রাজসভা জমজমাট সেদিন । গোপাল আসেনি । মহারাজ ঘোষনা করলেন, "আপনাদের মধ্যে যে গোপালের বাড়ি থেকে কিছু চুরি করে আনতে পারবেন তাকে আমি উপযুক্ত পুরস্কার দেবো"। গোপালের ঘরে চুরি ! অসম্ভব ! কেউই এই প্রস্তাবে সম্মত হলেন না ।
সভায় উপস্থিত এক লোভী দরিদ্র ব্রাহ্মণ পুরস্কারের লোভে সম্মত হলেন । সেই দিনই রাতে সিঁদ কেটে তিনি ঘরে ঢুকলেন ।
গোপাল সব ব্যাপারটা আগেই কারো কারো কাছ থেকে জানতে পেরেছিল । অতি লোভী ব্রাহ্মণকে বেশ ভালোভাবে নাকাল করার লোভ আর কিছুতেই সামলাতে পারল না গোপাল। মহারাজের অনুগ্রহে মোহরের অভাব ছিল না গোপালের ।
এক কলসি মল সে পূর্বেই একজন মেথর কে দিয়ে সংগ্রহ করে রেখেছিল । রাতে জেগেই ছিল গোপাল ।
সিঁদ কাটার শব্দ শুনে কলসি টা ঘরের মধ্যে এনে তার ওপর কয়েকটি মোহর সাজিয়ে রাখল আর ব্রাহ্মণ সিঁদ কেটে যখন সবে মাথাটি তুলেছেন তখন তার টিকিটি কেটে নিলো ।
ব্রাহ্মণ ঘরে ঢুকেই সামনে মোহরের কলসিটি দেখতে পেয়ে আর সময় নষ্ট না করে মনের আনন্দে সেই কলসিটি মাথায় করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল ।
গোপাল সহজে ছাড়বার পাত্র নয় , সেও ব্রাহ্মণের পেছন পেছন চলল । ব্রাহ্মণ যখন রাজসভায় পৌঁছতে যাবে তখন গোপাল পেছন থেকে একটি ইটের টুকরো ব্রাহ্মণের মাথায় বসানো কলসি লক্ষ্য করে ছুরতেই কলসিটি ভেঙ্গে গিয়ে সমস্ত বিষ্টা ব্রাহ্মণের মাথায় গায়ে মাখামাখি হয়ে সে এক বীভৎস ব্যাপার হলো ।
গোপাল মহারাজ কে বলল, "দেখুন মহারাজ চোরের কি শাস্তি" । মহারাজ সেই দৃশ্য দেখে আর সেখানে থাকতে পারলেন না, নাকে কাপড় দিয়ে পালালেন।
ব্রাহ্মণ ও লজ্জায় ঊর্ধ্বশ্বাসে নদীর দিকে ছুটলেন। মনে খুবই ব্যথা পেলেন মহারাজ।
তার জন্যই বেচারী ব্রাহ্মণ গোপালের ঘরে চুরি করতে গিয়েছিল, আর তাই আজ তার এই অবস্থা হল ।
যাই হোক, তিনি গোপাল এবং ব্রাহ্মণ কে রাজসভায় ডেকে এনে ব্রাহ্মণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে তাকে পুরস্কৃত করলেন ।
মহারাজ বুঝলেন গোপালের সঙ্গে লাগতে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আজকের গল্প এখানেই সমাপ্ত । ধন্যবাদ ।
Porer kahinita kobe dicen sir?
Kichu jaygay spaling e vul ache but khub sundor agacchen, bust of luck
You must be logged in to post a comment.