আপনি কি লোকজনদের সামনে কথা বলতে লজ্জা পান? কথা বলতে অনেক ভায় পান?
No problem. চিন্তার কোনো কারন নেই। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব কিভাবে লোকজনদের সাথে কথা বললে তারা শুধু আপনার সাথেই কথা বলতেই অভ্যস্ত হবেন।
তারা আপনার fand হতে বাধ্য। আজ থেকেই মাথা থেকে চিন্তা ঝেরে ফেলুন৷ অপরিচিত কারো সঙ্গে কথা বলতে হলে প্রথমেই তার কথা বলার কৌশলটাকে লক্ষ করতে হবে। সে কিভাবে কথা বলছে! কথা বলার সে কি হাত নাড়াচাড়া করছে কি না। সে কী চিন্তা ভাবনা করে কথাগুলো বলছে?
আপনি যদি অনেক লোকজনের সাথে কথা বলতে লজ্জা পান তাহলে আজকের পোস্টটি শুধু আপনার জন্য।
আপনারা অনেকেই আছেন, যারা অনেক লোকজন এর সাথে কথা বলতে পারেন না। অনেকে আবার কথা বলতে ভয় পান। কিভাবে কথা বলব? সে কি বলবে? সেটা মনে করে আমরা অনেকেই লোকজনের সাথে কথা বলতে সঙ্কটের মনে করি।
সে কি বললো না বললো তাতে কিছু আসে যায় না। আমার একটাই লক্ষ থাকবে তার সাথে কথা বলতেই হবে আজ। কেন আমি তার সাথে কথা বলতে পারি না? Why?আমাকে পারতেই হবে। কারণ আমি একজন ছেলে/মেয়ে। সে লোকজনদের সঙ্গে সাজিয়ে গুছিয়ে কথা বলতে পারে।
আমি কেন পারব না। বার বার চেষ্টা করার পরও যদি হেরে যান তাহলে অনেক উপায় আছে সমস্যা নেই। আপনি একটা কাজ করবেন। মনে করেন আপনার স্কুল, কলেজের একজন ছেলে অনেক বেশি কথা বলে। তার সঙ্গে কেউ পেরেই উঠতে পারে না। সে কলেজের সবার মন জয় করে ফেলে।
ছেলে মেয়ে থেকে শুরু করে সকলে তার কথা শোনার অপেক্ষায় বসে থাকে। সে এতোটাই ট্যালেন্ট যে তার কথা বলার স্টাইল, ভাবভঙ্গি এককথায় বলতে গেলে অসাধারণ। সে এককথায় অস্থির প্রকৃতির।
অপরিচিত লোকজনদের সাথে সে অনেক সহজেই কথা বলতে পারে। অসাধারণ মেধার অধিকারী সে। তার প্রশংসার শেষ নেই। বিশেষ করে সে মেয়েদের সঙ্গে সহজেই মিশতে পারে। মেয়েদের সাথে সে অনেক সহজেই কথা বলতে পারে।
কিন্তু আমরা অনেকেই আছি যারা মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে লজ্জা পাই। অনেকটা ভায় লাগে। ভয়ে মেয়েদের সাথে কথাও পর্যন্ত বলতে পারি না। কথা বললে কি যে মনে করবে সেটা ভেবে আমরা আর তাদের সাথে কথা বলতে পারি না।
আবার সে ছেলেটা দেখেন অনেক সহজেই মেয়েদের সাথে মিশতে পারে। আমরা তার কাছ থেকেও কিছু শিখতে পারি৷ সে কিভাবে কথা বলে। তার রিয়েলশটা কেমন৷ সে ছেলেটি কেমন স্টাইল এ কথা বলে।
তার কথা বলার সময় ভাবভঙ্গি কেমন হয়। সে কি অনেক তারাতারি কথা বলে। নাকি অনেক ধিরে কথা বলতে পছন্দ করে। সে কিভাবে কথা বলে সে কারনে মেয়ে, ছেলে সকলে তাকে বেশি পছন্দ করে। তার আচার আচরণ কেমন!সে কি খুব সহজেই কি রেগে যায়।
নাকি সে অনেক শান্ত প্রকৃতির। একটা কথা আছে, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। কথাটি বাস্তব। আপনারা যেকোনো কথায় রেগে যাবেন না। রেগে যায় কারা জানেন? বোকা লোকেরা সবসময় রেগে যায়। রেগে যাওয়ার আগে দশবার স্মরণ করবেন এ কথাটি।
রেগে যাওয়া লোকেরা জীবনে কখনো সুখী হতে পারে না। আপনার নিজের রাগকে দমন করুন। স্বাভাবিক মস্তিষ্কে ফিরে আসুন। কেন রাগবেন? রাগার কারন কি?
একটা কথা মনে রাখবেন জ্ঞানীরা কখনো সুখের চিন্তা করে না। তারা কখনোই নিজেদেরকে নিয়ে বেশি ভাবে না। সুখ দেয়ার মালিক হলেন স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা। সুখ কেড়ে নেয়ারও মালিক তিনি নিজেই।যাইহোক এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে লোকজনদের সাথে গুছিয়ে কথা বলবেন কিভাবে?
কিভাবে কথা বললে লোকজন / বন্ধুরা আপনাকে জ্ঞানী মনে করবে। মানুষের কথাবার্তার মধ্যে রয়েছে জ্ঞানের পাহাড়। আপনি যত ভালোভাবে কথা বলতে পারবেন ততই আপনি তাদের মাঝ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পারবেন।
কথা না বললে লোকজন আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে। বন্ধবান্ধব আপনাকে নিয়ে ঠাট্টা করবে, উপহাস করবে, আপনাকে অনেক বোকা ভাববে।
কেন আপনি লোকজনদের কাছে বোকা হবেন। আপনিই তো একজন চালাক ব্যাক্তি আপনি কেন তার এসব অপমান সহ্য করবেন। আপনিও তাদের চোখে আঙুল দেখিয়ে বোঝান আপনার আসল রুপটা। আপনি বোকা না চালাক!
কথাবার্তার মাধ্যমে আপনি তাদেরকে বুঝিয়ে দিন যারা আপনাকে নিয়ে ঠাট্টা, উপহাস, হাসাহাসি করেছেন । তখন তারা টিকই বুঝতে পারবে নিজের ভূলটা। আসলে অনেক লোকই আছেন যারা নিজেকে নিয়ে অনেকগর্ব করেন।
নিজেকে নিয়ে অনেক অহংকার করেন। তারাই এলসময় দেখবেন সবকিছু হারিয়ে পথে বসে। সময় থাকার আগেই ভালো হওয়া উচিত।
কারণ ভালো মানুষকে সমাজের সকলেই পছন্দ করেন। ভালো মানুষকে সকলে ভালোবাসেন। কিন্তু সমাজে যারা খারাপ লোকজন রয়েছে তাদের সৃাজের কেউ ভালো দৃষ্টিতে দেখে না।
তারা সমাজে সবসময় অসম্মানজনক আচরনই পেয়ে থাকেন৷ মানুষ মানুষকে বিনা কারণে অসম্মান করে, অবহেলা করে, তুচ্ছ মনে করে এটা আসলে ঠিক না। সমাজে ভালোভাবে বেঁচে থাকতে হলে সকলের সাথে মেলামেশার সঙ্গেই বেঁচে থাকাটাই শ্রয়।
সমাজে অনেকেই আছেন যারা কম কথা বলা লোকজনকে অপছন্দ করেন। তারা কখনোই বোঝার চেষ্টা করে না মানুষ ককন কম কথা বলে? তাদের কম কথা বলার কারণ কী? কখনো তা জানার অথবা বোঝার চেষ্টা করে না।
আসলে মানুষের কম কথা বলার পেছনে অনেক কারণ থেকে থাকে। যা সে অপর লোকটিকে বুজাতে পারে না। কম কথা বলা লোকজনরা অনেক চিন্তায় থাকলেও কম কথা বলে।
একটা কথা মনে রাখবেন জ্ঞানীরা কখনো বেশি কথা বলে না। তারা সবসময় ভাবনায় থাকে, চিন্তায় তাকে, মানুষ তা বুঝতে পারে না। হুদায় লোকটিকে বোকা ভেবে বসে। মানুষের বাহ্যিক রুপ দেখে কখনো তাকে যাচাই করতে যেও না।
নিজে একদিন ঠকে যাবে। মানুষকে ভালোভাবে জানতে হলে তার অভ্যন্তরিন দিকটিকে যাচাই করতে হবে। বিনা কারনে রেগে যাওয়া মানুষটি একদিন ঠকে যায়। সম্মান করতে যোগ্যতা লাগে কিন্তু অপমান করতে কোনোপ্রকার যোগ্যতা লাগে না। অপমান করা মানুষটি একসময় প্রকাশ্যে অপমানিত হয়।
কেউ অপমান করলে৷ কখনো বদলা নিতে যেও না।
তাকে ক্ষমা করার চেষ্টা করো। কারণ ক্ষমা হলো মহত গুন। যারা অনেকের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, অনেকে তাদেরকে ভালো বলে যাচাই করে। কিন্তু এটা ঠিক না। লোকটির অভ্যন্তরিন দিক টিকে ভালোভাবে যাচাই করলেই বোঝা যাবে সে আসলেই ভালো নাকি ভালো নামের খারাপ লোক৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ) এখানে কাউকে খারাপ করে বুঝানো হয় নি৷ আমার লেখায় কোনোপ্রকার ভূল ভ্রান্তি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
নামাজ বাদ দিয়েন না ভাই। নামাজ পড়েন ভাই, এপারের থেকে ওপারের জীবন অনেক সুন্দর♥️।
সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এ কামনায় করি।..….
🥀🥀আল্লাহ হাফেজ🥀🥀
চমৎকার লিখনী
You must be logged in to post a comment.