ভালোবাসার যুদ্ধে অবশেষেও অসমাপ্তি (পর্ব ২)

ভালোবাসার যুদ্ধে অবশেষেও অসমাপ্তি ২য় পর্বঃ 

আমি পরের দিন স্কুলে গেলাম কিন্তু আয়শা ম্যাডামা আমার সাথে কোনো কথা বললো না। আমি তার নিশ্চুপ থাকার কারন কিছুটা আন্দাজ করতে পারলাম।

পরের দিন মাগরিবের আজান দেয়ার পর আমি আমার ছাত্রছাত্রীদের বললাম, আমি নামাজ পড়ে আসি।

অরা বললো স্যার আপনি আপনার মোবাইলটা সাথে নিয়ে যান। আমি জিজ্ঞেস করলাম কেনো? অরা কিছু বললো না।

আমি বুঝতে পারলাম, আমার মনে আর কোনো সন্দেহ থাকলো না। আমি আম্মুকে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে? আম্মু বললো, কিসের কি হয়েছে?

আমি বললাম, তুমি আয়শা ম্যাডামকে কি বলেছো? আম্মু বলে উঠলো তোকে আয়শা এসব বলেছে? আমি বললাম না।

তবে আমি বুঝতে পারেছি, তুমি কিছু বলেছো। আম্মু বললো তোর মোবাইলে আয়শার এতো ছবি কেনো?

আমি বললাম আমরা কলিক আমাদের ছিবি থাকতেই পারে। এ নিয়ে মোটামুটি অনেক কথা কাটাকাটি হোলো।

আর এই কথা কাটাকাটির কারনে আমি বাসা থেকে বের হয়ে আমার এক বন্ধুর বাসায় চলে গেলাম। সেদিন আমি আমার বন্ধুর বাসায়ি রাত কাটালাম।

সকালবেলা আম্মু ফোন দিয়ে আমাকে রীতিমতো আমাকে হুমকি দিয়ে বললো "তুই যদি এই মুহুর্তে বাসায় না আসিস তাহলে আমি আয়শাকে কিযে করবো তা তুই কল্পনাতেও ভাবিসনি।

আমি বললাম আমি আসবো না, আয়শা ম্যাডামকে যা ইচ্ছে তুমি কর।" বলে ফোন কেটে দিলাম।

মনের ভিতরে আয়শা ম্যাডামকে নিয়ে খুব চিন্তা হলো। তাই চিন্তা করলাম আয়শা ম্যাডামকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করবো, "আপনি কেমন আছেন?

ঠিক আছেনতো?" যেই চিন্তা সেই কাজ, ফোন দিতেই উনি কান্না করতে করতে বলে উঠলো, "আপনি আমাকে কেনো ফোন দেন আর কেনোই আমাকে সবার কাছে এই ভাবে ছোট করছেন?

আমি আপনার কি ক্ষতি করেছি?" বলে কান্না করা শুরু করলো।

আয়শা ম্যাডাম খুব গরীব পরিবারের মেয়ে। তবে ছোট থেকে আজ পর্যন্ত এমন ভাবে কখনোই তাকে ছোট হতে হয়নি।

তাই আমি রাগের মাথায় তাকে বলাম, " ঠিক আছে আমি আপনকে আর ফোন দিবো না আপনি শেষ বারের মতো আমার সাথে একবার সদরঘাট এসে দেখা করেন।

" উনি বললো, ঠিক আছে এটাই আমাদের শেষ দেখা এবং কথা।" বলে ফোন কেটে দিলো। 

প্রায় ১১ টার দিকে আয়শা ম্যাডাম অনার বান্ধবী স্বর্নাকে নিয়ে চলে আসলো। (দিনটি ছিলো ১লা এপ্রিল শুক্রবার ২০১৬ সাল) আমি তাদেরকে দেখে তাদের সামনে গেলাম।

পরে আয়শা ম্যাডাম বললো, কি বলবেন বলেন। আমি বললাম আমি আপনাকে বিয়ে করবো, আপনিকি রাজি আছেন?

আয়শা ম্যাডাম বললো এটা সম্ভব না। আমি বললাম এটাকে আমি সম্ভব করবো। আয়শা ম্যাডাম কোনো মতেই আমাকে বিয়ে করবে না।

আমি বললাম ঠিক আছে তাহলে চলেন হাটতে হাটতে কথা বলি। উনি শায় দিলো।

অনার থেকে বাসায় সকল সমস্যার কথা শুনলাম। এখন বুঝতে পারলাম এই সব সমস্যার মুলে ছিলো আমার সেই আত্মীয়ের হাত।

তো অনার সাথে কথা বলতে বলতে কাজি অফিসে চলে এলাম। তখনো উনি বুঝতে পারছে না যে উনি কাজীর সামনে বসে আছে। আমাজে জিজ্ঞেস করলো এটা কোথায়? 

আমি বললাম এটা কাজী অফিস।

উনি আতঙ্কে পরে গেলো আর ভয় পেলো।

আমি বললাম আমি আপনাকে বিয়ে করবো এবং আমি আপনাকে নিয়েই সংসার করবো। আয়শা ম্যাডাম বুঝতে পারলো আর কিছু করার নেই। কাজী জিজ্ঞেস করবো কাবিননাম কত দিবেন?

আমি বললাম, ১০লক্ষ টাকা। ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আমি আয়শা ম্যাডামকে বিয়ে করলাম।

আমরা বিয়ে করে দু'জন দুজনকে বললাম আমরা এখন কাওকে কিছু জানাবো না। আমরা স্বভাবিক ভাবেই কাজ করে টাকা উপার্জন করবো।

যখন দেখবো আমাদের ২ জনের টাকা দিয়ে ২,৩ মাস চল যাবে তখন আমরা সবাইকে জানিয়ে আলাদা সংসার করবো। 

কিন্তু আয়শা ম্যাডামের বান্ধবী স্বর্না গোপনে সব ভিডিও করে আমার মায়ের কাছে পাঠায়। এই সব দেখে আমার মা খুব রাগ হয়। আর আমিও বাসায় চলে আশি।

সেদিন রাতে অনেক বৃষ্টি হচ্ছিলো। আমার মা আর বাবা বাসায় নেই। আমি আয়শার সাথে ফোনে মেসেজে কথা বলছি।

হঠাৎ আয়শার মেসেজ বন্ধ। আমি ভাবলাম আয়শা হয়তো টয়লেটে গেছ। কিন্তু অনেকক্ষন হয়ে গেলো কোনো মেসেজ দিচ্ছে না, আমার খুব সন্দসেহ আর ভয় হলো।

অত:পর আমি অনার বাসায় সামনে এসে দেখলাম অনাদের বাসায় কেউ না, মনে সন্দেহ হলো, তাই খুব দ্রুতো স্কুল গেলাম। দেখলাম স্কুকের গেট আটকানো।

কিন্তু স্কুলের ভিতরে মানুষ আছে। স্কুলের ছাদ বেয়ে স্কুলে প্রবেশ করলাম, দেখলাম সেখানে......... চলবে [৩য় পর্ব]

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles