আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহ তায়ালার রহমতে সবাই ভালো আছেন। আজ আমাদের আলোচনার বিষয় পড়া মনে রাখার কৌশল সম্পর্কে।
আমরা অনেকেই পড়া মনে রাখতে পারি না। তারা ঠিক কী কী নিয়ম ফলো করলে পড়া দ্রুডই মনে রাখতে পারবেন তা নিয়ে এ লেখায় সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করা হবে। বৈজ্ঞানিক টেকনিকগুলো জানতে নিচের লেখাটুকু সম্পূর্ণ পড়ুন।
রিজাইজ উইদ আ ব্রেক ( Revise with a break)
এর মানে বারবার পড়া। এখন আপনাকে একটানা পড়ার কথা বলা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে একটু পড়ে বিরতি নেয়া, তারপর আবারো খানিকটা পড়া। এতে পড়া মনে থাকার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়।
কারন, একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, আমরা যে পড়াটুকু পড়ি, তা যদি আমরা এক ঘন্টা পর আবার মনে করতে যাই, তবে তার ১০০ ভাগের কেবল ৪৪ ভাগই আমরা স্পষ্টভাবে মনে রাখে পারি!
তাই একটানা না পড়ে একটু পড়বেন, তারপর আবার ১০ মিনিট বিশ্রাম নেবেন, আবার পড়বেন। এতে আপনার পড়া খুব সহজেই মনে থাকবে। এর আবিষ্কারক জার্মান বিজ্ঞানী হারমান এভিনগস।
অন্য কাউকে শেখান
এই পদ্ধতিতি আবিষ্কার করেছেন আমেরিকান বিজ্ঞানী রিচার্ড ফাইনম্যান। তথ্য অনুযায়ী, আপনি একটি পড়া শিখলেন, আপনি যদি সেই পড়াটি অন্য কাউকে বলেন কিংবা অন্য কাউকে যদি শেখাতে জান,
যে এটা জানে না, আপনি যদি তাকেই পড়াটি শিখিয়ে দেন, কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বলেন যেটা কিনা আপনার মনে থাকে না, তাহলে সে বিষয়টি আপনার সহজেই মনে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কারণ আপনি অন্য কাউকে শিখিয়েছিলেন এটা আপনার মনে আছে। এবং কি শিখিয়েছেন সেটাও তো মনে থাকবে!
তাহলে আপনি যদি অন্য কাউকে কোন কিছু শেখান তবে তা আপনার মনে থাকবে অবশ্যই। আপনি এটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শেয়ার করতে পারবেন। তাহলেও মনে রাখতে পারার সম্ভাবনা থাকবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম
আমরা অনেকেই আছি যারা কিনা রাত জেগে পড়াশোনা কর। কারণ হয়তো দেখা গেছে যে প্রিপারেশন টা একটু ভালো না, তাই রাত জেগে পড়াশোনা করে পড়াটা ঝালাই দিয়ে নেয়া যাবে।
অতঃপর পরীক্ষা হলে গিয়ে দেখা যায় যে পরীক্ষাটা অতটা ভালো হয়নি। এর কারণ ঘুমের সমস্যা! রাত জেগে পড়াশোনা করার ফলে যদি ঘুম কম হয়,
তো মস্তিষ্কের উপর তা একটা প্রভাব ফেলে। তাই আপনার পরীক্ষা খারাপ হয়। আপনি যদি ভালোভাবে পড়া মনে রাখতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের দরকার আছে। আপনি একটি পড়া শেষে খানিকটা ঘুমিয়ে নিতে পারেন।
সারাক্ষণ ঘুমোতে হবে না। তবে রাতের দিকে সুন্দর একটা ঘুম দেয়া যেতে পারে পড়াশোনার পর। এই পদ্ধতিটি নিয়ে গবেষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী জেসিকা পেইন ও তার সহকর্মীরা।
পোমোডোরো পদ্ধতি
এই পদ্ধতি অন্যগুলোর থেকে আলাদা এবং অধিক কার্যকর। এর কাজ হলো, আপনাকে ২৫ মিনিট ধরে পড়ার টেবিলে রাখা, এরপরের ৫ মিনিট আলাদা কাজে।
আপনি হয়তো পড়ার ফাঁকে মোবাইল বা অন্য কিছু ব্যবহার করেন, তাই আপনার পড়ায় ক্ষতি হয়, তাই এ পদ্ধতি অনুসরণ করুন। এর জন্য টেবিলে বসে প্রথম ২৫ মিনিট পড়ুন। 20। জাস্ট রিডিং।
এরপর ৫ মিনিট যেকোনো কিছু করুন। তবে তা যেন ৫ মিনিট ছাড়িয়ে না যায়। এরপর আবারো ২৫ মিনিট পড়ুন একটানা। এরকম ভাবে পড়লে ওড়া অনেক সহজে মনে থাকে। আর এটা ভুলে যাওয়াও কঠিন।
এই পদ্ধতির আবিষ্কারক ফ্র্যাঞ্চেস্কো নামের এক উদ্যোক্তা। ১৯৮০ সালে এটি আবিষ্কৃত হয়। পোমোডোরো অর্থ টমেটো সস! ফ্র্যাঞ্চেস্কো এর টেবিল ঘড়ি দেখতে টমেটোর মতো ছিল, তাই এই নামকরণ!
নেমোনিক পদ্ধতি
এই পদ্ধতিতে আপনি আপনার বইয়ে বা যেকোনো স্থানে ছবির সাথে তথ্য যুক্ত করে পড়তে পারেন। এতে তা সহজে মনে থাকে। আবার, অডিও, ভিডিও, প্রামাণ্যচিত্র এগুলোর সাথে মিল রেখে পড়লে সে পড়া অনেকদিন যাবত মনে থকেী।
শেষ কথা
আশা করি এই লেখাটু আপনাদের ভালো লাগবে আর লেখাটি থেকে আপনারা অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এরকম নতুন লেখা পেতে জে আইটি আর্নিং প্রোগ্রাম এ চোখ রাখুন।
You must be logged in to post a comment.