বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহ (পার্ট ১)

আপনি কি আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষার জন্য যেতে আগ্রহী? কিন্তু কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন? কিভাবে স্কোলারশিপ পাবেন তা নিয়ে ভীত? চলুন এই কয়েকটা বিষয় স্বচ্ছ ধারণা নেয়া যাক।

আমাদের দেশে বেশি ভাগ শিক্ষার্থী ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অধিভুক্ত কলেজগুলোতে পড়েন। Lack of information and motivation এর অভাবে তারা বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকেন।

তারা মনে করেন সব সুযোগ সুবিধা পাবলিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ভোগ করেন। কিন্তু আমেরিকার ইউনিভার্সিটি তে তা বিবেচনা করে না যে আপনি পাবলিক ইউনিভার্সিটির/ন্যাশনাল/না মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

তারা বিবেচনা করে স্কোলারশিপের জন্য তা হলো:

১- CGPA

২-GRE/GMAT score

৩-IELTS/Toffel score 

৪-Research paper

Research paper থাকলে আপনার বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে থাকতেই হবে তা বাধ্যতামূলক নয় তবে থাকা ভালো। তবে CGPA University ভেদে উল্লেখ থাকে eligible হলে এপ্লাই করতে পারেন।

আর বিদেশী ইউনিভার্সিটি গুলো এমনি এমনি আপনার পিছনে ভুড়ি ভুড়ি ডলার খরচ করবে না,আর এমনি আপনাকে ফুল ফান্ড স্কোলারশীপ দিবেন না।

তার বদলে আপনার রিসার্চ এর মাধ্যমে তাদের কিছু প্রাপ্তি আছে তাই আপনাকে যতদুর পারেন সম্ভাবনাময় হয়ে উঠতে হবে।

তবে আপনার যদি সত্যি বৃত্তি চাই তাহলে,

CGPA+GRE/GMAT+IELTS/TOFFEL এ ভালো স্কোর তুলতে হবেই।

রিসার্চ পেপার তার মধ্যে সেতুবন্ধন মতো কাজ করবে আপনাকে সবার থেকে এগিয়ে রাখবে অনেক প্রতিযোগির মধ্যে।।

ব্যাচেলর/মাস্টার্স/ পিএইচডি ডিগ্রি তে উচ্চ শিক্ষায় আমেরিকায় আসতে হলে এই গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস আপনার হাতের নাগালে রাখা চাই।

(১) একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট

(২) লেটার অফ রিকোমেন্ডেশান

(৩) স্টেটমেন্ট অফ পারপাসে(SOP)

(৪) সিভি

(৫) GRE/GMAT.

(৬)ল্যাংগুয়েজ টেস্ট স্কোর (IELTS/Toffel/Duolingo).

( ৭) পাসপোর্ট।                                           

ডকুমেন্টস সমূহের বিস্তারিত আলোচনা।

১- একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট : আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছেন সেখানে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খামে নাম সহ রেজিস্ট্রারের সাইনসহ একাডেমিক শাখা থেকে তা সংগ্রহ করতে হবে।

২- লেটার অফ রিকোমেন্ডেশান (LOR) : এটি এক প্রকার সুপারিশ পত্র যা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।LOR আপনাকে শিক্ষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে যেই শিক্ষকের সাথে আপনার ভালো সম্পর্ক রয়েছে বা তিনি আপনাকে ভালো ভাবে জানেন তবে ই তিনি আপনার LOR এ আপনার সম্পর্কে ভালো কথা লিখেবেন।

৩- স্টেটমেন্ট অফ পারপাস (SOP):  state of purpose অনেক গুরুত্ব বহন করে আপনার এডমিশনের ক্ষেত্রে।

এডমিশন কমিটিকে কানভিস করার জন্য। SOP আপনার অতীতের একাডেমিক পারফরম্যান্স এবং ভবিষ্যতে পরিকল্পনা ও যে সাবজেক্ট এ পড়তে যাচ্ছেন তার উদ্দেশ্য তুলে ধরতে হয়।

কোনো ভাবেই অন্যের SOP নকল করা যাবেনা তাতে আপনার রিজেকশনের সম্ভাবনা অনেক গুন বাড়িয়ে দিবে।সর্তক সাথে লিখবেন। ভালো SOP আপনার চান্স অনেক গুন বাড়িয়ে দেয়।

৪-সিভি : CV নিয়ে নতুনত্বের কিছু নেই কম বেশি সিভি সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। তবে SOP তে যা লিখেছেন তা সিভি তে না লেখা ভালো। নতুন ইনফরমেশন এবং অভিজ্ঞতা দেওয়া চেষ্টা করবেন।

৫-GRE/GMAT score: আগেই বলেছি ভালো GRE /GMAT score আপনার বৃত্তির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। আপনাকে অনেক এগিয়ে রাখবে তাই এখানে ফোকাস করুন।

৬- ল্যাংগুয়েজ টেস্ট স্কোর ( IELTS/Toffel) Duolingo): ভাষার দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। যতদুর পারেন এই স্কোর ভালো করতে। যাতে লেকচারর যখন লেকচার দিবে আপনি যেন বুঝতে পারেন হা করে তাকিয়ে থাকতে হয় না

৭-পাসপোর্ট: একটা valid passport দরকার সবার আগেই তা আশা করি আমাদের সকলের ই জানা । পাসপোর্ট ছাড়া উপরোক্ত একটি পরীক্ষা ও আপনি অংশ গ্রহণ করতে পারবে না কাজেই আমাদের আগে। valid passport দরকার।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles