হাসপাতালের ঘটে যাওয়া এক ভালোবাসার গল্প

যাই হোক এবার আমি খালাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলাম। হাসপাতালে গিয়ে কাকার কাছে গেলাম। দেখি আঙ্কেলর বেডের পাশে একটা মেয়ে বসে আছে।
আর মেয়েটি মাথা নিচু করে ফোনে কি যেনো দেখতেছে। আমার তো মনে হচ্ছে এটায় সাফিয়া।

আর মাথা নিচু করার জন্য মুখ দেখা যাচ্ছে না। যাই হোক এটা তো সাফিয়া মনে হয়। আচ্ছা সাফিয়া বলে ডাক দিবো কি। এর মাঝে আন্টি আসলো। আর আন্টি এসে একটা ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলো।

সে জন্য আমি একাই আঙ্কেলর কাছে আসছিলাম। আন্টি এসে মেয়েটি কে বললো মা আমি আসছি তুমি এখন বাসায় যাও। আমার এবার আর কোনো সন্দেহ থাকলো না এটাই সাফিয়া । কারণ আন্টি সাফিয়াকে মা বলে ডাকতো।
আমি মেয়েটি দিকে তাকিয়ে দেখি কোথাও যেনো তারে দেখছি।

মেয়েটি আমার দিকে দেখে মনে হয় মনে মনে হাঁসতেছে। মেয়েটি আন্টি কে আন্টি বলে ডেকে আমাকে দেখায়ে বললো ইনি কে। আন্টি মেয়েটি কে বললো চিনবা না। আমি এবার অবাক হলাম আসলে মেয়েটি সাফিয়া না। সাফিয়ার মা কে তো আন্টি বলে ডাকতেছে।

কিন্তু কিছু বুঝতে ছিলাম না মেয়েটি আমার দিকে দেখতেছে আর হাঁসতেছে। একটু পর মেয়েটি আন্টিকে বললো আচ্ছা আন্টি আপনি থাকেন আমি বাসায় গেলাম । এ কথা বলে মেয়েটি চলে গেলো।

আমি আঙ্কেল সাথে কথা বলতেছিলাম। হঠাৎ দেখি মেয়েটি আবার আসছে। এসে আমাকে ডাকতেছে তাও নাম ধরে । আমি তো অবাক সে আমার নাম জানলো কিভাবে। যাই হোক মেয়েটির কাছে গেলাম৷ মেয়েটি আমার বলতেছে কি আমাকে চিনতে পারেন নাই।

আমি না আপনাকে চিনতে পারি নাই। কিন্তু আপনাকে কোথাও যেনো দেখেছি কে আপনি বলবেন প্লিজ।
মেয়েটি হুম বলবো তো তার আগে বলেন এখনো কি মানুষের বাসা ঠিকানা ভুল করে ঢুকেন নাকি।

আমি,ও এবার আপনাকে চিনতে পারছি। মেয়েটি,, ও এবার চিনতে পারছেন৷ আমি হুম। মেয়েটি,, তো আমার নাম কি মনে আছে আপনার। আমি হুম মনে আছে মিম না আপনার নাম। মেয়েটি হুম। আমি,, তো আপনার বিবাহিত জীবন কেমন কাটতেছে।

মিম মানে মেয়েটি,, আর এ কিসের বিয়ে আমার তো বিয়ে হয় নাই। যে ছেলের সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছিল সে অন্য জনকে ভালোবাসতো তাকে বিয়ে করছে। আমি,,,, ও আচ্ছা।

আপনাকে নিয়ে সেদিন তো আমাদের বাসার অনেক মজা করছে তাই না।
মিম আপনাকে পরে অনেক খুঁজেছি। আমি কেনো। এর মাঝে আমাকে আন্টি ডাক দিলো। আমি ওকে পরে কথা হবে। বাসায় যান আপনি।

এই বলে আমি আন্টি কাছে গেলাম। আন্টি তুমি কি মিম কে চিনো। হুম আন্টি। আপনারা ভুল ঠিকানা দিয়ে ছিলেন । আর আমি সেই ভুল ঠিকানায় তাদের বাসায় গিয়েছিলাম। আন্টি ও। আমি আন্টি নীলা কি হাসপাতালে আসবে। আন্টি হুম আসবে। আমি তো অনেক খুশি।

যাইহোক এবার আমি আন্টি কে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলাম। ডাক্তারের কাছে গিয়ে আঙ্কেলের অপারেশন বিষয়ে কথা বললাম। এবং আঙ্কেলের যদি কাল অপারেশন করি। তাহলে আজই টাকা জমা দিতে হবে।

আমার কাছে তো এত গুলো টাকা নাই । আর আমার টাকা সবসময় ব্যাংকে থাকে। ডাক্তারের রুম থেকে বের হয়ে। আমি আন্টি কে আঙ্কেলের কাছে রেখে। আমি ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলাম। তার পর আমি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে।
হাসপাতালে আসলাম।

এসে টাকাটা জমা দিয়ে রিসিভটা নিয়ে গিয়ে আন্টি কে দিলাম এর মাঝে দেখি রাত ৮ টা বাজে। আবার বাহিরে গিয়ে আন্টিদের জন্য খাবার নিয়ে আসলাম। অনেকক্ষন ধরে বসে আছি কিন্তু নীলা আসতেছে না।

আমি আন্টিকে বলতে যাবো যে নীলা কখন আসবে। এর মাঝে আন্টি বলে উঠলো বাবা তুমি বাসায় যাও। অনেক রাত হয়েছে।আমি হুম যাবো। আচ্ছা আন্টি নীলা কখন আসবে। আন্টি,, ও নীলা আজ আসবে না। আমাকে ফোন দিয়ে ছিলো। নীলা বাসায় গেছে। কাল সকালে অফিসে যাওয়ার সময় আসবে। মনটা অনেক খারাপ হলো নীলা আসবে না শুনে।

আচ্ছা আন্টি আপনি থাকেন আমি কাল সকালে আসবো,, আর আপনার ফোন নাম্বারটা দেন। আমি আন্টির ফোন নাম্বার নিয়ে বাসায় আসলাম। বাসায় এসে দেখি রাত ১১ঃ৩০ বাজে।

আর এতো রাতে মা জেগে আছে। মা আমাকে বললো আজ এত রাত কেনো হলো। আমি অনেক কাহিনী পরে বলবো। আগে আমাকে খেতে দাও। খাবার খেয়ে ঘুমালাম। ঘুম থেকে আজ অনেক সকালে উঠলাম। আজ নীলা হাসপাতালে আসবে।

তার সাথে আমার অনেক বছর পর দেখা হবে। আমি তারাতাড়ি রেডি হলাম। আর আজ অফিস থেকে ছুটি নিবো। এ কথা ভাবার সাথে সাথে দেখি বস আমাকে ফোন দিছে। ফোন ধরার সাথেই আমি কোনো কিছু বলার আগেই।বস কথা বলা শুরু করলো। আর বসের কথাটা শুনে আমার মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেলো.. !চলবে।

এর পরের পর্বে লেখকের পরিচয় মানে আমার পরিচয় আপনাদের বলবো, অনেকেই আমার পরিচয় জানতে চান তাই। আমি চট্টগ্রামের মিরসরাই এর ছেলে আমার ভাষায় বলিতেছি।

আই অইছি মিরসরাই এর হোলা আই গল্প ইবা লিখছি আই আরো গল্প লিখতাম চাই আন্নেরা আর পাশে থাকলে আই বহুদ্দুর আগাই যামু বুঝঝেননি ওয়া আন্নেরা প্লিজ সাবস্ক্রাইব করেন ঠিকা আছে নে আর চাচা চাাচি খালাম্মা ও আর মা বোনরা ভাই ব্রাদার আল্লাহ হাফেজ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles