হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের ফজরের নামাজের ১০টি ফজিলত বলবো। আমরা অনেকেই আছি যারা অলসতার কারণে ফজরের নামাজ আদায় করি না।
কিন্তু ফজরের নামাজের এই ১০টি ফজিলত জানলে আপনি আর কোন দিন ফজরের নামাজ ত্যাগ করবেন না। তো চলুন জেনে নিই ফজরের নামাজের ১০টি ফজিলত।
ফজরের নামাজের ১০টি ফজিলত
১.নবী (ﷺ) বলেছেনঃ ”মুনাফিকদের জন্য ফজর ও ‘ইশার নামাজ অপেক্ষা অধিক ভারী নামাজ আর নেই। এ দুই ’ নামাজের কী ফযীলত, তা যদি তারা জানতো, তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা উপস্থিত হতো।
রসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, আমি ইচ্ছে করেছিলাম যে, মুয়াজ্জিনকে ইক্বামাত দিতে বলি এবং কাউকে লোকদের ইমামত করতে বলি, আর আমি নিজে একটি আগুনের মশাল নিয়ে গিয়ে অতঃপর যারা নামাজে আসেনি, তাদের উপর আগুন ধরিয়ে দেই”।(সহিহ বুখারী, ৬৫৭)
২.রাসূল (ﷺ বলেন, “যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করে, সে ব্যক্তি ঐ দিন আল্লাহর জিম্মায় চলে যায়।অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ তালা ঐ ব্যক্তির দায়িত্ব নেন।
(সহিহ মুসলিম,তিরমিজি–২১৮৪)
৩.রাসূল (ﷺ বলেছেন, ” যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করবে,আল্লাহর ফেরেশতাগন আল্লাহর কাছে ঐ ব্যক্তিকে ভালো মানুষ হিসেবে সাক্ষী দিবে।
(বুখারী-মুসলিম)
৪. রাসূল (ﷺ বলেছেন,”যে ব্যক্তি ফজর নামাজ / সালাত জামাতের সাথে আদায় করে,আল্লাহতালা তার আমলে দাঁড়িয়ে সারারাত নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব দিয়ে দেন!
(সহিহ মুসলিম-১০৯৬)
৫. রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ” যে ব্যক্তি ভোরে হেঁটে হেঁটে ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে প্রবেশ করবে,আল্লাহতালা কিয়ামতের দিন তার জন্য পরিপূর্ণ আলো দান করবেন।
(আবু দাউদ ৪৯৪)
৬.যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের সবচেয়ে বড় নিয়ামত দান করবেন।অথাৎ সে আল্লাহর দিদার লাভ করবে, এবং জান্নাতি ঐ ব্যক্তি আল্লাহকে পূর্নিমার রাতের আকাশের চাঁদের মত দেখবে।(বুখারী-৫৭৩)
৭.যে নিয়মিত ফজরের নামাজ আদায় করবে,সে কখোনোই জাহান্নামে প্রবেশ করবেনা।
(সহিহ মুসলিম ৬৩৪)
৮.ফজরের নামাজ আদায়কারী,রাসূল (ﷺ) এর বরকতের দোয়া লাভ করবেন।
(সুনানে আবু দাউদ,মুসনাদে আহমাদ)
৯.ফজরের দু রাকাত সুন্নত নামাজ, দুনিয়া ও তার মাঝে যা কিছু আছে তারচেয়ে উত্তম।
(জামে তিরমিজি – ৪১৬)
১০. ফজরের নামাজ আদায়ের ফলে ব্যক্তির মন ফুরফুরে,প্রফুল্ল হয়ে যায়।
(সহিহ বুখারী, সহিহ মুসলিম)
You must be logged in to post a comment.