শীতের রাতে মায়ের হাতের পিঠেপুলিঃ প্রথম পর্ব...নাহিদ চৌধুরী।
শীতের সময় কার না ভালোলাগে পিঠে খেতে?হ্যা সবারই ভালোলাগে।তবে আরওই ভালোলাগে মায়ের হাতের পিঠা বানানো খেতে।এতে রয়েছে এক অন্যরকম অনুপ্রেরণা, অনুভূতি,ভালোলাগা, ভালোবাসা।মা হচ্ছেন পৃথিবীর সবথেকে দামী জিনিস।
যার মা আছেন তার দুনিয়ায় সব আছে।আর যার মা নেই তার বুঝি দুনিয়াটাই অন্ধকার।মা বাবা হচ্ছেন দুনিয়ার সবথেকে বড় সম্পদ।
শীতের রাতে অথবা সকালে পিঠেপুলি খাওয়ার মজাই আলাদা।একদিকে শীতে শরীর কন কন করছে আর অন্যদিকে মনে মনে ভাবনারপ্রায়স জমেছে,যদি এই সময়ে কিছু গরম পিঠেপুলি বানিয়ে খাওয়া যেত-তাহলেতো এই শীতে আলাদাই একটা অনুভুতি পাওয়া যেত।
কিন্তুু আমিতো আর তা পারিনা কারণ আমিতো মহিলা মানুষ না যে,হুট করেই পিঠেপুলি বানিয়ে খাবো-কিন্তুু আমিতো পুরুষ মানুষ।কিন্তুু মা থাকলে কি আর এ-সব নিয়ে আলাদা কোনো টেনশন করতে হয়?
না এক্কেবারেই না কারণ মা আছে যার সব আছে তার।শীতের সময় কোনো একদিন রাতে আমার পিঠেপুলি খাওয়ার খুবই ইচ্ছে জাগলো।কিন্তুু মনে মনে ভাবতেছি কাকে বলবো আমার এই ইচ্ছের কথা।
আবার ভাবতেছি মা'য়ের কথা যে,মা'কে যদি বলি আমার এ-ই ভাবনার কথা মা'কি তাতে সাড়া দেবে না-কি বকাঝকা দেবে।যেই ভাবনা সে-ই কাজ মা'কে বলতে দেরি হয়েছে কিন্তু পিঠেপুলি বানানোর প্রস্তুুতি নিতে দেরি হয়নি।
মা তাড়াতাড়ি রান্না ঘরে গিয়ে হাঁড়ি পাতিল ধুয়ে চুলায় আগুন দিয়ে চুলার উপর হাঁড়ি পাতিল বসিয়ে আমাকে বললেন তুমার যদি বাহিরা কোনো কাজ থাকে তা সেড়ে আসো।
তখন আমি ভাবলাম পিঠেপুলি হতে'তো দেরি হবে তাহলে আমি বাহিরে চলে যাই কিছুক্ষণের জন্য কেননা আমার তখন বাড়ির বাহির কিছু কাজ ছিলো।তখন আমি বাড়ির বাহিরে চলে যাই কিছু সময়ের জন্য- সেখান থেকে আমি খুব দ্রুতই আমার কাজ সেড়ে আসি।
তারপর আবার ফিরে এসেই দেখি এখনো পিঠেপুলি হয়নি।তখন মা'কে বললাম মা আর কতো সময় লাগবে,মা তখন মধুর সুরে বল্লেন বাবা আরও কিছু সময় লাগবে।তখন আমি রান্না ঘর থেকে হুট করে চলে আসি আমার পড়ার রুমে এসেই প্রিয় লেখকের......
দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন...ইনশা-আল্লাহ অতি শীগ্রই আপনাদের সামনে উপস্থিত করবো।
শীতের রাতে মায়ের হাতের পিঠেপুলিঃ দ্বিতীয় পর্ব... নাহিদ চৌধুরী।
বই হাতে নিয়ে পড়তে বসলাম প্রিয় লেখকের বই"বেলা ফুরাবার আগে"।অত্যন্ত চমৎকার একটি বই- ঐ দিন পড়তে পড়তে প্রায় এক অধ্যায় পড়েনিলাম,অত্যন্ত চমৎকার একটি অধ্যায় ছিল।অধ্যায়ের নাম"মেঘের কোলে রোদ হেসেছে"।
ঐ অধ্যায় পড়ার পর আবার ছুটে গেলাম সেই সপ্ন পূরণে আশায়-বাস্তব রূপে রূপান্তরিত করার জন্য,সেই রান্নাঘরে ছুটে গেলাম মায়ের হাতের বানানো পিঠেপুলি খাওয়ার জন্য।
ছুটে গিয়েই মা'কে আবার পূর্বের মতো করে হাঁক দিলাম বল্লাম মা এখনো কি হয়নি না কি হতে আরও কিছু সময় লাগবে তখন মা মধুর সুরে, মাধুর্যতার মনোভাব নিয়ে বল্লেন বাবা এবার আর এ নিয়ে তোমায় কোনো দুশ্চিন্তা করা লাগবেনা, কারণ তোমার সেই সপ্ন পূরণ এখনই বাস্তব রূপে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।
তখন মনের আনন্দে ভালোলাগার, ভালোবাসার সেই সপ্নের পিঠেপুলি খাওয়ার জন্য বসে পড়লাম সেই রান্নাঘরে।মা তখন চুলা থেকে হাঁড়িপাতিলটা নামালেন নামিয়েই আমার কাছে হাজির করলেন সেই সপ্নের পিঠেপুলি তখন আমার মনে এক আনন্দের ঢেউ বইতে লাগলো কারণ আমার এখন সেই সপ্নটা বাস্তব রূপে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে.....
তৃতীয় ও শেষ পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন ইনশা-আল্লাহ অতি শীগ্রই আপনাদের সামনে উপস্থিত করার চেষ্টা করবো- ইনশা-আল্লাহ।
শীতের রাতে মায়ের হাতের পিঠেপুলিঃ তৃতীয় পর্ব.....নাহিদ চৌধুরী।
মা তখন হাঁড়ি থেকে পিঠেপুলি ঝুড়িতে ঢেলে দেন-দেওয়ার পর আমাকে আবার পূর্বের মতো করে মাধুর্যতার মনোভাব নিয়ে মধুর সুরে হাঁকদিলেন বল্লেন বাবা এখন তুমি তোমার সপ্নটা ইচ্ছেমতো পূরণ করো,নাও তোমার যা ইচ্ছে তা নিজ হাতে আপ্যায়ন করো।
তখন আমি হাতটা পেতে দিলাম মা'য়ের কাছে, মা তখন আমার হাতে একটা পিঠে তুলেদেন, আমি খাওয়ার জন্য- তখন আমি ঐ পিঠেপুলি খাওয়া শুরু করলাম আর মনে মনে ভাবতে লাগলাম যে, পৃথিবীর মধ্যে কেউ যদি থেকে থাকেন।
যেকোনো কিছুর বিনিময়ে সন্তানের চাওয়া পাওয়া পূরণ করতে তাহলে একমাত্র তা মা"ই পারেন-মা'য়ের পক্ষে তা সম্ভব-আর কারো পক্ষে তা কখনো সম্ভব নয়।
আহঁ! বর্তমান সময়ে আশপাশ তাকালে দেখা যায় প্রায় ছেলে বিয়ে করে মা'কে ভুলে যায়।বউকে পেয়ে মা'কে হারিয়ে ফেলে😭।নিজের মা'কে সম্মান না দিয়ে বউয়ের মা'কে সম্মান দেওয়ার জন্য পাগল-পারা হয়ে যায়...
চতুর্থ ও শেষ পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন ইনশা-আল্লাহ অতি শীগ্রই আপনাদের সামনে উপস্থিত করার চেষ্টা করবো- ইনশা-আল্লাহ।
Awesome
Ostir
You must be logged in to post a comment.