ঢাকা শহরে তো অনেক গেছি। আজকের টা অন্য রকম। আগে যেতাম মামা বা আরো আরো অন্যান্য ভাইদের সঙ্গে। আজকে রাগ হয়ে নিজেই এসেছি দেখি একা যেতে পারি কি না।
এখন আছি জলঢাকায় একজন কে বলছিলাম টিকিট কাটার জন্য, সে আবার অন্যজনকে বলছে। যানি না টিকিটের মূল্য কত কি আর করার নিলাম। আমার তো আবার বাসে চললে কষ্ট হয়। তবুও অভাবের কারণে যেতে হয়।
একজন কে বললাম ভাইয়া কোথায় যাবেন।
সে বললো ঢাকা গাবতলী।আমি বললাম কত টাকা টিকিট সে বললো ভাই ৫০০ আমি মনে মনে ভাবলাম মনে হয় ঠিক আছে আমারো তো একই টাকা লাগছে। এখন আমি কাউন্টারে গিয়ে বসে মোবাইল চালাচ্ছি।
একটু পর আবার ওই মানুষ টা এলো এসে বললো ভাইয়া ২০-৩০ টা টাকা দেন।পান সিগারেট খাই। আমি বললাম কি আর করার টাকা দিতে গিয়ে দেখি খুচরা নাই।
সে বললো আচ্ছা ১০০ টাকা টায় দেন। আমি খুচরা করতেছি দিলাম কিছুক্ষণ পরে সে এসে আমাকে টাকা টা দিলো। আবার বললো আমার নাম্বার টা রাখেন। আবার যদি ঢাকা থেকে আসেন তাইলে ফোন দিয়েন।
আমি বললাম ঠিক আছে। আমি তো যানি কাউন্টারে এরা যতো লোককে টিকিট কেটে দিবে তারা ততো বেশি টাকা পাবে। যাই হোক টিকিট তো কাটলাম। এখন গাড়ি আসার অপেক্ষা করতেছি।
এই গাড়িতে কিন্তু একদিনও যাই নাই। আজকেই প্রথম প্রায় ১-ঘন্টা ৩০ মিনিট পর গাড়ি আসলো। এখন গড়িতে চরলাম গারিটা মোটামুটি ভালোই।
আমি আবার জালানার কাছে ছাড়া বসি না।কারন আমার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। যখন বাসের কথা শুনি আর এখনতো বাসে বসে আছি।
মাথা টা ঘুড়তেছে আর খারাপ লাগতেছে।
জালানাটা খোলা রাখছি কারন বাতাস ছাডা আমি অচল। দেখতে দেখতে যে কিভাবে ঘুমিয়ে গেছি। নিজেও বলতে পারিনা। পরে দেখি আমি যেখানে যাবো সেখান থেকে আরো অনেক চলে আসছি।
বাসের সুপারভাইজার আমাকে বলেও নাই
বাসে শুধু আমি একা নেমে সুপারভাইজারকে বললাম। আমারতো বাই ফেলে নামার আমার কথা ছিলো।
সে বলল তুমি কোথায় ছিলা আমি বলছি আমি তো ছিলাম। সে বলতেছে আমরাতো বাইপেল ছেড়ে অনেক দূরে চলে আসছি। আমি তাকে বললাম এখন তাহলে কি হবে। সে বলল দাঁড়াও আমরা গাড়িতে পরিস্কার করে এদিক দিয়ে তোমাকে নামে নামিয়ে দেব আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে।
সে আমাকে তার কাউন্টারে বসাই রাখল
একটু পর বাইরে এসে দেখি তার গাড়ি ও নাই তারাও নাই।সুপারভাইজার কে ফোন দিলাম ফোন ধরে না পরে কাউন্টারে একটা মানুষ ছিল তাকে বললাম। সে বলল ওরা তো একটু আগেই অনেক দূরে চলে গেছে আমি বললাম তা নাম্বার কি আপনার কাছে আছে।
একটা জল ঢাকা নাম্বার দিল কাউন্টারের
ফোন দিলাম সে বলল তারা তো দুইটা যাত্রীকে নিয়ে অনেক আগে চলে আসছে। আমি বললাম আমাকে এখানে বসে রেখে চলে গেছে কেন? সে বলছে আর কিছু করার নাই তাইলে আমি এখন কি করবো বলেন।
সে বলল তুমি একটা লোকাল বাসে বাইফেল যাও আমার আর কিছু তখন করার ছিল না
রাস্তাও চিনি না। এক ভাইয়াকে বললাম ভাই আমাকে বাইরের রাস্তায় দিবেন। সে বললো আচ্ছা ঠিক আছে একটু দাড়াও। তারপরই আমাকে বাসে চরাই দিল। পরে ওখান থেকে গাড়িতে চড়ে তারপর বাইবেল এসেছি।
মানুষ ঠিকই বলে যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়।আমকে যে গাড়ি ভালো লাগেনা। সেখানে আমার পুরোটা দিন চলে গেছে। ওখান থেকে পড়ে আমার এক বন্ধুকে ফোন দিয়া বাসায় এলাম এই ছিল আমার ঢাকা শহর সফর
অনেক জন সফরের অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলে তাদের সফর করতে খুব ভাল লাগে। অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা ঘুড়তে যায়। কিন্তু সবার জীবনে সব সম্ভব না। তাই মনে রাখতে হবে সবাই সবদিক দিয়ে পারফেক্ট না।
You must be logged in to post a comment.