ভালোবাসার যুদ্ধে অবশেষেও অসমাপ্তি

ভালোবাসার এক সত্য ঘটনা (আমার নাম জীবন)। 

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

আমি এখন আমার মা বাবার একটি স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে আছি। (যদিও আমি শুধু বাবা মায়ের সাথে সময় কাটাতেই এই কাজটি করি।)

আমার মা এই স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা। স্কুলে আমি ছাড়াও প্রায় ১৫ জন শিক্ষক রয়েছে। সবাই আমাকে খুবই ভালোবাসেন এবং সম্মান করেন।

২ জন শিক্ষক ছিলেন যারা আমার বন্ধুর মত, বলা যায় বন্ধুই। তারা হচ্ছে আব্দুস সোবহান আর রাকিব আল হাসান। আমি স্কুলে কাজ করি প্রায় ১৬ বছর হয়ে গেছে।

এখন ২০২৩ সাল চলছে। তবে মাঝের ১টি বছর আমার জীবনে খুব ভয়াবহ সময় কেটেছে। (কিভাবে এবং কেনো সব বলবো)

আমি, সোবহান আর রাকিব খুব মজা করতাম। এখন ডিসেম্বর মাস চলছে, হঠাৎ একদিন আমরা চিন্তা করলাম সব শিক্ষক শিক্ষিতদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়া ধরকার।

কারন ডিসেম্বর মাসটিতে আমরা কিছুটা অবসর থাকি। যেই চিন্তা সেই কাজ, ২০১৪ সাল ১৬ই ডিসেম্বর আমরা সবাইকে জানালাম আমরা সব শিক্ষক শিক্ষিকারা মিলে ঘুরতে যাবো।

তো সবাই এই সিদ্ধান্তে শায় দিলো। তো সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম সোনারগাঁও জাদুঘর যাবো।

(আমি স্কুলের বড় ম্যাডামের ছেলে হলেও সবার মতোই একজন সাধারণ শিক্ষিক হিসেবেই থাকতাম।

কখনোই আমি কাওকে বুঝতে দিতাম না যে আমি প্রধান শিক্ষিকার ছেলে।) সবার একটা আবদার ছিলো বড় ম্যাডামকে জানাবে না।

তো কেউই বড় ম্যাডামকে জানায় নি। আমরা ২১শে ডিসেম্বর ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। তো ২১শে ডিসেম্বর আসলো।

আমরা সোনারগাঁও জাদুঘর ঘুরতে আসলা। আমরা অনেক আনন্দ করলাম। মজার একটি বিষয় ছিলো যে আমাদের রাকিব স্যার স্কুলের একজন ম্যাডামকে খুব পছন্দ করতেন। তবে অই ম্যাডামটি রাকিব স্যারকে পছন্দ করতেন না।

ম্যাডামটির নাম ছিলো স্বর্না আক্তার। আর স্বর্না ম্যাডামের একজন বান্ধবী ছিলেন আয়শা ম্যাডাম। তো ঘুরতে এসে রাকিব স্যার অনেক চেষ্টা করছিল স্বর্না ম্যাডামকে আজকেই প্রস্তাব দিবে।

কিন্তু কোনো না কোনো ভাবে এটা আর হয়ে উঠলো না। তাই রাকিব স্যার মন খারাপ করে একা একাই আমাদের থেকে দূরে গিয়ে বসে রইলো।

হঠাৎ, আমাদের সকল শিক্ষক শিক্ষিকারা খুব চিন্তিত হয়ে পরলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম কি হইছে, একজন ম্যাডাম বলল আমাদের আয়শা ম্যাডাম খুব কান্না করছে।

জিজ্ঞেস করলাম কেনো? উত্তরে জানতে পারলাম উনি যে ছেলেকা ভালোবাসতেন সে ছেলের সাথে ওনার ভালোবাসার বিচ্ছেদ হয়েগেছে।

অই ছেলের সাথে উনি সোনারগাঁও জাদুঘর একবার ঘুরুতে এসেছিলো। তাই আজকে অই ছেলেকে খুব miss করছে।

তো আমি আয়শা ম্যাডামকে আনন্দ দেয়ার জন্য অনার সাথে মজা করছি। আআমার বন্ধু সোবহান স্যার স্বর্না ম্যাডামের সাথে আর আমি আয়শা ম্যাডামের সাথে মজা করছি।

এই মজা যে আমার জীবনে ভয়ংকর কালো মেঘ ডেকে আনবে তা কখনোই বুঝতে পারি নি।

সোনারগাঁও জাদুঘর থেকে আসার পর আয়শা ম্যাডামের সাথে কথাবার্তা আসতে আসতে বেরে গেলো।

আমরা ২জন ২জনার জন্য খুব যত্নবান হয়ে পরলাম। হঠাৎ একদিন আমাদের বাসায় আমার একজন আত্মীয় আসলো কিছুদিন থাকবে বলে।

কিন্তু আমি অই আত্মীয়টাকে খুব অপছন্দ করতাম, কারন উনি সবার কাজেই নাক গলায়। আমি সারাদিন স্কুল, কোচিং নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম তবে মাগরিব আজানের আগে কিছু ছাত্র ছাত্রী আমার বাসায় পড়তে আসতো।

যখন মাগরেবের আজান দিতো তখন মোবাইল চার্জে রেখে মসজিদে নামাজ পড়তে যেতাম।

আর আমি নামাজ পড়তে গেলেই অই আত্মীয়টা আমার মোবাইল নিয়ে আমার মাকে বলতো জীবন এই মেয়ের সাথে ছবি তুলছে, অই মেয়ের সাথে ছবি তুলছে।

তো এমনি একদিন আয়শা ম্যাডাম এর ছবি নিয়ে মাকে দেখালেন।

আর আমার মা প্রতিদিন এক কথা বার বার শুনায় সে বিরক্ত হয়ে আয়শা ম্যাডামকে ফাকে আনে। আর আয়শা ম্যাডামকে বলে উনি যাতে এই এলাকা ছেড়ে চলে যায়।

আয়শা ম্যাডাম আমার মাকে জিজ্ঞেস করলো, "ম্যাডাম আমার কি ভুল হয়েছে?" অই আত্মীয় বলল, "জমিনে থেকে চাঁদে হাত বাড়ালে এমনি হয়।

তুমি এই এলাকা ছেড়ে চলে যাবে। আর এই কথা যাতে জীবন জানতে না পারে। তখন আয়শা ম্যাডাম কাওকি কিছু না বলে অনার বাসায় চলে গেলো।

আমাকে আর কিছুই জানালোনা আয়শা ম্যাডাম।................. [চলবে]

[যদি ভালো ভিউ পাই তাহলে বাকি অংশ লিখবো]

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ