Sad Love Story | ভালোবাসার গল্প

Fast Time পরিচয় হয়েছিল আমার আম্মুর বাসায়, আমার আম্মুর Friend ও তার মেয়ে আর সে মেয়ে আম্মুর বাসায় বেড়াতে আসল, প্রথম বারের মত দেখলাম তাকে । ওদের আসার কারণ ঘুরে বেড়ানো। এখন তাদেরকে নিয়ে ঘুরতে বের হলাম ঘুরলাম-একটি রেল বিজ,মাজার আর India Cake Post.ঘুরেয়ে দেখালাম। 

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

তার পর বাসায় চলে আসলাম।  তার পর খাবার খেতে বসলাম। খাবার খাওয়া শেষ এখন রেস্ট নিতেছে সবাই। আমি ও রেস্ট নিতেছি সবাই এক রোমে আর আমি আর এক রোমে । হঠাৎ করে সে আমার কিছুটা সামনে একটি সোফায় বসে পড়ল। আমিও তাকে একা পেয়ে তার সম্পর্কে জানতে চাইলাম। আমি বললাম তুমি আমার আম্মুর Friend মানে আমার মামানির কী হও..?

সে বলল আমি তোমার মামানির  মার বাসায় বড়াটিয়া থাকি, আমার মা গার্মেন্টসে চাকরি করে। 

 আমি বললাম তুমার বাবা কি করে...?

 সে বলে আমার বাবা থেকেও নেই। 

 কথাটা শুনে আমার খুব খারাপ লাগছে ।

 ভাবলাম আমার ও ঠিক সে রকম একটি কাহিনী আছে, সেটা অনেক বড় কাহিনী থাক আজকে আর এ বেপারে কথা না বলি। 

 এটুকু কথা তার সাথে

       তারপর ওরা সবাই রেস্ট নিয়ে বাসায় চলে যায়। 

 আমি এখন আম্মুর বাসায় একা। 

  আসলে আমি সব সময় আমার আম্মুর বাসায় থাকি না। 

আমি আমার নানু বাড়িতে থেকে পড়া-শুনা করি। S.S.C                                   পরিক্ষাতি 2022. 

আমি এখন আম্মুর বাসায় একা।  কিন্ত এখন আমার কেন জানি শুধু সেই মেয়েটির কথা মনে পড়ে । আমার চোখে শুধু তার মুখটি চলে আসে। 

 বেপারটা আমি লক্ষ্য করলাম তারপর বোঝালাম যে আমি তাকে ভালোবেসে ফেলেছি। এখন আমার একটিই লক্ষ্য যে আমি কখন বাড়ী যাব মানে নানু বাড়ি। কারণ আমার আম্মুর Friend মানে আমার মামানির বাসা আমার নানুর বাড়ীর পাশেই। 

 তার মানে সে আমার বাড়ির পাশেই আছে। তার পর আমি কিছু দিন পর আমি আমার নানুর বাসায় চলে     আসলাম। 

 এখন আমার শুধু তাকে দেখতে ইচ্ছে করতেছে। কিন্তু কোনো অজুহাত পায়তেছিনা মামানির বাসায় যাওয়ার। 

 তারপর কি ঘরে বসে Free Fire Game 🎮 খেলতেছি। 

 হঠাৎ আমার Bast Friend (রায়হান) এর  Call.  কোথায় তুই..?

 আমি বললাম বাসায়। বন্ধু বলে আমাদের বাসায় আই। 

 আমি বললাম আমার ভাল লাগেছে না আমি আসবো না। 

বন্ধু বলে তাকে আস্তে হবে নয়তো বাসা থেকে তোলে নিয়ে আসবো।  যে কথা সে কাজ সে তার কাকার বাইক নিয়ে চলে এলো আমার বাসায়। তারপর আমি আমার বন্ধুর সাথে বাইক দিয়ে বাসা থেকে বের হলাম। 

 যাওয়ার পথে মামানির বাসা।  ভাবলাম যদি দেখা পাই তার। মামানির বাসার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় একটু ওকি মেরে দেখতেছি।  যদি তার দেখা পাই। তারপর হালকা করে একটু দেখাতে পেলাম। কিন্তু ভালো করে তার চেহারাটা দেখতে পেলাম না। 

 তারপর আমি আমার বন্ধুর সাথে কথা বলতে বলতে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। হঠাৎ পিছনে তাকিয়ে দেখি যে, সে গেট থেকে বের হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। 

 তখন তার দিকে আমিও তাকিয়ে আছি । আমার কেমন যেন এক অন্য  রকম শান্তি অনুভব করতেছি। 

 তার দুই দিন পর আমি (নেহা) মনে  মামানির মেয়ে সাথে কথা বলার জন্য আমি তার School এর সামনে পথে দাঁড়িয়ে থাকি। তারপর নেহা এল তার সাথে কথা বলি।  আমি তোমাদের বাসায় আসা মেয়েকে অনেক ভালোবাসি। নেহা বললো কে আঁখি। আমি প্রথম বারের মত তার নামটি জানলাম। আমি বললাম আমার ভালোবাসার বেপারে যাতে কেউ না জানে এমন কি আঁখি ও না। 

 তার পর দিন আমি মামানির বাসার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দেখি যে আঁখি গেট এর সামনে দাঁড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসতেছে এ সময়টা তাকে কত সুন্দর লাগছিল। তা বলে বোঝানো সম্ভব না। 

 তার পর দিন আমার মামার বিয়ে।  BOX আনলাম গান বাজায়তেছি আর অপেক্ষাই আছি যদি আঁখি আসে। 

 তার পর রাত হয়ে গেল। হঠাৎ শুনতে পারলাম যে মামানিকে বিয়ে বাড়ীতে আনতে হবে। তার পর বাহানা বানিয়ে মামানির বাসায় যায় যদি তার দেখা পাই। কিন্তু দেখা পেলাম না। চলে এলাম। মামানি এল বলে তার সাথে তার মেয়ে ও আঁখি এসেছে। 

তাকে দেখার জন্য ছুটে গেলাম। দেখলাম তাকে,

ওরা বিয়ে বাড়ীর ভিতরে চলে যায়। আমি ও যায়। তার পর দেখি যে নেহা আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসতেছে। আমি সরম পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। তার পর দেখি ওরাও বের হলো ঘর থেকে ।

তার পর আমি ঘরের দিকে যায় সামনে নেহা আমাকে ডাক দিল।  আমি যায় আমি যাওয়ার সাথে সাথে আঁখি ওখান থেকে চলে যায়। নেহা আমাকে বলে তোমার ভালোবাসার কথা আমি আঁখিকে বলে দিয়েছি। আঁখি রাজি হয়ে গেছে। আমি তখন কি বলব ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। 

আমি ভাবলাম যে আমি তাকে একটি গোলাপ ফুল এনে দিব। প্রপোজ করতে না। আমি এখন পর্যন্ত কাউকে প্রপোজ করিনি। তাই আমার পক্ষে প্রপোজ করা সম্ভব না। কিন্তু ভাই কি বলব পোর এলাকা জোরে একটা গোলাপ নেই। তার পর হঠাৎ মনে পড়ল আমাদের বাসা থেকে একটু দূরে একটি মাদ্রাসা আছে সেখানে পাওয়া যেতে পারে। তার পর দৌড়াতে দৌড়াতে মাদ্রাসায় যাই।

ফুল পেলাম এখন নিয়ে বসায় যাচ্ছি। কিন্তু বাসায় এসে দেখি যে ফুলের পাপড়ি গুলো সব পারে গেছে। তার পর আমার এক বন্ধু বলে যে একটা বাসায় গোলাপ ফুল 🌹 আছে। তার পর চলে গেলাম ফুল 🌹 চুরি করতে। কিন্তু গায়ে দেখি গোলাপ ফুল নেই। আন্য একটি ফুল পেলাম। তার পর চলে এলাম বিয়ে বাড়ীতে। ওরা চলে গেছে বাসায় কিছুক্ষন পর আসবে। 

হঠাৎ মামানি ডাক দেয় বলে আমাদের বাসা থেকে কিছু চেয়ার নিয়ে আস। ভাবলাম এখন ফুলটা দেব। ফুলটা নিয়ে যায় আর মাঝ রাস্তায় একটি গাছে উঠে রাখি যাওয়ার সময় ফুলটা দেব। চেয়ার নিয়ে আসার সময় দেখি যে ফুলটা গাছে নেই নিচে পড়ে গেছে (মানে ভাগ্য যখন খারাপ হয়)। ফুলটি নিচ থেকে তোলে নিয়ে  যখনি দিতে যাব তখনই মামানি ডাক দেয়।  আমি হাত থেকে ফুলটা ফেলে দেয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। তার পর আর কোনো কথা হয়নি। 

 পর দিন মামার বিয়ে। রেডি হয়ে বিয়েতে যায়। বিয়েতে গিয়ে ভাবতেছি যে এখন বাড়িতে থাকলে একবার হলেও দেখা হতো। 

 বিয়ে শেষ এখন বাড়িতে আসতেছি। আমি জানতে পারলাম আঁখি এখন বিয়ে বাড়ীতে আছে। তার পর বর-কনে নিয়ে বাড়িতে আসি। 

 আমি এখন সরে আসি BOX এর কাছে আঁখি একটু দূরে বসে আছে। তার পর আমি যায় ফুল 🌹 আনতে ফুলটা একটু সামনে এগিয়ে দেখি যে আমার আন্য এক নানি বসে আছে। আমি ফুলটা নিয়ে আবার রেখে আসি।

   কিছুক্ষণ পর দেখি যে আঁখির হাতে ফুল🌹 সুমাইয়ার ফুল ছিল সুমাইয়া আঁখির হাত থেকে নিয়ে যায়। আমি বাসায় দৌড়ে যাই ফুল নিয়ে আসি এখন ২টি গোলাপ ফুল এনে আঁখির হাতে দেয়। তার পর নেহা এল মামানি এল। এখন সবাই বউ দেখে বাড়িতে চলে যায়। তার পর রাতে আবার চেয়ার নিয়ে মামানির বাসায় যায় আঁখিকে দেখার জন্য।

আমার কথা শুনে আঁখি বেরিয়ে আসে। তার পর চেয়ার দিয়ে আমার বাসায় এসে ঘুমিয়ে পরি। তার পর সকালে ঘুম থেকে উঠে মোবাইল নিয়ে আঁখির ছবি দেখি। তার পর রায়হান আমাকে ঘুম থেকে উঠেয়ে নিয়ে যায়। 

এখন আমারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়তেছি। 

বাসায় আসলাম খাবার খেলাম। বন্দুকে Call.. দিলাম রাস্তায় আসার জন্য। আমি রাস্তায় গিয়ে বসে আছি বন্ধু রায়হান আর নাজমুল চলে আসে। এখন আমরা Sad গান শুনতেছি। তার পর আমার বন্ধু বলে মামানির বাসার দিকে যাব আমি না করলাম ওদেরকে রাখতে পারলাম না। ওরা বাসার পাশে থাকে ঘরে আসে।

এসে বলে যে আঁখিকে দেখেছে। তার পর বন্ধু একটু সামনে মোরের দিকে যায়। 

আমি একা বসে আছি রাস্তার পাশে। ভাবতেছি আঁখি আমার বন্ধু গুলো চেনে। 

আমার এখন মনে হচ্ছে যে আঁখি এখন বাসা থেকে বের হবে। 

আমি একটু সামনের দিকে এগিয়ে যায় দেখি যে আঁখি আসছে। 

আমি বললাম তুমি একা কেন নেহাকে সাথে নিয়ে ঘুরতে পারোনা। 

আঁখি বলে যে নেহা আপু ঘুমিয়ে আছে। আমি বললাম বাসায় চলে যাও। কারণ আমি জানি কেউ যদি দেখে তাহলে মাইন করবে। কারণ আমি হারাতে চাই না আঁখিকে। আমি ধৈর্য রাখতে চাই। আঁখিকে না দেখে এখন থাকতে পারবো না।  দিনে এক নজর হলেও দেখবো যে কোনো বাহানা বানিয়ে। 

ভালোবাসতে কথা বলা লাগেনা। ভালোবাসা মন থেকে আসে মুখ থেকে না। আমি না হয় মন দিয়ে ভালোবাসলাম। 

মুখেত সবাই ভালোবাসে জানে। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ