যখন থেকে মানুষ সাইন্স নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে তখন থেকে তখন থেকেই মানুষেরা আকাশকে ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখে। হয়তো এই জন্যই পৃথিবীতে উচু উচু বিল্ডিং বানানো শুরু হয়েছিল মানুষের দ্বারা। মানুষের এই ইচ্ছার জন্যই আজকে পৃথিবীর উচ্চতম বিল্ডিং ডুবায়ে আবিস্কার করা হয়েছে।
যার উচ্চতা হচ্ছে 828 মিটার। তবে পৃথিবীতে কি সত্যি হাজার তলা বিল্ডিং নির্মাণ করা সম্ভব?
মানুষের দ্বারা নির্মিত সবচেয়ে বড় বিল্ডিং সম্পর্কে জেনে নেই:
1. পৃথিবীতে সবচেয়ে উচ্চতম ও সবচাইতে বড়ো স্টাকচু সিলো পিরামিড। যা গির্জায় অবস্থিত। উচ্চতা হচ্ছে 147 মিটার বা 482 ফিট। প্রায় 4 হাজার বছর ধরে পিরামিড তার সুনাম ধরে রেখেছিল।
2. তারপর পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চু বিল্ডিং নির্মাণ হয় ইংল্যান্ডের লিন্থন কেথিত্রয়েল চার্জ। যার উচ্চতা 160 মিটার।
3. তারপর 1882 সালে 169 মিটার বা 550 ফিট উচ্চ ওয়াশিংটন মনোমেট কে বানানো হয়।
এই রকমই উচ্চমানের বিল্ডিং বানানোর প্রতিযোগিতা প্রতিনিয়তই চলছে।
আজকে পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চতম স্ট্যাচু রয়েছে ভারতের কাছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে স্ট্যাচু of unity. যার উচ্চতা হচ্ছে 182 মিটার।
ভুজ খালিফা সম্পর্কে কিছু তথ্য:
তবে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর উচ্চতম বিল্ডিং আছে দুবাইতে। যার নাম "ভুজ খালিফা"। যার উচ্চতা হচ্ছে 828 মিটার।
যারা এই বিল্ডিংটি নির্মাণ করেছিলেন তারা বলেন: এই বিল্ডিংটি নির্মাণের সময় অনেক অসুবিধা হয়েছিল। কারণ এত উপরে উঠতে গেলে সিমেন্ট শক্ত হয়ে গিয়েছিল। তাই ভুজ খালিফা নির্মাণের বেশিরভাগ কাজই রাতের বেলা করা হত।আর এ জন্যই ভুজ খালিফা যত কংক্রিটের কাজ হয়েছে তার প্রায় বেশির ভাগই রাতে তৈরি করা হয়েছিল।
ভুজ খালিফা উপর থেকে যদি কেউ ঝাঁপ দেয় তাহলে তার মাটিতে আসতে সময় লাগবে 20 সেকেন্ড এর ও বেশী। আর এর পরেই মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে যে আমরা কি কোনদিন এমন বিল্ডিং নির্মাণ করতে পারবো যা মহাকাশ স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছাবে?
যদি এইটার উত্তর "হ্যা" হয় তাহলে কিভাবে?
একটা লিমিট অব্দি একটা বিল্ডিং কে যদি অনেক উচু বানাতে হয় তাহলে তার বেজকে অনেক চওড়া বানাতে হবে। যাতে পুরো বিল্ডিং টির ওজন তার বেজ ধরে রাখতে পারে। আমরা জানি আমাদের পৃথিবী গোল। তাই আমাদের লিমিটেশন বেড়ে যায় অনেক বেশি।
আপনি কি জানেন, আমাদের পৃথিবীতে ভুজ খালিফার চেয়েও বেশি উচু বিল্ডিং নির্মাণের জন্য ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়ে গেছে। যদি এই বিল্ডিংটি মানুষ তৈরি করতে পারে তাহলে ভুজ খালিফা দেখতে হবে এর চেয়ে অনেক ছোট। হ্যা জাপানের টোকিও তে একটা বিল্ডিং নির্মাণের জন্য প্রায় সব ধরনেরই ব্যাবস্থা হয়ে গেসিলো।
যার নাম হচ্ছে এক্সিট 4 থাউজেন্ট। এটার উচ্চতা হবে প্রায় 4 কিলো মিটার। এর উচ্চতার জন্য এর বেজটি তৈরি করা হবে 6 কিলো মিটার। এই বিল্ডিং টিতে থাকবে 800 টি ফ্লোর। এই বিল্ডিং এ একত্রে প্রায় 8 লক্ষ মানুষ থাকতে পারবে।
যে কোন বিল্ডিং কে নির্মাণ করার জন্য তার বেজ টি শক্ত ও মজবুত করা খুবই জরুরি। কারণ বিল্ডিংয়ের পুরো ভার থাকে বেজ এর উপর।বিল্ডিংয়ের বেজ যদি শক্ত না হয় তাহলে যে কোন ভূমিকম্পে বিল্ডিংটি ভেঙে যাবে।
ভুজ খালিফা কে বানিয়েছে উইলিয়াম বেকার। তার বক্তব্যে বলেন: আমরা যদি মাউন্ট এভারেস্ট এর দিকে তাকাই।তাহলে দেখবো যে মাউন্ট এভারেস্ট এর উচ্চতা অনুসারে তার বেজ টি অনেক বড়। আমরা যদি মাউন্ট এভারেস্ট এর সমান কোন বিল্ডিং বানাতে চাই, তাহলে তার বেজ দিতে হবে প্রায় 4 হাজার 700 কিলো মিটার চওড়া।
বিল্ডিংটি মহাকাশ জয় করবে। এখানে বাতাসের চাপ এতটাই বেশি যে, বিল্ডিংটি যদি মজবুত না হয়। তাহলে বিল্ডিং টি মুহূর্তেই ভেঙে যাবে। বিল্ডিং এর বেজ টিকে মজবুত বানানোর জন্য এর বেজটিকে বর্গাকৃতির নয় বরং সার্কুলার বা ট্রায়াঙ্গেল করে নির্মাণ করা হবে।
এই বিল্ডিংটি কনস্ট্রাকশন হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে ট্রান্সপারেন্ট অ্যালোমুনিয়াম দিয়ে। যা স্টিলের চেয়েও 3 গুন বেশি শক্তিশালী। তা না হলে কার্বন নানো টিউব ব্যাবহার হতে পারে।
এত উচু বিল্ডিং এ সাধারণ লিফট কাজ করবে না। কারণ এত উচু পর্যন্ত উঠতে সময় অনেক বেশি লাগবে।এইজন্য তৈরি করা হবে এই বিল্ডিং এর জন্য সবচেয়ে দ্রুগতির লিফট। আমাদের সাধারণ কনবেঞ্চর এলিভেটর প্রত্যেকটি ফ্লোরেই দাড়াতে পারে। কিন্তু এই এলিভেটর গুলো হবে সুপার ফাস্ট।
এর পর মানুষ এমন একটি বিল্ডিং নির্মাণের কথা ভাবতেছে যেটি হবে সবচেয়ে উচু, সবচেয়ে বড় এবং সমগ্র পৃথিবীর মানুষকে নিজের মধ্যে রাখতে পারবে।
You must be logged in to post a comment.