাসি সে ছোটবেলা থেকে তোমাকে খুব ভালোবাসি তোমাকে ছাড়া আমার কিছু ভালো লাগেনা? দেখো দিন দিন কেমন পাগলের মতো হয়ে যাচ্ছি কিছু ভালো লাগছে না আমার খুব একা লাগছে
পাখিঃ একা তো আমারও লাগে কিন্তু তুমি কখনো সেটা বোঝনি তাই সেদিন আমাকে একা রেখে স্বার্থপরের মতো চলে এসেছো আর আমিও তখন থেকে খুব একা হয়ে পড়েছিলাম
অরণ্যঃ আচ্ছা আবার নতুন করে সবকিছু শুরু করা যায়না যেখানে শুধু আমরা দু'জনে থাকবো অন্য কেও থাকবে না? please আমাকে কি আর একটা সুযোগ দেওয়া যায়না
পাখিঃ সুযোগ তখনই দেওয়া যায় যখন তার অস্তিত্ব থাকে কিন্তু আমার তো কোন অস্তিত্বই নেয় শুধু তোমার কল্পনা ছাড়া? তাহলে কি করে তোমাকে সুযোগ দিবো
অরণ্যঃ please আর একটা সুযোগ
পাখি আবার ওর সামনে থেকে মলিন হয়ে যায় অরণ্য আবার ওকে ধোঁয়াশার মাঝে হারিয়ে ফেলে কাঁদতে কাঁদতে নিচে বসে পড়ে
অরণ্য কি সত্যি ওর কল্পনার বাহিরে পাখিকে কখনো খুজে পাবে?
#কল্পনায়_তুমি
#লেখনিতে__Muktaz Badhon
You must be logged in to post a comment.