সবাই বলে সফল মানুষের পেছনে অনেকের অবদান থাকে । আবার কেউ কেউ বলে অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করতে হয় সফল হতে ।আমার জীবনের সাকসেস হবার পেছনে আমার জীবনের সাথী ছিল। আমার স্বামীর জন্য আজকে আমি এতো ওপরে।
বিয়ের পর আমি তাকে আমার ইচ্ছের কথা জানায়। মানুষ বলে বিয়ের পর নাকি পড়াশোনা করা হয় না।আর সুযোগ থাকলেও কাজের চাপে তা সম্ভব হয়না। কিন্তু আমার জীবন পুরো আলাদা ।
আমার অনেক কম বয়সে বিয়ে হয়েছে।আমি বিয়ের পর আমার জীবনে সফলতা অর্জন করি। সবাই ঠিক বলে একটু পরিশ্রম সফল হতে হলে করতে হয়। আবার কিছু কিছু মানুষ অভাব থেকেও সফলতা অর্জন করে।তবে আমার মতে জীবনে সফল হতে গেলে পড়াশোনাথ চেয়ে বেশি দরকার সাপোর্টের।
আমি বলবো একটু সাহস করে নিজের জীবন সঙ্গী কে নিজের ইচ্ছের কথা জানান।হয়তো আমার মতো সফল হতে পারবেন। অনেকেই বলে মেয়েরা রান্না করা আর ঘড়ের কাজ করতে পারে সফল হতে পারেনা।
বিয়ের পর ঘড় বন্ধি হয়ে পরে।তবে এই সব কথা মিথ্যা প্রমাণ করেছে আমার সামী। আমার স্বামী শুধু আমাকে সফলতার সুযোগ করে দেয়নি আমার সামী আমাকে পড়া শোনারো সুযোগ করে দিয়েছে। আমার স্বামীর জন্য আজকে আমি সফল। আমার শপনো পূরন হয়েছে।আর আমি সফল হয়ে আরো অসহায় নারী দের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি এইটায় আমার শপনো ছিল।
বিয়ের সময় বাবা মা একবারো আমার কথা ভাবেনি।তারা ভাবতো মেয়ে মানে বোঝা ।মত তারা তারি বিয়ে দেওয়া যায় ততো ভালো।আর মেয়েদের কি হবে এতো পড়াশোনা করে। কিন্তু আমার ইচ্ছে ছিল ভালো কিছু করব।আরো অসহায় মানুষের পাশে দারাবো।
আমার যখন বিয়ে হয় মনে হচ্ছিল আমার সব শপনো মাটি চাপা পরে যাচ্ছে। ইন্টার পাশ করে আমার বিয়ে হয়ে যায়। আমার স্বামীকে আমি আমার ইচ্ছের কথা বলি।সে শুনে আমার ইচ্ছের সাথে একমত হয়ে আমাকে কিছু টাকা দেয় আর সুযোগ করে দেয় এমন যায়গায় দারাবার।আমি অনলাইনে সর্ব নিম্ন দশ হাজার টাকা দিয়ে জামা কাপড় কিনে বিসনেস শুরু করি।
আমার স্বামী আমাকে দশ হাজার টাকা দিয়ে কিছু পায়কারি মার্কেট থেকে আমাকে মেয়েদের জামা কাপড় ও থ্রি পিস এনে দেয়।একটা কথা বলতে ভুলেই গেছি। আমার বিয়ের পর পরি আমি মা হয়ে যায়।আর একটি মেয়ে মা হবার পর তার সংসারের কাজ দিগুন হয়ে যায় তবু আমি এগিয়ে গেছি।এমনো কিছু সময় গেছে আমি খাবার খাওয়ারো সময় পায়নি।
যাইহোক আমার স্বামীর এনে দেয়া জামা কাপড় আমি প্রথমে সেগুলো আমার আশেপাশের মানুষ দের বলি।এবং এরপর আমি জানতে পারি ফেসবুকে অনলাইনের পেজে আমাদের সেল করার সুযোগ দিচ্ছে।তখন অনলাইনে ফেসবুক মার্কেট প্লেসে আমি আমার পন্যর ছবি দিতে থাকলাম।
তারপর খুব দ্রুত আমার সব জামাকাপড় শাড়ি বিক্রি হয়ে গেল।তাতে থেকে যা লাভ পেলাম সে সব টাকা সহ আমি আমার স্বামী কে দেয় এবং সে আমাকে আরো কিছু পন্য এনে দেয় এইভাবে করে আমি ঘড়ে বসে ইনকাম করতে পারি আর দুই বছরের মধ্যে আমি আরো কিছু মেয়েদের এই কাজে নিয়োগ করি।তারা বাসায় বেকার বসে আছে।এইভাবে আমি এতো সফল হয়। এখন আমার সাথে আরো দশটা মেয়ে কাজ করছে।
আর এগুলো করতে আমি আমার স্বামী কে সব সময় আমার বন্ধুর মত পাশে পেয়েছি। আমার জীবনেও অনেক বাধা ছিল। আমার শশুর শাশুড়ি এগুলো পছন্দ করেননি। সাপোর্ট করেন নি।তবু এগিয়ে গেছি।আমাকে অনেক কথা শুনতে হয়েছে। আমাকে আমার পরিবারের মানুষ পর্যন্ত সাপোর্ট করেন নি ।কিন্তু এখন সেই মানুষ গুলো আমাকে নিয়ে গর্ব করেমেয়েরা সবকিছু করতে পারে শুধু তার পাশে একজন সাপোর্টার দরকার। জীবনে সফল হতে বেশি কিছু লাগেনা।
শুধু লাগে একটু সফল হবার ইচ্ছে আর কাজটি করারা ইচ্ছে। আমার মত সাধারণ একটি মেয়ে পারলে বাংলাদেশের সব মেয়ে পারবে আস্তে আস্তে। এইভাবে দেশের দারিদ্র্য তা বিমোচনের পাশাপাশি আমারা দেশকে এবং নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।আমি একটা মা হয়ে পেরেছি জীবনে সফলতা আনতে ।যদি সবাই একটু চেষ্টা করে আমার মতন তাহলেই সফল হয়া সম্ভব। জীবনে কিছু করতে গেলে একটু কষ্ট না করলে কিছু করা সম্ভব নয়। আমার স্বামী কে আমি এখন ফেমিলিতে টাকা দিয়ে সাপোর্ট করতে পারি।
আমি এখন তা ইনকাম করি তা দিয়ে খুব সহজেই আমার সংসারে সাহায্য করা হয় আর বেশকিছু ইনকাম আমার গচ্ছিত রাখা হয়।আমি জীবনে অনেক বাধার মুখে পড়ে ছিল। তবু ইচ্ছে শক্তি হারায় নি। আমার জীবনের এই সফলতার গল্প টি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে দয়া করে শেয়ার করুন।
হয়তো আপনার একটা শেয়ার আর লাইক আরো কাওকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। হয়তো আমার মতো অনেকেই আছেন যারা সাহস করে আগাতে পারছেন না। হয়তো এটার মাধ্যমে তারা নতুন করে নিজের জীবন কে উপোভোগ করার সূযোগ পাবে।
apnake follow dichi apni amke follow den apu
You must be logged in to post a comment.