সফলতার গল্প। সফল ব্যক্তিদের জীবনী।

আমি বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানা যাদবপুর গ্রামের এক ঘটনা বলতেছি। সেইখানে বাস করত এক অবধ  অবধারণ শিশু। সে সর্বদা অবহেল মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছে। সে ওই গ্রামেরই এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভর্তি হয় এবং সে লেখাপড়া শুরু করে।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

সে ছিল মেধায় অত্যন্ত কমা । সে কোন পড়ায় ঠিকঠাকভাবে মনে রাখতে পারতো না । তাকে যদি কোন পড়াতে হবে তো সে বাড়ি গিয়ে ভুলে যেত এবং সেই পড়া সে করে আসতো না। তাই তাকে শিক্ষকদের কাছে অনেক বকনী মার খেতে হতো ।

শিক্ষকরা তাকে অত্যন্ত অবহেলা করতে এবং মারধর করত ‌ কিন্তু কে জানত সে একদিন বাংলাদেশের সেরা একজন বিখ্যাত ব্যক্তি হবে । সে বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণী কোনোভাবে পাস করল ।

কিন্তু সে দ্বিতীতে শ্রেণীতে কিছুই পড়তে পারতো না । যার কারনে তার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন ও স্যারদের কাছে বকা শুনতে হতো নির্বোধ বলে অপমানিত হতে হতো।

এলাকার লোক তাকে সবাই বলতো তার দিয়ে কিছু হবে না সে একটা নির্বোধ বোকা ও অলস হবে এজন্য সে ভীষণ দুঃখ পেতো এবং নিজের মধ্যে প্রবাল আগ্রহ ও তীব্রতা অর্জন করল।

সে মনের মধ্যে এই তীব্র আকাঙ্ক্ষা প্রতিষ্ঠা করল যে সে একদিন বড় হবে দেশের একজন বড় ব্যক্তি হবে এবং  ও জাতির জন্য তার অবদান রাখবে ।

শুধু তার এটা আশায় ছিল না সে এটি কি কর্মক্ষেত্রে প্রকাশ করে দেশ ও দেশের জন্য কিছু করার জন্য সর্বদা উঠে পড়ে লাগলো এবং সে ভালো পড়াশোনার জন্য উদ্যোগ নিল এবং সেই কঠিন পরিশ্রম করতে লাগলো এবং সেই দিনরাত তার পড়াশোনার উপর সময় দিতে লাগলো সে মোটামুটি কিছুটা ভালো ছাত্র পরিণত হলো ।

তখনো সে ভালো ছাত্র হিসেবে ক্লাসে পরিচিত লাভ করতে পারেনি এবং সে আরো ভালো পড়াশোনা করার জন্য দিনের অধিকাংশ সময় সে পড়াশোনা জন্য ব্যয় করত এবং অনেক কষ্ট করত ।

তার এই সফলতা দিনে দিনে সবাই দেখতে লাগলো এবং সবাই অবাক হয়ে গেল। তারা সবাই ভাববে এটা কিভাবে সম্ভব হয়তো বা এটা কিছুদিনের জন্য আবার যেমন তাই হয়ে যাবে কিন্তু তারা জানতো না এই হাল সে চিরদিন অব্যাহত রাখবে এবং যেও দেশের জাতির জন্য সে সর্বদা নিয়োজিত থাকবে দেশের এক মূল্যবান মানুষের পরিণত হবে ।

সে আরো ভালোভাবে পড়াশোনা শুরু করলাম এবং সে ক্রমান্বয়ে সবার থেকে এগিয়ে যেতে লাগলো সে দেখতে দেখতেই তৃতীয় শ্রেণীর পাশ করতে শুরু করল এবং সে চতুর্থ শ্রেণীতে অবস্থান করল ।

এই হলো তার মোটামুটি ছাত্রের পরিচয় এবং সে আরো ভালো করতে চায় সেজন্য সে আরো পরিশ্রম করে লেখাপড়ায় মনোযোগ দিতে শুরু করে এবং ভাবতে থাকে সে আরো অনেক বড় হবে সবাই তাকে চিনতে সবাই তার কথা ভাববে সবাই তার কথা বলবে এবং সবাই তাকে মেধাবী বলবে ।

তার সেইটি তীব্র আশায় তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে লাগলো এবং সে পঞ্চম শ্রেণীতে উঠলো এবং তার রোল নাম্বার হল এক । এখন তো আবার সবাই অবাক এ আবার কিভাবে সম্ভব হলো যে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি কোন রকম ভাবে পড়াশোনা করতে পারত না শ্রেণী সর্বনিম্ন ছাত্র ছিল সে সবার অবহেলার পাত্র হয়েছিল সে কিভাবে আবার পঞ্চম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করল ।

তার শিক্ষকরাও তাকে অনেক আদর করতে থাকলো পাড়া-প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজন ও সবাই তাকে ভালবাসতে এটা করে এবং সমর্থন করল কিন্তু সে নিজে নিজে জানত যে এসব সবকিছু হলো মেয়েটার কোন কাজ নাই এর জন্য লিখেছে অনেক চেষ্টা মনে মনে ভাবতে থাকতো যে এমনি এমনি হয় না ।

অনেক কষ্ট করে কোন কিছু অর্জন করতে হয় কোন কিছু এমনি এমনি আসে না । সে বুঝতে পারল মেধার আসল সংঙ্গা । সে মেধা বলতে এই বুঝল যে যা কিছু কষ্ট ও চেষ্টার মাধ্যমে অর্জন করা হয় তাই মেধা ।

কিন্তু আমাদের বর্তমান সমাজের লোকেরা মনে করে যে মানুষ জন্মগতভাবে মেধাবী এবং তার মেয়েটার উপর এই ভিত্তি করে সে আরো কিছু করতে পারে মনে রাখতে পারে কিন্তু আসলে মেধা জিনিসটা এরকম নয় ‌।

আসলে কোন ব্যক্তি যখন কোন অনেক কষ্ট করে এবং চেষ্টা করে পরিশ্রম করে কোন কিছু অর্জন করে তখন মানুষ তার সেই কষ্ট চেষ্টা এবং সফলতা থেকেই মেধা করে সামর্থ করে । সুতরাং আমাদের মনে করা উচিত কোন কিছুই মেধার কেরামতি নাই বরং চেষ্টা ও পরিশ্রমের কেরামতি ।

আমরা সকলে চেষ্টা করব ও পরিশ্রম করব তাহলে আমরা সফলতার মুখ দেখতে পাবো নতুবা সফলতা শব্দটি আমাদের স্বপ্নের মতই থেকে যাবে কোনদিন বাস্তবে পরিণত হবে না ।

যাই হোক আমি এক ছাত্রের গল্পের কথা বলছিলাম সে ছাত্রটা পঞ্চম শ্রেণীতে অনেক ভালো লেখাপড়া করে এবং সে একটা ভালো রেজাল্ট অর্জন করে এবং সে  পঞ্চম শ্রেণীতে জিপিএ ফাইব পাই প এবং সে গ্রামের সবার কাছে অত্যন্ত মেধাবী প্রখর ও জ্ঞানী ব্যক্তি হিসেবে অভিহিত হয় কিন্তু যন্ত্রনা সবাই তার এই সফলতার পেছনে কি লুকিয়ে আছে পরিশ্রম ও চেষ্টা ।

সে আবার ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হল । সে তার গ্রামের মাইল দুই এক ধরে দত্তনগর এস এম ফার্ম নামে এক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় । সে সেখানে ভালোই লেখাপড়া শুরু করল এবং সবার থেকে ভালো লেখাপড়া করতো এবং শিক্ষকগণ তাকে অনেক ভালবাসত এবং তাকে অনেক মেধাবী করে অব্যাহত করত ।

শেষ ষষ্ঠ শ্রেণিতে অনেক ভাল রেজাল্ট করলো এবং সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হল । কিন্তু সে মনে মনে এই আশা নিয়েই ছিল যে সে একদিন অনেক বড় হবে দেশ ও জাতির জন্য অনেক বড় কাজ করবে দেশ ও জাতির সেবায় সে নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রাখবে ‌‌। তার পরিবারবরবরে যান তাকে সর্বদা সেই স্বপ্ন দেখা তো দেশে অনেক বড় হবে ।

আসলে আমাদের বড় হওয়ার পেছনে সর্বদা সর্বশ্রেষ্ঠ অবদান থাকে আমাদের পরিবারের তারা তাদের সমর্থ্য ও সমর্থন ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব হয় না।

যার কারণে আমাদের পরিবারের সর্বশ্রেষ্ঠ অবদান রয়েছে যে অর্থ এবং তাদের শ্রেষ্ঠা না থাকলে তার সন্তান-সন্তান এদেরকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করত না এবং তারা ভালোভাবে লেখাপড়া করতে পারবে না এবং তারা একসময় দেশ ও জাতির বোঝা হয়ে পড়তো ।

কিন্তু সেই সকল সন্তানেরা আজ দেশ জাতির জন্য সম্মানজনক হয়ে উঠছে তাদের জন্য আজ আমাদের দেশ ডিজিটাল হিসেবে অগ্রগতি লাভ করছে তারা একদিন শিক্ষক ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে অব্যাহত হচ্ছে এবং দেশের বাইরে অনেক জায়গায় তারা তাদের অবদান রাখছে ।

এই অবদানের পিছনে রয়েছে মহান সৃষ্টিকর্তার রহমত পরিবারের অর্থ সমর্থন এবং নিজের চেষ্টাও কঠোর পরিশ্রম । সেই সপ্তম শ্রেণীর ছেলেটি আবারো সে অনেক ভালো রেজাল্ট করে এবং সে অষ্টম শ্রেণীতে ধাবিত হয় এবং তার আবার এসে পড়ল দ্বিতীয় বোড বোড ফাইনাল পরীক্ষা সে তো অনেক সে তো অনেক চিন্তিত সে আবার আগের মতো ভালো রেজাল্ট করতে পারবে কিনা এবং তার আশা সম্পূর্ণ হবে কিনা ।

সে অষ্টম শ্রেণীর পরীক্ষা দিতে মহেশপুর উপস্থিত হল এবং সেখানে পরীক্ষা দিল এবং রেজাল্ট শেষে একটা ভালো নাম্বার অর্জন করলো এবং সেই নাম্বার নিয়ে সে অনেক খুশি এবং তার পরিবারকে অত্যন্ত খুশি করল সে দেশ ও জাতির সম্মান রক্ষার্থে বড় অবস্থান অবস্থিত হবে এই আশাটা নিরূপণ হলো না বড় স্বার্থ কি হল।

যেহেতু সেই শিশুটির বড় ইচ্ছা ছিল সে একজন ইঞ্জিনিয়ার হবে এবং দেশের বাইরে এবং দেশের জন্য অনেক জন্য সে সেই স্কুল ত্যাগ করলো কারণ সেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার কোন সুযোগ ছিল না।

শীতের গ্রামের এক পাশে পার্শ্ববর্তী গ্রাম যা অনেকটা শহরের মতোই তাই সে জীবননগর থানা পাইলট বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভর্তি হলো এবং তিনি সেখানে ভোকেশনাল বিভাগে ভর্তি হলেন এবং সে মনে মনে ভাবতে থাকল এইটার আশা পূরণ হতে এসেছে।

আর বেশি দূর নয় আর বেশি সময় নাই এখান থেকেই তার জীবনটা নিখুঁতভাবে পরিচালনা করবে যাতে তাকে জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে কাঁদতে না হয় পিছনের কথা নিয়ে ভাবতে না হয় দেশ ও জাতির বোঝা হয়ে না পড়ে এবং দেশ ও দশের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে।

সেই জন্য তার প্রোফাইল তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সে প্রখর ভাবে পড়াশোনা করতে লাগলো এবং জীবনের অধ্যায়ে এক নতুন খাতা খুলতে লাগলো।

কিন্তু তাদের সেখানেও নবম শ্রেণীতে বোড ফাইনাল পরীক্ষা ছিল এবং সেখানে এবং সে কঠোর প্রস্তুতি নিল এবারও সে ভালো রেজাল্ট করবে এবং তার ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা সে পূরণ করবে।

শিক্ষকরা তার দিয়ে অনেক ভরসা করতো এবং শিক্ষকের অবান্তর দিয়ে অনেক কিছু হবে সে দেশ ও দেশের জন্য অনেক কিছু করতে পারবে এজন্য তাকে অনেক শিক্ষা দিত আলাদাভাবে। আসলে আমাদের শিক্ষার জন্য শিক্ষকদেরও অনেক বড় হয় থাকে।

তাদের দেওয়া শিক্ষায় ছাত্ররা অর্জন করে তারা অনেক বড় শিক্ষিত হয় এবং অনেক দক্ষতা অর্জন করে এবং তারা সেই দক্ষতা নিয়ে তাদের জীবনের অধ্যায়কে এগিয়ে নিয়ে যায় ।

তার জীবনের মূল অধ্যায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রয়েছে মূল হাত শিক্ষকদেরই তারা যদি না তাদের সঠিক শিক্ষা দিত তাহলে তারা জীবনের সঠিক অবস্থানে পৌঁছাতে পারতো না দেশ ও দেশের জন্য কোন কাজই করতে পারত না বরং তারা দেশ ও দেশের জাতির জন্য বোঝা হয়ে পড়তো এবং একসময় সেই দেশ দুর্ভোগ অর্থহীন অবস্থায় পরিণত হতো ।

আমরা শিক্ষকদের অনেক সম্মান করবো তাদের থেকে আমরা শিক্ষা অর্জন করব এবং এর নিজের জীবন কি সঠিক সুন্দর সুখময় সুদর্শন মণ্ডনীয় করার জন্য তাদের দেয়া শিক্ষায় অনুসরণ করব সর্বদা তাদের কে মনে রেখে হৃদয়ের তাদের সর্বদা সর্ব অবস্থান রাখবো এবং তাদের উপস্থিতি না থাকলেও তাদের উপদেশ তাহলেই না বড় কিছু করা যেতে পারে ।

কোন ছাত্র যদি কোন শিক্ষক বা গুরুজনদের উন্নয়ন ও নির্যাতন করে থাকে ভালো অবস্থানে অবস্থান করতে পারত না এ আমাদের দেখা কথা।

তবে সেই ছাত্রটা তার শিক্ষকদেরকে অনেক মহব্বত করতো ভাব কষ্ট এবং তাদেরকে সম্মান করতো এবং তাদের দেখানো উপদেশগুলোতে সে অনুসরণ করতো সে জানত সেই উপদেশের মধ্যে রয়েছে তার সঠিক পথে যাত্রার শুভকামনা সঠিক দিক নিদর্শন ।

সেই নবম শ্রেণীর বই ফাইনাল পরীক্ষায়ও তার নিজের স্কুলেই অবস্থান করেন এবং সেখানে তিনি পরীক্ষা দেন এবং ভালো রেজাল্ট অর্জন করেন যা তার জীবনের ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের আশা অনুভব হতে থাকে ।

সেই নবম শ্রেণীতেও অনেক ভালো রেজাল্ট করলো এবং সে দর্শক শ্রেণীতে উপস্থিত হল সেখানে তার জীবনের শ্রেণী অধ্যায় খোলা এক শ্রেণী ।

সে ভালো করে জানতো এটাই তার জীবনের বিভাজন এখান থেকেই তার জীবনের কর্ম ক্ষেত্রে বিভাজন সে এখানে যেটা ভালো করবে সে সারা জীবন সেটা নিয়ে তার পথ চলাবে এবং তার স্বপ্ন পূরণ করবে পারে ।

দশম শ্রেণিতে অনেক ভালোভাবে পড়াশোনা করতে লাগলো সেই খেলাধুলা একটু কম করতে শুরু করলো এবং পড়াশোনার দিকে বেশি নজর দিতে লাগলো একসময় সে তার সম্পন্ন বই শেষ করল এবং ভালোভাবে প্রস্তুতি নিলো যে হ্যাঁ সে আবারো অনেক ভালো রেজাল্ট করতে পারবে ।

সর্বদাই নিজের চোখে স্বপ্ন দেখতে থাকতো যে সে একদিন অনেক বড় হবে সে একদিন তার পরিবারের টাকার পয়সা মিটাবে এবং দেশ প্রজাতির জন্য অনেক ভালো কিছু প্রতিষ্ঠা করবে । সে জীবনে যদি কখনো চাকরি নাও পায় সে উদ্যোক্তা হয়ে নিজের জীবন পরিচালনা করবে এবং দেশ ও দশের কাজে সুযোগ করে দেবে ।

সে ভালোভাবে জানতো তার এই স্বপ্ন একদিন পূরণ হবে তার পরিবার এসব নিয়ে সমর্থন করতো এবং তাকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক অনুপ্রেরণা ও অনুরাগ-জাকাত যাতে সে তার স্বপ্ন সফল করতে পারে ।

আসলে আমাদের কোন স্বপ্নে সফল হওয়ার জন্য সম্পন্ন  ভাবে জড়িয়ে আমাদের গুরুজনরা তারা যদি আমাদের স্বপ্নকে সফল হওয়ার অনুরাগ না দেখায় তাহলে আমরা কোনভাবেই এগিয়ে যেতে পারে না তাদের অনুরাগ আমাদের একমাত্র মাত্র বল জীবনের পথকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ।

তাদের দেওয়া অনুরাগে আমাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যায় জীবনের অধ্যায় কে সুপলিত করে এবং জীবনকে সুসংঘটিত করার জন্য নিজের মনে অনুপ্রেরণা জাগায় ।

তাদের দেওয়া পথ যখন কেউ প্রত্যাখ্যান করে তখন তারাই পথ ভ্রষ্ট হয় এবং জীবনকে এক অচলের পথে নিয়ে যায় তারাই হয়ে পড়ে দেশের বোঝা ও দশের বোঝা হয়ে পড়ে।

কিন্তু তাদের দেওয়া পথে যারা অনুসরণ করে তারা সফলতার সন্ধান পায় এবং সফলভাবে নিজের জীবনকে পরিচালনা করতে পারে এজন্য তাদেরকে আমাদের গুরু বলা হয় নতুবা তাহলে তারা আমাদের শীর্ষই হতো ।

যাইহোক বলছিলাম এক কথায় পরিশ্রমিক ও করুন মেধার ছাত্রের কথা সেই ছাত্রটি দশম শ্রেণীতে অনেক ভালো করে পড়ালেখা করেছিল এবং পরীক্ষায় অর্জন করেছিল অনেক অনেক অনেক সুন্দর রেজাল্ট।

সেই রেজাল্ট যেন তারা জীবনকে বদলে দিল সে রেজাল্ট হয়ে পড়লো তার জীবনের এক অত্যন্ত সফলতার অর্জন এবং সে রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের এক অত্যন্ত স্বনামধন্য পলিটেকনিক ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেল ।

সে আবার বুঝতে বলল তার স্বপ্ন আর বেশি দূরে নয় হাতের নাগালে চলে এসেছি এবং তার স্বপ্ন সফল হতে চলেছে তার এলাকার লোকও বুঝতে পারলো হ্যাঁ ছেলেটি অত্যন্ত করুন মেধার লোক হয়েও সে আজ অত্যন্ত প্রখরমেধা মানুষ হিসেবে সুনাম অর্জন করছে ।

কিন্তু আমরা সেই শুরু থেকেই দেখে আসছি তার সফলতার একমাত্র মাধ্যম হলো তার কঠোর চেষ্টা ও পরিশ্রম এবং পরিবার ও গুরুজনের দেওয়া দিক নির্দেশনা পথ যা ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব না ।

সে নিজে নিজেই বড়দের কাছে যেতে লাগলো এবং সে উপদেশ নিতে লাগলো সে বলতে লাগলো কিভাবে আমার জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় কিভাবে জীবনে সফলতা অর্জন করা যায় কিভাবে নিজের জীবনকে একটি স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বের পরিচয় নিয়ে আসা যায় কিভাবে ১০ ও ১০ এর জন্য কাজ করা যায় ।

তারা তাকে উপদেশ দিতে লাগলো এবং ভালো করে লেখাপড়ায় মনোযোগ পড়তে বলল সে প্রথম সেমিস্টারে ভর্তি হয়েছে ঢাকা শহর তার অচেনা যেন একবার ওই দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে সে কোন কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না এই নতুন শহরে সে নিজেকে কিভাবে মানিয়ে নিবে ।

সেই শহরের সকালেই তার অপরিচিত তার কেউ চেনে না তাকে সবাই অপরিচিত হিসেবে পরিচয় দেয় এবং বন্ধু নেই । একাকীতে ভুল ছিল এবং নিজের জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত কষ্ট হয়ে পড়ছিল এবং তার জীবনের আশা আর পূরণ হবে না এখানেই হয়তো থেমে যাবে ।

পারিবারিক অনেক অনেক আর্থিক সমস্যা শুরু হতে লাগলো তবুও তার সন্তানের সকল দের জন্য অনেক কষ্ট করছে এবং টাকা জোগাড় করতে লাগলো এবং তাকে দিতে লাগলো ।

সেও সেখানে অনেক কষ্ট প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে লেখাপড়া শুরু করলো এবং সে দেখতে না দেখতে প্রথম সেমিস্টার পাস করল এবং সে দ্বিতীয় সেমিস্টারে অবস্থান করল কিন্তু তার এবার বই কেনা টাকার জন্য অত্যন্ত সংকট ।

সে তার পরিবারের কাছে টেলিফোন করলো এবং বলল তার বই কেনার জন্য অনেক টাকা লাগবে কিন্তু তা পরিবার কোন ভাবেই বই কেনার টাকা ম্যানেজ করতে পারছিল না ।

সেই জন্য তার পরিবার অন্যদের কাছে হাত পেতে টাকা ধারালো এবং তার সন্তানের জন্য পাঠানোর যাতে সে বই কিনে ভালো করে পড়াশোনা করতে পারে এবং তাদের অভাব বুঝিয়ে দিতে পারে এবং সে জাতির জন্য যেন বোঝা হয়ে না পড়ে এবং তাদের জন্য আরো কিছু বলতে পারে এবং সে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারে ।

সেই টাকা দিয়ে ছেলেটির বই কিনল এবং ভালোভাবে পড়াশোনা কররতে লাগলো সে তার পরিবার ের আর্থিক সমস্যা   শেষ করবে ।

সে ঢাকা শহরে অনেকগুলো বন্ধু পেল এবং শিক্ষার্থী দের কাছে পরিচিতি লাভ করল এবং সে অনেক আনন্দে ছিল সেই শহরে সে এবারে দ্বিতীয় সেমিস্টারে অনেক অনেক অনেক ভালো স্বপ্ন শান্ত সম্পূর্ণ স্বপ্ন দেখোলো । এবং সে এক তৃতীয় সেমিস্টারে উঠলো এবং সে ভাবতে লাগলো ভালো করে পার করবে।

সেজন্য সে আমারও অনেক ভালোবাসে পড়াশোনা করতে এবং তার মনের মধ্যে একটি চিন্তা করতে লাগলো তার পরিবার তাকে ভালো করে পড়াতে পারবে কিনা  অর্থ দিতে পারবে কিনা তাই সে একটি ছোটখাটো কাজ বেছে নিল ।

তারপর যে কলেজে পড়াশোনা করত সেই কলেজের ছাত্র বাসে থাকতো এবং সেখানে পড়াশোনা করতো দিনশেষে সে সন্ধ্যেবেলা ছাত্রাবাসের পাশে এক জায়গায় চা বিক্রি করতে লাগতো এবং সেখানে সে কিছু টাকা আয় করতো যা দিয়ে তার পড়াশোনা অনেকটা প্রায় চালেয়ে দিত ।

তার পরিবার তার কাছে টেলিফোন করার পর সে তার আয়ের কথা বলল এবং তার পরিবার অনেক চিন্তিত হয়ে পড়লে সে পড়বেন নাই ভাল করে পড়াশোনা করতে পারবে কিনা সে ভালো ফলাফল করতে পারবে কিনা এবং সে জীবনের পথ দেখে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে কিনা। 

কিন্তু তার পরিবারের প্রবল ইচ্ছা ছিল ও ইচ্ছা মনের অধিকারী ছিল যে তার ছেলে যেভাবেই থাকুক না কেন সকালে অনেক ভালো রেজাল্ট করবে এবং সে সফল হবে ।

সে এভাবেই তার পড়াশোনা করতে লাগলো এবং দিনশেষে ছাত্র পাশের পাশে চা বিক্রি করে উপার্জন করতে লাগলেন এবং সেই টাকা দিয়ে পড়াশোনা হলো সে অনেক সুখী ছিল সে চার বিক্রি করতে এবং সেটা টাকা দিয়ে পড়াশোনা করতো এবং সেই সেই টাকা পরিবারের জন্য পাঠাতো যাতে তারপরে অর্জন করতে পারে ‌।

অবশেষে সে একদিন পরপর তৃতীয় চতুর্থ পঞ্চম ও ষষ্ঠ এবং সপ্তম সেমিস্টার পার করল । ইন্টারনেট করতে চলে গেলে শুয়ে তারপর পলিটেকনিকেরই পাশে বিটাক নামে একটি ইন্টারনি ট্রেনিং সেন্টার ছিল এবং সে সেখানে ট্রেনিং করল এবং তার ট্রেনিং শেষ হয়ে যাওয়ার পর সে এক এক করে সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে লাগল ও চাকরি পরীক্ষা দিতে শুরু করল সে অনেক চেষ্টা করল কিন্তু চাকরি পায় না ।

আবার চাকরিও যে হতে পারে কিন্তু তার জন্যই তাকে অনেক রেখা দিতে হয় কিন্তু তার ছোটবেলা থেকে অনেক ইচ্ছা ছিল দেশে ঘুষ দিয়ে চাকরি করবে না কারণ সেটা উপার্জন হবে।

সে চাকরি খুঁজতে শুরু হল এবং যেখানে কোন টাকা লাগবে না সেখানে সে চাকরি করবে এই মস্তক শুরু করলো গ্রামের লোকজন আবার করবেন ন্যায় হাসাহাসি শুরু করলো সে পড়াশোনা করল ঠিক আছে কিন্তু চাকরি পাচ্ছে না ।

সেও অনেক লজ্জাবোধ করল যে আমার এত ভালো ভালো পড়াশোনা করে ভালো রেজাল্ট করে কি হলো যদি চাকরি না পায় আবার চাকরিও যদি পায় তবে টাকা দিয়ে কেন চাকরি করতে হবে চাকরি করার জন্য কোন ঘুষ লাগে কেন চাকরি হবে না ।

এই কথা সমাজের মানুষের কাছে তুলে ধরল যে সে চাকরি পাচ্ছে কিন্তু ঘুষ দিতে চায় না এজন্য সে চাকরি করছে না কিন্তু গ্রামের লোকজন বলল তাহলে টাকা দিয়ে চাকরি করে কিন্তু সে বলল এটা হারাম।

কিন্তু গ্রামের লোকজন বুঝতে চায়না যে এটা হারাম টাকা তারা বলল তাতে কি সমস্যা কিছু টাকা দিয়ে চাকরি করো তাহলে জীবনে অনেক সুখী থাকবে।

কিন্তু সে কোন মতে হারাম টাকা উপার্জন করতে রাজি নয় সে একের পর চাকরি হারতে লাগলো কারণ সে টাকা যাবে না এইজন্য এবং সে অনেক পরিশ্রমের পর।

একটা চাকরি করল যেখানে সে ঘুষ না দিয়েও চাকরি করতে পারবে। কিন্তু চাকরিটা ছিল অত্যন্ত ছোট কিন্তু সে মনে করলো ছোট কি হয়েছে তাতে একদিন চাকরিটা অনেক বড় হবে এবং সে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবে ।

কিন্তু সেই চাকরিটা তার কাছে ছোট মনে হলেও অন্যের কাছে ছিল সেটা অনেক বড় সবার কাছেই ছিল অনেক বড় কিন্তু সে সফলতার যে খানে পৌঁছাতে চেয়েছিল সেখানে সে একবারে পৌছাতে পারিনি । বছরখানেক চাকরি করার পর সে তার স্বপ্নের জায়গাগুলো এবং সেখানে সে অনেক আনন্দিত ছিল ।

সে প্রতিনিয়ত রোজগার করতে শুরু করল এবং দিন শেষে পরিবারের সাথে কাটাতে লাগলো । তার সমাজটাকে অনেক বাহবা দিতে লাগলো এবং বলল আসলে ছেলেটি যেভাবে পরিশ্রম করেছে তারপর এই মাত্র পেয়েছে ।

অনেক খুশি সে এলাকার গরিব দুঃখী লোকদের অনেক সাহায্য করত এবং অবহেলা সুবিধা বঞ্চিত মানুষের এবং আর্থিকভাবে  সহায়তা করত ।

গ্রামের অনেক সুবিধা বলছি তো শিশুদের কেসে পড়ানোর দায়িত্ব নেয় এবং একটি ভালো স্কুলে তাদেরকে ভর্তি করিয়ে দেয় এবং তাদের পড়াশোনার জন্য খরচ চালায় তার নিজের অর্থ উপার্জন করে যে টাকা জমিয়েছে সেই টাকা দিয়ে ।

গ্রামের মানুষেরাও থাকে অনেক বাহবা দিতে লাগলো সে আসলে বাহবা নেওয়ার জন্য সেই কাজ করে না সে ঘরে যে সে যেভাবে লেখাপড়া করেছে তার যদি সেই লেখাপড়া না হত তাহলে সে একদিন সমাজের বোঝা হয়ে থাকে তো তারাও যেন একদিন সমাজের বোঝা হয়ে না দাঁড়ায় এবং সমাজকে নষ্ট না করতে পারে ।

আসলে আমাদের সমাজে যে সকল শিশুরা সঠিক শিক্ষা লাভ করতে পারে না প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করতে পারে না তারা দেশের বোঝা হয়ে পড়ে তারাই দেশের সন্ত্রাস বোমাবাজ ইত্যাদিতে লিপ্ত হয়ে থাকে ।

কারণ তারা পায় না কোন সঠিক দিক নিদর্শন এবং সেই পথে চলে তারা । এক সময় তারা অনেক বড় এবং ভয়ঙ্কর হয় এবং দেশ ও জাতির ধ্বংসের কারণে দেশের টাকা দেশের সম্পদ তারা লুটপাট করে দেশের বাইরে পাচার করে।

তারই জন্য সে এই উদ্যোগে নয় এবং সেই অনেক ভালো কাজ করতে শুরু করে এই হল একজন মেধাবী নয় ও মেধাবী ছাত্রের গল্প।

আসলে আমরা বুঝতে পারলাম যে মেধায় বড় নয় বরং চেষ্টা ও সামর্থ্য নিধার সংজ্ঞা এবং যাকে দিয়ে কোন কিছু আশা করা যায় না তারা সমাজের বড় কিছু হয়ে পড়ে তাদের কাজে গিয়েই পড়ে এই হল আমাদের সমাজের মানুষের কি ধারণা এবং আমাদের সমাজের মানুষের কি ধারনা বদলে দেওয়ার জন্য আমার এই লেখা গল্প ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ