বেষ্ট বউ, লেখক,নীল কাব্য
আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন
পার্ট-1 নিশু ঐ নিশু কই তুই কথা বল কি মনে করিস নিজেকে শুনি,কি হলো কথা বল আজকে তোকে দেখে নিব পেত্নি কোথায় তুই,বলতে বলতে রুমে প্রবেশ করলো কাব্য,আর যার নাম ধরে চেচামেচি করছে সে হলো কাব্যর বাবার বেষ্টফ্রেন্ডের মেয়ে নিশিতা,
সবাই তাকে নিশি বলে ডাকলেও কাব্যর কাছে তার নাম নিশু,আর কাব্য ছাড়া কেউ যদি তাকে এই নিশু নামে ডাকে তার মাথা ফাটাতে নিশি দুবার ভাববে না,তার কথা এ নামে তাকে ডাকার অধিকার কেবল কাব্যের আছে,এখন মূল গল্পে ফেরা যাক।
কি হলো কুত্তার মতো চেচামেচি করছিস কেন,নিশি
আমি কেন এমন করেছি তা তোর ভালো করে জানা আছে,কাব্য।
না জানিনা আমি,, তুই সারাদিন আমার উপর এরকম নানা কারনে চেঁচেছ আমি কোনটা মনে রাখব বলতো দোস্ত,নিশি,বলেই নাম্বার ওয়ান সয়তান মার্কা একটা হাসি দিলো,যা কাব্যর কাছে আগুনে ঘি ঠালার চেয়ে কম মনে হলো না,
দেখ একদম আমাকে রাগাবি না,মাথায় রক্ত উঠে আছে এখানেই তুলে ফ্লোরে আছার মারবো বলে দিলাম কিন্তু,কাব্য।
দোস্ত কি হইছে বলবি একটু এত ওভার রিয়েক্ট কেন করছিস,নিশি।
ওহহ আমি ওভার রিয়েক্ট করছি তাই না,কাল তোকে ছেলে দেখে গেছে আর তুই তাদের হ্যা বলেছিস এটা কি বলবি তুই,কাব্য
আরে এটা তো ছোট্ট একটা বেপার,এ নিয়ে এত চেচামেচি করার কি আছে শুনি,নিশি
ওহ এটা ছোট্ট ব্যপার না ঠিক আছে,কর বিয়ে কর যা মন চায় তাই কর,আমাকে যখন শুরুতে কিছু বলিস নাই,পরেও আর বলতে হবে না,বিয়ে করার খুব ইচ্ছা করেছে বলে কথা,বলেই কাব্য অন্য পাসে মুখ ফিরিয়ে নিলো,
দেখ কাব্য এবার বেশি বলছিস ছেলেটাকে আমার ভালো লেগেছে তাই হ্যা বলছি,,,আর আমারো পারসোনাল লাইফ বলে কিছু আছে সে সব নিয়ে তোকে না ভাবলেও চলবে,রেগে কথা গুলো বললেও,
শেষ কথা গুলোর কি বললো সে এটা ভেবেই সে চুপ মেরে গেল,কারন কাব্যর কাছে তার পারসোনাল লাইফ বলে কিছু নেই,,,,সে কেমন,তার কি পচ্ছন্দ,কি পড়লে তাকে ভালো লাগবে,
বলতে গেলে তার ব্যপারে সে নিজে না যতটুকু যানে বোঝে তার থেকে হাজার গুন বেশি তাকে কাব্য যানে এবং বোঝে,,আর বুঝবে নাই বা কেন অবুঝ কাল থেকে তারা একে অপরকে ছাড়া না কিছু বুঝতো না একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারতো,
এদিকে কাব্যর অবস্থা খারাপ,,রাগ অভিমান কষ্ট সব যেন তার বুকে এসে ভর করলো,নিমিষেই ভিজে ওঠে তার চোখ,এ কথা যে নিশি বলতে পারে তা যেন কোন ভাবেই নিজের কান ও মস্তিষ্ককে বোঝাতে পারছেনা সে,
নিশু,শিতল কন্ঠে অজান্তেই নিশির নাম উচ্চারণ করে ফেলে সে,
,নিশ্চুপ নিশি,
সরি আসলে একটা দুটো বছর না সেই ছোট কাল থেকে তোর সাথে নিজেকে জরিয়ে নেওয়াটা কেমন যেন একটা অভ্যাস হয়ে গেছে,
তাই হয়তো নিজের জায়গাটা ভুলে গেছিলাম,আবারো সরি,আর ধন্যবাদ,আমাকে আমার সঠিক স্থানটা দেখিয়ে দেওয়ার জন্য,thank you so much,miss nishi,বলেই দরজার দিকে যেতে ধরলো কাব্য,
কাব্য আমি সেটা,বলার আগেই
আমি বুঝে গেছি তো তুই কি বলতে চেয়েছিলি,বললাম তো আমার তো ভুল হয়ে গেছে,আর যা ভুল ভাবনা ধারনা ছিল আমার তা পরিষ্কার আজ, bye ভালো থাকিস,কথাটা বলেই আর এক মহূর্ত দেরি না নিশির রুম থেকে বেড়িয়ে গেল কাব্য,
এদিকে নিশি বসে নিজের কথাগুলো ভাবতে লাগলো আর কেঁদে ভাসিয়ে দিচ্ছে তার কোমল নয়ন জোড়া,,,তবে তার থেকেও বেশি কষ্ট হচ্ছে এটা ভেবে যে টই প্রথম বার তাকে কাব্য তাকে নিশি নামে ডেকেছে,
তার এখনো মনে আছে কাব্য সেই ছোট্ট বেলা থেকে আধো আধো গলায় তাকে নিশু ডাকতো আর কাল পর্যন্তও তাকে তাই ডাকতো,এতদিনে কখনো ভুল করেও তাকে নিশি নামে ডাকে নি তাকে,কেন এমন করলো কাব্য,
সে কি জানে না তার এই পাগলিটা তার মুখে নিশু ডাকেি অভ্যাস্ত,ভেবেই মনটা যেন ক্ষত বিক্ষত হয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে নিশির মা মৌমিতা রানী কিছুটা অবাক হয়েই কাব্যকে বলে উঠলো,
কাব্য কি হয়েছে এত তারাতাড়ি যে কোন দিন এত তারাতাড়ি তুমি যাও না,সব ঠিক আছে তো,মৌমিতা,
হ্যা মামনি সব ঠিক আছে,আজ একটু কাজ আছে তাই আর কি,বলেই মুখে শুকনো হাসি মাখিয়ে চলে আসে কাব্য,
আর মৌমিতা রাণী ভাবছে কিছু একটা তো ঘটেছে,নয় তো দুই টম জেরি এক জায়গায় হইছে তাও তার বাড়িতে পিনপিনে নীরবতা কথাটা কিছুতেই হজম করতে পারছেন না তিনি,
না যাই আগে নিশির রুমে তাহলেই বুঝতে পারব কি ঘটেছে ওদের মাঝে,মৌমিতা
বলেই উপরে চলে এলেন তিনি,
একি মা কি হয়েছে তোর বল বল আমাকে,,,কাদছিস কেন এরকম করে,হন্তদন্ত হয়ে বললেন মৌমিতা,
মা,মা,বলতে গিয়েও বার বার আটকে যাচ্ছে নিশি,
বল মা কি হইছে শান্ত হয়ে বল,মৌমিতা,
মা জানো কাব্য আমাকে নিশি বলে ডেকেছে,,, ও কেন ডাকলো মা,,বলোনা ও কেন ডাকলো,, নিশি,,,
শুনে অবাক হলেও তিনি বললেন এতটুকু ব্যাপার নিয়ে কেউ এমন করে নাকি পাগলি মেয়ে,,, মৌমিতা
না মা এটা কোন সামান্য ব্যাপার না,,ওর এমন কষ্ট ভরা কন্ঠ আমি কোনদিন শুনি নাই মা,,বলেই আবার ফুপিয়ে কেদে ওঠে নিশি,
আচ্ছা বলতো তোর কাব্যর মুখে নিশি ডাক শুনে তুই কাদছিস নাকি কাব্যর কষ্ট দেখে কোনটা,মৌমিতা
দুটোই মা, এই দুটোই যে কি পরিমান আমাকে কষ্ট দিচ্ছে তা তুমি জানো না মা,খুব কষ্ট দিয়ে ফেলেছি আমি কাব্যকে খুব,,,নিশি,
আমি জানি তো মা তুই সবার কষ্ট সহ্য করতে পারলেও কাব্যর সামান্য কোন কষ্ট তুই মেনে নিতে অক্ষম, এখন খুলে বলতো তুই কি হয়েছে,মৌমিতা।
তারপর নিশি সব বলে তার মাকে,
এটা ঠিক করিস নাই তুই,,তুই তো জানিস ছেলেটা তোর ব্যাপারে কতটা sensitive, তোর সাথে ওর অনেক অনুভুতি জড়িয়ে আছে, তাই তো এমন করে, মৌমিতা
হ্যা মা জানি,,,কিন্তু রাগের মাথায় আমি কি বলছি তাই বুঝতে পারিনি গো,এখন কি করব বলো না মা,নিশি কাদতে কাদতে,,,
কি করবি আমার ছেলেটাকে ফোন দে তো দেখি,,,কথা শুনে নিশি ফোন দিলো,
Continue,
সারাপেলে লিখতে পারি,নতুন তাই সবাই একটু সার্পোট করবেন আর ভুল মনে হলে উপদেশ দিয়ে যাবেন,
You must be logged in to post a comment.